ভালোবাসি তো অনেক বেশী । মাহাবুবা জাহান
ইশ্ আজকে ভার্সিটির প্রথম ক্লাস আর আজকেই ঘুম থেকে উঠতে দেরী হয়ে গেল। এলার্ম তো দিয়ে রেখেছিলা তাহলে কে বন্ধ করলো?
আদিব না তো?
ও যদি এই কাজটা করে তাহলে ওর খবর আছে।
আর ও ছাড়া এই কাজ করবেই বা কে?
বান্দরটাকে তো আমি পরে দেখে নিব কিন্তু এখন কি হবে?
অনেক বেশী দেরী হয়ে গেছে। ৯টায় ক্লাস আর এখন ৭.৪০ বাজে!!
কাল রাতে ও ভেবেছিলাম অনেক সুন্দর করে সাজগোজ করে যাবো আর এখন!?
কি ভাবে কি করবো কিছুই তো বুঝতেছি না।
এই দিনটার জন্যই তো এতো দিন অপেক্ষায় ছিলাম।
না অধরা আর সময় নষ্ট করা যাবে না।
তাড়াতাড়ি উঠে রেডি হয়ে ক্লাসে যেতে হবে।
অধরা নিজে নিজে বলতে লাগলো।
ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে অধরা একটা লাল ও সোনালী রংয়ের সমন্বয়ে ৩পিছ পরে নিল। হাতে লাল কাঁচের চুড়ি, চোখে হাল্কা কাজল, ঠোটে হাল্কা রংয়ের লিপস্টিক দিয়ে বের হতেই অধরার ছোট ভাই আদিব আপু এতো সাজগোজ করে কই যাইতেছো?
আমি কিন্তু আম্মুকে বলে দিব তুমি কার সাথে যেন সকাল সকাল ঘুরতে যাইতেছ।
যা বল আম্মুকে আগে বাসায় আসি এর পর তোর মজা দেখাবো।
আদিবে কান টেনে ধরে।
আপু ব্যাথা পাইতেছি ছাড়ো প্লিজ!
অধরার মা পিছ থেকে কিরে তোরা সকাল সকাল শুরু করে দিলি তোদের টম & জেরি?
আম্মু দেখানো তোমার ছেলে কি করছে আমি এলার্ম দিয়ে রাখছিলাম তা বন্ধ করে দিছে।
জানো তো আজকে আমার ভার্সিটির প্রথম ক্লাস আর তুমি ও ডেকে দিলা না।
কে বললো ডাকি নাই? আর আদিব এলার্ম বন্ধ করে নাই আমিই করছি।
এলার্ম শুনে তোকে ডাকতে গেলাম।
তখন তুই তো বললি আম্মু আর একটু পর উঠবো এলার্মটা বন্ধ করে দাও।
তাই তো আমি এলার্ম বন্ধ করে চলে আসলাম।
আম্মুর কথা শুনে বান্দরটার দিকে তাকাতেই দেখলাম বাংলার ৫ এর মতো মুখ করে আছে।
বান্দরটাকে কাছে টেনে sorry দাদা আমার ভুল হয়ে গেছে আমি যখন বাসায় আসবো তখন তোর জন্য অনেক গুলা আইসক্রিম নিয়ে আসবো। আর এই নে তোর চকলেট।
বান্দরটা খুশি হয়ে আমাকে আদর করে দিলো আর বেস্ট অফ লাক জানাতে ভুল করলো না।
আম্মু আমি গেলা।
তুই তো কিছু সকালে নাস্তা করিস নেই।
নাস্তা রেডি নাস্তা করে যায় আম্মু বললো।
আম্মু আমি ক্যান্টিন থেকে খেয়ে নিব এখন গেলাম অনেক দেরী হয়ে গেছে।
রিকসাতে উঠে অধরা ভাবতে থাকে আদিবের কথা।
আসলেই ওরা টম & জেরি।
যতো ঝগড়াঝাঁটি হোক না কেন ২জন ২জনকে ছাড়া থাকতে পারে না।
অধরার ব্যাগে সব সময় চকলেট রাখতে হয় বান্দরটার জন্য।
না হলে তার রাগ ভাঙ্গানো যায় না।
অবশ্য মাঝে মাঝে আদিব নিজেই অধরার ব্যাগ থেকে চকলেট নিয়ে খেয়ে ফেলে।
অনেক সময় এমন হয়েছে আদিবকে চকলেট দিতে যেয়ে দেখে চকলেট নেই।
আদিবের কথা ভাবতে ভাবতে অধরা ভার্সিটিতে চলে আসলো।
ভাড়া দিবার জন্য অধরা ৫০০ টাকার নোট দিলো রিকসাওয়ালা মামাকে।
৫০০ টাকার নোট দেখেই মামা বললো আফা সকাল সকাল এতো বড় নোট খুচরা নিয়ে বের হতে পারলে কি আর রিকসা চালাইতাম।
একে তো ৫ মিনিট বাকি ক্লাস শুরু হবার আর এখন টাকা খুচরা করতে হবে!!?
অধরা: মামা একটু সামনে যেয়ে দেখেন তো টাকাটা খুচরা করা যায় কি না।
রিকসাওয়ালা মামা সমনে এগিয়ে যেতেই অধরা ডিপার্টমেন্টের বিল্ডিংটা দেখতে লাগলো।
অধরার স্বপ্নের ভার্সিটি ভালোবাসার ডিপার্টমেন্ট।
অধরা কখনোই ভাবতে পারে নাই সে তার স্বপ্নের ভার্সিটিতে পছন্দের সাবজেক্টে চান্স পাবে।
রিকসাওয়ালা মামার ডাকে পিছে ঘুরতেই অধরা কাপতে শুরু করলো!?
রিকসাওয়ালা মামা: আফা এই মামার কাছে ৫০০ টাকা খুচরা আছে মামাকে নোটা দেন মামা খুচরা করে দিতেছে।
আদিব: অধরা আপু এই অধরা আপু উঠো।
কখন থেকে এলার্ম বাজতেছে।
উঠো তুমি না আজকে ক্লাসে যাবা?
আম্মু তোমাকে ডাকতেছে।
অধরা: আপনি না মানে তুমি এখানে কি ভাবে!?
আদিব: আপু পাগল হয়ে গেলা নাকি কি বলো এই সব। বুঝছি তুমি এই ভাবে উঠবা না।
বিছানার পাশে গ্লাসে রাখা পানি আদিব অধরার মুখে ঢেলে দিলো।
অধরা: চিৎকার দিয়ে আপনি না তুমি কিন্তু বেশী করতেছ বলেই বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে গেল।
বিছানা থেকে উঠে অধরা দেখলো আদিব লাফাচ্ছে আর তালি দিচ্ছে।
ইয়ে আপু উঠে গেছে।
অধরা আদিবকে বললো এখান থেকে দূরে যা তোরে এখন সহ্য হচ্ছে না।
আদিব: ভালো কাজ করলে মানুষের দাম নাই।
কখন থেকে এলার্ম বাজতেছে তুমি উঠো না দেখে আমি উঠায় দিলাম আর এখন আমার দোষ হয়ে গেল?
অধরা তুই এখন থেকে গেলি রাগী গলায় বলতেই আদিব চলে গেল.
অধরা ভাবতে লাগলো তাহলে সে এতোখন স্বপ্ন দেখেছে?
কিন্তু এই স্বপ্ন সত্যি হবার ১০০ তে ১০০% চান্স আছে।
এমন যদি হয় তাহলে অধরা কি করবে!???
বি:দ্র: এটা ছোটখাটো একটা হিন্দি সিরিয়াল হবে।
আশা করি সবাই পড়বেন।
আর আপু আমি আপনার চ্যালেঞ্জ ঠিক ভাবে নিছি পাশ করছি কি জানাবেন!!!
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com