গল্পটা ভালোবাসার । গোলাম মোস্তফা
রাত সাড়ে দশটা খোলা আকাশ চাঁদের আলোতে একলা একলা হাটছে আবির,,হঠাৎ একটা মেয়ে এসে বললো
ভাইয়া এখানে দেহ বিক্রির হোটেলটা কোথাই একটু বলে দিবেন?কথাটা শুনে বেশ অবাক হয়ে মেয়েটির দিকে তাকালো আবির।মেয়েটির শরীরে রয়েছে সুন্নাতি বোরখা আর মুখে হিজাব পড়াতে চেহারাটা নুরের ন্যায় চমকাচ্ছে।এমন একটা মেয়ের মুখে হটাৎ দেহ ব্যবসার কথা শুনে আবিরের একদম বিশ্বাস হচ্ছিলো না।খেয়াল করলো মেয়েটির চোখে জল।তারমানে মেয়েটি একটু আগে অনেক কান্নাকাটি করেছে।এত সুন্দর একটা মেয়ের চোখে মুখে ভয়ের চিহ্নটা আবিরের মনটাকে মোমের মতো গলিয়ে ফেললো।আবির বুঝতে লাগলো মেয়েটিকে এখন শান্ত করতে হবে তারপর তাকে সবকিছু বোঝাতে হবে।
আপনি সঠিক জাইগাতেই এসেছেন তবে সেখানে যেতে হলে আপনাকে কিছু শর্ত মানতে হবে।
হ্যাঁ ভাইয়া আমি শর্ত মানতে রাজি আছি।বলুন কি করতে হবে আমাকে?
তোমার নাম কি?
ভাইয়া আমার নাম নীলিমা।
শুনো নীলিমা এখানে হঠাৎ করে গেলে তোমার মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।জানোইতো এখানে যারা আসে তারা একটু বেশিই শক্তিশালী।তাই তোমাকে ট্রেনিংপ্রাপ্ত হতে হবে।কথাটা শোনার পর নীলিমা নামক মেয়েটা তার পাশে বসেই কাদতে শুরু করলো।আবির বুঝতে পেরেছে মেয়েটির শরীর একদম পবিত্র।একে শুধু একটু যাচাই করে নিতে হবে।কিন্তু একে দেখে মনে হচ্ছে,,কথার দ্বারা বোঝানো সম্ভব না তাই বুদ্ধি দিয়ে বোঝাতে হবে।নীলিমার পাশে গিয়ে আবির নীলিমাকে বললো,,
যারা নতুন কাজ করতে চায় তারাও সেখানে যেতে পারে শুধু তাকে একটা আবেদন পত্র জমা দিতে হয়।কথাটা শুনে মুখ তুলে নীলিমা আবিরের চোখের দিকে তাকালো,,
ভাইয়া সেই আবেদন পত্র কোথাই পাওয়া যাবে?
আমিও তোমাকে সেই পত্র দিতে পারবো কারন সেখানে আমার নিয়মিত যাওয়া আসা আছে।
ভাইয়া সেই পত্র আমাকে এনে দিতে পারবেন?তাহলে আপনি যা চান আমি তাই আপনাকে দিবো।
হ্যাঁ তবে প্রথমত আমার সাথে তোমাকে কয়েকদিন থাকতে হবে।
কারন সেই ট্রেনিং আমি নিজেই দিই কথাটা শুনে নীলিমা বেশ ঘাবড়ে গেলো।
এই ছেলে ট্রেনিং দেই তাহলে ইনিতো বেশ খারাপ বদজাত ছেলে।
কিন্তু তার যেভাবেই হোক না কেন তাকে পতিতালয়ে যেতেই হবে।
সমস্যা নাই আমি আপনার সাথে রাত কাটাতে রাজি আছি শুধু আপনি আমার আবেদন পত্রটা এনে দিন।
ওই যে পাশে একটা হোটেল দেখা যাচ্ছে।সেখান গিয়ে আমার কথা বলুন তাহলে আপনাকে ওরা নিয়ে যাবে।কথা বলে আবির নীলিমাকে সেখানে যাবার জন্য পাঠিয়ে দিলো।যাবার সময় নীলিমা বললো,,
ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ তবে আপনার নামটা বলেন নি এখনো?
আমার নাম আবির আর আমিই আপনার পতিতালয়ে পাঠানোর দায়িত্বে আছি।
কথাটা শেষ করে নীলিমাকে হোটেলে পাঠিয়ে দিলো আবির।
পাশের দোকান থেকে একটা বিয়ার নিয়ে বসে হাসতে লাগলো।
তার জীবনে সে এই প্রথম কোনো মেয়েকে দেহ বিক্রির জন্য এতো উওেজিত দেখছে।
নীলিমাকে দেখে সে বুঝতে পেরেছে নীলিমা এসব নিজ থেকে করছে না।
নিশ্চয় এর পিছনে কোনো কারন রয়েছে।
এতসুন্দর একটা মেয়ে স ইচ্ছাই তার দেহ বিক্রি করছে অথচো সে নিজেই জানেনা।
পতিতালয় থেকে মেয়েরা সবসময় পালানোর চেষ্টা করে।
নীলিমাকে প্রথম দেখাতেই তার ভালো লেগেছে।
এখন তার একটাই উদ্দেশ্য সেটি হলো নীলিমার মুখ থেকে পুরো ঘটনাটা শোনা।
এদিকে নীলিমা হোটেলে ঢুকছে আর ভাবছে পরপুরুষে সাথে এটাই তার প্রথম মিলন শুরু।
হোটেলের লোকজন দেখে সে ভয় পেতে থাকলো।
আবির নামের ছেলেটি তার সাথে কিভাবে কি করবে এটা ভাবতেই নীলিমার বুক ধরফর করে কাপছে।
সে শুনেছে তাদের শরীরের বিনিময়ে টাকা দেওয়া হয়।
তাহলে আবির কি তাকে টাকা দিয়ে কিনে নিবে?
ম্যানেজার এসে তাকে এক কোনাই বসতে বললো।
নীলিমা ভাবলো হইতো এই হোটেলের ছেলেদের দিয়ে তার ট্রেনিং দেওয়া হবে।
.চলুন এদের বিষয়ে কিছু জেনে নেওয়া যাক.,
আবির হলো এই শহরের সবচেয়ে ধনবান আর ক্ষমতাশালি পরিবারের ছেলে।
দেখতে যেমন সুন্দর ঠিক হাতের কাজগুলোও তেমনি।
শহর থেকে কিভাবে অন্যায় কাজ বন্ধ করা যাই এটাই তার সবসময়ের ভাবনা।
তবে সে বাজে ছেলেপেলের কাছে মাস্তান আর ভালোদের কাছে তার মতো ভালো পোলা
একটাও খুজে পাওয়া যাবে না।
দোকান থেকে আবির কয়েকটা কলা আর বিস্কুট কিনে পাশের ফুটপাতে গিয়ে
একটা অসহায়ের পাশে খাবারগুলো রেখে হোটেলের দিকে রওনা দিলো।
তার চোখে কারো কষ্ট একদম সহ্য হয়না।
ওদিকে হোটেলের এক কোনে নীলিমা চুপচাপ বসে রয়েছে।
তার চারপাশে কয়েকটা বাজে ছেলেরা তার প্রতি উকি দিচ্ছে যার কারনে ভয়ে সে শেষ প্রান্তে বসে রয়েছে।
তার একটাই চিন্তা তার সাথে খারাপ আচরন করার যেন সেটা ভিডিও না করা হয়।
আবিরকে তো দেখতে বেশ ভদ্র ছেলের মতোই দেখাচ্ছে।
কিন্তু সে যে মেয়েদের পতিতালয়ে পাঠানোর ট্রেনিং দেই এটা নীলিমার জানা ছিলোনা।
নীলিমা আমি একটু আগেই বসের সাথে কথা বলেছি।
সে বললো, সুন্দরী মেয়েরা নাকি টাকা বেশি পেলেই সেই ছেলের সাথে পালিয়ে যায়।
তাই সুন্দরী মেয়ে নিতে হলে সবকিছু খুলে তাদেরকে বোঝাতে হবে।
কিন্তু ভাইয়া এতো মানুষের সামনে কিভাবে জামা কাপড় খুলবো?(মাথা নিচু করে).
চলবে
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com