Breaking News

অর্ধমানব | পর্ব -০২

আমি দেখলাম নীলার পুরো পেট নীল হয়ে গেছে। আর সাথে সাথে পুরো শরীর ও।
এমন দৃশ্য দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেলো।
আমি আস্তে আস্তে নীলার দিকে এগিয়ে গেলাম।
আর ভয়ে ভয়ে ওর পেটে হাত রাখলাম।
আমি ওর পেটে হাত রাখতেই ওই নীল বর্ণটা আস্তে আস্তে হারিয়ে গেলো।
আমার হাতের স্পর্শে নিমিষেই হারিয়ে গেলো ওই নীল রং টা।
আমার হাতের স্পর্শে নীলার ঘুম ভেঙে গেলো।
নীলা উঠে একটু হেসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো কী করছো?
আমি নীলাকে বললাম দেখছিলাম আমাদের বাবুটা কী করছে?
আমার কথা শুনে নীলা হাসতে থাকলো আর বললো কাছে এসো।
আমি নীলার কাছে গেলাম। নীলা বললো তুমার কানটা আমার পেটের কাছে নাও।
আর বাবুকে জিজ্ঞেস করো ও কী করছে? আমি নীলার কথায় ভয় পেলাম।
একটু আগে যা দেখলাম তার পর নীলার পেটের কাছে যেতে খুব ভয় লাগছে।
কিন্তু নীলাকে বুঝতে দিলে চলবে না যে গুলো আমি দেখেছি।
তাই বাধ্য হয়ে নীলার পেটের কাছে আমার কানটা নিতে হলো।
এবার নীলা আমাকে বললো জিজ্ঞেস করো বাবু তুমি কী করো?
কী বলবো আপনাদের আমার কী ভয় লাগছিলো।
আমি আস্তে করে জিজ্ঞেস করলাম বাবু তুমি কী করো?
আমি হঠাৎ নীলা পেটের ভিতর থেকে এক ভয়ংকর শব্দ শুনতে পেলাম।
শব্দ শুনে আমার গলা শুকিয়ে গেলো।
একটা মানুষের পেট থেকে এসব ভয়ংকর শব্দ আসতে পারে কী ভাবে?
নীলা আমাকে জিজ্ঞেস করলো কী শুনতে পেলে?
আমি নীলাকে জিজ্ঞেস করলাম কী শুনতে পেয়েছি তুমি তা শুনতে পাওনি?
নীলা বললো কই নাতো। আমি কিছু শুনতে পায়নি।
কী আজব ব্যাপার দুজনেই পাশা পাশি বসে আছি।
আমি যা শুনতে পেলাম নীলা তা শুনতে পেলো না।
নিশ্চয়ই এখানে কিছু একটা গোলমাল তো আছেই। আমি আর কথা বাড়ালাম না।
নীলাকে নিয়ে শুয়ে পরলাম।
পরের দিন সকাল বেলার কথা আমি আমার বাইক এর চাবিটা খুজে পাচ্ছিলাম না।
বাইক এর চাবি খুজতে খুজতে আমার চোখটা খাটের নিচে গেলো।
আর আমি দেখতে পেলাম খাটের নিচে বড় কিসের যেন খোসা পরে আছে।
আমি বাইরে বের করে খুবই অবাক হলাম এটাতো কোন একটা বড় সাপের শরীরের পুরাতন চামড়া।
কিন্তু এটা আমার বিছানার নিচে আসলো কী ভাবে?
এবার আমার একটু সন্দেহ হতে শুরো করলো।
নীলার পেটে সাপের বাচ্চা অন্যদিকে খাটের নিচ থেকে সাপের চামড় পাওয়া মোটেও কাকতালীয় বেপার নয়।
নিশ্চয় কোন একটা সাপ তো আমাদের ঘরে আসেই।
কিন্তু দীর্ঘ ৩ বছর ধরে নীলার সাথে থাকছি কখনো এসব মনে হয়নি যে নীলার ঘরে কেউ এসেছিলো।
আমার মাথা কাজ করছিলো না। কী হচ্ছে এগুলো আমার সাথে?
আমি বুঝতেই পরছি না আমার কী করা উচিত।
আমি নীলাকে ডাকলাম আর জিজ্ঞেস করলাম তুমি কী কখনো আমাদের ঘরে কোন সাপ দেখেছিলে?
নীলা অবাক হলো আর জিজ্ঞেস করলো সাপ কোথা থেকে আসবে আমাদের রুমে?
আমি বললাম না এমনি জিজ্ঞেস করলাম।
নীলা আমার প্রশ্ন শুনে ভুরু কুঁচকে দাড়িয়ে রইলো।
আমি ও আর কিছু বললাম না।
চলে গেলাম আমার বন্ধুর বাড়িতে আর বন্ধুকে সব খুলে বললাম।
বন্ধু আমার কথা শুনে খুবই অবাক হলো।
আর আমাকে বললো তোর কথা যদি সত্যি হয় তাহলে তোর সাপুড়ের সাথে দেখা করা দরকার।
যিনি সাপ সম্পর্কে সব জানেন।
আমার বন্ধু আমাকে বললো তুই তুর স্ত্রী কে ওনার কাছে নিয়ে দেখিয়ে নিয়ে আয়।
আমি বাড়ি ফিরে এলাম।
এসেই দেখি মা নীলাকে বকছে। নীলা কী যেনো করেছে তার জন্য।
আমি আর মাকে কিছু বললাম না হয়তো নীলার কোন দোষ আছে।
পরে নীলা ঘরে এলে জিজ্ঞেস করলাম মা তোমাকে বকছিলো কেন?
নীলা বললো খায়নি বলে। আমি নীলাকে বললাম যাও খেয়ে আসো।
নীলা গিয়ে খেয়ে আসলো। আমরা শুয়ে পরলাম।
ঠিক মধ্য রাতে মায়ের চিৎকার এর আওয়াজ শুনে আমাদের ঘুম ভাঙ্গলো।
আমি দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে এলাম আর এসে দেখি মা উঠানের মাঝখানে পরে আছে।
আমি মাকে তুলে ঘরে নিয়ে আসলাম। কিছুক্ষণ পর মায়ের হুঁশ হলো ।
আমি মাকে জিজ্ঞেস করলাম মা কি হয়েছিলো তুমার সাথে?
মা বললো একটা বড় সাপ তাকে ছোবল দিতে চেয়েছিলো।
আর সাপটা নাকি অনেক বড়। ওর আকার নাকি মানুষের থেকে ও বড় হবে।
এবার আমার পুরো পুরি বিশ্বাস হলো এটা একটা সাপের ই খেলা।
নীলার পেটে সাপের মতো বাচ্চা আর মাকে ভয় দেখানো এটা ওর ই কাজ।
আমি মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম কাল ওই সাপুড়ের সাথে দেখা করবই।
পরের দিন সকাল বেলা আমি নীলাকে বললাম আমরা একজায়গায় যাবো রেডি হউ।
নীলা জিজ্ঞেস করলো কোথায় যাবো? আমি বললাম গেলেই বুঝতে পারবে।
আমি নীলাকে নিয়ে ওই সাপুড়ের আস্তানায় চলে গেলাম।
আমার বন্ধু আমাদের কথা বলে রেখে ছিলো।
আমাদের দেখেই সাপুড়ে বললো বসে পরো এখানে।
আমরা দুজনে বসে পরলাম। কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে থেকে ওই সাপুড়ে খুব ভয় পেয়ে গেলো।
সাপুড়ে ভয়ে ভয়ে বললো তোমরা তারা তারি এখান থেকে চলে যাও।
নয়তো ও তোমাদের সাথে সাথে আমাকে ও মেরে ফেলবে।
ও খুবই ভয়ানক এবং শক্তিশালী। ওকে আটকানোর ক্ষমতা কারো নেই।
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com