Breaking News

সাইবার ক্রাইম | পর্ব- ০৩

সীমা, আমার সামনে উজ্জল ভবিষ্যত আছে,এ কথা বপনাকে কে বললো..? আমার সামনের উজ্জল ভবিষ্যত কিছুক্ষনের মধ্যে নেটে ছড়িয়ে পরবে,যা আমার জীবনে কলংক বয়ে আনবে,তাছাড়া কিছুই না,আর আমার শরীরের ভিডিও নেটে ছড়ানোর আগেই নিজেকে শেষ করে ফেলবো,যাতে আমার বাকিটা জীবনে কালো ছায়া না নেমে আসে,
কথা গুলো বলেই মেয়েটা ছাদ থেকে ঝাপ দেয়,আর নিচে থাকা লোকজনের হুস উড়ে যায়…..!
কিন্তু মেয়েটা ছাদ থেকে পরতে পারে না,তাই আগেই মাহফুজ মেয়েটাকে ধরে ফেলে,
সীমা, মাহফুজকে এলোপাথারী মারতে থাকে,এই তুই আমাকে বাচালি কেন..? আমাকে ছেরে দে বলছি,এই জীবন আমি আর রাখবো না,আমার বেচে থাকার কোনো অধিকার নাই,
মাহফুজ, অনেক কষ্ট করে সীমাকে শান্তো করলাম, এই পাগলি মেয়ে আগে শান্তো হও,আমি তোমাকে কথা দিলাম তোমার সবকিছু টিক করে দিবো,
সীমা, কান্না করে দেয়, আপনি আমার সবকিছু কিভাবে ঠিক করবেন হা..? এতোক্ষনে মনে হয় আমার নগ্ন ভিডিও পর্ণ সাইটে চলে গেছে,ফেসবুক সহ আরো সব জায়গায় চলে গেছে,এখন লোকজন আমাকে দেখবে আর খারাপ নজরে দেখবে, আমি বেচে থাকলেও প্রতি মূহুর্তে মৃত্যুর স্বাদ ভোগ করবো,
মাহফুজ, মেয়েটার কথা শুনে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেললাম, এই মেয়ের নগ্ন শরীরের ভিডিও আবার কে রেকর্ড করে নেট দুনিয়ায় ছেড়ে দিবে,কার এতো বড় সাহস যে সীমার সাথে এরকম করবে..? তার বেচে থাকার কোনো অধিকার নাই।
আচ্ছা সীমা সব কিছু আমাকে খুলে বলো,আমি তোমার জন্য সবকিছু করতে রাজি আছি,
সীমা, কথা বলতে যাবে ঠিক তখনই নিশি এসে সীমাকে জড়িয়ে ধরে,তারপর হঠাৎ করে সীমাকে কষে কয়েকটা থাপ্পড় মেরে দেয়,
সীমা তো কোনো কতা বলছে না,একভাবে নিশির দিকে তাকিয়ে আছে,
নিশি, এই কুত্তা, হারামি তোর এতো বড় সাহস কে দিয়েছে..? তুই নিজের জীবনকে একেবারে তুচ্ছ মনে করিা না..? ওই তোকে ছাড়া আমি কিভাবে বেচে থাকতাম বল..?
সীমা, সরি রে আমি আর এরকম করবো না,সীমা নিশিকে পাশে ঠেলে বসিয়ে দেয়,
মাহফুজ ভাইয়া এইবার আমার সুইসাইড করার পিছনের কারন শুনুন,
আমাদের কলেজের একটা ছেলে,যে এই কলেজের নেতা,ওর নাম তামিম,বড় বড় পার্টির সাথে ওর হাত আছে,বেশ কয়েকটা দিন ধরে আমার পিছনে ছুটেছে,আর প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছে,কিন্তু আমি সরাসরি না করে দিয়েছি,
কিন্তু ভাইয়া ওই তামিম থেমে থাকে নাই,আমাদের প্রায় সময় খারাপ চোখে দেখতো,খারাপ কাজ করার ইঙ্গিত দিতো,এভাবে আস্তে আস্তে তামিমের প্রতি আমার ঘৃনা হয়ে যায়,একদিন অসহ্য হয়ে ওকে চড় মেরে দিই,আর সেটাই আমার জীবনের কাল হয়ে দাড়ায়,আজকে কলেজে আসার পরে তামিম আমার সামনে এসে দাড়ায়,আর ওর ফোনটা বের করে একটা ভিডও প্লে করে,সেটা দেখে আমি তো প্রায় জ্ঞান হারানোর জোগার,কারন সেইটা আমার নগ্ন দেহের ভিডিও ছিলো,আমি যখন মেয়েদের কমন রুমে গিয়ে কাপড় চেঞ্জ করেছিলাম,তখন কেমন করে যেনো তামিম সেটা রেকর্ড করে নেয়,আর আমাকে বলছে ভিডিওটা নেটে ছেড়ে দিবে,
মাহফুজ, সীমার কথা গুলো শুনে মাথায় আগুন উঠে গেলো,এই নিশি এই তামিম টা কে রে..? আমাকে এক্ষুনে দেখা..!
নিশি, মাহফুজের দিকে তাকিয়ে ভয় পেয়ে যায়,কারন মাহফুজের চোখ মুখ রাগে লাল টকটকে হয় গেছে,নিশি ভয়তে ভয়তে বললো,চলো ভাইয়া তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি,
নিশি মাহফুজকে নিয়ে কলেজের ক্যাম্পাসে যায়,কিন্তু তামিমকে কোথায়ও দেখতে পায় না,শুধু তামিমের দলের কয়েকটা ছেলে দাড়িয়ে আছে,নিশি ওদেরকেই দেখিয়ে দেয়, মাহফুজ দৌড়ে গিয়ে একটা ছেলের কলার চেপে ধরে,
মাহফুজ, এই তামিমের চামচা বল তামিম কোথায়..?
ছেলেটা, আরে তুই কে..? আর আমাকে এভাবে ধরলি কেন,তুই কিন্তু জানিস না যে আমি কে,
মাহফুজ, ছেলেটাকে কয়েক তরফা মার বসিয়ে দিলাম,সাথে সাথে নাক ফেটে রক্ত পরতে লাগলো,এই তামিমের চামচা তাড়াতাড়ি বল তামিম কোথায়…? নাহলে এখানেই পুতে রেখে দিবো,
মাহফুজের কথা শুনে বাকিরা মারতেচলে আসে,কিন্তু মাহফুজ সবাইকেই মেরে মাটিয়ে শুইয়ে দেয়,তারপর আবার ছেলেটার কলার ধরে,এই কাহিনী দেখে কলেজের সবাই চারপাশে জড়ো হয়ে গেছে,আর মাহফুজকে সাপোর্ট করছে,
মাহফুজ, এই চামচা তামিম কোথায় তাই বল..!
ছেলেটা, হা হা বলছি বলছি,আমাকে আর মেরো না প্লিজ,একটু আগেই তামিম ওর বাসায় গেছে,কি বলে একটা ভিডিও নেটে আপলোড দিবে,তাই চলে গেছে,
মাহফুজ, ছেলেটার কথা শুনে আরো কয়েক ঘা বসিয়ে দিলাম,জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পরে গেলো,কিন্তু মাথায় তো তামিমের বিষয়টা ঘুরপাক খাচ্ছে,এক্ষুনি ওর ফোনটা হ্যাক করে ভিডিও ডিলিট করতে হবে,তামিমের চামচার থেকে তামিমের ফোন নাম্বার নিলাম, এই নিশি গাড়ি থেকে ল্যাপটপ নিয়ে আয়,
নিশি, দৌড়ে গিয়ে ল্যাপটপ নিয়ে চলে আসে,
মাহফুজ, আর একটুও দেড়ি না করে ল্যাপটপ নিয়ে বসে গেলাম,কারন তামিমের ফোনটাকে হ্যাক করতে হবে,না হলে সীমার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে,সীমার দিকে তাকিয়ে দেখি ভয়ে কুকড়ে আছে,এই পাগলি ভয় পাস না,ওর অবস্থা আমি এক্ষুনি খারাপ করছি,
কিছুক্ষনের মধ্যেই মাহফুজ তামিমের ফোনের আইপি এ্যাড্রেস হ্যাক করে ফেলে,তারপর পুরো ফোনটাকে নিজের কবজায় নিয়ে আসে,সীমা নিজের হাত দিয়ে সেই ভিডিও ডিলিট করে,সীমা একটা শান্তির হাসি দেয় ভিডিওটা ডিলিট করে,মাহফুজ তামিমের আইপির মাধ্যমে ওর লোকেশনটাও জেনে নেয়,তারপর নিশি আর সীমাকে নিয়ে সেখানে চলে যায়,
মাহফুজের মাথায় আগুন জ্বলছে,তাই খুব দ্রুত তামিমের বাসায় চলে যায়,সেখানেও কিছু ছেলের সাথে এক তরফা মারামারি করতে হয়,এসব দেখে আশেপাশের লোকজন চলে এসেছে,কিন্তু কেউ কোনো কথা বলছে না,মাহফুজ সবাইকে মেরে তামিমের ঘরে চলে যায়,
মাহফুজ, তামিমের ঘরে যেতেই দেখি ফোন নিয়ে ঘাটাঘাটি করছে,মুচকি একটা হাসি দিলাম,কিরে তামিম তোর ফোনে কাজ করছে না..? সরি রে,,
আসলে তোর ফোনটা আমার দখলে,তাই তোকে বলতে আসলাম,আর হা ওই ভিডিওটা ডিলিট করে দিয়েছি,এখন আর সীমা মেয়েটার ক্ষতি করতে পারবি না?
তামিম, ওই কুত্তার বাচ্চা তোর এতো বড় সাহস,
তুই আমার ঘরে এসে আমার কাছে পাল্টি কথা বলছিস..?
তোকে আজকে এখানেই জ্যান্ত কবর দিবো,
তামিম একটা ছুরি নিয়ে চলে আসে,
মাহফুজের কাছে আসতেই কিছু বুঝে উঠার আগেই মাটিতে পরে যায়,
মাহফুজ, কিরে আরো মার খাবি নাকি..?
বলেই আরো মারলাম,তারপর চুল ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসলাম,
সামনে থাকা লোকজনের সামনে ফেলে দিলাম,
এলাকার সবাই মাহফুজের এই কাজ দেখে হাতে তালি দিয়ে উঠলো,
মাহফুজ এটা দেখে অনেক অবাক হয়ে যায়,
হঠাৎ একজন মহিলা এগিয়ে আসে,তারপর মাহফুজের মুখে মায়ের স্নেহ ঢেলে দেয়,
মহিলা, জানো বাবা তোমার আজকের এই কাজে আমরা খুব খুশি হয়েছি,
এই শশতান আমার মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলো,
কিন্তু মেয়েটা গ্রহন না করায় নগ্ন ভিডিও নিয়ে নেটে ছেড়ে দেয়,
যার কারনে আমার মেয়েটা আত্মহত্যা করে নেয়,বলেই খুব কান্না করতে থাকে,
মাহফুজ, মহিলাজে শান্ত করে, আন্টি আমি যতোক্ষন এই এলাকায় আছি,
একটা ক্রাইমও হতে দিবো না,আর কোনো মেয়ের নগ্ন ভিডিও পোষ্ট হবে না,সবাই নিশ্চিন্তে থাকুন?
নিশিদের কলেজে নামিয়ে দিয়ে তামিমকে নিয়ে অফিসে চলে গেলাম,
তারপর পুলিশের হাতে দিয়ে দিলাম,
হাসান সাহেব দূর থেকে মাহফুজকে দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন,
কি মাহফুজ হঠাৎ এখন অপিসে চলে আসলে যে..? কোনো সমস্যা হয়েছে কি..?
মাহফুজ, হা স্যার দেশে আজকাল মেয়েদের আত্মহত্যার পরিমান বেড়ে যাচ্ছে,
তার সুক্ষ একটা কারন হলো কিছু মেয়ে বখাটে ছেলেদের প্রেমের প্রস্তাব রিজেক্ট করে দেওয়া,
আর যার পরেই মেয়েরা আত্মহত্যার দিকে ঝুকে যাচ্ছে,
হাসান সাহেব, তোমার কথাটা ঠিক বুঝলাম না,একটু ক্লিয়ার করো তো..?
মাহফুজ, স্যার কিছু বখাটে ছেলে আছে যারা মেয়েদের প্রেমের প্রস্তাব দেয়,
কিন্তু মেয়েগুলো তাদের পাত্তা দেয় না,এক পর্যায়ে ছেলেগুলো মেয়েদের গোপন ভিডিও করে নেটে।
পর্ণ সাইট গুলোতে,সমাজে ছড়িয়ে দেয়,যার কারনে মেয়েরা আত্মহত্যা করছে।
স্যার এগুলো আমাদেরকেই পদক্ষেপ নিয়ে ঠিক করতে হবে,
হাসান সাহেব, ওকে তুমি কাজ করো,আমি তোমার সবদিক থেকেই সাপোর্ট করবো।
মাহফুজ, স্যারের কতা শুনে অনেক খুশি হলাম,
আজকে থেকেই পর্ণ ওয়েব সাইটগুলো হ্যাক করে বিলীন করে দিবো,
যাতে ১৮+ ভিডিওর জন্য করো জীবন নষ্ট না হয়….
চলবে…….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com