ডিভোর্স । পর্ব -৩৬
জ্যোতিঃ মানে,,,,,,??
বাইরে গেলেই বুঝতে পারবে ,,,,,,,
জ্যোতিঃ(তাড়াতাড়ি রুমের দরজা খুলে বাইরে এসে দেখি অনেক মেহমান এসেছে বাড়িতে,,,, মাকে খুজতে খুজতে রান্নাঘরে চলে গেলাম,,) মা,,,,
মাঃ হ্যাঁ,,, তাড়াতাড়ি বল,,, অনেক কাজ পরে আছে,,,।
জ্যোতিঃ বাড়িতে এতো মেহমান কেন,,,?? আর এতো আয়োজন কিসের,,,,??
মাঃ তোকে আজ দেখতে আসছে,,,,
জ্যোতিঃ মানে,,,,(অবাক হয়ে,,,)
মাঃ মানে আবার কী,,,?? বাংলাতেই তো বললাম,,,? তুই তো বলেছিস আর কিছু বলবি না,,,,। আমরা যা করবো তাই মেনে নিবি,,,,। আর অন্তরার বৌভাতে যখন যাবি না,,, তাই আজই আসতে বলেছে তোর বাবা,,,, শুভকাজে দেরি না করাই ভালো,,,
জ্যোতিঃ কিন্তু,,,,,, এতো তাড়াতাড়ি,,,??
মাঃ সবসময় তো ভালো সমন্ধ আসে না,,,,। ছেলে অনেক ভালো,,,,।
জ্যোতিঃ ছেলের নাম,,ঠিকানা বলো,,,,,।
মাঃ আজ আসবে তখনই দেখে নিস,,,,,। এখন গিয়ে একটু রুমটা গোছগাছ কর,,, নিজে একটু সাজগোছ কর,,,,
জ্যোতিঃ ধূর,,,,,(চলে যাওয়ার জন্য পা বাড়ালাম,,)
মাঃ জ্যোতি,,,,,,
জ্যোতিঃ হুম,,, বলো,,,
মাঃ এবার যদি তুই কোন ঝামেলা করিস তাহলে আমার আর তোর বাবার মরা মুখ দেখবি,,,।
জ্যোতিঃ মা,,,,,,,,,
মাঃ যা এখন,,,, কী করবি ভেবে দেখ,,,,,
জ্যোতিঃ (নিজের রুমে এসে বিছানায় বসে পড়লাম,,,, আমার জীবনটা এমন কেন হলো,,,?? খুব কী প্রয়োজন ছিলো রিয়াদ নামের কাউকে ক্ষনিকের জন্য আমার জীবনের পাঠানোর,,?? না চাইতেও চোখ দিয়ে টপটপ পানি পড়ছে,,,। না না আমি কাঁদবো কেন,,?? চোখের পানি মুছে নিলাম,,,। যার কাছে আমার কোন মূল্য নেই তার জন্য আমি কেন আমার জীবন নষ্ট করবো,,,,?? ওঠে দাঁড়ালাম সব ঠিকঠাক করতে,,,,। অন্তরার বৌভাতে গেলেই ভালো হতো,,,,। কিন্তু এভাবে কতদিন পালিয়ে ফিরতাম,,,,। এবার যা হবার হবে,,,।)
অন্তরাঃ এভাবে কেউ বউভাতে যায়,,,??
হৃদয়ঃ আমার বউ এভাবেই যাবে,,,,
অন্তরাঃ (শুধু চোখ ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছে না আমার,,,। বোরখা, নিকাব, হাতমোজা, পা মোজা সব পড়িয়ে প্যাকেট বানিয়ে ফেলেছে,,,,। মানুষ কী বলবে,,,??)
হৃদয়ঃ মানুষের কথায় আমার কিছু আসে যায় না,,,, এখন চলো,,,
(কমিউনিটি সেন্টারে চলে গেলো হৃদয় আর অন্তরা,,, বাকি সবাই আগেই চলে গেছে,,,, সেখানে গিয়ে অবাক চোখে সব দেখছে অন্তরা,,,। এটা আগেরটার থেকে অনেক বড় আর সুন্দর করে সাজানো,,,,। হৃদয় অন্তরার হাত ধরে ভেতরে পা রাখতেই ওপর থেকে অনেক ফুল অন্তরা আর হৃদয়ের ওপর ঝরে পরলো,,,। অন্তরাকে স্টেজে বসিয়ে দিয়ে হৃদয়ও পাশে বসলো,,,)
অন্তরাঃ আব্বা মা কেউ আসেনি এখনো,,,??
হৃদয়ঃ চলে আসবে একটু পরই,,,
(অফিসের সবাই এসেছে,,,, সবাই এসে অন্তরা আর হৃদয়কে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে,,)
,,,,,স্যার ম্যামকে তো দেখতেই পারলাম না,,,
হৃদয়ঃ আমার বউ আমি অন্যকাউকে দেখাতে চাই না তাই,,, সরি,,,(মুচকি হেসে)
,,,,,,ডিভোর্সি মেয়ে বিয়ে করেছে তার আবার ঢং কতো,,,(পাশ থেকে এক মহিলা বলে উঠলো,,,)
,,,,,,,তাই দেখুন,,, আগে আর একজনের সাথে চারবছর সংসার করে,,, কীভাবে এমন অবিবাহিত ছেলে ফাঁসিয়েছে বলুন তো,,,??
,,,,,,, এসব মেয়েরা নিজের রুপ কীভাবে কাজে লাগাতে হয় ভালো করেই জানে,,,
,,,,,,,ঠিক বলেছেন ভাবি,,,এরা জাদু জানে গো জাদু জানে,,,
,,,,,,,, দেখো গিয়ে এর জন্যই হয়তো আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে,,,,
অন্তরাঃ(চোখ বন্ধ করে সব কথা সহ্য করার চেষ্টা করছি,,, বুকটা মনে হচ্ছে কেউ ছুরি দিয়ে ফালা-ফালা করে দিচ্ছে,,, এই কথাগুলোর ভয়েই আপনার থেকে দূরে সরে যেতে চেয়েছিলাম,,, এতোদিন শুধু শুনেছি আমি ডিভোর্সি এখন আমাকে শুনতে হবে আমি ছলনাময়ী,,,, আর কী কী শুনার বাকি আছে আল্লাহ ভালো জানে,,,,। এ জীবনে হয়তো এসব থেকে মুক্তি নেই আমার,,,,।)
,,,,,এসব চরিত্রহীন,,,,,,,,,।
হৃদয়ঃ Enough is enough,,,,,,, (চিৎকার করে বলে ওঠলাম,,,,। অনেকক্ষণ সয্য করেছি কিন্তু আর সম্ভব নয়,,,,) অনেক বলে ফেলেছেন,,,,। আপনাদের এখানে ইনভাইট করা হয়েছে আমাদের দোয়া করার জন্য,,,,,। আমার বউয়ের চরিত্র নিয়ে গবেষণা করার জন্য নয়,,,,,,,। হ্যাঁ আমার বউ ডিভোর্সি ছিলো কিন্তু আপনাদের মেয়ে বউদের মতো প্রস্টিটিউট ছিলো না,,,,,। আপনারা ডিভোর্সি মেয়েদের মেনে নিতে পারেন না,,,,। কারণ সে ভার্জিন নয়,,,, তার সাথে অন্য ছেলের ফিজিকাল রিলেশন হয়েছিলো,,,,,। কিন্তু সেই সম্পর্ক বৈধ ছিলো,,,,। তাকে কোন পরপুরুষ স্পর্শ করেনি বরং তার স্বামী করেছিলো,,,,,। তবু তারা সমাজের চোখে ডিভোর্সি,,,,, তাদের বিয়ে করা যায় না,,,,।
কিন্তু নিজের ইচ্ছায় নিজের সতিত্ব প্রেমিক নামক পরপুরুষের হাতে বিলিয়ে দেওয়া মেয়েকে আপনারা ঠিকই মেনে নিতে পারেন,,। কারণ তারা সমাজের চোখে অবিবাহিত,,,, ভার্জিন মেয়ে,,,। বিয়ের আগে এমন একটু আকটু করেই এমন কথায় সব ভাসিয়ে দেন,,,,। অবৈধ সম্পর্কে জড়ানো মেয়েদের আপনারা সহজেই বাড়ির বউ করতে পারেন,,,, কিন্তু বেধ সম্পর্কে জড়ানো মেয়েরা আপনাদের চোখে ডিভোর্সি,,,,,।
আর ডিভোর্সি মানেই সে তার থেকে অধিক বয়সী কোন দু-তিন বাচ্চার বাবাকে বিয়ে করবে,,,,। এমনই একটা অদৃশ্য নিয়ম তৈরি করে রেখেছেন আপনারা,,,,,। চোখে কালো কাপড় বেধে আছেন আপনারা,,,,। সেটা খুলুন নাহলে দেখবেন হোটচ খেয়ে পরলে আর দাঁড়াতে পারবেন না,,,,।
(হৃদয়ের কথা শুনে সবাই চুপ হয়ে গেছে,,, যে মহিলারা বাজে কথা বলছিলো তাদের মুখ কালো হয়ে গেছে,,,,)
হৃদয়ঃ কী যেন বললেন মিসেস মাহবুব,,, ডিভোর্সি মেয়ে বিয়ে করেছে তার আবার ঢং কতো,,,, হ্যা ঢং,,,, আমার বউ ডিভোর্সি কিন্তু পবিত্র,,, তাই বাইরের সব শেয়াল শকুনের দৃষ্টি থেকে তাকে যত্নে লুকিয়ে রেখেছি,,,, আমার বউ তো তার আপনার মেয়ের মতো সস্তা নয় যার প্রমিকের সাথে প্রেম-লিলা সারাদেশের মানুষ নিজের ফোনে দেখেছে,,, তবু তো ভালো জামাই পেয়েছেন,,,,। জাদু করেছিলেন নাকি,,,,,??
(এ কথা শুনে মিসেস মাহবুব মুখ কালো করে সেখান থেকে চলে গেলেন,,,)
হৃদয়ঃ আর মিসেস হাসান,,,, রুপ কীভাবে কাজে লাগাতে হয় সেটা তো আপনার বউমার থেকে শেখা উচিত,,,, নিজের রুপ কাজে লাগিয়ে আপনার ছেলের বসকেই ফাঁসিয়ে নিয়েছে,,,,,
অন্তরাঃ প্লিজ এবার আপনি চুপ করুন,,,, সবাই কীভাবে তাকিয়ে আছে,,,, (হৃদয়ের হাত ধরে)
হৃদয়ঃ চুপ একদম চুপ,,,,(রক্ত লাল চোখে অন্তরার দিকে তাকিয়ে,,,)
অন্তরাঃ(উনার চোখ দেখে ভয়ে হাত ছেড়ে দিলাম,,,। রাগে উনার সারা মুখে যেন রক্ত ওঠে গেছে,,,, ভয়ংকর লাগছে দেখতে,,,,)
হৃদয়ঃ আজের পর থেকে যদি দেখি কারো বাজে কথা মুখ বুজে সহ্য করে চোখের পানি ফেলছো আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না,,,,। কারো বাজে কথায় তোমার চোখে পানি আমি দেখতে চাই না,,,। যদি প্রতিবাদ করতে না পারো তবে চোখেও যেন পানি না আসে,,,,got it,,,,??
অন্তরাঃ হ,,হুম,,,,
হৃদয়ঃ আর আপনাদের বলছি,,,, অন্যের চরিত্রের ওপর আঙুল তুলার আগে নিজের চরিত্র দেখে নিন,,,। নিজে কতটা সঠিক সেটা ভেবে অন্যের ভুল ধরার সাহস করুন,,,। এখানে সবার চরিত্র সম্পর্কেই আমার খুব ভালো করে জানা আছে,,,। তাই আমার বউয়ের অপমান হলে তার সম্মান থাকবে তার নিশ্চয়তা আমি দিতে পারছি না,,,। আমার কাজের আর আমার বউয়ের অতীতের গবেষণা না করে ইনভাইট করা হয়েছে,,, খাওয়াদাওয়া করুন,,,, এনজয় করুন,,, দোয়া করতে চাইলে করুন না হলে না করুন,,,, আপনাদের দোয়ার আমার কিছু আসে যায় না,,, অনুষ্ঠান শেষে চলে যান,,, এর বাইরে আমি যেন আর কোনকিছু না শুনি,,,
(হৃদয়ের কথায় শুনে সবাই মাথা নিচু করে আছে,,, কথাগুলো শেষে হৃদয় স্টেজ থেকে নেমে কোথাও চলে গেলো,,, আর অন্তরা মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে,,,)
অন্তরার বাবাঃ এবার আর কোনো ভুল করিনি আমরা,,,, দেখেছো অন্তরার মা,,, অন্তরার জন্য এবার একটা হিরা পেয়েছি আমরা,,,,।
মাঃ এবার বুঝি আমার মেয়ের দুঃখ গুজবে,,,,,।
বাবাঃ হুম,,, ঠিক বলেছো,,,,
আরাভঃ আমি আগেই বলেছিলাম মা,,, হৃদয়ের মতো ছেলে আমরা আর পাবো না অন্তরার জন্য,,,
মিমিঃ যাই বলো,,,,আমাদের অন্তরার কপাল আছে বলতে হবে,,, নাহলে ডিভোর্সি হয়েও এমন বর পায়,,??
আরাভঃ মিমি,,,,,,,
মিমিঃ আমি আবার কী করলাম,,,?? (কাঁদো কাঁদো গলায়)
মাঃ আরাভ,,,, এটা রাগারাগি করার জায়গা,,,??
আরাভঃ তোমার বৌমার মুখটা বন্ধ রাখতে বলো একটু,,,,
মাঃ বৌমা মুখটা একটু বন্ধ রাখো,,,,
মিমিঃ (হুম,,, আমার তো এই অন্তরার ওপর হিংসা হচ্ছে,,,)
(অন্তরার বাড়ির সবাই এসে হৃদয়ের সব কথাই শুনেছে,,, এবার তারা চিন্তা মুক্ত,,, তাদের আর অন্তরাকে নিয়ে চিন্তা নেই,,,)
অন্তরাঃ মা,,,,,,,(দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে কান্না করে দিলাম,,,)
মাঃ কাঁদছিস কেন,,,,??
অন্তরাঃ জানি না,,, আজ কেন কান্না পাচ্ছে,,,?? ভয় করছে মা,,, সব ঠিক থাকবে তো,,,??
মাঃ ভয় পাস না,,, আল্লাহ যা করে ভালোর জন্যই করে,,,। সব ভালো হবে,,,
অন্তরাঃ তাই যেন হয়,,,
হৃদয়ের মাঃ আরে আপনারা চলে এসেছেন,,, কখন এলেন খেয়ালই করনি,,,
অন্তরার মাঃ এইতো এখনই এলাম,,,, কেমন আছেন আপনারা,,??
হৃদয়ের মাঃ আলহামদুলিল্লাহ,,,, অনেক ভালো,,, আপনারা কেমন আছেন,,,??
অন্তরার মাঃ আলহামদুলিল্লাহ,,,,
হৃদয়ের মাঃ আপনারা চলুন ওদিকে বসি,,, অন্তরা তোমার ভাবিকে সাথে নিয়ে যাও,,, আর আরাভ,,, হৃদয় আর রিয়াদ এইদিকে আছে মনে হয়,,,,
আরাভঃ ঠিক আছে ম্যাম,,,
হৃদয়ের মাঃ এখনো ম্যাম,,,, এখন থেকে আন্টি ডেকো,,,,
আরাভঃ ওকে,,, আন্টি,, আমি দেখছি উনারা কোথায়,,,??
হৃদয়ের মাঃ ঠিক আছে,,
(আরাভ চলে গেলো রিয়াদ আর হৃদয়ের কাছে,,,, হৃদয়ের মার সাথে অন্তরার বাবা-মা গল্প করতে করতে অন্যদিকে চলে গেলো,,, অন্তরা আর মিমি আর স্টেজে চলে গেলো,,,)
মিমিঃ বাসর কেমন কাটলো রে অন্তরা,,?? হৃদয় ভাইয়া কিছু বলেনি,,, আর কী গিফট দিলো,,,??
অন্তরাঃ (গিফটের কথা বলতেই আংগুলের রিং-এর দিকে চোখ গেলো,,,, সকালে হটাৎ হাতে দেখলাম,,,, হৃদয়কে জিজ্ঞেস করলে বললো,,)
অন্তরাঃ এটা এলো কোথা থেকে,,??
হৃদয়ঃ এটা তোমার বাসর রাতের গিফট,,,,। গতকাল দিতে মনে ছিলো না,,, তুমি ঘুমানোর সময় পড়িয়ে দিয়েছি,,,,।
অন্তরাঃ ওহ্,,,,, অনেক সুন্দর তো,,,,।
হৃদয়ঃ হয়তো ভাবছো এতো ছোট গিফট কেন,,,?? আসলে আমি এখনো কিছু করি না,,, আর আমি তোমাকে যা দিবো নিজের টাকায় দিতে চাই,,,,। এটা আমার নিজের টাকায় কেনা,,,
অন্তরাঃ আপনার আমাকে এমন মনে হয়,,,(অসহায় মুখ করে,,,)
হৃদয়ঃ ওরে আমার বউটা,,, কষ্ট পেয়েছে,,,,। আমিতো মজা করেছি,,, তবে এটা আমার প্রথম গিফট তোমাকে দেওয়া,,,, তাই কখনো নিজের থেকে আলাদা করো না,,,,(পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে)
অন্তরাঃ ঠিক আছে,,(মুচকি হেঁসে,,)
,,,
মিমিঃ এই কী ভাবছিস,,,,??
অন্তরাঃ দিয়েছে গিফট,,,, এটা,,,(রিং দেখিয়ে)
মিমিঃ ও মা,,,, অনেক সুন্দর তো,,,, কিন্তু এতো বড়লোক হয়ে এটুকু গিফট,,,,,
অন্তরাঃ উনার ভালোবাসার থেকে বড় উপহার আর আমার কাছে কিছু নেই,,,,
(মিমি একটা মুখ ভেংচি দিলো,,,)
অন্তরাঃ জ্যোতি আসেনি,,,??
মিমিঃ আজকে তো জ্যোতিকে দেখতে এসেছে,,,
অন্তরাঃ আজকে,,,,,,
মিমিঃ হুম,,,,
আরিয়ানঃ অন্তরা,,,,,,,,,,,,
(মিমি আর অন্তরা দুজনেই ফিরে তাকালো,,, দুজনেই অবাকের চরম পর্যায়ে,,,)
অন্তরাঃ আপনি,,,,,????
চলবে…
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com