বাদাম বিক্রেতা রতনের আদর্শ
অবশেষে আমি রতনের কাছে বেইজ্জতী হলাম,
– শিক্ষাও পেলাম
ছবির মানুষটিকে আপনারা অনেকেই চেনেন। নাম রতন। স্টেডিয়াম এলাকায় বাদাম বিক্রি করে।
চলাফেরা ও কথাবার্তা শুনলে কিছুটা প্রতিবন্ধী মনে হবে।
বর্তমানে করোনাকালে খেলাধুলা বন্ধ থাকায় অনেকদিন তার দেখা পাইনি।
গতকাল বিকেলে নাটোর কেন্দ্রীয় মসজিদের বিপরিতে বন্ধু মাহিনকে নিয়ে গল্প করছিলাম।
রাস্তায় রতনকে যেতে দেখে ডাক দিলাম।
দেখলাম শুস্ক মুখে সামান্য কিছু বাদাম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কাছে ডাকতেই হাসিমুখে জানালো, বাজার খারাপ, পুজি নাই, কিন্তু যেহালে থাকি সেহালেই ভালো আছি।
এবার মুল কথায় আসি
আমি তার কাছে ১০০ গ্রাম বাদাম নিলাম। ইচ্ছে করেই ১০০ টাকার নোট দিলাম। রতন বললো, বিক্রির অবস্থা খারাপ, ভাংতি নাই। বললাম, বাকীটা তুমি রেখে দাও। মুহর্তেই তার মুখে পরিবর্তন দেখলাম। দৃড়কন্ঠে বললো। আমি এভাবে টাকা নেই না। বিশ টাকাই দেন।
আমি বিশ টাকার নোট এগিয়ে দিলাম। তার ঢাকিতে থাকা অল্প বিস্তর সব বাদাম কেনার ইচ্ছে হলো,-কিন্তু তাকে একথা বলার সাহসই পেলাম না।
হতভম্ব হয়ে বসে রইলাম। কি বলবো ভেবে পেলাম না। ততক্ষণে রতন মিশে গেছে অন্য মানুষের ভীড়ে।
বলতে ইচ্ছে করছিলো- আর জন্মে আমি যেন রতন হই- আর রতন যেন আমি হয়।
সেটাও বলতে পারলাম না। তার ব্যক্তিত্বের কাছে অবশেষে হার মানলাম আমি।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com