Breaking News

অদ্ভুত অনুভব । পর্বঃ -০২

অধরা। এই অধরা?? (মামি)
-মামির ডাকে ঘুম ভাংলো। তাকিয়ে দেখি মামি পাশে বসে ডাকছে আভা দাড়িয়ে হাসছে আভাকে বড্ড লম্বা দেখা যাচ্ছে হয়ত ঘুমের ঘুরে দেখছি।একটা লম্বা হাই তুলে শুয়া থেকে ওঠে বসলাম ।
-গুড মর্নিং মামি।আভা তোর রুমটা এমন অন্যরকম লাগছে কেনো(আমি)
– তুই আভার রুমে নাহ রান্না ঘরে(মামি)
-কিহ্..(আশেপাশে তাকিয়ে সিউর হলাম আমি রান্না ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়েছি।শরীর এতটা খারাপ ছিলো কোথায় ঘুমিয়ে ছিলাম তাও জানি নাহ ঘুমিয়ে পরলে আমার ওপর গাড়ি গেলেও খুঁজ পাবো নাহ জানতাম আজ প্রমাণ পেলাম)
-কিরে কি ভাবছিস..
-নাহ মামি কিছু নাহ
-এখানে কেনো শুয়েছিলি
-বলতে পারি নাহ মামি। পানি নিতে এসেছিলাম পরে কি যে হলো(অভি ভাইয়া এর উত্তর দিতে পারবে আমি তো …. মনেমনে)
-আচ্ছা যা ফ্রেশ হয়ে আয়। আমি নাস্তা রেডি করছি..
-হুম
-কিছু একটার আলো চোখে পরতেই কেরে??(আমি)
-নিশ্চুপ…
-কি হলো কেউ কথা বলছে নাহ কেনো চোর নয়তো আবার যদি চোর হয়ে থাকে (মনেমনে) চোর বলে একটা ডাক দিয়ে আবার চোর বলতে যাবো তখনই কেউ হাত দিয়ে মুখটা চেপে ধরলো।আমি কিছু বুঝার আগেই…
-চুপ আম্মু জেগে যাবে। আর একটা চিৎকার দিবি হাড় ভেঙ্গে গুড়াকরে দিবো..
-কথার ধরন শুনে বুঝতে পারলাম অভি ভাইয়া।বিনা মেঘে বজ্রপাত একমাত্র উনিই পারে।আগে থেকেই এমন রাগী।কিন্তু দম বন্ধ হয়ে আসছে হাত সারাবার কোনো খবর নাই..
-উহু উহু( আমি)
-মাশার মতো গান করছিস কেনো??(অভি ভাইয়া)
-আমি মশার গান করছি. দাঁড়াও দেখাচ্ছি মজা(মনেমনে চিন্তা করে) হাতে জোরে একটা কামড় দিলাম সাথ সাথেই..
-তুই কি মানুষ নাকি রাক্ষসী মানুষের হাত কামড়ে দিস(হাত সরিয়ে)
-সরি সরি ভাইয়া দম বন্ধ হয়ে আসছিলো (যদি বুঝতে পারে আমি ইচ্ছে করে দিয়েছি তবে মার সব পিঠে মনেমনে)
-ওকে যা কফি বানিয়ে নিয়ে আয় আমার জন্য। রান্না ঘরে সব আছে।আমি আমার রুমে যাচ্ছি। জলদি নিয়ে আসবি
-আমায় মনে হয় কেউ আকাশ থেকে ফেলে দিছে। এমন অদ্ভুত ব্যবহার। সামান্য ভদ্রতা নেই কই এতো বছর পরে দেখা কেমন আছি কি করছি জিজ্ঞেস করবে তা নাহ সরাসরি কফি বানিয়ে নিয়ে যেতে বললো। রাগে গজগজ করতে করতে রান্না ঘরে গিয়ে কফি বানিয়ে নিলাম।৪ রুমের মাঝে ২ টা আভা আর মামির রুম অন্য ২ টা থেকে একরুমে হালকা আলো দরজার দিকে দেখা যাচ্ছে বুঝতে পারলাম এতটাই অভি ভাইয়া রুম।
-এই নাও কফি(ভাইয়ার সামনে টেবিলে রেখে)
-তোর জন্য বানাস নি(কফিতে চুমুক দিয়ে)
-আমার ইচ্ছে নেই (রুম থেকে বের হবার জন্য পা বাড়াবো তখনি)
-এটা কফি বানিয়ে এনেছিস??(রাগে)
-হুম কেনো
-চিনি কফির পরিমান কিছুই ঠিক মতো দিতে পারিস নি।শোন কফি বানানো একটা আর্ট যেটা তোকে বুঝতে হবে..
-ও আচ্ছা..
-চল আমার সাথে.
-কোথায়??
-কফি বানানো শিখবি(হাত টানতে টানতে রান্না ঘরে নিয়ে যায়)
-বকবক করছে আর দেখাচ্ছে কিরে কোনটা কি পরিমাণ দিতে হবে এদিকে ঘুমে আমার দুচোখের পাতা বারবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে…
-এখন যা চেয়ারে বস আমি নিয়ে আসছি(অভি)
-আচ্ছা (আমি)
-চেয়ারে বসে টেবিলে মাথা দিতেই ঘুমের রাজ্যে আমি…আর সকালে রান্না ঘরের মেঝেতে…
-কিরে কি চিন্তা করিস??(হালকা ধাক্কা দিয়ে আভা)
-কি করে রান্না ঘরে গেলাম তাই চিন্তা করছি (আমি রাতের কল্পনা থেকে বর্তমানে এসে)
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা খেতে এসে দেখি অভি ভাইয়াও নাস্তা খাচ্ছে। আমায় দেখে…
-ভুতনি আমায় একমগ কফি দে তে(অভি)
-ভাইয়া আমি কি ভুতনি।মামি তুমি ওকে কিছু বলবে নাহ(আমি)
-আমি দিচ্ছি ওকে কেন বলচ্ছিস(অভির মা)
-আম্মু কাল ওকে কফি বানানো দেখিয়েছি দেখি কেমন শিখেছে।তুই যা নিয়ে আয়
-জানিস কাল রাতে অধরা রান্না ঘরে শুয়েছিলো(হাসতে হাসতে)
-হুম দেখ আবার ঘুমের মধ্যে হাঁটে কি নাহ
-কফি বানিয়ে অভি ভাইয়া সামনে রেখে..দেখো ঠিক মতো সব দিয়েছি নাকি(আমি)
-দারুণ হয়েছে। ভালো শিখেছিস (কফিতে চুমুক দিয়ে)
-ভাইয়া তুমি আর তোমারকফি। তোমার এই কফির হাত থেকে অধরাও রক্ষা পেলো নাহ(হাসতে হাসতে)
-হয় মন কফির কাপে ডুবিয়ে মারি (বিড়বিড় করে আভাকে শুনিয়ে আমি)
-আগেই বলেছিলাম ভাইয়ার সামনে পরিস নাহ। এখন বুঝ।একটু পরে আবার কফির তার রুমে নিয়ে যেতে বলবে
-কিহ্(একটু জোরে)
-ভুতনি খাওয়া শেষে আমর রুমে এক মগ কফি নিয়ে আয় তো(অভি)
-আমি পড়তে এসেছি নাকি কফি বানাতে এসেছি নিজেও বুঝতে পারছি নাহ( বিড়বিড় করে কফি নিয়ে ভাইয়ার রুমে যেতে যেতে)
-তোমার কফি টেবিলের (বিরক্তিকর মুখ নিয়ে)
-আচ্ছা যা এখন(ফোনে গেইম খেলতে খেলতে)
– আগে বল কাল রাতে আমি রান্না ঘরে মেঝে কি করে গেলাম আমি তো টেবিলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছিলাম
-আমি কি তোকে ঘুমাবার জন্য বসতে বলছিলাম
-আমার খুব ঘুম পেয়েছিলো(ভয়ে)
-হুম এজন্য তো মেঝেতে রেখে দিছিলাম
-তাই বলে রান্না ঘরে
-শোন ঘেনঘেন না করে যা তো
-রাগে যেই বের হতে যাবো তখনই পায়ে পা বেজে পরে যেতে থাকি তখনই কারো স্পর্শ পেলাম। ব্যাথা পাইনি তার মানে… একচোখে আস্তে আস্তে করে খুলি।অভি ভাইয়া বাহুতে আমি। পরলে গরম কফি ওপর পরতাম। আল্লাহ্ বাঁচাইছে মুচকি হাসি দিয়ে দু-চোখ খোলার সাথে সাথেই ধপাস করে বিছানায় ফেলে দেয়…
-মা গো.বাবা গো কোমর গেলো গো..
-চুপ একদম চুপ কি গো গো করে চিৎকার পারছিস(ধমক দিয়ে কফিতে চুমুক দেয়)
-আমি বাসায় চলে যাবো।মা গো তোমার ভাইয়ের ছেলে আমায় বকে(ন্যাকা সুরে)
-থাপ্পড় দিয়ে চাপার দাঁত সব ফেলে দিবো।কফি টা শান্তিতে খেতে পারি নি।যা ভাগ
-রাগে গজগজ করতে রুম থেকে বের হয়ে এলাম।আভার রুমে বসে আছি প্রচন্ড রাগ ওঠছে হাত পা কাঁপছে…
-তোর কি রাগ পাচ্ছে(আভা)
-নাহ নাচতে ইচ্ছে করছে(আমি)
-এতে যার ওপর রাগ তার সম্পর্কে কিছু লেখ(,কাগজ কলম দিয়ে)
-রাগ কমবে(আমি)
-কিছু টা..
-অভি তুই আর একবার চাবি কফি, তোর মাথায় ভাঙ্গবো ডিমের হালি
-আমার ছন্দে দেখে আভা হাসিতে লুটুপটি
-অনেকক্ষন অভি ভাইয়াকে কাগজে বকতে পেরে ভালো লাগছে সামনে তো আর সাহস নেই।কাগজ গুলো ছিড়ে বাহিরে ফেলে দিলাম…
চলবে….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com