সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্পঃ খেলাঘর । ১ম পর্ব
তাড়াতাড়ি রেডি হচ্ছে ফাইজা…আজ তার
স্কুল এর প্রথম দিন..গ্রামের একটা
প্রাইভেট স্কুলে জব হয়েছে তার..
রাসেলের সাথে ডিভোর্স এর পর পারা
প্রতিবেশীর অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে তার..
তবুও নিজের মনোবল হারায় নি..মদ্ধবিত্ত
পরিবারের মেয়েদের মনোবল হারালে হয় না..
তাদের অনেক কিছু মানিয়ে নিতে হয়..
আর ডিভোর্সি হলে তো কোনো কোথাই নেই..
এইসব ভাবতে ভাবতে রেডি হয়ে গেলো…
তার মা তাকে ব্রেকফাস্ট করার
জন্য ডেকে যাচ্ছে কখন থেকে..
টেবিলে বসতেই তার মা তাকে খাইয়ে
দিতে লাগলো..বাবাও বসলো তার পাশে..
টুকটাক কথা বলে বাবার সাথে বেরিয়ে গেলো স্কুলের উদ্দেশ্যে..
স্কুলটা খুব একটা বড় না..প্লে থেকে ফাইভ পর্যন্ত বাচ্চাদের পোড়ানো হয়..
তবে স্কুলের নাম আছে মোটামুটি…
ভেতরে ঢুকেই প্রথম প্রিন্সিপাল স্যার এর অফিস..
ঐখানে ঢুকেই স্যার কে সালাম দিলো ফাইজা..
সালামের উত্তর দিয়ে বসতে বললো স্যার..
কুশলাদি বিনিময়ের পর ক্লাস এ নিয়ে গেলো সবার সাথে পরিচয় করানোর জন্য…
সবার সাথে পরিচয় পর্ব শেষে সব কিছু
বুঝিয়ে দিয়ে স্যার চলে গেলো…
ফাইজা অফিস রুমে গিয়ে দেখলো ঐখানে দ্বিতীয় শিফ্টের টিচাররা গল্প করছে..
সবাই তারা এক এলাকার তাই সবাই পরিচিত…
চার জন মেডাম ও একজন স্যার আছে..
মিম,সুমাইয়া,পাখি,তানিয়া সবাই ফাইজার পরিচিত…
শুধু স্যার এর সাথে পরিচয় নেই…স্যার এর নাম সবুজ আহমেদ…
ফাইজার জুনিয়র..
প্রথম দিন স্কুল ভালো কাটলো ফাইজার…
বাসায় গিয়ে মা কে বলবে সে আবার পড়াশুনা কন্টিনিও করতে চায়…
বাসায় ঢুকেই তার মাথা গরম হয়ে গেলো…
এ কেন এসেছে এইখানে….
বসার ঘরে তার মামা বসে আছে…এই লোকটাই রাসেলের সাথে তার বিয়ের
প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলো..
রাসেলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিল..তার
মতো ভালো ছেলে নাকি পুরো বাংলাদেশে পাওয়া যাবে না…
ভালো ছেলের নমুনা দেখেইতো আসলাম..
যত্তসব ফাউল…
মামা এগিয়ে আসলো আমার দিকে.
আমি তাকে সম্পুন্ন এড়িয়ে নিজের রুমে
চলে গেলাম…
শুনলাম মা কে বলছে,তোর মেয়ে দিন দিন বেয়াদব হচ্ছে…
মা কিছু বললো না,,,চুপ চাপ নিজের কাজ করায় মন দিলো..
একটু পরে বাইরে কাকলির গলা শুনতে পেলাম…কাকলি আমার বেস্ট ফ্রেন্ড…
বিয়ে ঠিক হয়েছে কয়েক দিন হলো…
যার সাথে বিয়ে ঠিক হয়েছে সে আমাকে কিছু দিন আগে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ছিল…
আমি সরাসরি না বলে দিয়েছি..
বিয়ের প্রতি ঘৃণা চলে আসছে..যদিও আমি
জানি সে আমাকে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে…কিন্তু কখনো বলে নি…তার আগেই আমার বিয়ে হয়ে যায়..
এখন কাকলিকে তার বাড়ির লোক পছন্দ করেছে….এনগেজমেন্ট ও হয়ে গেছে..
আমাদের বন্ধুত্বটা যেন নষ্ট না হয় এই
দুআই করি সব সময়…
শুনেছি আমি চলে আসার পর পর সুমি আর রাসেলের কথা তাদের পরিবারের সবাই জানতে পারে…তারা যে এতো দূর অব্দি চলে গেছে তা কেউ ভাবতেও পারে নি…
সুমির বাবা কিছু দিনের মধ্যেই তার বোনের ছেলের সাথে তার আকদ করে ফেলে…
অনেকটা গোপনে করায় রাসেল জানতেও পারে নি..
নিয়তি কাউকে ছাড় দেয় না…প্রকৃতির প্রতিশোধ বলে ও কিছু আছে…
এইসব চিন্তা করতে করতে বের হলাম রুম থেকে…বেস্টু আসছে বলে কথা…
(এইখানে আপনাদের লেখিকা আপুও আছে..শুধু নাম চেঞ্জ করে দেয়া হলো…তবে তার কিছু প্রিয় মানুষ তাকে এই নামে ডাকে…)
চলবে..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com