Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -১২

তোমার সব কাজ শেষ এখন আসতে পারো এখান থেকে জানি না যতসব আর্বজনা কোথা থেকে চলে আসে? সামিনা হনহন করে বেড়িয়ে যায় বাড়ি থেকে। মিম ইফতি সাহেব কে খাইয়ে এসে ইমানকে জিজ্ঞেস করে,
তুমি এমন করলে কেন আপুটার সাথে? তুমি না বুঝলে ও,আমি বুঝি ও ভালোবাসে তোমাকে।
– তবে আমি তো ভালোবাসি না ওকে। জোর করে কি ভালোবাসা হয় বলো আমাকে? ও আমার বন্ধু এটাই মূখ্য ভূমিকা রাখে আমার কাছে আর আমি কখনো সেই নজরে দেখিনি ওকে। যাগগে বাদদেও,
কিছু বলতে এসেছ আমাকে?
– তুমি তো শাকসবজি পছন্দ করো না,তাই এই মিট সুপ টা খেয়ে নাও ঠিক আছে? আমি একটু গেলাম আঙ্কেলের কাছে। ইমান সুপ খেতে খেতে ইফতি সাহেবের ঘরে এসে দেখে,
মিম খবরের কাগজ পড়ে শোনাচ্ছে তাকে এবং ইফতি সাহেব আস্তে আস্তে তার ডান হাট টা তুলে ধরার চেষ্টা করছে ওকে। মিম সাথেসাথে পেপার টা রেখে তার হাত ধরে জিজ্ঞেস করে,
কি হয়েছে? ইমান ওর কাঁধে হাত রেখে বলে..
– ভয় পাচ্ছ কেন? বাবা একটু আদর করতে চাইছে তোমাকে। ও ইফতি সাহেবের হাত দুটো নিজের গালে ছুঁয়ে বলে..
– এবার ঠিক আছে? উনি দু’বার চোখের পাতা ফেলে হ্যা সূচক উত্তর দেয় ওকে আর ও হাসতে হাসতে বলে..
– জানো,
তুমি ভয় পাইয়ে দিয়েছিলে আমাকে? ইমান ওর হাত ধরে বলে..
– কতবার বলতে হবে আমি আছি তোমার সাথে? রাতে বাবার জন্যে একটা পার্টি রেখেছি আসবে তাতে? রুহান এসে ওকে বলে..
– ভাই একটু আসো কিছু কথা আছে তোমার সাথে।
– হ্যা বল ভাই কি হয়েছে?
– তুমি আমার ভাবির প্রেমে পরেছ সেটা কেন বলনি আগে? আধঘন্টা চুমু খেয়েছ খবর আছে আমার কাছে।
– আরে বোকা ছেলে কে বলেছে তোকে?
– রুহান ওর নিজের ফোন টা ধরিয়ে দেয় ইমানের হাতে। ও ভিডিও টা দেখে বলে..
– ব্যাপার না মানে ভুল হয়ে গেছে। আসলে ঘুমলে দেখতে খুব মিষ্টি লাগে ওকে।
– এরপর তো পেটে বাচ্চা এলে বলবে তুমি না তোমার ভূতে করে গেছে।
দেখো ভাইয়া,
আমি অতশত কিছু বুঝিনা তোমার ভরসায় রেখেছি ওকে। যদি তুমি কখনো সত্যি সত্যি ভালোবেসে থাকো ওকে,
তাহলে অন্তত তোমার স্ত্রী ও সন্তানের মা হওয়ার মর্যাদা টুকু দিয়ো ওকে। তুমি তো জানো যাওয়ার জায়গা নেই ওর কাছে আর যাই করো প্লিজ কখনো অসম্মান করো না ওকে। ইমান শান্ত ভাবে তাকিয়ে আছে ওর দিকে,ও রুহানের হাত ধরে বলে..
– ভরসা হচ্ছে না আমাকে? তুই বিয়ে টা করেনে না ওকে?
– তুমি ভালো করে জানো ভাইয়া,
আমার অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক আছে। আমি পারবোনা ওকে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিতে।
ইমান ভাবতে পারছেনা ওর ছোটো ভাই টা এতো বড় হয়ে গেছে? রাতে বাংলাদেশ বিজনেস এ্যাশোসিয়েশন থেকে লোক এসেছে ইফতি সাহেবকে দেখতে। রুহান ইমানকে খোঁচা মেরে বলে..
– দেখতো কে এসেছে? মিম কে সাদা হাফ সিল্ক হ্যান্ডেপেইন্ডেড শাড়ি তে দেখে ইমানের চোখ ধাঁধিয়ে গেছে। রোদ্দুর মিশকা কে বলে..
– তোমার বোনের কপাল আছে ইমান রক্ষিতা করে রেখেছে ওকে? ও সাথেসাথে এসে সাঁটিয়ে চড় মারে ওকে মৃদু হেসে বলে..
– নিজের মতো মনে করো আমাকে?
চলবে….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com