Breaking News

শূন্যতা | পর্ব -১৭ | লেখকঃসৈকত

আমার কথা শুনে রায়ান ভাইয়া কিছু না বুঝে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো।
তারপর আমি উনাকে দিশার ব্যপারে সবকিছু খুলে বললাম।
তিয়াস কাউকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছিলো এটা শুনে রায়ান ভাইয়া রীতিমতো হতবাক।
তারপর আমি দিশার ফোন নাম্বারটাও নিয়ে নিলাম আর উনার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে বাসায় চলে আসলাম।
রাতের দিকে আমি দিশাকে ফোন করলাম। ফোন রিসিভ করতেই আমি আগে আগে বললাম,
___ দিশা আমি প্রীলিয়া, ওই যে একদিন দেখা করতে এসেছিলে।
___জ্বী আপু। চিনতে পেরেছি, কিন্তু আপনি আমার নাম্বার পেলেন কোথায়? আপনার সাথে দেখা হওয়ার সময় আমি আমার ফোন নাম্বার দিয়েছি বলে মনে করতে পারছিনা।
___দিশা আজ সকালের দিকে একজন ভদ্রলোক তোমার থেকে একজনের খবরাখবর জানতে ফোন নাম্বার আর আইডি একাউন্ট এনেছিল মনে আছে?
দিশা কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে বললো,
___ ওহ হ্যাঁ হ্যাঁ উনি তো আমার চাচি মানে লায়লা আফরোজের বিষয়ে কিছু জানতে এসেছেন, কিন্তু সময় ছিল না বলে পরে জেনে নিতে আমার থেকে যোগাযোগের মাধ্যম সংগ্রহ করেছেন।
আমি গলা ঝেড়ে আস্তে আস্তে বললাম,
___আচ্ছা উনি কোথায় এখন?
তারপর দিশা যা বললো তা আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। স্তব্ধ হয়ে শুনেই যাচ্ছিলাম। তারপর লাইনটা কখন কাটলাম সেটাই টের পাইনি, তবে আমার হাত পা যে কাঁপছে সেটা স্পষ্ট টের পাচ্ছিলাম।
পরেরদিন রায়ান ভাইয়াকেও বিষয়টা জানালাম। তারপর সিদ্ধান্ত নিলাম সামনে শুক্রবার তিয়াসকে নিয়ে আমরা ওখানে যাবো।
তিয়াসকে যাওয়ার কথা বলার পরে সে কোনো মানা করেনি। কিন্তু সে বুঝতে পারছেনা তাকে কোথায়, কেন আর কিসের জন্য নেওয়া হচ্ছে।
আমরা গাড়ী নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নামলাম। তিয়াস এখান থেকে নেমে চারপাশে তাকিয়ে ভেজা চোখে আমাকে লক্ষ্য করে বললো,
___প্রীলি তুমি আমাকে শাস্তি দিতে চাও? আইনের হাতে তুলে দিতে চাও? তাহলে আমাকে সেখান থেকেই একবার বলতে পারতে, আমি মা’কে বলে আসতাম। সত্যি বলছি আমি পালাতাম না। কিন্তু তুমি..
আমি ধমকের সুরে বললাম,
___চুপ করে ভেতরে আসো। যা ভাবছো তার কিছুই না।
রায়ান ভাইয়া সামনে সামনে যাচ্ছে আর আমি তিয়াস পেছনে পেছনে ভেতরে যাচ্ছি।
ভেতরে গিয়ে তিয়াসের সামনেই রায়ান ভাইয়া সেখানকার ডিউটিরত অফিসারকে নিজের পরিচয় দিলেন এবং বললেন,
___ আমরা লায়লা আফরোজের সাথে দেখা করতে চাই, আপনি সেটার অনুমোদন দিতে পারবেন?
রায়ানের কথার প্রতিত্তোরে সেই অফিসার ফাইল ঘেঁটে বললেন,
___সরি স্যার,আমরা এই অনুমতি ইতোমধ্যে দিতে
পারবোনা। এই কেসের তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। উনার সাথে কাউকে সাক্ষাৎ করার অনুমতি দেওয়ার আদেশ আমার উপর নেই। কারণ উনি কোনো সাধারণ অপরাধী নন।
রায়ান ভাইয়া মাথা নেড়ে কাকে যেন ফোন লাগালেন, আর এক মিনিটে পরে সেই অফিসারের নাম্বারে ফোন আসলো আর তিনি সাথে সাথে বললেন,
চলবে..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com