অর্ধমানব
আপনার স্ত্রীর পেটে সাপের বাচ্চা। ডাক্তার এর মুখে এমন কথা শুনে খুবই অবাক হয় আমি। নিমিষেই খবরটা পুরো হাসপাতালে ছড়িয়ে পরতে সময় লাগলো না। দলে দলে মানুষ আসতে শুরু করলো আমার স্ত্রীকে দেখতে। আমি তো রীতিমতো অবাক হয়ে গেলাম। কি হচ্ছে এসব? আর এই ডাক্তার এ গুলো কী বলছে? একটা মানুষের পেটে সাপের বাচ্চা কী করে থাকতে পারে? আমি ডাক্তার কে জিজ্ঞেস করলাম কী বলছেন আপনারা এগুলো?
ডাক্তার বললো সেটা তো আমরাও বলি। একটা মানুষের পেটে সাপের বাচ্চা আসবে কোথা থেকে? কিন্তু আমরা সত্যি বলছি। আমি ডাক্তার কে বললাম আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে নিশ্চয়ই। এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমার স্ত্রীর পেটে একটা সাপের বাচ্চা আছে। ডাক্তার যে পরিক্ষা করেছে সেই খানে স্পষ্ট ভাবে প্রমানিত যে এটা মানুষ এর বাচ্চা নয়। ডাক্তার আমাকে সেই প্রমান গুলো এনে দেখালো।
আমি দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছি না। ডাক্তার আমাকে আর বললো আপনার স্ত্রীর পেটে যে সাপের বাচ্চা এটা বললে ভুল হবে। আমরা ভালো করে পরিক্ষা করে জানতে পারলাম এটা সাপের বাচ্চা ও না পুরো মানুষ এর বাচ্চা ও না। এটা হলো একটা অর্ধ মানব। মানে অর্ধেক অংশ হলো তার সাপ আর বাকি অর্ধেক হলো মানুষের মতো। ডাক্তার এর কথা শুনে আমার শরীরে কাটা দিতে শুরু করে দিলো।
আমি ডাক্তার কে বললাম ডাক্তার সাহেব এই ভয়ংকর বাচ্চা টাকে নষ্ট করে দিন। এই জন্য পরে যদি আমার স্ত্রীর কোন ক্ষতি হয়। ডাক্তার বললো ক্ষতি হবে কী না জানি না। তবে এই বাচ্চা টাকে কোন মতেই নষ্ট করা সম্ভব নয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু কেন নষ্ট করা সম্ভব নয়? ডাক্তার বললো আপনার স্ত্রীর সমস্যা হতে পারে। আমি জিজ্ঞেস করলাম সমস্যা হতে পারে মানে? ডাক্তার বললো আপনার স্ত্রীর পেটের বাচ্চার বয়স হলো ৮ মাস। ডেলিভারির মাত্র আর দুই মাস বাকি।
এখন যদি এই বাচ্চা টাকে নষ্ট করতে যায় তাহলে আপনার স্ত্রীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আমার কী করা উচিত আমি বুঝতে পারছি না। কিন্তু মাকে কী বলবো।
মা যদি এসব জানতে পারে তাহলে আমার স্ত্রীকে বাড়ি থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেবে।
মা আরো বলেছে যদি প্রথম সন্তান ছেলে না হয় তাহলে নাকি খবর আছে।
ছেলে সন্তান তো দূরের কথা আমার স্ত্রীর পেটে হলো সাপের বাচ্চা। এই কথা মাকে কী করে বলবো।
ও আপনাদের সাথে তো এখনো পর্যন্ত পরিচয় ই হয়নি।
আপনাদের সাথে পরিচয় হয়েনি। আমি হলাম জুনায়েত।
শহরে ভাল একটা কম্পানিতে চাকরি করি।
আর ডাক্তার যার কথা বললো মানে আমার স্ত্রী ওর নাম হলো নীলা।
আমারা বিয়ে করেছি ২ বছর হলো। পারিবারিক ভাবেই আমাদের বিয়েটা হয়েছিলো।
কাজের জন্য আমাকে বেশির ভাগ সময় শহরে কাটাতে হয়।
সপ্তাহে দু একবার আসা হয় গ্রামে। আমার স্ত্রী নীলা আমার বাবা মা সাথে আমাদের গ্রামেই থাকে।
দু বছর পর নীলা প্রেগনেন্ট হয়েছে। আমি এই খবর শুনে খুবই খুশি হয়েছি।
আজ বাড়িতে এসেই নীলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি পরিক্ষা করার জন্য যে বাচ্চাটা ছেলে না মেয়ে।
আর হাসপাতালে যা সব ঘটে গেলো তাতো আপনারা দেখতেই পেলেন।
ডাক্তার এসে জানালো আমি এখন নীলাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারি।
এতো সব ঘটনার কিছুই নীলা জানে না। ওকে কিছুই জানায়নি ও চিন্তা করবে বলে।
আমি নীলাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসছিলাম।
নীলাকে দেখে সব মানুষ গুলো সরে যাচ্ছিলো।
নীলা আমাকে জিজ্ঞেস করলো সবাই সরে যাচ্ছে কেনো আমাকে দেখে?
আমি বললাম তুমি তো প্রেগনেন্ট তাই সবাই যাওয়ার জন্য জায়গা দিচ্ছে।
আমরা দুজনে বাড়ি ফিরে এলাম। আসতেই মা জিজ্ঞেস করলো জুনায়েত বাচ্চাটা ছেলে না মেয়ে?
আমি কিছু ক্ষন চুপ থেকে বললাম মা বাচ্চাটা ছেলে।
আমার কথা শুনে মা খুবই খুশি হলো আর বললো চলো বৌমা তুমাকে খেতে দেয়।
সেদিন রাতের ঘটনা। নীলা শুয়ে ছিলো। আমি বাইরে গিয়ে ছিলাম।
রুমে ঢুকেই আমি খুব অবাক হলাম। নীলা শাড়ী পরেছিলো।
আমি খেয়াল করলাম নীলার সম্পূর্ণ পেট নীলা বর্ণ ধারন করেছে।
ওর পেট দেখতে কী যে ভয়ানক লাগছিলো কী বলবো আপনাদের।
চলবে..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com