Breaking News

কালো বউ । লেখিকা - তাহমিনা তমা

কোন পাপের শাস্তি এভাবে আল্লাহ দিচ্ছে কে জানে,,?
তোকে যদি জন্মের পর লবণ খাইয়ে মেরে ফেলতাম তাহলে আজ আমাকে এসব দেখতে হতো,,?
এত টাকা পয়সা খরচ করে পড়ালেখা করিয়েছি কিন্তু একটা চাকরি জোগাড় করতে পারলি না,,,,
বয়স ২৭ এর কোঠায় কিন্তু বিয়েও দিতে পারছি না,,,।
দিবোই বা কী করে এমন কয়লার ড্রাম কে নিজের ঘাড়ে নিবে,,? আমরা তো দায় পরে হাতি পোষছি,,,,।
কবে রেহায় দিবি একটু বলবি,,,,
,,,,,,আজ ৪৫ বারের মতো ছেলে পক্ষের কাছে রিজেক্ট হলাম,,,,
তারপর থেকেই মা এসব বলে যাচ্ছে,,, এখন আর চোখেও পানি আসে না,,,
হয়তো শুকিয়ে গেছে,,, এসব শুনে শুনে এখন আর খারাপ লাগে না,,,,
জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি,,, পাখিগুলো উঠে যাচ্ছে হয়তো নিজের নীড়ে ফিরছে,,,,
আচ্ছা আমার কী কোনদিন নিজের একটা নীড় হবে না,,,,??
আমি তাসমিয়া ইসলাম তমসা,,, মাস্টার্স শেষ করে একটা চাকরি বা বিয়ের আশায় বসে আছি,,,,
হাস্যকর না ব্যাপারটা,,, সত্যি হাস্যকর,,,, নিজের ওপর বড্ড হাসি পায় এখন,,,,
সব এক্সামে ভালো রেজাল্ট করেও চাকরির বাজারে আমি মূল্যহীন,,,,।
শিক্ষিত আর ঘরের সব কাজ জানা সত্ত্বেও ছেলে পক্ষের কাছে আমার মূল্য নেই,,,
এসবের একটাই কারণ আমি কালো,,, শুধু কালো নয় অনেকটা কালো,,,,
কালো হলেও বাবা-মার আদরেই বড় হয়েছি কিন্তু এখন সবার বোঝা হয়ে গেছি,,,,,
আমি, আমার চার বছরের বড় এক ভাই, ছয় বছরের ছোট এক বোন ,,আর আমাদের বাবা-মা,,,
এই আমাদের পরিবার,,,, পরিবারে আমিই বেমানান,,, মা-বাবা,, ভাইবোন সবাই সুন্দর,,,
মাঝে আমি অাঁধার রাজ্যের রানী,,,,।
এতদিন আদরে বড় করলেও বাবা-মা যেনো এখন হাঁপিয়ে উঠেছে,,,,
উঠারই কথা,,, পড়ালেখা করিয়েছে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য,,,
অথচ একটা চাকরি জোগাড় করতে পারছি না,,,,
বিয়ে দিতে গেলে পাত্র নিজে কালো বেটে হলেও বিয়ে করতে মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে,,,
এসবে বাবা-মার সাথে আমি নিজেও হাঁপিয়ে উঠেছি,,,
এর শেষ কোথায় আমার জানা নেই,,,,
কথায় আছে বেকার ছেলে আর বিবাহ উপযুক্ত মেয়ে কখনো বাবা-মার আদরের হতে পারে না,,,,
ভাইয়ের বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেও বিয়ে করতে পারছে না এদিকে বোনেরও বিয়ের বয়স হয়েছে,,,,
সব দিক থেকে একটাই প্রবলেম,,,সেটা হচ্ছি আমি,,,,
মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে মৃত্যুকে আপন করে সবাইকে মুক্তি দেই,,,
কিন্তু আত্মহত্যা যে মহাপাপ,,,
ইহকাল থেকে মুক্তি পেতে পরকালে অনন্তকাল জাহান্নামের আগুনে যে জ্বলতে পারবো না,,,
আবার ইচ্ছে করে যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকে চলে যেতে,,, সেটাও যে পারবো না,,,
পৃথিবীতে মানুষের চাইতে অমানুষের সংখ্যা বেশি,,,
সিনহাঃ আপু,,,
তমসাঃ (কাঁধে কেউ হাত রাখলে পিছনে ফিরে তাকালাম,,,
আমার ছোটবোন সিনথিয়া ইসলাম সিনহা,,,, লম্বায় আমার সমান ৫ ফুট ৪”,,,,
দুধে আলতা গায়ের রং,, টানাটানা চোখ,,,
সরু চিকন নাক,,, গোলাপি ঠোঁট,, বলতে গেলে এক নজর দেখে যে কোনো ছেলের রাতের ঘুম হারাম করার মতো রুপ আল্লাহ দু’হাতে ওকে দান করেছেন,,,
বয়স ২১ বছর,, অনার্স ২য় বর্ষে পড়ছে,,,
তবে লেখাপড়ায় একদম কাঁচা,,,সব পরীক্ষায় টেনেটুনে পাশ,,,
এজন্যই হয়তো বলে আল্লাহ কাউকে সবদিক থেকে দেননি,,)
সিনহাঃ এই আপু কী ভাবছিস,,,??
তমসাঃ নাহ্ কিছু না,,, তুই কিছু বলবি,,??
সিনহাঃ তোর কী মন খারাপ,,??
তমসাঃ আমার কখনো মন খারাপ হয় না,,, আমার জন্য তোর সারাদিন আজ খারাপ গেলো,,, এতো করে বলার পরও তোকে বাড়িতেই আসতে দিলো না মা,,,
সিনহাঃ তুই কী যে বলিস,,, আজ সারাদিন আমার অনেক ভালো কেটেছে,,,
জানিস আজ সারাদিন আমি আর সাথী কত মজা করেছি,, আয় এখানে বস আমি সব বলছি,,,
তমসাঃ (সিনহা আমাকে বেডে বসিয়ে সারাদিন কী করেছে সব বলতে লাগলো,,,,
আমি ওর দিকে তাকিয়ে আছি,,,,
আমাকে যেদিন দেখতে আসে সিনহাকে সেদিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়,,,
যদি ওকে কোনভাবে কেউ দেখে তাহলে ওকে পছন্দ করে,,
প্রথম যখন আমাকে দেখতে আসে সিনহার বয়স তখন কেবল ১৬ আর আমার ২২,,,,
ওকে দেখে ছেলে জেদ ধরে বসেছিলো ওকেই বিয়ে করবে,,,
বাবা তাদের অপমান করে বাসা থেকে বের করে দেয়,,,।
তারপর থেকে যখনই আমাকে দেখতে আসে সিনহা ওর কোনো বান্ধবীর বাড়ি চলে যায় নাহলে নানাবাড়ি,,,,
আজ ওর বান্ধবী সাথীর বাড়ি গিয়েছিলো,,,)
সিনহাঃ তারপর কী হলো জানিস আপু,,,??
ফুসকা খাওয়ায় আমাকে হারানো এতো সহজ,,
তুই বল,,?? আমি জিতে গেলাম আর শর্ত অনুযায়ী বিল সাথী দিলো,,,, হাহাহা
তমসাঃ এসে ফ্রেশ হয়েছিস,,,??
সিনহাঃ নাহ্ (মন খারাপ করে) সোজা তোর কাছে চলে এসেছি,,,
তমসাঃ এখন যা তাড়াতাড়ি ফ্রেশ হয়ে নে,,,, সারাদিন বাইরে ঘুরাঘুরি করেছিস,,,
সিনহাঃ ওকে,,, তুই বস আমি দু’মিনিটে ফ্রেশ হয়ে এসে তোকে বাকি কাহিনী বলছি,,,
তমসাঃ ওকে যা,,,(সিনহা দৌড়ে নিজের রুমে চলে গেলো,,,,
পাগলী একটা,,, আমার হাজার মন খারাপের ঔষধ ও,,, ওর সাথে সবচাইতে বেশি হাসিখুশী থাকি আমি,,,,
বাস্তবতার তৈরী এই কঠিন তমসার ভেতর থেকে কোমল তমসাকে বের করে আনতে পারে একমাত্র সিনহা,,,
হাঁটতে হাঁটতে ছাঁদে চলে এলাম,,,
পশ্চিম আকাশের এখানো খানিকটা লাল আভা দেখা যাচ্ছে,,, গুনগুনিয়ে গাইতে লাগলাম,,,
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক।
মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে,
মুক্তবেণী পিঠের ‘পরে লোটে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
ঘন মেঘে আঁধার হল দেখে
ডাকতেছিল শ্যামল দুটি গাই,
শ্যামা মেয়ে ব্যস্ত ব্যাকুল পদে
কুটির হতে ত্রস্ত এল তাই।
আকাশ-পানে হানি যুগল ভুরু
শুনলে বারেক মেঘের গুরুগুরু।
কালো? তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
পুবে বাতাস এল হঠাৎ ধেয়ে,
ধানের খেতে খেলিয়ে গেল ঢেউ।
আলের ধারে দাঁড়িয়েছিলেম একা,
মাঠের মাঝে আর ছিল না কেউ।
আমার পানে দেখলে কিনা চেয়ে
আমিই জানি আর জানে সে মেয়ে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
এমনি করে কালো কাজল মেঘ
জ্যৈষ্ঠ মাসে আসে ঈশান কোণে।
এমনি করে কালো কোমল ছায়া
আষাঢ় মাসে নামে তমাল-বনে।
এমনি করে শ্রাবণ-রজনীতে
হঠাৎ খুশি ঘনিয়ে আসে চিতে।
কালো? তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি,
আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
দেখেছিলেম ময়নাপাড়ার মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ।
মাথার ‘পরে দেয় নি তুলে বাস,
লজ্জা পাবার পায় নি অবকাশ।
কালো? তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ।
রুপঃ আচ্ছা রবিন আমাদের ছেলে হবে না মেয়ে,,??
রবিনঃ আমাদের একটা রাজকন্যা হবে,, ঠিক তোমার মতো,,, যে আমাকে পাপা আর তোমাকে মাম্মা বলবে,,
রুপঃ কখনো না,,, আমাদের ছেলে হবে,,,
রবিনঃ ওকে যাও,, ছেলেই হবে,,,(মুচকি হেঁসে)
রুপঃ ধূর তোমার সাথে ঝগড়া করেও মজা নেই,,, কই একটু ঝগড়া করবো,,, আমি বলবো ছেলে হবে আর তুমি বলবে মেয়ে হবে,, কিন্তু তুমি একটুতেই মেনে নিলে কেনো,,??
রবিনঃ কারণ তোমার খুশিতেই আমার খুশি,,, আর সন্তান আল্লাহর নিয়ামত,,,
সে যা দিয়ে খুশী,,,
আমারও তাতেই খুশী,,
রুপঃ ভালোবাসি রবিন,,, (মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে)
রবিনঃ রুপ,,,,,, (চিৎকার করে ওঠে বসলাম,,,, সারা শরীর ঘামে ভিজে গেছে,,,
পাশের টেবিলে রাখা গ্লাসের সবটুকু পানি এক নিশ্বাসে খেয়ে নিলাম,,,,
কিছুক্ষণ জোরে জোরে শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করলাম,,,
পাশ থেকে চশমাটা চোখে দিয়ে ঘড়ির দিকে তাকালাম,,,
ফজরের আযান দিবে এখনই,,, রুপ চলে গেছে আজ ৩০ বছরের বেশি হয়ে গেছে,,,,
কিন্তু আমার স্মৃতিগুলো যেনো একটুও পুরনো হয়নি,,,
এখনও প্রতিটা সকাল হয় রুপের থেমে থেমে বলা সেই কথা শেষ কথাটা শুনে,,,
এখনো চোখ বন্ধ করলেই রুপের সেই রক্তাক্ত মুখ ভেসে ওঠে চোখের সামনে,,,
যেনো আমাকে বলছে রবিন আমি বাঁচতে চাই তোমার সাথে,,, আমাদের সন্তানের সাথে,,,
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দেয়ালে টানানো রুপের হাসিমাখা ছবিটার দিকে তাকালাম,,,,
কতটা জীবন্ত,, মনে হচ্ছে এখনই বলে উঠবে রবিন তুমি খারাপ,,, খুব খারাপ,,,
সত্যি আমি খুব খাবাপ,,, চোখের কোণ থেকে পানিটা মুছে বেড থেকে ওঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম,,,
ওযু করে বেড়িয়ে আগে রুপকের রুমে গেলাম,,,
ঘুমন্ত রুপকের দিকে তাকালে সবার আগে রুপের মুখটাই ভেসে ওঠে চোখের সামনে,,
কপালে একটা চুমু একে দিলাম,,, রুপের মতো ভয়ংকর সুন্দর হয়েছে রুপক,,
ছেলেদের এতো সুন্দর হতে হয়,,,,,??)
রুপক,,,,,
রুপকঃ,,,,,,,,,
রবিনঃ রুপক,,,, আযান দিয়েছে,,, চল বাপ বেটা একসাথে নামাজ পড়ে আসি,,,,
রুপকঃ Don’t bother me,,, get out of here,,, I’ll sleep more,,, (ঘুমঘুম গলায়)
রবিনঃ কিন্তু নামাজের সময় হয়েছে তো,,, চল নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়িস,,,(মাথায় হাত বুলিয়ে)
রুপকঃ (চোখ পিটপিট করে তাকালাম,,, বাবাকে দেখে চোখের ঘুম চলে গেলো,,, একরাশ বিরক্তি ভড় করলো চোখে মুখে,,, ওঠে বসলাম)
রবিনঃ এইতো,,, গুড বয়,,, চল নামাজে যাবি,,
রুপকঃ একটা কথা আপনি বুঝতে পারেন না,,?? আজ ২৫ টা বছর ধরে এক কথা বলে আসছি,,, আমি কোনো নামাজ পড়তে পারবো না,,, যে আমার থেকে আমার মাকে কেড়ে নিয়েছে তার জন্য আমি নামাজ পড়তে চাই না,,, এই একটা কথা আর কতোবার বললে আপনি বুঝতে পারবেন,,,,
রবিনঃ রুপক,,,,,
রুপকঃ I don’t want to hear another word,,, আপনি এখন দয়া করে আসুন,,, পারলে আপনার এই বিরক্তিকর চেহারা দেখিয়ে আমার প্রতিদিনের সকালটা নষ্ট করতে আসবেন না,,,
রবিনঃ রুপকের রুম থেকে বের হয়ে আসলাম,,,
রুপকঃ ওঠে ফ্রেশ হয়ে চেঞ্জ করে নিলাম,,, এখন জিম করা ছাড়া মাথা ঠান্ডা হবে না,,,
রবিনঃ মসজিদের দিকে যেতে লাগলাম,,, এসব শুনেই কাটিয়েছি আজ প্রায় ২৫ টা বছর,,, তবু আবার প্রতিদিনই চলে যাই এসব শুনতে,,, আমি যে বাবা,,, আমার যে অপমান বোধ থাকতে নেই,,,, তবু কেনো জানি না আজকাল রুপকের কথাগুলো বড্ড কষ্ট দেয়,,, বয়স হয়েছে যে,,, আগের মতো সয্য ক্ষমতা আর নেই,,,, চোখ মুছে নিলাম,,, হয়তো একদিন ও আমাকে বুঝতে পারবে সেই দিনের অপেক্ষায় আছি,,,, হুমায়ুন আহমেদ এর একটা কথা আছে ” মানুষ অপেক্ষা করে বলেই বাঁচে”,,, আমিও সেই দিনের অপেক্ষায় বেঁচে আছি,,, রুপক যেদিন বাবা বলে শক্ত করে আমাকে জড়িয়ে ধরবে,,,
তমসাঃ সিনহা,,, তাড়াতাড়ি উঠবি নাকি আমি বিছানায় পানি ঢেলে দিবো,,,
সিনহাঃ আপু আর একটু ঘুমাতে দে না,,,,(আরো শক্ত করে কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে)
তমসাঃ আগে নামাজ পড়ে তারপর যা ইচ্ছে কর,,, বাবা আর ভাইয়া সেই কখন মসজিদে চলে গেছে,,,
মাও হয়তো এতক্ষণে নামাজ পড়ে নিয়েছে,,, আমিও পড়ে নিয়েছি আর তুই এখনো ঘুমাচ্ছিস,,,??
সিনহাঃ আচ্ছা যা আর একটু পর উঠছি,,
তমসাঃ আমি ৩ গুনবো এর মধ্যে না উঠলে সত্যি আমি পানি ঢেলে দিবো বেডে,,,
আর সকালের নাশতাও পাবি না,,,
সিনহাঃ (আপুর কথা শুনে ঘুম উড়ে গেলো,,, আর সব নিয়ে বাহানা শুনলেও নামাজের সময় কোনো বাহানা আপু সয্য করে না,,, যা বললো সত্যি সত্যি তাই করবে তাই তাড়াতাড়ি ওঠে ওয়াশরুমে চলে গেলাম,,,,)
তমসাঃ( সিনহা ওয়াশরুমে গেলে আমিও কিচেনে চলে গেলাম মাকে হেল্প করতে)
সিনহাঃ( ওযু করে নামাজটা পরে নিলাম,,, তারপর আবার বেডে শুয়ে পড়লাম ঠাস করে)
তমসাঃ তুই আবার শুয়েছিস কেনো,,??
সিনহাঃ এবার কিন্তু খেলবো না,,, তুই এখনই বললি নামাজ পড়ে নিয়ে তারপর যা ইচ্ছে করতে,,,
তমসাঃ ঐ উঠে নামাজ পড়ার পরেও তোর ঘুম ভাঙেনি,,,?? চল হাঁটতে যাবো গার্ডেনে,,,,(বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গায় নানারকম ফুলগাছ লাগিয়েছি আমি আর সিনহা সকালে সেখানেই একটু হাটাহাটি করে দুজনে,,,)
সিনহাঃ আমি আরো ঘুমাবো,,,
তমসাঃ চলতো,,,,(টেনে উঠিয়ে সাথে নিয়ে গেলাম,,, এখন যেতে চাইবে না আবার পরে আসতে চাইবে না,,, পাগলী একটা,,,,)
মেঘলাঃ এই মেয়েটাকে নিয়ে আর পারি না,,,, নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছে,,,,
পড়াশোনার কোনো খোঁজ খবর নেই,,,,(হঠাৎ পেটে কারো হাতের স্পর্শে কেঁপে ওঠলাম)
আকাশঃ চুলে পাক ধরে গেছে তবু সেই আগের মতোই কেঁপে কেনো উঠো আমার স্পর্শে,,,??
(গলায় মুখ গুঁজে)
মেঘলাঃ আপনাকেও একই কথা বলছি,,, চুলে পাক ধরে গেছে তবু সেই আগের মতোই অসভ্য,,,,
না না আগের মতো না আগের থেকেও বেশি অসভ্য হয়ে গেছেন,,,(ছাড়ানোর চেষ্টা করে)
আকাশঃ সে তুমি যা ইচ্ছে বলতে পারো,,,
মেঘলাঃ প্লিজ ছাড়ুন,,,, রোদ বৃষ্টি কেউ এসে পড়বে,,,
আকাশঃ রোদ এক্সারসাইজ করছে গার্ডেনে আর বৃষ্টি ঘুমিয়ে পড়েছে আবার,,,
তুমি গিয়ে না ডাকলে আসবে না,,,
মেঘলাঃ ঠিক আছে ওরা আসবে না,,, কিন্তু বাসায় সার্ভেন্টের তো আর অভাব নেই,,,,
কেউ চলে এলে,,,??
আকাশঃ কেউ,,,,,,
রোদঃ মা,,৷৷৷৷৷
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com