Breaking News

সংবিধানের ১৭ টি সংশােধনীর সার সংক্ষেপ



বাংলাদেশের সংবিধান [The Constitution of Bangladesh] সংবিধানের ১৭ টি সংশােধনীর সার সংক্ষেপ :-
১। প্রথম সংশােধনীঃ-১৯৭৩ সালের ১৫ জুলাই সংবিধান প্রথম সংশােধনী করা হয়। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধে লিপ্ত বন্দী পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযােগীদের বিচারের জন্য এই সংশােধনী করা হয়।
২। দ্বিতীয় সংশােধনীঃ-জরুরী অবস্থা ঘােষণার বিধান, নিবর্তনমূলক আটক সংক্রান্ত আইন এবং মৌলিক অধিকার পরিপন্থী আইন প্রণয়নের জন্য ১৯৭৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর সংবিধানের দ্বিতীয় সংশােধনী করা হয়।
৩। তৃতীয় সংশােধনীঃ-২৮ নভেম্বর ১৯৭৪ তৃতীয় সংশােধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ২(ক) উপ-অনুচ্ছেদকে সংশােধন করে ভারত-বাংলাদেশ সীমানা চুক্তি কার্যকর করা হয়।
৪। চতুর্থ সংশােধনীঃ-১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী সংবিধানের চতুর্থ সংশােধনী করা হয়। এই সংশােধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা, আজ্ঞাবাহী মন্ত্রীপরিষদ, ক্ষমতাহীন জাতীয় সংসদ,এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়।
৫। পঞ্চম সংশােধনীঃ-১৯৭৯ সালের ৬ এপ্রিল সংবিধানের পঞ্চম সংশােধনী করা হয়। এই সংশােধনীর মাধ্যমে স্ব-পরিবারে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর ১৫-৮-৭৫ থেকে ৯-৪-৭৯ পর্যন্ত সামরিক আমলের সকল কর্মকান্ড বৈধকরণ, রাষ্ট্রীয় মূলনীতির পরিবর্তন করা হয়। সুপ্রীম কোর্টে আপীল বিভাগ ২ ফেব্রুয়ারী ২০১০ তারিখে পঞ্চম সংশােধনীকে অবৈধ ঘােষণা করেন। আপীল বিভাগ কর্তৃক পঞ্চম সংশােধনীকে অবৈধ ঘােষণার পর সংবিধানের ১৫ তম সংশােধনী করা হয়।
৬। ষষ্ঠ সংশােধনীঃ-১০ জুলাই ১৯৮১ সালে সংবিধানের ষষ্ঠ সংশােধনী করা হয়। এই সংশােধনীর মাধ্যমে জিয়াউর রহমানকে হত্যার পর নিয়ােগকৃত উপ-রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাত্তার কর্তৃক রাষ্ট্রপতির নির্বাচনের পদপ্রার্থীর বিষয় বৈধকরণ করা হয়।
৭। সন্তম সংশােধনীঃ-১০ নভেম্বর ১৯৮৬ সালে সংবিধানের সপ্তম সংশােধনী করা হয়। এই সংশােধনীর মাধ্যমে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসন আমলের সকল কর্মকান্ড বৈধকরণ করা হয়।২৬ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখ হাইকোর্ট বিভাগ সংবিধানের সপ্তম সংশােধনীকে অবৈধ ঘােষণা করে রায় দেয়।
৮। অষ্টম সংশােধনীঃ-৯ জুলাই ১৯৮৮ সংবিধানের অষ্টম সংশােধনী আনয়ন করা হয়। এই সংশােধনীর মাধ্যমে ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট (বিভাগের ৬টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন এবং ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘােষণা করা হয়।
৯। নবম সংশােধনীঃ- ১১ জুলাই ১৯৮৯ সার্বজনীন ভােটে একই সাথে রাষ্ট্রপতি ও উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যবস্থার জন্য সংবিধানের নবম সংশােধনী করা হয়।
১০। দশম সংশােধনীঃ—পরােক্ষ ভােটে মহিলাদের ৩০ টি সংরক্ষিত আসনের ১৫ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় রিনিউ-এর ব্যবস্থার জন্য ২৩ জুন ১৯৯০ সংবিধানের দশম সংশােধনী করা হয়।
১১।একাদশ সংশােধনীঃ-১০ আগস্ট ১৯৯১ সংবিধানের এগারতম সংশোধনী করা হয়। এই সংশােধনীর মাধ্যমে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে প্রধান বিচারপতির নিয়ােগ এবং অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন সত্ত্বেও পুনরায় প্রধান বিচারপতি প্রত্যাবর্তন বৈধকরণ করা হয়।
১২। দ্বাদশ সংশােধনীঃ-১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯১ সংবিধানের বারতম সংশােধনী আনয়ন করা হয়। এই সংশােধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠিত করা হয়।
১৩।এয়ােদশ সংশােধনীঃ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৯৯৬ সালের ২৮ মার্চ সংবিধানের তেরতম সংশােধনী আনয়ন করা হয়।
১৪।চতুর্দশ সংশােধনীঃ-মহিলা সাংসদদের সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪৫ এ উন্নীতকরণ, বিচারপতিদের অবসরগ্রহণের বয়সসীমা বৃদ্ধিকরণ ইত্যাদি কারণে ২০০৪ সালের ১৬ মে সংবিধানের চৌদ্দতম সংশােধনী আনয়ন করা হয়।
১৫।পঞ্চদশ সংশােধনীঃ-নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধান থেকে বিলুপ্তকরণ, মহিলা সংসদ সদস্যদের সংরক্ষিত আসনের সংখ্যা ৪৫ থেকে ৫০ এ উন্নীতকরণ ইত্যাদি কারণে ৩০ জুন ২০১১ সংবিধানের পনেরতম সংশােধনী প্রণয়ন করা হয়।
১৬।ষোড়শ সংশোধনীঃ-বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা বিষয়ক।পাশ হয় ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বের।এই সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের দফা ২,৩,৪,৫,৬,৭ ও ৮ বাতিল করে এর পরিবর্তেে নূতন দফা ২,৩,৪ প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে।
১৭। সপ্তদশ সংশোধনীঃ-জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ আরো ২৫ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে,
পাশ হয় ৮ ই জুলাই ২০১৮ সালে।

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com