Breaking News

তুই আমারি থাকবি

একটা অন্ধকার রুমের মধ্যে হাত-পা বাধাঁ অবস্থায় চেয়ারের উপর বসে আছে মায়া।। কিছুক্ষণ আগেই তাকে কিডন্যাপ করে এইখানে আনা হয়েছে।। তাকে এইখানে কে এনেছে এটা সে ভালো করেই জানে, কিন্তু কেন আনা হয়েছে এটা সে বুঝতে পারছে না।। সে এখন কোথায় আছে এটাও বুঝতে পারছে না।। কারণ কিডন্যাপের সময় তাকে অজ্ঞান করে আনা হয়েছে তাই সে বুঝতে পারছে না এখন সে কোথায় আছে।। তাকে এইখানে কেন আনা হয়েছে, কীসের জন্য আনা হয়েছে এইরকম নানান প্রশ্ন তার মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে ঠিক তখনই রুমের দরজা খুলে কেউ একজন ভিতরে ঢুকলো।

তারপর রুমের লাইট অন করে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো।
এতক্ষণ অন্ধকারে থেকে হুট করে চোখে আলো লাগায় মায়া চোখ বন্ধ করে ফেললো।
কারণ তার চোখে আলোর প্রভাবটা একটু বেশিই লাগছে তাই সে চোখ বন্ধ না করে থাকতে পারলো না।
ছেলেটার বাম হাতে একটা খাবার প্লেট আর ডান হাতে পানির গ্লাস।। ছেলেটা ধীরে ধীরে মায়ার কাছে এসে পাশে থাকা টেবিলের উপর পানির গ্লাসটা রেখে একটা চেয়ার টেনে মায়ার সামনা-সামনি বসে পরলো।

তামিমঃ আমার জানপাখিটার খুব খিদা পেয়েছে বুঝি।
সরি এতক্ষণ রান্না করছিলাম তাই খাবার নিয়ে আসতে একটু দেড়ি হয়ে গেল।।
মায়াঃ এবার আস্তে আস্তে চোখ খুলে সামনে তাকালো আর চেঁচিয়ে উঠে বললো, 
আমাকে এইখানে কেন নিয়ে এসেছেন.? 
আর আমার হাত-পা এইভাবে বেঁধে রেখেছেন কেন.?
তামিমঃ আস্তে আস্তে কথা বল জানপাখি, 
এইখানে তোমার গলার আওয়াজ কেউ শুনতে পাবে না আমি ছাড়া।।
মায়াঃ এবার আরও রেগে গিয়ে বললো, কে জান পাখি হে.?
তামিমঃ কেন তুমি (মুচকি হেসে)।।
মায়াঃ খবরদার আমাকে এইসব নামে ডাকবেন না।
আমার নিজের একটা নাম আছে ইচ্ছা হলে ওই নামে ডাকবেন নাহলে ডাকবেন না।
তামিমঃ আরে জানপাখি তুমি এতো রেগে যাচ্ছ কেন.? 
এটা তো কোনো নাম নয়, এটা তো তোমাকে ভালোবেসে ডাকলাম।।
মায়াঃ ভালোবেসে মানে.! কি বলতে চাচ্ছেন আপনি.?
তামিমঃ থাক এখন এইসব বাদ দাও, তোমার নিশ্চয়ই খুব খিদা পেয়েছে এই দেখ তোমার জন্য আমি নিজ হাতে বিরিয়ানি রান্না করে এনেছি (প্লেটটা মায়ার সামনে এনে)।।
মায়াঃ তো এইসব আমাকে বলছেন কেন.?
তামিমঃ না তোমাকে জানালাম যে তোমার জন্য আমি নিজ হাতে রান্না করে এনেছি।। এবার লক্ষি মেয়ের মতো হা কর তো আমি তোমায় নিজের হাতে খাইয়ে দিচ্ছি।।
মায়াঃ খাব না আমি আপনার খাবার, নিয়ে যান এইসব আমার চোখের সামনে থেকে (চেঁচিয়ে বললো)।।
তামিমঃ আরে জানপাখি এটা তো আমার খাবার না তোমার খাবার।। আর খাবার তো তোমায় খেতেই হবে, এতো কষ্ট করে হাত পুড়িয়ে তোমার জন্য খাবার রান্না করে আনলাম আর তুমি বলছ খাবা না এটা কেমন করে হয়।।

মায়াঃ তামিমের বাম হাতের দিকে তাকাতেই দেখল হাত একটা কাপড়ের টুকরো দিয়ে বাঁধা।। তার মানে উনি সত্যি হাত পুড়েছেন.! দুর এতে আমার কি আমি কি বলেছি নাকি আমার জন্য হাত পুড়িয়ে রান্না করতে (মনে মনে)।

তামিমঃ কি হলো এতো কি ভাবছ, হা কর।।
মায়াঃ বললাম না আপনার খাবার খাব না, আর এমনিতেও আমার খুদা নেই নিয়ে যান এইসব (সকালে তো আম্মুর সাথে রাগ করে বাসা থেকে বেরিয়ে এসেছিলাম।। আসার সময় নাস্তাটাও খাইনি, খুব খিদে লেগেছে।। কিন্তু এই ব্যাটার হাতের বানানো খাবার আমি খাব না হুহ্)।।
তামিমঃ খাবা না সত্যি.?

মায়াঃ হুম (অন্যদিকে মুখ করে)।
তামিমঃ ওকে ফাইন, তোমাকে কীভাবে খাওয়াতে হবে এটা আমি ভালো করেই জানি (কথাটা বলেই বসা থেকে উঠে রুম থেকে বেরিয়ে গেল)।

মায়াঃ এটা কি হলো, এতক্ষণ খাওয়ানোর জন্য জোর করলো আর এখন খাবারটা রেখে চলে গেল.! ইশ পেটের মধ্যে মনে হচ্ছে ইঁদুর দৌড়চ্ছে, সকাল থেকে কিছুই খাওয়া হয়নি।। এখন কিছু না খেলে তো আবার হসপিটালে দৌড়তে হবে।। এমনিতেই আমার খুদা বেশি, খুদা সহ্য করে থাকতেই পারি না।।
মায়া এইসব কথা ভাবছিল তখনই আবার তামিম এসে রুমে ঢুকলো।। তার বাম হাতে একটা ছোট বোতল।। বোতল ভর্তি তেলাপোকা।। বোতলের মধ্যে এতো তেলাপোকা দেখে মায়ার অবস্থা শেষ।। এমনিতেই মেয়েরা তেলাপোকা অনেক ভয় পায় তার উপর আবার এতো তেলাপোকা দেখে মায়ার তো অবস্থা টাইট।

তামিমঃ ধীরে ধীরে মায়ার কাছে এসে চেয়ার টার মধ্যে বসে পরলো। 
কি তেলাপোকা দেখে ভয় হচ্ছে.?
মায়াঃ ননা ভভয় হবে কেন.? আমি তেলাপোকাকে ভয় পাইনা (ভয়ার্ত কণ্ঠে)।।
তামিমঃ তাই নাকি তাহলে তো ভালোই।। আমি তো এইসব তোমার জন্যই এনেছি।।
মায়াঃ আআমার জন্য মামানে.? (ভয়ে মুখ থেকে কথা বের হচ্ছে না)
তামিমঃ মানে হলো তুমি যদি এখন খাবারগুলো না খাও তাহলে এইসব তেলাপোকা গুলো বের করে তোমার উপর ছেড়ে দিব।। কি দিব.?

মায়াঃ না না প্লিজ এমন করবেন না, আমি খাবার খাব আমার হাত খুলে দিন আমি এক্ষুণি খাবারগুলো খেয়ে নিচ্ছি (এমনিতেই হাত-পা বাঁধা তার উপর যদি এতো তেলাপোকা আমার উপর ছাড়া হয় তাহলে যে আমার কি হবে আল্লাহ)।

তামিমঃ না জানপাখি, এটা তো হবে না।
তোমায় আমি নিজের হাতে খাইয়ে দিব বলেই তো এতো কষ্ট করে তোমার জন্য রান্না করে আনলাম।
মায়াঃ এখন এই ব্যাটার হাতে আমায় খাবার খেতে হবে.? 
হে উপরওয়ালা এ কোন বিপদে ফেললে আমায় (মনে মনে)।।
তামিমঃ মায়া চুপ করে আছে দেখে খাবার প্লেটটা নিজের হাতে নিয়ে খাবারগুলো থেকে এক লুকমা খাবার তুলে মায়ার মুখের সামনে এনে ধরলো আর বললো, হা কর।

মায়াঃ হাত না ধুয়েই খাইয়ে দিচ্ছে ওয়াক।। কিছু করারও নেই খেতেই হবে আর এমনিতেও অনেক খিদেও লেগেছে।। খেয়ে নেই পেটে গেলে তো সব হজম হয়েই যাবে।
কোনো কথা না বলে হা করলো।।
তামিমঃ খাবারটা সুন্দর করে মায়ার মুখে ঢুকিয়ে দিল।
খাবারটা মুখে দিতেই মায়া চমকে উঠলো।
কারণ একটা ছেলে যে এতো ভালো রান্না করতে পারে সে আগে জানতো না।
আসলেই খাবারটা অনেক ভালো হয়েছে।
তামিম নিজের হাতে মায়াকে খাইয়ে দিচ্ছে আর মায়া বাধ্য হয়ে খেয়ে যাচ্ছে।
একবার মায়া তামিমের দিকে তাকাতেই দেখল সে তার দিকে তাকিয়ে আছে আর মুচকি হাসছে।। লজ্জায় মায়া মাথা নিচু করে ফেললো।
কিছুক্ষণ পর প্লেটের খাবার শেষ হয়ে গেল মায়ারও পেট ভরে গেল।
সে আর খেতে পারবে না পেট একদম টাইট।।
তামিমঃ আরও খাবার আনব নাকি.?
মায়াঃ না আর খেতে পারব না পেট ভরে গেছে।।
তামিমঃ ওকে বাই দ্যা ওয়েহ খাবারটা কেমন হয়েছে.?
মায়াঃ ভালোই হয়েছে (মুখ গোমড়া করে)।।
তামিমঃ আচ্ছা আমি প্লেটটা রেখে আসি থাক তুমি।।
তারপর তামিম প্লেট নিয়ে রুম থেকে চলে গেল।।
মায়াঃ বিরিয়ানি খাওয়ানোর জন্য উনি আমায় এইখানে এনেছেন নাকি.? 
শুধু বিরিয়ানি খাওয়ানোর জন্য কেউ কাউকে এইভাবে কিডন্যাপ করে আনে নাকি।
উনি আমায় এইখানে কেন এনেছেন কিছুই তো বুঝতে পারছি না।।
এতক্ষণ ধরে গল্প পড়ছেন অথচ তাদের মধ্যে কারও পরিচয় ই পেলেন না, 
চলেন তাহলে তাদের দুজনের পরিচয়টা জেনে নেই।।
গল্পের নায়কের নাম হলো তামিম।। পুরো নাম তামিম আহমেদ।
সে এইবার অনার্স শেষ বর্ষে পড়ছে।। তার বাবা এই শহরের টপ ধনীদের মধ্যে একজন।
টাকা-পয়সা বাড়ি-গাড়ি কোনো কিছুর ই অভাব নেই তাদের।
তামিম তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান।
অপরদিকে মায়া হলো এই গল্পের নায়িকা।
তার পুরো নাম মায়া ইসলাম।। মায়াও তার মা-বাবার একমাত্র সন্তান। 
তাদের পরিবার এতটাও ধনী না আবার গরীবও না।
বলতে গেলে মধ্যবিত্তদের থেকে আরেকটু উপরের লেভেলে মায়ার পরিবার।
তার বাবার নিজের কয়েকটা ব্যবসা আছে।
পরিচয় পর্ব শেষ এবার আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তামিম মায়াকে কেন এইখানে কিডন্যাপ করে এনেছে তাইতো.? তাহলে একটু শর্টকাট ভাবে বলি শুনেন।।
একদিন ভার্সিটিতে মায়া আর তার বন্ধুরা বসে গল্প করছিল।
গল্পের এক পর্যায়ে মায়ার এক বান্ধবী নিলা বললো…
নিলাঃ তোদের মধ্যে কেউ যদি এখন একটা ছেলেকে ফুল দিয়ে প্রপোজ করে তাহলে তাকে আমি ১০০০ টাকা দিব।

মায়াঃ কোনো কিছু না ভেবেই বললো, সত্যি বলছিস তো.?
নিলাঃ অবশ্যই
মায়াঃ ওকে এদের কাছে টাকা দে।।
নিলাঃ কেন.?
মায়াঃ তুই যা বলেছিস আমি তা করব, যেকোনো একটা ছেলেকে গিয়ে প্রপোজ করবো তুই এদের কাছে টাকা দে।।
নিলাঃ সত্যি করবি ভেবে বলছিস তো.?
মায়াঃ হুম না করতে পারলে তোর টাকা তুই নিয়ে যাস।।
নিলাঃ ওকে এই দিলাম এদের কাছে টাকা, এবার যা গিয়ে একটা ছেলেকে প্রপোজ কর দেখি (১০০০ টাকা ওর এক বান্ধবীর কাছে দিয়ে)।

মায়াঃ চারপাশে তাকিয়ে প্রপোজ করার জন্য একটা ছেলে খুজতে লাগলো। 
ছেলে অনেক আছে কিন্তু তার বোকা টাইপের ছেলে চাই, যাতে প্রপোজ করলে কোনো ধরণের হৈচৈ না হয়।। হঠাৎ তার চোখ পরলো ভার্সিটির আম গাছের দিকে।। সে দেখল একটা ছেলে আম গাছের নিচে বসে বসে ফোনে কথা বলছে।। ছেলেটার পোশাক একদম ঢিলেঢালা আর একটু ময়লাও।। হে এই ছেলেটাই হবে নিশ্চয় ছেলেটা গরিব + বোকা টাইপের হবে।। যাই গিয়ে একে দিয়েই কাজটা করে ফেলি।। তোরা শুধু দেখে যা এই মায়া এবার কি করে (বলেই বসা থেকে উঠে ছেলেটার কাছে যেতে লাগলো।। যাওয়ার সময় একটা ফুল গাছ থেকে একটা ফুল নিয়ে গেল)।

মায়াঃ এই যে মিস্টার শুনছেন.? (ছেলেটার কাছে গিয়ে)
ছেলেটা মায়ার কথা শুনে পিছনে ফিরলেই মায়া সাথে সাথে হাটু গেড়ে বসে ফুলটা ছেলেটার সামনে ধরে তাকে I Love U বলে প্রপোজ করে ফেললো।। ছেলেটা শুধু চোখ বড় বড় করে ওর দিকে তাকিয়ে আছে।। ছেলেটার সারামুখে রঙ লাগানো তার উপর আবার চোখে সানগ্লাস।। মায়া তার কাজ শেষ করে উঠে দাড়াতেই কোথা থেকে জানি একটা ছেলে দৌড়ে এসে ওই ছেলের কাছে দাড়ালো যেই ছেলেকে মায়া প্রপোজ করেছে।

ভাই সরি আসতে একটু দেড়ি হয়ে গেল, 
এই নিন আপনার পানি (যাকে মায়া প্রপোজ করেছে তার দিকে পানির বোতল এগিয়ে দিয়ে)।
ছেলেটা পানির বোতল হাতে নিয়ে বোতলটা খুলে সারামুখে পানি ছিটিয়ে মুখ ধুতে লাগলো।
মুখ ধুয়া শেষ হলেই পাশে থাকা ছেলেটা ওই ছেলের দিকে একটা রুমাল এগিয়ে দিল।
ছেলেটা এবার রুমাল নিয়ে মুখটা ভালো করে মুছে নিল।। তারপর মায়ার দিকে তাকালো।
মায়া এতক্ষণ দাড়িয়ে দাড়িয়ে ছেলেটার কান্ড দেখছিল, 
এবার ছেলেটাকে দেখেই ভয়ে তার হাত-পা কাঁপতে শুরু করলো।
কারণ সেই ছেলেটাই তামিম, যাকে পুরো ভার্সিটির ছেলে মেয়েরা জমের মতো ভয় পায়।
কিন্তু ছেলেটা কখনো খারাপ কাজ করে না উলটা কেউ খারাপ কাজ করলে তাকে ধরে উচিত শিক্ষা দেয়।।
মায়াঃ ভাভাইয়ায়া আআমি সসরি প্লিজ আমায় মাফ করে দিন, আসলে আমি আপনাকে
তামিমঃ তোমায় তো আমি কিছু বলি নি তাহলে এতো ভয় পাচ্ছ কেন.?
মায়াঃ না আসলে মানে
তামিমঃ কোন ইয়ারে পড়.?
মায়াঃ 3rd ইয়ারে (ভয়ে ভয়ে)
তামিমঃ ওকে তাহলে এখন থেকে আমাদের প্রতিদিন দেখা হবে আজকে বাই আমার একটু জরুরি কাজ আছে।

তারপর তামিম ওর সাথে থাকা ছেলেটাকে নিয়ে চলে গেল। 
আর মায়া ভয়ে ভয়ে ওর বান্ধবীদের কাছে চলে আসলো।
আসতে না আসতেই ওর বান্ধবীরা ওকে ঘিরে ধরলো, 
কীভাবে তামিম ভাইয়াকে প্রপোজ করলি, উনি তোকে কি বলবেন ব্লা ব্লা।।
মায়াঃ উনি কিছুই বলেন নি দে এবার আমার ১০০০ টাকা বলেই ওর বান্ধবীর থেকে টাকাটা নিয়ে নিল।। ওইদিন ক্লাস করে মায়া বাসায় এসে ভাবতে লাগলো, এখন থেকে আমাদের প্রতিদিন দেখা হবে মানে উনি এই কথা কেন বললেন.? না জানি কাল থেকে কি হয় আমার সাথে।।
আর এদিকে তামিমের তো মায়াকে মনে মনে ভালো লেগে যায়, বলতে গেলে সে মায়াকে ভালোবেসেই ফেলেছে।

এরপর থেকে তামিম প্রতিদিন মায়ার সাথে কথা বলতে থাকে।। মায়ার অবশ্য ভালো লাগতো না কিন্তু বাধ্য হয়েই তামিমের সাথে ওর কথা বলতে হতো।। কিন্তু তামিম কখনো মায়াকে বলেনি যে সে তাকে ভালোবেসে ফেলেছে।

তারপর আজকে সকালে তামিম ভার্সিটিতে এসে মায়াকে খুজতে গিয়ে ওর ক্লাসে গিয়ে দেখল সে একটা ছেলের পাশে বসে বসে বই নিয়ে কি যেন কথা বলছে।। এ দৃশ্যটা দেখে তামিমের মাথা গরম হয়ে গেল।। তাই সে ভার্সিটি শেষে তার লোকজন দ্বারা মায়াকে এইখানে কিডন্যাপ করে আনে।। এই হলো কাহিনি আশা করি সবাই বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন, এখন গল্পতে আসি।।
মায়া বসে বসে চিন্তা করছে তাকে এইখানে কেন আনা হয়েছে ঠিক তখনই তামিম আবার রুমে আসলো।।
মায়াঃ আপনি আমায় এইখানে কেন এনেছেন.? প্লিজ আমায় ছেড়ে দিন আমি বাসায় যাব।।
তামিমঃ তুমি একটা ছেলের সাথে কথা বলেছ সেই অপরাধে তোমাকে এইখানে কিডন্যাপ করে এনেছি।।
মায়াঃ আমি কখন কোন ছেলের সাথে কথা বললাম.? (অবাক হয়ে)
তামিমঃ সকালে ক্লাসের মধ্যে বসে যে একটা ছেলের সাথে কথা বলেছিলে মনে নেই.?
মায়াঃ ঘটনাটা মায়ার মনে পরে যায় আর বললো, হে তবে আমি তো ওই ছেলেটার সাথে পড়া নিয়ে কথা বলেছিলাম।

তামিমঃ পড়া নিয়ে কথা বলতে ছেলেই পেলি কোনো মেয়ে পেলি না.? আর তোর বান্ধবীরা তখন কোথায় ছিল.? (রাগী গলায়)
মায়াঃ তামিমের রাগ দেখে খানিকটা ভয় পেয়ে গেল।।
উনি তো সবসময় রাগ করেন না কিন্তু হঠাৎ রাগ উঠলে আবার খুব ভয়ংকর হয়ে উঠেন।।
আআসলে ওইসময় আমার
তামিমঃ শুন আমি তোকে ভালোবাসি যেদিন তুই আমায় প্রপোজ করেছিলি
সেদিন থেকেই তোকে ভালোবাসতে শুরু করি।।
আমি ছাড়া তুই কোনো ছেলের সাথে কথা বলতে পারবি না,
কারণ তুই শুধু আমার আর আমারি থাকবি (কথাগুলো মায়ার মুখ চেপে ধরে বললো তামিম)।।
তারপর মায়ার মুখ ছেড়ে দিয়ে হনহন করে রুম থেকে বেরিয়ে গেল সে।।
এদিকে মায়া তো অবাক, তামিমের কথা শুনে তো সে কিছুই বুঝে উঠতে পারে নি।।
তবে এটা ঠিকই বুঝেছে ওইদিন তামিমকে প্রপোজ করে সে অনেক বড় ভুল করে ফেলেছে।।
.
চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com