Breaking News

আবছা আলো । পর্ব -১৪

নিশিতাঃ(রুমটা অনেক পরিপাটি করে সাজানো,,,
যেখানে যেটা থাকার কথা সেটা ঠিক সেখানেই আছে,,,,
গিয়ে জানলার পর্দাগুলো সরিয়ে দিলাম,,,, একটা আলমারি সাথে ড্রেসিংটেবিল,,,
বুক সেলফ,, বেড,,

একটা সোফা আর বেলকনির একটা দরজা সাথে ওয়াশরুমের দরজা,,,
প্রথমে আলমারি খুলতে গেলাম,,, কিন্তু লক করা,,,, এর চাবি কোথায় পাবো,,,
বেডের কাছে গিয়ে বালিশের নিচে খোঁজতে লাগলাম,,,,
দ্বিতীয় বালিশ সরিয়ে একটা ডাইরি দেখতে পেলাম,,,,
ডাইরির উপরে লেখা  আবছা আলো,,,,,
ধীরেধীরে ডাইরিটা হাতে নিলাম,,,,,
ডাইরিটা অনেক আগের মনে হচ্ছে,,,,
ডাইরিটা নিয়ে বেলকনিতে চলে গেলাম,,,

বেলকনিটা বেশী বড় নয় তবে অদ্ভুত কিছু ফুলের গাছ লাগানো,,,,
এখানকার একটা ফুলের নামও আমার জানা নেই,,,, পাশের বেতের চেয়ারে বসে পড়লাম,,,,)
বর্ষণঃ (অফিসে এসে সোজা নিজের কেবিনে চলে এলাম,,,
রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে,,,
টেবিলের ড্রয়ার থেকে মিষ্টির একটা ছবি বের করলাম,,,,
মুখে মিষ্টি হাঁসি দিয়ে হাতের ঘাঁসফুলের দিকে তাকিয়ে আছে,,,,,
ছোটবেলায় ফটোগ্রাফার হওয়ার খুব শখ ছিলো,,,,

বয়স যখন মাত্র তেরো বছর তখন বাবাকে অনেক রিকুয়েষ্ট করে একটা ক্যামেরা কিনেছিলাম,,,,
ক্যামেরা কেনার পর নিজের ইচ্ছে তে মিষ্টি ছাড়া আর কারো ছবি তুলেছি কিনা মনে নেই,,,,
এমন আরো অনেক ছবি আছে আমার কাছে মিষ্টির,,,,
ছবিটা বুকে ধরে চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে নিলাম,,,,,,,,)
নিশিতাঃ(প্রথম দুটো পেইজ খালি,,,,

পরের পেইজে আজ থেকে কয়েক বছর আগের ডেট দেওয়া আর লেখা,,,)
বর্ষণঃ (গল্পটা শুরু হয়েছিলো আজ থেকে প্রায় এগারো বছর আগে,,,,
তখন আমার বয়স সাত বছর বা তার থেকে একটু বেশি,,,,,
সোহানা আন্টির মেয়ে হয়েছে,,, এমন খবর শুনে আমি ভাইয়া আর মা নানু বাড়ি গিয়েছিলাম,,,
সেখানে গিয়ে ভয় পেয়ে গেলাম,,,, এতো মানুষ কেনো এখানে,,,
মা গিয়েই চিৎকার করে কান্না করা শুরু করলো,,,,
আমি মোমেনা আন্টির কাছে গিয়ে দেখি একটা পুতুল কোলে নিয়ে আন্টিও কাঁদছে,,,,
পুতুলটা বৃদ্ধাঙ্গুল মুখে পুরে ঘুমিয়ে আছে,,, কী মিষ্টি দেখতে,,,,,)

বর্ষণঃ আন্টি,,,,?
আন্টিঃ,,,,,,,,,,,
বর্ষণঃ এই আন্টি এই মিষ্টিটা কে,,,,?
আন্টিঃ অপয়া,,,, অলক্ষী,,,, রাক্ষুসী,,,(কাঁদতে কাঁদতে)
বর্ষণঃ গল্পের রাক্ষুসী এতো মিষ্টি হয় দেখতে,,,,? আন্টি আমি এই রাক্ষুসী,,,,,
না না মিষ্টিকে বিয়ে করবো,,,,,(তখনই কোথা থেকে মা দৌঁড়ে এলো,,,)
মাঃ মোমেনা এই অপয়া মেয়েকে দে এখনই লবণ খাইয়ে মেরে ফেলবো,,,,
নাহলে এই রাক্ষুসী আমাদের সবাইকে খেয়ে নিবে নিজের বাবা মার মতো,,,
দে এই অপয়াকে এখনই শেষ করে দিবো আমি,,,,(কাঁদতে কাঁদতে)
আন্টিঃ এসব তুই কী বলছিস আপু,,,,,? পাগল হয়ে গিয়েছিস,,,,?(কাঁদতে কাঁদতে)
বর্ষণঃ (মা মিষ্টির দিকে তেড়ে এলে কিছু মহিলা মাকে আটকে ধরলো,,,
আমি ফ্যালফ্যাল চোখে শুধু তাকিয়ে দেখে যাচ্ছি,,,,

এতো চেঁচামেচি শুনে মিষ্টির ঘুম ভেঙে কান্না করতে শুধু করে দিলো,,,,
সবাই যখন ব্যস্ত আমি মিষ্টিকে কোলে নিয়ে দৌঁড়ে বাড়ি থেকে চলে এলাম বাইরে,,,,
মিষ্টিটা তখনও কান্না করেই যাচ্ছে,,, একটু দূরে একটা পুকুরপাড়ে গিয়ে বসলাম,,,
মিষ্টিটা আমার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে ড্যাবড্যাব চোখে,,, কান্না বন্ধ করে,,,,
এরপর হঠাৎ করেই হেঁসে উঠলো,,,, কী মিষ্টি সেই হাসি,,,,?
আমার একটা আঙ্গুল ধরে আছে শক্ত করে,,,,
অনেকটা সময় পর এভাবে থেকে আবার ঘুমিয়ে পড়লো,,,,
আমি তাকিয়ে আছি মুখের দিকে,,,,,,

হঠাৎ করেই কেউ আমার কোল থেকে পুতুলটা নিয়ে নিলো,,,
সামনে তাকিয়ে দেখি ভাইয়া,,,) তুই আমার মিষ্টিকে নিলি কেনো,,,?
শ্রাবণঃ ওমনি তোর হয়ে গেলো,,,, আন্টি নিয়ে যেতে বলেছে,,,
বর্ষণঃ আমার কাছে দে,,, আমি নিয়ে যাচ্ছি,,,
শ্রাবণঃ তুই ছোট,,, ফেলে দিবি নিতে গিয়ে,,,
বর্ষণঃ তুই আবার খুব বড় আমার থেকে,,, দিয়ে দে বলছি,,, ও শুধু আমার মিষ্টি,,,,
শ্রাবণঃ কিসের মিষ্টি মিষ্টি করছিস,,, সবাই বলছে এটা নাকি রাক্ষুসী,,,,
(এবার কোলের বাচ্চাটার দিকে তাকালাম)
বর্ষণঃ একদম বাজে কথা বলবি না,,,,

শ্রাবণঃ এই বর্ষন এটা তো সত্যি মিষ্টি রে,,৷ কী সুন্দর দেখতে,,,?
বর্ষণঃ একদম তাকাবি না,,,, আর মিষ্টি বলে ডাকবি না,,, ও শুধু আমার মিষ্টি,,,,আমার কাছে দে বলছি,,,,
শ্রাবণঃ দেবো না,,,,,
বর্ষণঃ(ভাইয়া দৌঁড়ে মিষ্টিকে নিয়ে চলে গেলো,,,, দিলো না আমার কাছে,,,)

বর্ষণঃ (গল্পের শুরুটা এমন হয়েছিলো আর শেষটাও এমনই হলো,,,
কী অদ্ভুত বিষয়,, তাই না,,,? সময় যেতে লাগলো আর আমরা তিনজনই বড় হতে থাকলাম,,,
যখন বুঝতে শেখেছি তখন থেকে শুনছি সবসময় বড় ভাইরা নাকি সেক্রিফাইস করে,,,,
কিন্তু ছোটবেলা থেকে আমি তার উল্টো দেখে এসেছি,,,,
আমার কোনো পছন্দের জিনিস ভাইয়া চাইলে আমি যখন দিতে চাইতাম না,,,
বাবা-মা বলতো বড় ভাই হয় না,,? দিয়ে দে বলছি,,,

সবসময় আমার প্রিয় জিনিসগুলোই ভাইয়ার ভালো লাগতো,,,,
তেমন আমার ভালোবাসার মানুষটাও তার পছন্দ ছিলো,,, তাই নিয়ে নিলো,,,,
আমি আমার মিষ্টিকে অনেক গিফট দিয়েছিলাম,,, সাথে কাগজে লিখে দিতাম,,,
পছন্দ হয়েছে আমার মিষ্টির,,,,
ছোটবেলা থেকেই ভাইয়া সবার সাথে মিশতে পারতো,,,
কিন্তু আমি পারতাম না,,,

সেই জন্য ভাইয়া মিষ্টির সাথে অনেক মিশতে পারতো আর আমি দূরেই থাকতাম,,,,
মিষ্টি যখন ভাইয়াকে বলতো দেখেন শ্রাবণ ভাইয়া কে যেনো আমাকে এটা দিয়েছে,,,,
ভাইয়াও নিরদ্বিধায় বলে দিতো আরে এটা তো আমিই দিয়েছি,,,
আর আমি চুপচাপ দেখে যেতাম,,,
আমার কাছে এটা জরুরি ছিলো না কে গিফট গুলো মিষ্টিকে দিচ্ছে মিষ্টি সেটা জানুক,,, আমার কাছে জরুরি ছিলো ওর মুখের হাসি,,,,
যখন গিফট গুলো হাতে পেতো খুশিতে নেচে উঠতো,,,
আর দূর থেকে আমি সেটা উপভোগ করতাম,,,,
সেটাই ছিলো আমার প্রথম ভুল,,,,
আর একদিন ভাইয়ার সাথে সরাসরি কথা বললাম )

বর্ষণঃ মিষ্টিকে গিফটগুলো আমি দিয়েছি,,, তুই কেনো বলেছিস যে তুই দিয়েছিস,,,,
শ্রাবণঃ নিশুর থেকে দূরে থাক তুই,,,,,
বর্ষণঃ এটা আমার বলার কথা,,, তুই কেনো বলছিস,,, তুই মিষ্টির থেকে দূরে থাক,,,,
শ্রাবণঃ আমি নিশুকে ভালোবাসি,,,, তুই ওর থেকে দূরে থাক,,,
বর্ষণঃ তুই ইচ্ছে করে এমন করছিস,,,, সবসময় আমার জিনিসেই তোর নজর,,, সব ছেড়ে দিলেও মিষ্টিকে না,,, তুই ওর থেকে দূরে থাক,,,, আমি ওকে ভালোবাসি,,,।
শ্রাবণঃ ভালোবাসিস,,,,?(তাচ্ছিল্যের হাঁসি দিয়ে,,,)

বর্ষণঃ (ভাইয়া কিছু না বলে আমার রুমে গেলো,,, কী করতে চাইছে কিছুই বুঝতে পারছি না,,,,)
শ্রাবণঃ নে দেখ,,,,তোর রেজাল্ট সিট,,,, প্রত্যেকটা সাবজেক্টে টেনেটুনে পাশ,,,, কোন বছর নিয়মিত স্কুলে গিয়েছিস,,,,? আমার রেজাল্ট দেখ,,,, সবসময় ক্লাসে ফাস্টবয়,,, প্রত্যেকটা এক্সামে নাইন্টি পার্সেন্ট মার্ক,,, বড় হয়ে ভালো চাকরি করবো,,,, নিশুকে ভালো রাখবো,,, আর তুই হয়তো দুদিন পর পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিনমজুরি করবি,,,, নিজের সাথে নিশুর জীবনটাও নষ্ট করতে চাইছিস,,,,,, আমি যখন নিশুর সাথে থাকি ও কতো হাসিখুশি থাকে,,, আর তোর সাথে কখনো ভালো করে কথা বলেছে,,,? ও তোকে না আমাকে পছন্দ করে,,, বুঝতে পেরেছিস তুই,,,,

বর্ষণঃ সেদিন আমার বলার মতো কিছু ছিলো না,,, কারণ ভাইয়ার প্রত্যেকটা কথা সত্যি,,,, এরপর আমি অনেকদিন লক্ষ্য করেছি,,, সত্যি আমার মিষ্টি ভাইয়ার সাথে হাসিখুশি থাকে,,,, আমার কাছে আমার মিষ্টির মুখে হাঁসিটা দরকার ছিলো,,, সেটা কার জন্য হচ্ছে সেটা দেখার বিষয় না,,,, তাই সিদ্ধান্ত নিলাম ওদের মাঝে থেকে সরে দাঁড়াবো,,, কয়েকদিন পর আমার এসএসসির রেজাল্ট দেয়,,,, পাশ করে গেছি,,,, আগের মতো টেনেটুনে,,,, কারণ পাশের থেকে বেশি নাম্বার পাওয়ার চেষ্টায় করিনি কখনো,,,, বাবাকে বুঝিয়ে চলে এলাম এই অচেনা শহরে,,,,, তবে মাঝেমাঝে ঠিক ছুটে যাই মিষ্টির মুখের মিষ্টি হাসি দেখতে,,,, কিন্তু মিষ্টিটা যতোবড় হচ্ছে ততো যেনো হাসতে ভুলে যাচ্ছে,,,,

নিশিতাঃ (ডাইরিটা প্রায় অনেকটা পড়া হয়ে গেছে,,, এরপর যতবারই উনি বাড়ি গেছে আমাকে কেমন দেখেছে,,, আমি কী করছিলাম তার বর্ণনা,,,, উনার ছোটছোট অনুভূতির কথা লেখা,,,, একটা লাইন দেখে থেমে গেলাম,,,,,,,)

বর্ষণঃ নিশি তুই আমার জীবনের #আবছা_আলো। আমার জীবনটা পুরো আলোয় আলোকিত করার আগেই আবার হারিয়ে গেলি,,,, আমি নাহয় তোর থেকে পাওয়া আবছা আলো নিয়েই বাকি জীবনটা পার করে দিবো,,,।

নিশিতাঃ(ডাইরিটা আর শেষ পর্যন্ত পড়তে পারলাম না,,,, এতো কিছু হয়ে গেছে আমার অজান্তে,,,,,, চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছে করছে,,, বর্ষণ ভাইয়া আমার জন্য নিজের পরিবার থেকে এতো দূরে চলে এসেছে,,,, আমার জন্য উনার জীবনটা এমন অগোছালো হয়ে গেছে,,,, এতোটা ভালোবাসে আমাকে,,,,

কিন্তু আমি তো এই ভালোবাসার যোগ্য নই,,,,,তবে কী উনিই সেই যে ফোন দিয়ে কথা না বলে শুধু আমার কথা শুনতো,,,, না না আমি আর কারো জীবনের কাল হতে পারবো না,,,, আমাকেই কিছু একটা করতে হবে,,,, ডাইরিটা বন্ধ করে জায়গামতো রেখে রুম লক করে বের হয়ে গেলাম,,,,,, আন্টি রান্না করে নিয়েছে,,, খালামুনি জন্য খাবার নিয়ে তার রুমে গেলাম,,,)
বর্ষণঃ(ম্যানেজারে ডাকে অতীত থেকে বেড়িয়ে এলাম,,, সাইন নিয়ে ম্যানেজার চলে গেলো,,,, মিষ্টির ছবিটার দিকে তাকালাম,,,, তুমি ছাড়া আমার জীবনে কেউ ছিলো না আর কোনদিন আসবেও না,,,, এভাবেই ভালোবাসবো সারাজীবন,,,,)

খালামুনিঃ কী রে বাসায় আসলি কখন,,,,?
নিশিতাঃ এই তো একটু আগেই,,,, মাথা ব্যাথা করছিলো তাই রুমে গিয়েছিলাম,,,,
খালামুনিঃ এখন কমেছে মাথা ব্যাথা,,,,?
নিশিতাঃ একটু কমেছে,,,, তুমি খাবারটা খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি,,,,
মেডিসিন আছে আবার,,,,
খালামুনিঃ হুম দে,,,,আজ মশলা বেশি হয়েছে,,,,
(খাবার মুখে দিয়ে,,,)
নিশিতাঃ ওহ্,,, সরি আমি আন্টিকে বলে যেতে ভুলে গিয়েছিলাম খাবারে মশলা কম দিতে,,,
এখন তো আবার খাবার বানাতে গেলে মেডিসিন নিতে লেট হয়ে যাবে,,, তুমি এখন কষ্ট করে খেয়ে নাও,,, আমি রাতে করে দিবো,,,
খালামুনিঃ ঠিক আছে,,,

নিশিতাঃ খালামুনি একটা কথা ছিলো,,,,
খালামুনিঃ কী কথা,,,,?
নিশিতাঃ বলছিলাম যে,,,, বর্ষণ ভাইয়ার তো বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে,,,,
উনার বিয়ের কথা কিছু চিন্তা করলে না,,,,?(খালামুনি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকালো,,,) ভয় নেই,,,,
তুমি বিয়ে ঠিক করো আমি বিয়ের আগেই ঠিক চলে যাবো,,,
আমার জন্য আর কোনো অমঙ্গল হবে না,,,, এমনই আর বেশিদিন নেই,,,, আর প্রয়োজন হলে আগেই চলে যাবো,,,,
খালামুনিঃ হুম,,,,, তোর খালুজানের সাথে কথা বলবো এই বিষয়ে,,,
(গম্ভীর গলায়)

নিশিতাঃ(খালামুনিকে মেডিসিন দিয়ে নিজের রুমে চলে এলাম,,,,
খাবার খেতে ইচ্ছে করছে না,,, আচ্ছা কোনোভাবে যদি পার্কের ঐ মেয়ের সাথে বিয়ে দেওয়া যায়,,,
তাহলে একজন অন্তত তার ভালোবাসার মানুষকে পাবে,,,, কিন্তু কীভাবে পাবো ঐ মেয়েকে,,,?)
ইকরাঃ এরপর কী হলো,,,,?
সুজনঃ(মেয়েটার দিকে তাকালাম,,,, চোখদুটো টলমল করছে পানিতে,,,
না না এটা বর্ষণ ভাইয়ার প্রত্যাখ্যানের জন্য নয়,,,,,
একটা অপয়া মেয়ের জীবনী শুনে,,, অপয়া মেয়েটা আর কেউ নয় নিশু,,,,,)
আমার যতটুকু জানা ছিলো ততটুকু বললাম,,,,
এর বাইরেও অনেক গল্প আছে যা আমার অজানা,,,,
একটু আগে বললেন না দেখা হলে না জানি কী করবেন,,,?
কিছু করার আগে নাহয় তাকেই বাকি গল্পটা জিজ্ঞেস করিয়েন,,,।(মুচকি হেঁসে)
ইকরাঃ আ,,,আপনি এতোক্ষণ নিশিতার কথা বলছিলেন,,,?
সুজনঃ জী,,,,

ইকরাঃ ছি,,,, নিজের ওপর ঘেন্না হচ্ছে,,,
না জেনে এতোদিন মেয়েটাকে কতো বাজেই না মনে করেছি,, কতো বাজে কথাও বলেছি,,,
উনার সাথে যোগাযোগ করা যাবে প্লিজ,,,
একবার সরি বলতাম,,,,।
চলবে,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com