Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -১০

– তুমি একটা দুষ্টু,
যাও কথা বলতাম না তোমার সাথে। ও হাসতে হাসতে বলে..
– বাহিরে যে ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে শুয়ে পরো আমার সাথে। তখন ও খেয়াল করে দেখে,
মিম সোফার কোণে লুকিয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। ইমান ওর কাছে এসে দেখে,
যে ফেসবুকে এক দম্পতির হানিমুনের ছবি দেখে কাঁদছে। ইমান ওর হাত থেকে ফোন টা কেড়ে নিয়ে বলে..
– যে চলে গেছে তাকে নিয়ে ভেবে কি হবে? ও চোখের জল মুছতে মুছতে বলে..
– তুমি বুঝবেনা ভাইয়া কেমন লাগে?
যাই হোক,
আমি একটু আসি পরে কথা বলছি তোমার সাথে৷ ইমান ওকে জোর করে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বলে..
– আমার অবাধ্য হলে মারবো তোমাকে। তখন রুহানের ফোন আসে মিমের কাছে। ও কথায় কথায় বলে..
– ভাইয়া খুব ভালো মানুষ,তবে প্রকাশ করে না সবার কাছে।
– আমি তো আগেই বলেছিলাম তোকে। আচ্ছা রাখি একটু সাবধানে থাকিস আর বাড়ির বাহিরে যাস না ঠিক আছে?
হঠাৎ ইমান এসে আবারো ফোন টা কেড়ে নেয় ওর হাত থেকে। চোখ রাঙিয়ে বলে..
– বিছানায় গিয়ে শুতে। সকালে ইমান ঘুম থেকে উঠে দেখে,
মিম লেপ্টে আছে ওর বুকের সাথে। ও ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে মেয়ে টা এখনো ঘুমিয়ে আছে। অনেক টানাটানির পরে ও উঠলো না বিছানা থেকে বরং ঘুম ঘুম চোখে ওর হাত টেনে ধরে বলে..
– তুমি ও শুয়ে পরো আমার কাছে। ঠিক তখন ইমানের মাথায় দুষ্টবুদ্ধি আসে। কিছুক্ষণ পর ও আলতো করে চুমু খায় মিমের ঠোঁটে। ও চোখ খুলে দেখে,
ও আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরেছে ইমান কে আর ইমান নেশাগ্রস্তের মতো চুমু খাচ্ছে ওর ঠোঁটে। তারপর ওর কপালে চুমু খেয়ে বলে..
– গুড মর্নিং,
মর্নিং কিস দিলাম তোমাকে। ও মুখ চুন করে তাকিয়ে আছে মেঝের দিকে। ইমান কোলে তুলে বাথরুমে নিয়ে আসে ওকে। হঠাৎ ফোন বেজে উঠতেই বলে..
– তুমি ফ্রেশ হয়ে আসো,
ডক্টর ফোন করেছে অস্ট্রেলিয়া থেকে। ও গোসল করার পরে আয়নায় তাকিয়ে আছে নিজের দিকে। তারপর লজ্জায় চোখ সরিয়ে নেয় নিজের ওপর থেকে। বাহিরে এসে দেখে,
প্রচন্ড ঝড়বৃষ্টিতে গাছপালা ভেঙে গেছে। ইমান ওর হাতে একটা বাটি দিয়ে বলে..
– চাওমিন টা খেয়ে দেখো তো কেমন হয়েছে?
– খুব ভালো,রান্না জানো?
– হ্যা বাবা শিখিয়েছে এখন চলো আমার সাথে।
– কোথায় নিয়ে যাচ্ছ আমাকে?
– এতো কৌতূহল কেন তোমার গেলেই দেখতে পাবে। ও ইমানের সাথে চলে আসে মিরপুর চৌদ্দ তে। মাহির সাহেব বেশ অবাক হয়েছে মেয়েকে খান বাড়িতে দেখে,
মিম দোতলার সিঁড়ি বেয়ে কাছের ঘর টায় ঢুকে দেখে,
একজন মাঝবয়সী লোক শুয়ে আছে বিছানাতে। দু’জন নার্স মিমের উদ্দেশ্য বলে..
– ম্যাম আপনাকে বাহিরের জামা-কাপড় ছেড়ে আসতে হবে। ও কোনো কথা বলে..
– ফ্রেশ হয়ে এসে বসে ইফতি সাহেবের পাশে। সে ছেলের কাছে চোখের ইশারার জানতে চায় মেয়ে টা কে?
রুহান ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বলে..
– বড় বাবা আমার বেস্টি,
বলেছিলাম তোমাকে। ইফতি সাহেব তটস্থ হয়ে ইমানকে কিছু বোঝাতে চাইলে। মিম তার কপালে হাত রেখে বলে..
– ব্যস্ত হতে হবে না আঙ্কেল ঠিক আছে? আপনি ধরে নিন না হয় আমি এই বাড়ির মেয়ে?

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com