পরিবর্তন
এই যে মিস্টার ভাব ওয়ালা কানে কম শুনেন নাকি,
কখন থেকে যে ডেকে যাচ্ছি শুনতে পান না.?
ভার্সিটি শেষে হেটে হেটে বাড়ি ফিরছিল তামিম,
এমন সময় হঠাৎ একটা মেয়েলি কণ্ঠে কেউ একজন কথাটা বললো।।
পিছনে না তাকিয়েই দাড়িয়ে পরলো সে, কারণ সে জানে মেয়েটা কে।।
জান্নাতঃ যাক তাহলে এতক্ষণে আমার কথাগুলো আপনার কানে পৌঁছেছে।।
তা আপনি সামনে তাকিয়ে আছেন কেন.? আমার দিকে তাকান (মেয়েটা আমার কাছে এসে)।।
তামিমঃ কীসের জন্য ডাকছিলেন এতক্ষণ বলেন.?
জান্নাতঃ আগে আমার দিকে তাকান তারপর বলছি।।
তামিমঃ এবার পিছনে ফিরে মাথাটা নিচু করে বললো, এবার বলেন কি বলবেন.?
জান্নাতঃ আচ্ছা আপনার সমস্যাটা কি বলেন তো.?
আপনাকে আমি আমার দিকে তাকাতে বলছি, কিন্তু আপনি তা না করে মাথা নিচু করে রেখেছেন।।
তামিমঃ কোনো পুরুষ কোনো বেগনা (অপরিচিত) নারীর দিকে তাকাতে পারবে না এটা ইসলামে বলা হয়েছে।। আর আপনি তো আমার জন্য বেগনা নারী, তাই আমি আপনার দিকে তাকাতে পারব না।।
জান্নাতঃ ওমা তাহলে পৃথিবীতে যে কতো ছেলেরা মেয়েদের দিকে তাকিয়ে তাকে, মেয়েদের দেখলেই খারাপ খারাপ কথা বলে, তারা কেন এই কাজ করে যখন ইসলামে বলা হয়েছে যে কোনো পুরুষ কোনো অপরিচিত নারীর দিকে তাকাতে পারবে না।।
তামিমঃ পৃথিবীর সব মানুষ তো আর এক না।। কেউ ভালো, কেউ খারাপ।।
ভালো রাস্তায় চলতে তাদের ভালো লাগে না।।
তাই খারাপ রাস্তায় গিয়ে তাদের মধ্যে এমন আচরণ ফুঠে উঠেছে।।
জান্নাতঃ তাহলে নারীরাও কি অপরিচিত পুরুষদের দিকে তাকাতে পারবে না.?
তামিমঃ না পারবে না, নারীদের উচিত নিজেকে সবসময় পর্দার মধ্যে রাখা, রাস্তাঘাটে বের হলে পর্দা করে বের হওয়া।। এতে নারীদের প্রতি পুরুষেরা কম আকৃষ্ট হবে আর উভয়েই গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে।।
কারণ এখনকার অনেক নারীরাই পুরুষদের আকৃষ্ট করার জন্য বাজে বাজে পোশাক পরিধান করে।।
জান্নাতঃ কিছুক্ষণ মুদ্ধ নয়নে তামিমের দিকে তাকিয়ে রইলো।।
তারপর বললো, আচ্ছা যদি কোনো অপরিচিত নারী অথবা পুরুষ একে অপরের দিকে তাকায় তাহলে কি হবে.?
তামিমঃ ভুল করে তাকালে কিছু হবে না।।
আর ইসলামে বলা হয়েছে যে পুরুষেরা যদি ভুল করে নারীদের দিকে তাকিয়ে ফেলে তাহলে তারা যেন সাথে সাথে নিজেদের দৃষ্টি নামিয়ে ফেলে আর ২য় বার যেন ওই নারীর দিকে আর না তাকায়।।
আর নারীদের বিষয়ও কিছুটা এমনই, মেয়েরা শুধু কয়েকজনের সাথেই কথা বলতে পারবে যাদেরকে মাহরাম বলে।। আর যাদের সাথে কথা বলতে পারবে না তাদেরকে গায়রে মাহরাম বলে।।
জান্নাতঃ এ ছাড়া কারও সাথে কথা বলা যাবে না.?
তামিমঃ হে যাবে তবে খুব বেশি জরুরি কথা হলে বলা যাবে, তা না হলে কথা বলা যাবে না।।
আচ্ছা আপনি আমায় ডাকছিলেন কেন বলেন.?
জান্নাতঃ আপনার সাথে একটু বলবো তাই।।
তামিমঃ কথাগুলো কি খুব বেশি জরুরি.?
জান্নাতঃ হে না মানে তেমন জরুরি না।।
তামিমঃ ওকে তাহলে ভালো থাকবেন, আল্লাহ হাফিজ।।
জান্নাতঃ আরে আরে আমার কথা তো শুনে যান, যাহ চলেই গেল।।
ছেলেটা সত্যিই অদ্ভুত।।
আজকাল এমন ছেলে কোথাও খুজলেও মিলবে না।।
কি সুন্দর তার কথাবার্তা, কি সুন্দর তার চলাফেরা,
দেখতেও কোনো হিরোর চেয়েও কম না।।
দুরর এ আমি কি ভাবছি, ব্যাটা আস্ত একটা খাটাশ।।
কত্তো বড় সাহস আমার কথা না শুনেই চলে যায়।।
আমি ডাকলে একবার ফিরেও তাকায় না।।
মনে হয় উনি কোনো সেলেব্রিটি, কি ভাব নিয়ে চলাফেরা করেন উনি।।
তামিমের উপর রাগ ঝাড়তে ঝাড়তে জান্নাতও বাসায় চলে গেল।।
গল্পের আসল চরিত্রের নাম হলো তামিম, তাকে ঘিরেই পুরো গল্পটা।।
তার পুরো নাম তামিম আহমেদ।।
মা-বাবার একমাত্র সন্তান সে।।
এইবার অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ছে।।
ভার্সিটিতে পড়াশোনা করলেও সে অন্য ১০ টা ছেলের মতো চলাফেরা করে না।।
সে কিছুটা মাদ্রাসার ছাত্রদের মতো চলাফেরা করে।।
ভার্সিটি হোক আর বাসায় হোক তার মাথায় সবসময় টুপি থাকে।।
মাথায় টুপি রাখা নবিজীর সুন্নত।।
আর তাই সে মাথায় সবসময় টুপি রাখে।।
সেভ না করলেও তার মুখে ছোট ছোট দাড়ি রয়েছে, যার কারণে তাকে অনেক সুন্দর লাগে।।
আর মাঝে মধ্যে সে পাঞ্জাবী পরেও ভার্সিটিতে যায়।।
বলতে গেলে তার চলাফেরা একদম সাধারণ মানুষের মতোই।।
আপনারা হয়তো ভাবছেন তার পরিবারের অবস্থা তেমন ভালো না বা তার পরিবার মধ্যবিত্ত।।
তাহলে আপনারা ভুল, তার বাবার নিজের একটা ব্যবসা আছে।।
তার কোনোকিছুর ই অভাব নেই, তারপরও সে চলাফেরা করে একদম সাধারণ মানুষের মতো।।
অপরদিকে জান্নাত হলো তার মা-বাবার একমাত্র আদরের দুলালি।।
সেও অনার্স ৩য় বর্ষে পড়ছে।।
ছোটবেলা থেকেই তার মা-বাবা তাকে অনেক আদর যন্ত করে বড় করেছে কিন্তু ইসলামের বিষয়ে কোনো শিক্ষা দেয়নি যার ফলে ইসলাম সম্পর্কে তার কোনো ধারণাই নেই।।
বাঙালি হয়েও চলাফেরা করে একদম আমেরিকার স্টাইলে।।
মানে সবসময় শার্ট-প্যান্ট পরে থাকে।।
তার মা অবশ্য এইসব পরা দেখতে পারেন না।।
সবসময় শুধু এইসব না পরার জন্য বকাঝকা করেন কিন্তু এইসব কথা তার এক কান দিয়ে ঢুকে অপর কান দিয়ে বেরিয়ে যায়।। বাবার লায় পেয়ে মেয়েটা আজ এমন হয়েছে এটা জান্নাতের মা সারাক্ষণই বলাবলি করেন।।
কিন্তু জান্নাতের বাবা কখনো জান্নাতকে এইসব নিয়ে বকাঝকা করেন না, তাই সে অনেকটাই বিগড়ে গেছে।। দুজনের সম্পর্কে অনেক কিছু বলা হয়েছে এবার গল্পতে আসি।।
তামিম বাসায় এসে তার মায়ের রুমের সামনে গিয়ে দাড়ালো।।
তামিমঃ আসসালামু ওয়ালাইকুম (প্রতিদিন বাহির থেকে বাসায় ফিরলে সে তার মা-বাবাকে সালাম দিয়ে দেখা করে যায়, সালাম দেওয়া সুন্নত)।।
আম্মুঃ ওয়ালাইকুম সালাম, বাবা তুই এসেছিস যা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে আমি তোর জন্য টেবিলে খাবার দিচ্ছি।।
তামিমঃ আচ্ছা আম্মু বলে সে নিজের রুমে চলে আসলো।।
রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে আবার নিচে চলে আসলো।।
এসে টেবিলে খাবার দেখে সে একটা চেয়ার টেনে বসে পরলো (তামিমের মা তামিমের বাবার সাথে খান,
কিন্তু তামিমের বাবা এখনো অফিস থেকে ফিরেন নাই)।।
খাবারের সামনে বসে সে একটা দোয়া পরলো যেটা খাবার সামনে আসলে পরতে হয়
(দোয়াঃ আল্লাহুমা বারিকলানা ফি মা রাজাক্বতানা ওয়া কিনা আজাবান্নার)।।
তারপর খাবার খাওয়ার দোয়া পরে প্লেটের ডান দিক থেকে খাবার খেতে শুরু করলো
(প্লেটের ডান দিক থেকে খাবার খাওয়া শুরু করবেন সবাই, এটা নবিজীর সুন্নত)।।
একটু খাবার খাওয়ার পর তার পানির পিপাসা পেল আর একটা গ্লাস ভর্তি পানির গ্লাস ৩ শ্বাসে খেয়ে নিল
(৩ শ্বাসে পানি খাওয়া সুন্নত)।।
খাওয়া দাওয়া শেষ করে সে শুকরিয়া আদায় করে রুমে চলে আসলো।।
রুমে এসে সোজা বিছানায় গিয়ে শরীরটা এলিয়ে দিল।।
ঘুমানোর জন্য না দুপুরের খাবার খেয়ে বিছানায় শুয়ে একটু গড়াগড়ি করলে ১০০০ হাজার রাকাত নফল নামাযের সওয়াব পাওয়া যায় তাই সে প্রতিদিন দুপুরের খাবার খেয়ে রুমে এসে একটু বিছানায় গড়াগড়ি করে, এটাও নবিজীর সুন্নতের মধ্যেই পরে।।
জান্নাতঃ আম্মু আম্মু (চিল্লাতে চিল্লাতে)।।
মেয়ের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে রাহেলা বেগম (জান্নাতের মা) রুম থেকে বেরিয়ে আসলেন আর বললেন…
জান্নাতের মাঃ কি হয়েছে এইভাবে চিল্লাচ্ছিস কেন.?
জান্নাতঃ আমার খিদে লেগেছে খাবার দাও (রাগী গলায়)।।
জান্নাতের মাঃ এতো রেগে আছিস কেন কি হয়েছে তোর.?
জান্নাতঃ কিছু হয়নি তুমি খাবার দাও।।
জান্নাতের মাঃ আচ্ছা তুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি খাবার দিচ্ছি।।
জান্নাতঃ ফ্রেশ হব না আমি আমার খিদে লেগেছে এক্ষুণি খাবার দাও (রাগে কটমট করে)।।
জান্নাতের মাঃ কি হয়েছে মা তোর এতো রেগে আছিস কেন.? কেউ তোকে কিছু বলেছে.? বল আম্মুর কাছে।।
জান্নাতঃ আব্বু কোথায়.?
জান্নাতের মাঃ তোর আব্বু তো
এইতো আমি এসেগেছি, কি হয়েছে আমার মামনি টার.? (জান্নাতের বাবা আমজাদ চৌধুরী বাসায় ঢুকে বললেন কথাটা)
জান্নাতঃ আব্বু বলে আমজাদ চৌধুকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো।।
জান্নাতের বাবাঃ কি হয়েছে আমার মামনিটার.?
এতো রাগারাগি কেন করছ আম্মুর সাথে।।
জান্নাতঃ ওই ছেলেটার উপর ভিষণ রাগ হচ্ছে, কি ভাবে সে নিজেকে।।
সবসময় ভাব নিয়ে চলাফেরা করে, ভাব ওয়ালা ছেলে (রাগে ফুসফুস করে)।।
জান্নাতের বাবাঃ কার কথা বলছ মামনি.?
জান্নাতঃ আমাদের ভার্সিটিতে একটা ছেলে পরে,
কিন্তু সবসময় হুজুরদের মতো মাথায় টুপি রেখে চলাফেরা করে।।
কেউ যেচে কথা বললেও ভাব দেখায়।।
জান্নাতের বাবাঃ ভালোই তো,
এই বয়সে মাথায় টুপি রাখে তাহলে নিশ্চয় সে খুব আমল ওয়ালা ছেলে।।
এইখানে তোমার রাগ করার কি আছে।।
জান্নাতঃ রাগ করব না তো কি করব,
ছেলেটার সাথে একটু কথা বলতে চাচ্ছিলাম কিন্তু সে আমার সাথে কথাই বললো না উলটা আমায় কিছু জ্ঞান দিয়ে চলে গেল।। খারাপ ছেলে একটা।।
জান্নাতের বাবাঃ এমন করে বলে না মামনি, নিশ্চয় ছেলেটা খুব আল্লাহ ওয়ালা।।
আর তাই কোনো মেয়ের সাথে তেমন কথা বলে না।।
আর এমন টাইপের ছেলেরা খুব ভালো হয়।।
জান্নাতঃ তুমিও এখন ওই ছেলেটার পক্ষ নিয়ে কথা বলছ।।
ধ্যাৎ থাক তোমরা খাবই না আমি (বলেই রাগ দেখিয়ে নিজের রুমে চলে গেল)।।
জান্নাতের মাঃ ছোট থেকে মেয়েটাকে আধুনিকতার মধ্যে দিয়ে বড় করেছ, ইসলামের কোনো শিক্ষাই দেওনি তাই মেয়েটা আজ এমন হয়েছে।।
জান্নাতের বাবাঃ আরে ও এখনো ছোট রয়েছে, আরও বড় হোক দেখবে এমনিতেই সব বুঝে যাবে।।
জান্নাতের মাঃ হে মেয়ের বিয়ের বয়স হয়েগেছে আর উনি বলছেন মেয়েটা নাকি এখনো বড় হয়নি।।
যান গিয়ে আপনার মহারাণীকে নিয়ে আসুন, আমি সবার জন্য খাবার দিচ্ছি।।
তামিমের পরিবার কিছুদিন আগেই এই এলাকায় এসেছে যেখানে জান্নাতরা থাকে।।
তামিমের চলাফেরা দেখে জান্নাত প্রথমে ভেবেছিল ছেলেটা হয়তো মাদ্রাসায় পরে।।
কিন্তু তা ভুল প্রমাণ হলো যেদিন জান্নাত ভার্সিটিতে গিয়ে তার ক্লাসের মধ্যে তামিমকে দেখল।।
বান্ধবীদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো তামিম তাদের সাথেই পরে (জান্নাত কিছুদিন অসুস্থ থাকায় ভার্সিটিতে যেতে পারে নি)।।
ছেলেটাকে দেখলেই জান্নাতের ক্ষেত মনে হতো,
বলতে গেলে জান্নাতের চোখের কাটা ছিল তামিম।।
কিন্তু সে যখন দেখল তামিম ভার্সিটিতে তার কয়েকটা বন্ধু ছাড়া,
অন্য কারও সাথে কথা বলে না, এমনকি কোনো মেয়ের দিকে মাথা তুলে তাকায়ও না
সবসময় মাথা নিচু করে রাখে তখন সে তামিমের প্রতি অবাক হয়ে যায়।।
কারণ সে আজ পর্যন্ত এমন ছেলে আগে কখনো দেখে নি।।
ভার্সিটির টপ সুন্দরীদের মধ্যে জান্নাত একজন।।
প্রতিদিনই অনেক ছেলেরা তাকে প্রেমের প্রপোজাল দেয় কিন্তু সে কারও সাথেই প্রেম করে না।।
তার এইসব ভালো লাগে না।।
ভার্সিটির সব ছেলেরাই জান্নাতের সাথে কথা বলতে চায় কিন্তু
সে কারও সাথে তেমন কথা বলে না নিজের বান্ধবীদের ছাড়া।।
বলতে গেলে পুরো ভার্সিটির ছেলেদের ক্রাশ জান্নাত।।
আর তামিম কি না তার দিকে এখনো পর্যন্ত তাকায়ও নি।।
তাই জান্নাত প্রতিদিন তামিমের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে,
কিন্তু তামিম ওর সাথে কোনো ভাবেই কথা বলতে চায় না।।
জান্নাত মনে মনে ভাবলো ছেলেটার খুব ভাব বেড়েছে দেখছি।।
তাই সে আজকে ভার্সিটি ছুটির পর তামিমের পিছু নেয়।।
আর মাঝ রাস্তায় এসেই তামিমকে ডাকতে থাকে।।
প্রথমে তামিম জান্নাতের আওয়াজ না শুনলেও
পরে ঠিকই শুনতে পেয়েছে যখন জান্নাত তার কাছে এসে তাকে ডাক দেয়।।
তারপর কি হলো আপনারা তো জানলেনই।।
জান্নাতঃ ছেলেটাকে নিয়ে আমি এতো ভাবছি কেন.?
ছেলেটাকে তো আমার সহ্যই হতো না প্রথমে,
কিন্তু কিছুদিন ধরে কেন জানি ওই ছেলেকে নিয়ে খুব ভাবছি আমি কিন্তু কেন.?
ওইদিন রিমি (জান্নাতের বান্ধবী) বলেছিল আমি নাকি কেমন হয়ে যাচ্ছি,
আমার মধ্যে নাকি কিছুটা পরিবর্তন এসেগেছে।।
কিন্তু কীসের পরিবর্তন আর কেনই বা রিমি আমায় এ কথা বললো.?
তাহলে কি সত্যিই আমার মধ্যে পরিবর্তন ঘটেছে.?
চলবে……..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com