হৃদয়ের দহন । পর্ব -০৪
– বুঝতে পারছনা ভাইয়া লজ্জা পাচ্ছে তোমাকে দেখে? ও মৃদু হেসে মিমকে বলে..
– তুমি একা আছো যখন,তখন চলো আমাদের সাথে? রুহান ওর তালে তাল দিয়ে বলে..
– হ্যা প্লিজ চল না আমাদের সাথে। আমি,ভাইয়া,আমরা সবাই মিলে বাসায় গিয়ে বাজি ফাটাবো এক সাথে। ও হাসতে হাসতে বলে..
– আচ্ছা তোরা বয়। আমি জামাকাপড় গুছিয়ে আসছি নিচে।
– বিশ্বাস কর মা-বাবা খুশি হবে তোকে দেখে। মিসেস রিয়া মিমকে দেখে,
রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে জড়িয়ে ধরে ওকে। রহমান সাহেব মিমকে কতগুলো শপিং ব্যাগ দিয়ে বলে..
– দেখ না মা ড্রেস গুলো কেমন হয়েছে?
– তুমি পাগল হয়েছ আঙ্কেল এতো গুলো টাকা তোমাকে কে খরচ করতে বলেছে?
– অতশত বুঝিনা আমি মা,
ড্রেস গুলো তোর পছন্দ হয়েছে? ইমান ওর উদ্দেশ্যে বলে..
– বড় মানুষ কিছু দিলে সেটা নিয়ে নিতে হয় ঠিক আছে? ও মৃদু হেসে বলে..
– আন্টি একটু ওদিকে চলো কিছু কথা আছে তোমার সাথে। ইমান কি ভেবে রুহান কে জিজ্ঞেস করে,
ওর বাবা-মা কেউ কি থাকে না ওর সাথে?
– জানো ভাইয়া? ওর বড় বোনের কথায় তার প্রেমিক প্রেমের ফাঁদে ফেলেছিল ওকে। তারপর এই নিয়ে অনেক ঝামেলা হয় আঙ্কেল আন্টির সাথে। আঙ্কেল আপুকে বিয়ে দিয়ে দেয় সেই ছেলেটার সাথে আর আপুর সুখের কথা ভেবে গত বছর জোর করে আঙ্কেল আন্টি ওকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছিল কোনো এক পয়সাওয়ালা আধবুড়ো বিজনেস ম্যানের সাথে। ও বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে চলে আসে আমার কাছে।
পরেরদিন,
আঙ্কেল এসে তেজ্য করে যায় ওকে। আমি কিছুদিন পর একটা বাসা ভাড়া করে দেই ওকে। ও বসে থাকার মেয়ে নয় পার্ট টাইম জব করতো অনেক আগে থেকে এখন আবার অনলাইনে বাড়িতে গিয়ে বাচ্চাদের পড়াতে শুরু করেছে ক’মাস আগে। কোটিপতির মেয়ে হয়ে ও সিমসাম থাকতে পছন্দ করে সবার সাথে। প্রচুর মিশুকে তবে দেখে বোঝা যায় না ওকে। ইমান চুপ করে তাকিয়ে আছে বাহিরে দিকে। আতশবাজি হাতে নিয়ে বলে..
– ওকে ডেকে নিয়ে আসো বাজি ফাটাবো এক সাথে। মিম এসে বলে..
– আমি তারাবাজি ফাটাবো অন্য কোনো বাজি দিয়ো না আমাকে। ইমান ওর হাত ধরে জিজ্ঞেস করে,
– ভয় পাও? তা পর্দা করে কি করে বাজি ফাটাবে? ও মৃদু হেসে বলে..
– এখনি দেখতে পাবে।
সকালে,
মাহির সাহেব ঈদের নামাজ পড়ে এসে স্ত্রী কে বলে..
– তুমি গতবছরের মতো এবার ও কিছু কেনোনি কেন ঈদে? সবাই এটা-ওটা খাচ্ছে তুমি মুখ শুকনো করে ঘুরছ বাড়িতে। যাই হোক এই শাড়ি টা পরে এসো আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। উনি স্বামী কে ঝাড়ি মেরে বলে..
– দয়া করে যাও এখান থেকে।
– আশ্চর্য রেগে যাচ্ছ কেন? রাগ করার মতো কিছু বলেছি তোমাকে? উনি রেগে গিয়ে বলে..
– আপনার মেয়ে জামাই এসেছে জান এখান থেকে। বুঝতে পারছিনা বাপু বিয়ের পরে ও কেন বাপের বাড়ি পরে আছে?
– ও আমাদের মেয়ে তুমি এভাবে বলছ কেন ওকে? স্ত্রীর কাছে কোনো উওর না পেয়ে মাহির সাহেব মন খারাপ করে চলে আসে নিচে।
এদিকে মিসেস রিয়া মিম কে বলে..
– মা ড্রেস টায় খুব মানিয়েছে তোকে? তুই না থাকলে এতো পদের রান্না কি করে করতাম একা হাতে?
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com