Breaking News

বিশ্বাসঘাতক । পর্ব - ০১ । গোলাম মোস্তফা

রাত আনুমানিক ১১টা মৃত প্রায় আবিরের দিকে এগিয়ে গেলো নীলা তাও হাতে একটি চুরি নিয়ে । উদ্দেশ্য আবিরকে হত্যা করা। তার অপরাধের শাস্তি দেওয়া নীলার বান্ধবী তানিয়া এসব দেখে বলছে…

– নীলা কি করছিস তুই? আবির মরে যাবে তো। তুই না আবিরকে তোর জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসিস তাহলে কেনো নিজে হাতে মারতে চাচ্ছিস আবিরকে? (তানিয়া).

তানিয়ার কথা শুনে নীলা চুরি মাটিতে ফেলে দিয়ে আবিরের রক্তে ভেজা শরীর টার দিকে তাকায়। দেখছে আবিরের শরীরের সাদা শার্ট টা কেমন লাল রং ধারন করেছে। চেয়ারের সাথে বাঁধানো আবিরের শরীল। নীলা আবিরের চুলের মুঠি ধরে আবিরের চোখের দিকে তাকিয়ে বলছে…

– ভালোবাসি না আমি এই নরপশু শয়তান বিশ্বাসঘাতক টাকে। এর বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই মেরেই ফেলব আজ।

.- নীলা প্লিজ ছেড়ে দে না? আরে সত্ত্যিই মরে যাবে আবির। তোর ভালোবাসা কে তুই এভাবে মারতে পারিস না নীলা। (তানিয়া).

– ভালোবাসি না ভালোবাসি না ভালোবাসি না! এই পশুটাকে আমি ঘেন্না করি প্রচন্ড ঘেন্না। (নীলা)

কথাগুলো বলে মাটিতে থাকা চুরি আবার হাতে নিলো নীলা। এগিয়ে গেলো আবিরের দিকে। তানিয়া অনেক অনুরোধ করছে কিন্তু নীলা কোন কথাই শুনছে না।.

নীলা লোক পাঠিয়ে আবিরকে তুলে নিয়ে অনেক মেরেছে। বেচারা মার সহ্য করতে না পেরে অনেক চিৎকার করে কিন্তু সেই চিৎকার নীলার কানের পর্দা ভেদ করতে পারে না। আবির চিৎকার করাতে তার মুখ টেপ দিয়ে বেধে দেওয়া হয় জেনো আর চিৎকার করতে না পারে।

.এক পা দু পা করে নীলা এগিয়ে যাচ্ছে মৃনালের দিকে । আবির কিছু বলতে পারছে না চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু প্লাবিত হচ্ছে। কি করেই বা বলবে কেননা মুখে তো টেপ লাগানো পুরো শরীরে রশি দিয়ে বাঁধা পালানোর মত কোন রাস্তাই নেই।

.যে নীলা আমাকে এত ভালোবাসে সেই নীলা আজ আমার সাথে কেন এমন করছে। আমিতো কোন অন্যায় করিনি তাহলে কেন আমাকে নরপশু বলছে? এসব চিন্তা ভাবনা করতে লাগলো আবির।.

নীলা আবিরের কাছে গিয়ে আবিরের পরনের শার্ট টা টেনে হিছরে ছিড়ে ফেলে। নীলা আবিরের র বুকের বাম দিকটায় তাকালো সেখানে সুন্দর ভাবে লেখা নীলা। নীলাকে ভালোবেসে আবির বুক কেটে তার নাম লিখেছে। আবিরের বুকে থাকা নামটা এক নয়নে তাকিয়ে দেখছে নীলা আর কাঁদছে।

.- তুমি এটা কেনো করলে আমার সাথে আবির কেনো? আমি তো খুব ভালোবেসেছিলাম তোমায় আর এই ভালোবাসার প্রতিদান আমাকে এভাবে দিলে। ( কেঁদে কেঁদে বলল নীলা).

কথাগুলো বলে নীলা চুরি দিয়ে আবিেরর বুকের মধ্যে বিদ্ধ করলো যেখানে তার নাম লেখা। আবির চিৎকার করতে পারছে না কিন্তু চোখ দিয়ে চিৎকার করছে কেঁদে কেঁদে। এমন কস্ট সহ্য করা যায় না এর থেকে মরে যাওয়াই ভালো।।নীলা আবিরের বুকে তার নাম টা নস্ট করে ফেলল। বুকের চামড়া টা ফাক হয়ে যাচ্ছে আবিরের। আহহ কিযন্ত্রনা এই যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে ছটফট করছে আবির।আবিরের এমন অবস্থা দেখে নীলার বান্ধবী তানিয়া একটা পৈশাচিক হাসি দিয়ে উঠলো আর মনে মনে বলল…

-আবির, নীলা তোমরা আমার সাথে যেটা করেছো সেটার প্রতিশোধ আমি এভাবেই নিব।.আপনাদের হয়তো প্রশ্ন হতে পারে কেনো নীলা এইসব করছে? তাহলে শুনুন

…আবির নীলা কে খুব ভালোবাসতো আর সেটা সেই ছোটবেলা থেকে। ও আবিরকে অনেকটাই ভালোবাসতো আর আর তানিয়া হচ্ছে আবির ও নীলার সব থেকে কাছের বান্ধবী যাকে ছাড়া এক মূহুরতো ও চলতো না এদের।আবির ও নীলার ভালোবাসা এতোটাই মধুর ছিলো যে স্বয়ং যে কেউ এদের দুজনার ভালোবাসা দেখে হিংসা করবে।.

একদিন নীলা জানতে পারে আবির তাকে ভালোবাসে না শুধু এতদিন থেকে অভিনয় করে যাচ্ছে। আবির অন্য একজন কে ভালোবাসে আর তার সাথে আবিরের শারীরিক সম্পর্ক ও হয়েছে।নীলা কোনভাবেই বিশ্বাস করে না এই কথা যে আবির অন্য কাউকে ভালোবাসবে।.

আবিরের সাথে সেই মেয়েটার নগ্ন ছবি দেখে বিশ্বাস করতে বাধ্য হয় নীলা যে আবির ঠক প্রতারক এতদিন থেকে তার সাথে মিথ্যা প্রেমের অভিনয় করেই যাচ্ছে।.

এমন সময় নীলার বান্ধবী তা এসে বলে…

– দেখো নীলা দেখো তুই যাকে এতটা ভালোবাসলি আর সেই অন্য জনকে কতটা ভালোবাসলো? (তানিয়া)

– আমি আর বেঁচে থাকতে চাই না তানিয়া আমি নিজেকে শেষ করে দিবো। (নীলা)

– পাগল হয়েছিস নাকি? তুই কেনো নিজেকে শেষ করবি তার থেকে ভালো তোর সাথে যে এমন করেছে তাকে শেষ করে দে? (তানিয়া)

– কি বলতে চাচ্ছিস তুই? (নীলা)

– কিছুনা…।.আবির নীলার সাথে এমন করাতে নীলা মেনে নিতে পারছিলো না। তাই নীলার মধ্যে প্রতিশোধের আগুন দাউ দাউ করে উঠে।নীলা প্রতিজ্ঞা করে যে আবিরকে ধীরে ধীরে শেষ করে ফেলবে। তাই প্লান করে লোক ভাড়া করে আবিরকে তুলে আনে । তারপর কি হলো জানেন ই তো.

….আবিরের ছটফটানি দেখে নীলা জোরে জোরে কাঁদছে ইচ্ছে করছে আবিরের কাছে গিয়ে শক্ত করে জরিয়ে ধরে আদর করতে। কিন্তু যখনই মনে হচ্ছে আবির একটা প্রতারক তখন ই আবার প্রচন্ড রাগ উঠছে নীলার মনে।.

আবির আল্লাহ কে বলছে হে আল্লাহ এমন কি অপরাধ আমার যার কারনে আমাকে এভাবে শাস্তি দিচ্ছো? নীলাকে দেখে খুব অবাক হচ্ছে আবির আর কেনই বা হবেনা যে মেয়েটা এত ভালোবাসে আবির কে আর সেই মেয়েটা যদি তার বুকে গরম চুরি বিদ্ধ করে অবাক হবারই কথা।

.নীলার মনে পরে নগ্ন ছবির কথা যেখানে আবির আর সেই মেয়েটা। তখন রাগ যেনো তুঙে উঠে নীলার। হাতের কাছে একটা ব্লেড পায় নীলা আর সেই ব্লেড নিয়ে আবার এগিয়ে যায় নীলা আবিরের দিকে….

– নীলা কি করছিস তুই? এতোকিছু করেও হয়নি তোর আবার ব্লেড কেনো? (তানিয়া)নীলা চোখ মুছতে মুছতে বলে

– কাটবো কেটে কেটে পুরো বডি শেষ করে ফেলব এই শয়তান টার…… ।.নীলা আবিরের মুখের টেপ টা খুলে দিয়ে ব্লেড বসালো বুকে । আবির চিৎকার করে বলে উঠলো…

– আই লাভ ইউ নীলা প্লিজ ছেড়ে দাও আর পারছি না সহ্য করতে…..

চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com