Breaking News

তুমিময় নেশা । পর্ব - ৪ এবং ৫

সালিফ মিহির কে বললো,
“গাড়িতে উঠো!”
“মানে?”
“কানের ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাবো চলো।”
মিহি দাঁড়িয়ে আছে। মুখে কোনো কথা নেই।
“কি হলো নিজে উঠবে নাকি আমি কোলে করে উঠিয়ে দিতে হবে?”
“না… আমাকে কোথায় নিয়ে যাবেন?”
“বাসায়!”
“কার?”
“তোমার হবু জামাইয়ের!”
“কিহ!”
“একদম চুপ। উঠতে বলছি উঠো কোনো কথা নয়!”
“কিন্তু আমি ফুপি কে না জানিয়ে এখানে এসেছি! পরে উনি কি ভাববে?”
“এখানে আসার সময় এটা ভাবো নি যে, না বলে এসেছো আমি কি ভেবেছি?”
“আমি.. কেন..?”
“হ্যাঁ ঠিক সেটা তখন তো আসার সময় আমার কথা ভাবো নি তাহলে আমি কেন এখন তোমার কথা ভাববো!
ভালোয় ভালোয় উঠো নাহলে!”
সালিফের রাগ দেখে মিহি ভয়ে চুপসে যায়। গাড়িতে উঠে বসে। রাগে তার ভেতরে ফেটে যাচ্ছে। সালিফ সেই এক রিয়েকশন মুখে ফুটিয়ে রেখেছে। মিহি এদিক টার কথা ভেবে ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কান্না শুরু করে দিলো।
সালিফ বেচারা পড়ে গেছে মহা বিপদে। হঠাৎ করেই গাড়ি ব্রেক করাতে মিহি কিছু টা ঝুঁকে সালিফের দিকে এসে পড়ে। নিজে দ্রুত সামলে নিয়ে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে থাকে।
সালিফ টিসু পেপার হাতে নিয়ে একটা মিহির দিকে এগিয়ে দেয়, মিহি চোখের পানি মুছে ঝুড়িতে রাখে এভাবে করে পুরো টিসু পেপার শেষ। সালিফ এবার বললো,
“টিসু পেপার শেষ! হয়েছে এখন শান্তি? নাকি আরো বাকি আছে?”
“আরো বাকি আছে!”
“আচ্ছা কাঁদো খেয়াল রেখো গাড়ি টা যেনো পানিতে না ভেসে যায়। বাপরে বাপ কি মেয়েরে তুমি? গোটা একটা ঝর্ণা ই পেটে ঢুকিয়ে বসে আছো দেখছি!”
মিহি নাক ফুলিয়ে বসে আছে! সালিফ আবার ড্রাইভিং শুরু করে। মিহি চুপ করে বাহিরের দিকে তাকিয়ে আছে দেখে সালিফ গাড়ির গ্লাস তুলে দিলো। নাক ফুলিয়ে দাঁতে দাঁত খিচে একবার সালিফের দিকে তাকালো মিহি। সালিফ যেনো তাকে পাত্তা ই দিলো না এমন একটা ভাব।
একটা শপিংমলের দিকে এসে থামে সালিফ। তারপর সে গাড়ি থেকে নেমে মিহির কাছে এসে বললো,
“নামো!”
“এখানে কেন এসেছি?”
“তোমার প্রশ্নের গো ডাউন তোমার কাছেই রাখো আমাকে দেখানোর কোনোই প্রয়োজন নেই। নামো এক্ষুনি!”
“নামবো না!”
“সিউর?”
“হ্যাঁ পাক্কা!”
সালিফ হুট করে মিহি কে কোলে তুলে নেয়। মিহি ভ্যাবলাকান্তের মতো থ হয়ে আছে। চিল্লিয়ে বলে উঠলো,
“আমাকে নামান বলছি…!”
“বেশি নাড়াচাড়া করলে নিচে ফেলে দিবো!”
মিহি অসহায় দৃষ্টিতে সালিফের দিকে তাকিয়ে আছে। আশে পাশের লোকজন চোখ বড় বড় করে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। মিহি লজ্জায় সালিফ বুকে মুখ গুঁজে আছে। সালিফ মুখ টিপে টিপে হাসছে। অদ্ভুত এক অনুভূতি দোলা দিয়ে যাচ্ছে সালিফের মনে। এই প্রথম কোনো ছেলে মিহি কে টাচ্ করেছে দেখে তার ও কেমন যেনো লাগছে। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছে আশেপাশে মানুষ জন কি ভাবছে এই ভেবে। সালিফ কিছুক্ষণ পর শপিংমলের ভেতরে ঢুকে মিহি কে নামিয়ে দেয়।
একটা সুন্দর গোল্ডেন কালারে স্টোন বসানো গাউন মিহির হাতে দিয়ে বললো,
“যাও চেঞ্জ করে আসো!”
“এসবের মানে কি?”
সালিফ মিহির কানের কাছে মুখ নিয়ে এসে ফিসফিস করে বললো,
“তুমি যাবে নাকি আমি কিছু করবো? ভেবে দেখো পরে কিন্তু তোমার ই ক্ষতি! আমার লজ্জা শরম নেই আগেই বলে দিলাম!”
মিহি ভয়ে ঢোক গিয়ে তাড়াতাড়ি চেঞ্জিং রুমে ঢুকে যায়। মনে মনে সালিফের চোদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করতে থাকে। এদিকে সালিফ মিহির কান্ড দেখে হাসছে।
অন্ধকার রুমে বসে আছে নাতাশা। ঘুমিয়ে ছিলো মনে হচ্ছে এতক্ষন। মাথাটা কেমন ভার ভার লাগছে। সালিফের সেই কথা গুলো মনে পড়তে দ্রুত উঠার চেষ্টা করে নাতাশা। কারণ সে ফেঁসে গেলে সব শেষ হয়ে যাবে। উঠে দৌড় দিতে নিবে হঠাৎ করেই পায়ে কিছু একটার সাথে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যায়। কি ছিলো এটা? হাতড়ে হাতড়ে পায়ের কাছে দেখলো পা বাঁধা। তার মানে বেঁধে রেখেছে সালিফ তাকে! ক্ষিপ্ত বাঘিনী হয়ে যায় নাতাশা….
“কাজ টা তুমি ঠিক করে না সালিফ! এর ফলে তোমাকে চোকাতে হবে! আমার পাকা ধানে মই তো তোমাকে আমি কিছুতেই দিতে দিবো না। কিছুতেই না!”(চিল্লিয়ে কথা গুলো বললো সে!)
কোনো সাড়া শব্দ নেই। নাতাশা কোথায় আছে তাও বুঝতে পারছে না। রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে। পারছে না সালিফ কে এক্ষুনি গলা টিপে মেরে ফেলবে! কিন্তু তার কাছে এখন কোনো অস্ত্র ই অবশিষ্ট নেই! তাই বসে থাকা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবে না নাতাশা।
সালিফের ফোন করেছে দেখে ইহান ফোন টা রিসিভ করে বলতে শুরু করে,
“কিরে ভাই কই তুই?”
“আছি এইতো! ওইদিকের সব ঠিকঠাক তো?”
“হ্যাঁ ঠিকঠাক!”
“গুড!”
“সালিফ তোকে নাতাশার ব্যাপারে বলতে চাচ্ছিলাম!”
“বল!”
“কি করবো ওকে? খাবার দিবো?”
“হ্যাঁ অবশ্যই। অমানুষের মতো কাজ করার প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া এটা নাতাশা নয় অন্য কেউ!”
“কিহ! ভাই তুই কি বলিস মাথা খারাপ?”
“আমি ঠিক ই বলছি! ইহান আর ফারদিন দুইজন ই যাবি! ছুটতে যাতে না পারে। ওর মুখোশ টা সবার সামনে এবং আজ রাতেই খুলবো!”
“কিন্তু তুই কোথায়?”
“আছি এক জায়গায়! আচ্ছা এখন রাখছি বায়!”
সালিফ ফোন কেটে দিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে নেয়। হিরো স্টাইলে দাঁড়িয়ে আছে সে। আনমনে কিছু ভাবছিলো সামনে মিহি কে আসতে দেখে shocked হয়ে যায়। গাইন টা একদম মানিয়েছে তাকে! অসম্ভব সুন্দর লাগছে। মিহি সালিফ কে তাকিয়ে থাকতে দেখে ভেঙ্গচি মেরে আরেক দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। সালিফ মিহির কাছে এসে বললো,
“চলো! কোনো প্রশ্ন করবা না!”
মিহি লক্ষী মেয়ের মতো সালিফের পিছন পিছন হাটছে। সব ই ঠিক আছে কথা হলো ঠিকমতো হাটতে পারছে না। মনে হচ্ছে এখনি উষ্ঠা খেয়ে নাক মুখ ফাটিয়ে ফেলবে! সালিফ কিছুদূর এগিয়ে যায়। আবার পেছন ফিরে দেখে মিহি পেছনে রয়ে গেছে। দাঁড়িয়ে আছে সে! সালিফ খেয়াল করলো পাশেই কতেক টা ছেলে মিহির দিকে হা করে তাকিয়ে আছে! জীবনে কখনো মেয়ে দেখে নি নাকি আজিব? সালিফের রাগ হয়। রেগে মিহির কাছে এসে বললো,
“দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবাই কে দেখাচ্ছো যে তুমি খুব সুন্দরী?”
“আরে…”
সালিফ মিহির দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়।
আচমকা মিহি কে কোলে তুলে নেয়। সালিফ ছেলে গুলোর দিকে তাকিয়ে দেখলো বেচারিদের চেহারার মানচিত্র বদলে গেছে। সালিফ মিহি কে নিয়ে গাড়িতে বসিয়ে দেয়। গাড়ি আপন গতিতে চলতে থাকে। মস্ত বড় একটা রেস্টুরেন্টের সামনে এসে দাঁড়ায় তারা। ঠিক রেস্টুরেন্ট ও নয়!
মিহি হাটতে পারবে না তাই সালিফ মিহি কে নিয়ে সোজা উপরের তলায় চলে যায়। বড় সড় একটা রুম। চারদিকে অনেক কাপল। সবাই এখন হা হয়ে সালিফ আর মিহির দিকে তাকিয়ে আছে। কেউ কেউ ফিসফিস করে বলছে….
“ওয়ায় নাইস কাপল!”
সালিফ মুচকি হাসে। মিহি অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। আগে কখনো এমন হয় নি তার সাথে। সাউন্ড বক্সে জোড়ে গান অন করে দেয়! সালিফ মিহির দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়!
“তুমি আমার সাথে ডান্স করবে প্লিজ?”
চারদিকে সবাই উৎসুক প্রবন হয়ে তাকিয়ে আছে মিহি কি বলবে তা শুনার জন্য। এখানে কোনো অসম্মানি হোক মিনি চায় না। বা কেউ কটু কথা বলুক তাও না। তাই সে সালিফের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়! সালিফ এক গাল হাসে!
কাপল ডান্স করছে সবাই। সালিফ এক হাত মিহির কোমরে আরেক হাত মিহির হাতে। মিহি চোখ বন্ধ করে নেয়। পরমুহূর্তেই আবার নিজেকে সামলে নেয়। ভালোই ডান্স পারে দুজন। গান প্রায় শেষের দিকে সালিফ কোথাও একটা চলে যায়। মিহির এই মুহূর্তে নিজেকে খুব অসহায় লাগছে! কান্না পাচ্ছে। এতোগুলো লোকের সামনে সে একা! ভয় করছে ভীষণ! উল্টা পাল্টা চিন্তা মাথায় খুরপাক খাচ্ছে! সালিফ এতো খারাপ তাকে একা ছেড়ে চলে গেলো!
“কোথায় আপনি সালিফ!”[মনে মনে
নিচের দিকে তাকাতেই shocked মিহি। সালিফ গোলাপ ফুল হাতে হাটু গেড়ে তার সামনে বসে আছে! সবার নজর তাদের দিকে। মিহি কি করবে ঠিক বুঝতে পারছে না! এমনিতেই একলা ছেড়ে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে সেজন্য রাগ লাগছে তার উপর এখন এসব কি! একদমি ভালো লাগছে না মিহির। কিন্তু এখন এমন একটা পরিবেশ রুড বিহেব করলে সবার কাছে ছোট হয়ে যাবে সে ও। ইতিমধ্যে সবাই কানাঘুষা করছে! কেউ কেউ বলছে,
“ইশ দেখেছিস ছেলেটা কি কিউট? মেয়েটা নিচ্ছে না কেন? আমি হলে তো কবেই নিয়ে নিতাম!”
“আর আমি হলে তো খুশি তে হার্ট অ্যাটাক করতাম!”
মনে মনে রাগ হয় মিহির। মুখে জোড় পূর্বক হাসির রেখা ফুটিয়ে তুলে সালিফের হাতে থেকে ফুল টা নেয় মিহি। সালিফের মুখে সেই এক হাসি!
সবাই তালি বাজিয়ে উঠে। সালিফ মিহির মাথায় একটা মুকুট লাগিয়ে দেয়। জম্পেশ মানিয়েছে সেটা মিহি কে! সাক্ষাৎ রানীর মতো লাগছে!
পেটে ইঁদুর দৌড়াচ্ছে। এদিকে সালিফ কে কিছু বলতে ও পারছে না কেমন যেনো লজ্জা লাগছে! ক্ষুধা পেলে না খেয়ে থাকতে পারে না মিহি। তাই না পারতে বলে উঠলো,
“শুনছেন?”
“হুম বলো!”
“আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে!”
মিহি নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। সালিফ কি মনে হাসলো। মিহি খাচ্ছে আর সালিফ তার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মিহি হঠাৎ চোখাচোখি হতে ব্যাপার টা লক্ষ্য করে। নাকে মুখে পানি উঠে যায় তার। সালিফ হকচকিয়ে উঠে মিহির দিকে পানি ভর্তি একটি গ্লাস এগিয়ে দিয়ে বললো,
“আরে বাবা আস্তে খাবে তো নাকি! রাক্ষুসীর মতো খেতে হবে নাকি?”
মিহি সালিফের কথা শুনে রেগে যায়। পানি খেয়ে রেগে সালিফ কে বললো,
“কি বললেন আমি রাক্ষুসী?”
“হ্যাঁ কেন ভুল বলেছি নাকি?”
“[আজ খুব ক্ষুধা পেয়েছে বলে আপনাকে কিছু বললাম না। এর শোধ আমি তুলবোই খালি আমার সময় আর সুযোগ টা আসুক]মনে মনে!”
“কি বিড়বিড় করছো?”
“নাহ মানে কিছু না!”
“তাহলে মেনেই নিয়েছো যে তুমি রাক্ষুসী রানী!”
“হুম”
সালিফ হো হো করে হেসে উঠলো। মিহি খুব কষ্টে নিজেকে সামলে রেখেছে। এতো রাগ লাগছে ইচ্ছা করছে সালিফের মাথা ফাটিয়ে দিতে। কিন্তু নাহ সেটা তো আর সম্ভব নয়! তাই সব রাগ মনেই পুষে রাখলে মিহি!
হঠাৎ করেই দরজা খোলার শব্দ কানে আসে নাতাশার। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে সে। এবং সফল ও হয়। ইহান আর ফারদিন কে দেখে বললো,
“তোরা এখানে?”
“নে তোর জন্য খাবার!”
“খাবো না!”
নাতাশার হাতে দিতে নাতাশা সব আছাড় মেরে নিচে ফেলে দেয়। রাগ মাথায় উঠে আছে। কিছুতেই কমাতে পারছে না। ইহান আর ফারদিন বললো,
“নিজের রাগ খাবারের উপর দেখাচ্ছিস কেন?”
“খেয়ে নিস!”
“আমার কথা এতো ভাবলে শিকল খুলে দে!”
“আসলে আমরা খুবই দুঃখিত রে। সালিফের রাগ সম্পর্কে তো জানিস ই পরে আমাদের অবস্থা টাইট করে দেবে!”
“সালিফ সালিফ আর সালিফ! কি সমস্যা ওর!”[চেঁচিয়ে উঠলো!]
“কি সমস্যা নিজেই বুঝতে পারবি আমরা জানিনা!”
ইহান আর ফারদিন চলে যেতে নেয় নাতাশা পেছন থেকে চেঁচিয়ে বললো,
“আমার বাঁধন খুলে দে নয়তো খারাপ হবে বলে দিচ্ছি!”
ইহান আর ফারদিন তাকে পাত্তা দিলো না। লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে নাতাশা কে। খুব ই ভয়ংকর এই মেয়ে! তাই এই ব্যবস্থা!
মিহি তার ফোন টা হাতে নিয়ে দেখলো অনেক গুলো মিসড কল। তার ফুপি ই ফোন দিয়েছে তাকে। মিহি সালিফের দিকে অসহায় ভাবে তাকিয়ে আছে দেখে সালিফ বললো,
“কি হয়েছে?”
মিহি কোনো কথা বলছে না চুপ করে আছে। সালিফ মিহির হাত থেকে ফোন টা নিয়ে দেখলো অনেক গুলো কল এসেছে। সালিফ মিহির হাতে ফোন ধরিয়ে দিয়ে বললো,
“কল ব্যাক করো আর বলো যে তুমি তোমার ফ্রেন্ড রাইসার বাসায় এসেছো”
“কিহ রাইসার বাসা?”
“শোনো আরো বলবা যে রাইসা অসুস্থ এই খবর শুনে হঠাৎ করেই না বলে চলে এসেছো!”
“মিথ্যা কথা কেন বলবো?”
“তাহলে সত্যি টাই বলো! বলবা যে আমার সাথে আছি ওকে?”
মিহি জানে এটা শুনলে তার কপালে দুঃখ আছে। তাই সে কল ব্যাক করে রাইসার কথাই বললো! সালিফ হাসছে! মিহি নাক ফুলিয়ে বসে আছে!
“গাঁধা জল খায় কিন্তু ঘোলা করে!”
“আমি গাঁধা?”
“না গাঁধী!”
“কিইইই….
“বুঝলে বুঝপাতা না বুঝলে তেজপাতা!”
মিহি কে সালিফ রাইসার বাড়ির সামনেই নামিয়ে দেয়।
“এখানে কেন?”
“তো কি তোমার ফুপির বাসায় দিয়ে আসবো?”
“হ্যাঁ!”
“আমার একটু তাড়া আছে। তাছাড়া এই ড্রেস আপে ওখানে গেলে তোমাকে সন্দেহ করবে।
তুমি ড্রেস আপ চেঞ্জ করে বিকেলে চলে যেও!”
আসলেই তো সালিফ সত্যি বলছে। মিহির নিজেকে এবার সত্যিই গাঁধি মনে হলো!
এই বেসে গেলে তো যে কেউ ই সন্দেহ করবে! মিহি চুপ করে আছে। সালিফ বলে উঠলো,
“আর হ্যাঁ কাল থেকে ভার্সিটি তে যাবা এটাই ফাইনাল!”
“যদি না যাই?”
“আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না!”
সালিফ চলে যায়। রাইসা এসেই মিহি কে জড়িয়ে ধরে।
“কেমন আছিস তুই?”
“ভালো তুই?”
“ভালো!”
“আমি না ইচ্ছা করে আসি নি এখানে!”
“সব জানি আমি! তোকে আগে কতোবার বলেছি আমাদের বাসায় আয় এসেছিস? ভালোই হয়েছে সালিফ ভাইয়া তোকে এখানে ড্রপ করে দিয়েছে। চল ভেতরে পরে সব শুনবো!”
“হু!”
রাইসা মিহি কে ভেতরে বাড়ির নিয়ে যায়! অতঃপর…..
চলবে—

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com