Breaking News

কালো বউ । পর্ব -১৮



তমসাঃ (রবিন আঙ্কেলকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার চার দিন পর,,, এই চারদিনে উনার সাথে আমার বেশ ভাব হয়ে গেছে,,,, রুপক স্যার বাইরের দেশের বিভিন্ন বড় বড় ডক্টরদের সাথে কথা বলছেন আর আঙ্কেলের রিপোর্ট পাঠাচ্ছেন,,,, কিন্তু কেউ আশা দিতে পারছে না,,, আঙ্কেলের কন্ডিশন হাতের বাইরে চলে গেছে,,, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা,,,, এই কয়দিনে স্যারকে যতটুকু চিনেছি সে খুব শক্ত একজন মানুষ,,, কিন্তু সব দিক থেকে নেগেটিভ খবর শুনে একটু একটু করে ভেঙে পড়তে শুরু করেছে,,, আজ স্যার অফিসে জাননি ,,, তাই কিছু ফাইল নিয়ে স্যারের বাসায় চলে এসেছি সাইন নিতে,,, যদিও আজ প্রথম এলাম না এই বাসায়,,,, সকাল বিকাল আসা হয় আঙ্কেলের সাথে দেখা করতে,,, কেমন একটা মায়া পরে গেছে আঙ্কেলের ওপর,,,, বাসায় ঢুকতেই দেখি আঙ্কেল গার্ডেনে বসে আছে,,, সাথে একজন সার্ভেন্ট,,, নিজে চলাফেরা করতে পারেন না এখন,,, হুইলচেয়ারই উনার সঙ্গী,,,, ধীর পায়ে আঙ্কেলের কাছে চলে গেলাম,,,)
রবিনঃ আরে তমসা মামুনি যে,,, কখন এলে,,,।
তমসাঃ এই তো আঙ্কেল,,, এখন আপনি গার্ডেনে কী করছেন,,, আপনি না অসুস্থ,,,?
রবিনঃ হসপিটালে দম বন্ধ হয়ে আসে,,, তাই রুপককে অনেক বুঝিয়ে বাড়ি চলে এসেছি,,, কিন্তু লাভটা কী হলো বলো তো,,,, এখন বাড়িটাকেই হসপিটাল বানিয়ে ফেলেছে,,,, ডক্টর,,, নার্স,,, কী একটা অবস্থা,,,? রুপক বাইরে গেছে তাই একটু খোলা আকাশের নিচে শ্বাস নিতে এলাম,,,
তমসাঃ আঙ্কেল এসব তো আপনার জন্যই করছেন স্যার,,,,
রবিনঃ সে ও যায় করুক,,,, আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে,,,, জীবনের শেষ ইচ্ছে ছিলো ছেলেটার মুখে বাবা ডাক শোনার,,, সেটা পূরণ হয়ে গেছে,,, এখন রুপের কাছে চলে যেতে পারলেই খুশি,,,, শুধু ছেলেটার জন্য চিন্তা হয়,,, আমি চলে গেলে একদম একা হয়ে যাবে,,,
তমসাঃ আপনি এসব বাজে চিন্তা মাথায় কেনো আনছেন,,,? আপনার কিছু হবে না,,,
রুপকঃ তুমি এখানে কী করছো,,,?(গম্ভীর গলায়)
তমসাঃ(স্যারের গলা শুনে পেছন ফিরে তাকালাম,,,, স্যার এখন তুমি করেই বলে আমার সাথে,,) আ,,আপনার কয়েকটা সাইন লাগবে,,, আর্জেন্ট,, আপনি অফিস আসেননি তাই আমিই চলে এলাম,,, এগুলো আবার ইমেইল করে পাঠাতে হবে ক্লাইন্ডদের কাছে,,,,
রুপকঃ ওকে,,, সুইমিংপুলের ওদিকে ওয়েট করো আমি আসছি,,,,,
তমসাঃ ওকে,,,(আমি পুলের দিকে চলে গেলাম)
রুপকঃ বাবা তুমি এখানে কী করছো,,?
রবিনঃ ক,,,কী আর করবো,,? বাসাটাও তো হসপিটাল বানিয়ে ফেলেছিস,,, তাই একটু বাইরে এসেছি,,,।
রুপকঃ জমির বাবাকে ভেতরে নিয়ে যাও,,, বাবা আজ আকাশ আঙ্কেল,,, মামুনি আর বৃষ্টি আসছে একটু পর,,, ওদের সাথে কথা বলো ভালো লাগবে,,,,।
রবিনঃ কখন আসবে,,,,?
রুপকঃ চলে আসবে,,,(পুলের দিকে যেতে যেতে)
রবিনঃ ঠিক আছে,,,, রুপক একটা কথা বলবো,,,?
রুপকঃ (বাবার ডাক শুনে আবার পেছন ফিরে তাকালাম)
কী কথা বলো,,,?
রবিনঃ স,,,সজীবকে একবার দেখতে ইচ্ছে করছে,,,।
রুপকঃ বাবা,,,,(রেগে আর অনেকটা অবাক হয়ে)
রবিনঃ ও যতোই খারাপ হোক,, কিন্তু আমার মায়ের পেটের ভাই,,, জীবনের শেষ সময়ে একবার দেখতে ইচ্ছে করতে পারে না,,,,? চলে যাওয়ার আগে আমার পা ধরে ক্ষমা চেয়েছিলো,,, এতো দিনে হয়তো নিজের ভুল বুঝতে পেরেছে,,,, (অসহায় চোখে তাকিয়ে)
রুপকঃ জমির,,, তুমি বাবাকে ভেতরে নিয়ে যাও,,,
জমিরঃ ওকে স্যার,,,,
রবিনঃ (একটা দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে সামনে তাকালাম,,, রুপকের জেদের কাছে সবসময় আমাকেই হার মানতে হয়,,, এবারও হয়তো তার ব্যতিক্রম হবে না,,,)
তমসাঃ (স্যার গম্ভীর মুখে আমার সামনের চেয়ারে বসলেন,,, পুলের স্বচ্ছ পানির দিকে তাকিয়ে ছিলাম,,, স্যারের উপস্থিতি টের পেয়ে খানিকটা নড়েচড়ে বসলাম,, স্যারের দিকে তাকালাম,,,) স্যার,,,
রুপকঃ হ্যাঁ বলো,,,,
তমসাঃ কিছু ভাবছেন,,,?
রুপকঃ (ক্লান্ত চোখে একবার তমসার দিকে তাকালাম,,, আচ্ছা আমার এমন কেউ নেই কেনো,, যার সাথে প্রাণ খোলে কথা বলতে পারি,,, সব কষ্ট ভাগ করে নিতে পারি,,, তানভীর আমার জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়ার পর আর কারো সাথে মনের সব কথা কখনো শেয়ার করতে পারিনি,,, সেই ছোটবেলা থেকে এই বুকের ভেতর কথাগুলো জমতে জমতে পাহাড় সমান হয়ে গেছে,,, ক্লান্ত হয়ে গেছি আমি,,,, খুব ইচ্ছে করে কারো সাথে সব কষ্ট ভাগ করে নিতে,,,, কিন্তু পেরে উঠি না,,, গলায় এসে কেমন আঁটকে যায়,,)
তমসাঃ স,,,স্যার কিছু বলবেন,,,,? ( এ কেমন অসহায় দৃষ্টি,,,, এই দৃষ্টিতে কখনো স্যারকে তাকাতে দেখিনি,,, যেনো কতো কষ্ট জমে আছে এই চোখের ভাষায়,,, কতো কথা বলতে চাইছে এই চোখ,,,)
রুপকঃ ক,,কিছু না,,, ফাইলগুলো দাও আমি সাইন করে দিচ্ছি,,, কয়েকটা দিন আমি অফিস যাবো,,,, তুমি সামলে নিয়ো,,, আমি ম্যানেজারের সাথে কথা বলছি সে তোমাকে হেল্প করবে,,, সাইনের প্রয়োজন হলে বাসায় এসে নিয়ে যেও,, (সাইন করতে করতে)
তমসাঃ ওকে স্যার,,,
রুপকঃ তাহলে তুমি এখন যাও,,,(ফাইলগুলো তমসার দিলে এগিয়ে দিয়ে,,,)
তমসাঃ (ফাইলগুলো হাতে নিতেই স্যার ওঠে দাঁড়ালেন,,,, সবসময় যতোটুকু প্রয়োজন তার থেকে একটা কথাও স্যার বেশি বলতে রাজি নন,,,) স্যার,,,,?
রুপকঃ কিছু বলবে,,,?
তমসাঃ কখনো যদি কিছু শেয়ার করতে ইচ্ছে হয়,,, বন্ধু ভেবে শেয়ার করতে পারেন,,
রুপকঃ সরি,,? (ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে)
তমসাঃ ক,,,কিছু না স্যার,,, আমি আসছি,,,(স্যারের উত্তরের অপেক্ষা না করে উনার সামনে থেকে চলে এলাম)
***
ক্রিংক্রিংক্রিং
সিনহাঃ মহা ঝামেলা তো,,,, এই লোকের কী খেয়েদেয়ে আর কাজ নেই,,,? এতো নাম্বার পায় কই,,, প্রতিদিন কোন না কোন নতুন নাম্বার থেকে বিরক্ত করেই যাচ্ছে,,, হ্যালো,,,,,?
ইশানঃ কী করছো,,,?
সিনহাঃ ছেলেটা কাঁদছিলো তো,,, তাই খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম,,,,
ইশানঃ ও মাই গড,,,, আমি তো কিছু করলামই না,,, আর বাবা হয়ে গেলাম,,?
সিনহাঃ এই,,,, একদম বাজে কথা বলবেন না,,, আপনি আমার ছেলের বাবা হবেন কেনো,,,? আপনি কে বলুন তো,,? আজ কতগুলো দিন ধরে জ্বালিয়ে মারছেন,,,। আর কোনো কাজ নেই আপনার,,,?
ইশানঃ অনেক কাজ আছে,, তবে তোমার থেকে ইম্পরট্যান্ট না,,, সব পরে করে নিবো,,,,
সিনহাঃ আপনি একটা অসয্য লোক,,,, আমি কিন্তু আমার ভাইয়ার কাছে বলে দিবো,,,
ইশানঃ এই বলো না প্লিজ ,,, আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম,,,,
সিনহাঃ মজা করছি না কিন্তু,,,, আমি সত্যি সত্যি বলে দিবো,,,
ইশানঃ বলার হলে এতোদিনে বলে দিতে,,,
সিনহাঃ (বলেই দিতাম বজ্জাত ছেলে,,,, কিন্তু ভাইয়াকে বললে এর উল্টো ফল হবে,,, সব দোষ আমাকেই দিবে ভাইয়া,,, বলবে আমার কোনো বোকামির জন্য সব হয়েছে,,, কান্না করতে ইচ্ছে করছে আমার এখন,,,,)
তমসাঃ সিনহা,,,,,,,
সিনহাঃ হ্যাঁ আপু,,, আসছি,,,(ফোন কেটে তাড়াতাড়ি ড্রয়িংরুমে গিয়ে দেখি আপু সোফায় বসে কপালের ওপর হাত দিয়ে বসে আছে,,,) কী হয়েছে আপু,,,?
তমসাঃ মাথাটা খুব ব্যাথা করছে,,, এক গ্লাস ঠান্ডা পানি দে তো,,৷
সিনহাঃ তুই বস আমি এখনই আনছি,,,(ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা পানি নিয়ে আপুকে দিলাম,,,,)
তমসাঃ (পানিটা ঢকঢক করে খেয়ে নিলাম,,,,)
সিনহাঃ আরাফাত ভাইয়া কল দিয়েছিলো,,,
তমসাঃ (গ্লাসটা হাতে নিয়েই সিনহার দিকে তাকালাম,,,) কেনো,,,?
সিনহাঃ অফিস গেলে তুই ভাইয়ার কল কেনো রিসিভ করিস না,,,। তোকে না পেলেই আমাকে কল করে,,,।
তমসাঃ জবের এখনো একমাস হয়নি আমার,,,, আরাফাতের কল রিসিভ করলে তার হাজারটা প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমি ক্লান্ত হয়ে যায়,,,,, কী করছি,,, কার সাথে আছি,,, স্যারের কেবিনে যেনো বেশি না যায়,,,, কখন কোথায় যাচ্ছি,,,, তার হাজারটা প্রশ্ন,,, এতো সময় নিয়ে তার সাথে কথা বললে জবটা কী থাকবে আমার,,,?
সিনহাঃ রিলাক্স,,,, এমনই তোর মাথা ব্যাথা করছে,,, এতো উত্তেজিত হলে আরো ব্যাথা বাড়বে,,,।
তমসাঃ আমার ভয় করছে সিনহা,,,,। আরাফাত আমাকে সন্দেহ করে,,, বিশ্বাস করতে পারে না,,,, ওর সাথে আমি সারাজীবন কাটাতে পারবো তো,,,?
সিনহাঃ এসব কী বলছিস আপু,,,? ভাইয়া তোকে বেশি ভালোবাসে তাই তোকে হারানোর ভয় পায়,,,,।
তমসাঃ জানি না কিছু আমি,,,। ও আমাকে হারানোর ভয় পাচ্ছে,,,, আর আমি ওকে ভয় পেতে শুরু করেছি,,,, ওর কল দেখলেই আমি চমকে উঠি,,,, না জানি কতো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে,,,।
সিনহাঃ এসব এখন বাদ দে,,,তুই শাওয়ার নিয়ে আয়,,, মাথা ব্যাথা কমবে,,,, আমি মাকে বলছি তোর খাবার দিতে,,,।
তমসাঃ ঠিক আছে,,, ভাইয়া এসেছে,,,?
সিনহাঃ না চলে আসবে,,, তুই শাওয়ার নিয়ে আয়,,,।
তমসাঃ ভাইয়া আসলে ডাকিস,,, একসাথে খাবো।
সিনহাঃ ঠিক আছে,,,।
***
রুপকঃ বাবা,,, অনেক গল্প করে নিয়েছো,,, এখন যাও ঘুমিয়ে পড়ো দিয়ে,,, মেডিসিনও দিয়ে দেওয়া হয়েছে তোমাকে,,,, রাতজাগা একদম ঠিক নয় তোমার,,,
রবিনঃ প্রতিদিনই তো ঘুমিয়েই পড়ি,,, আজ একটু গল্প করি না আকাশের সাথে,,, অনেকদিন আড্ডা দেওয়া হয় না,,,,,
আকাশঃ এতোক্ষণ তো আড্ডা দিলাম,,, তুই গিয়ে ঘুমিয়ে পড়,,,,
রবিনঃ একটু পর যায় না,,,,
রুপকঃ কিন্তু,,,
মেঘলাঃ আর একটু থাক না ভাইয়া,,,, কিছু হবে না,,,
রুপকঃ ওকে,,, তুমি যখন বলছো তাহলে থাক,,,,
মেঘলাঃ ( ভালোবাসা কী সত্যি মানুষকে এভাবে শেষ করে দিতে পারে,,,,? রবিন ভাইয়া আর উনি ফ্রেন্ড ছিলেন,,, কিন্তু আজ ভাইয়াকে দেখে মনে হচ্ছে উনার থেকে দশ পনেরো বছরের বড় হবে,,,,। কেমন বুড়িয়ে গেছে,,, মাথার চুলগুলো ফেলে দেওয়ায় আরো কেমন যেনো লাগছে,,,, আচ্ছা আজ যদি রুপ আপু ভাইয়ার পাশে থাকতো তবু কী এমন হয়ে যেতো রবিন ভাইয়ার জীবন,,,? নাকি আমাদের মতো একটা সুখী পরিবার হতো,,,,?)
আকাশঃ কী ভাবছো,,,?
মেঘলাঃ ক,,,কিছু না,,,
আকাশঃ ওহ্,,,, আচ্ছা রুপক ডক্টররা কোনো আাশা দিতে পারছে,,,?
রুপকঃ না আঙ্কেল,,,, সব জায়গা থেকে নেগেটিভ নিউজ,,, এদিকে বাবার কন্ডিশনও খারাপ হচ্ছে,,,।
আকাশঃ আমিও চেষ্টা করে দেখছি,,,,
রুপকঃ হুম,,,,মামুনি তোমরাও গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো,,, অনেক রাত হয়েছে,,,
আকাশঃ না রুপক আমাদের যেতে হবে,,, এখনই বেড়িয়ে পড়বো,,,
রুপকঃ কী বলছেন আঙ্কেল,,,?
মেঘলাঃ রবিন ভাইয়া কোথায় গেলেন,,,?
রুপকঃ তোমার সামনেই তো রুমে গেলো একটু আগে ,,,, ঘুমের মেডিসিন দেওয়া হয়েছে তো,,,, সেটার জন্য ঘুমাতে চলে গেলো,,,,, কিন্তু তোমরা চলে যাবে কেনো,,,? বৃষ্টিও তো ঘুমিয়ে পড়েছে,,,।
আকাশঃ অফিসের কিছু কাজ আছে,,,, ঘুমানোর আগে ফাইলগুলো চেক করতে হবে,,,, বৃষ্টি সকালে চলে আসবে,,,, এখন উঠি,,,
রুপকঃ তোমরা তো গার্ডও আনোনি,,,, এতোরাতে যাবে কীভাবে,,,,?
আকাশঃ আরে কিছু হবে না,,, চলে যাবো,,,
রুপকঃ এক মিনিট,,,, জমির,,,,?
জমিরঃ জী স্যার,,,,?
রুপকঃ মামুনি আর আঙ্কেলকে বাসায় দিয়ে আসো,,, অন্য কাউকে পাঠিয়ো না,,, তুমিই যাও,,,
জমিরঃ ওকে স্যার,,,,।
মেঘলাঃ আসছি তাহলে বাবা,,,,,(রুপকের কপালে চুমু দিয়ে,,,,)
রুপকঃ (মামুনিরা চলে গেলে বাবার রুমে গেলাম,,, চাদরটা টেনে গিয়ে মাথার পাশে বসে কপালে হাত রাখলাম,,, আর বাবা হাতটা ধরে নিজের বুকের ওপর রাখলো) ঘুমাও নি,,,?
রবিনঃ ঘুমিয়েছিলাম,,, ভেঙে গেলো,,,
রুপকঃ ওহ্,,, ঘুমাও আবার,,,,
রবিনঃ রুপক একটা গল্প শুনবি,,,,?
রুপকঃ কীসের গল্প,,,,?
রবিনঃ আমার আর তোর মায়ের গল্প,,,,
রুপকঃ ক,,,,
রবিনঃ কোন কথা বলবি না,, আজ তোকে শুনতেই হবে,,।
রুপকঃ ঠিক আছে বলো।
চলবে,,

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com