হৃদয়ের দহন । পর্ব -০৫
মা তুই না থাকলে এতো পদের রান্না আমি একা হাতে কি করে করতাম বল দেখি? ও মৃদু হেসে বলে..
– তাতে কি আন্টি আমরা তো সবকাজ দু’জনে মিলে করেছি? ইমান ঘরে ঢুকে মিমের সামনে দাঁড়িয়ে কতগুলো শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বলে..
– জরুরি কাজে অফিসে গিয়েছিলাম। আসার সময়ে তোমার জন্যে ঈদের সালামি নিয়ে এসেছি। ও মৃদু হেসে বলে..
– ভাইয়া তার কোনো প্রয়োজন ছিল কি? ও একটু রাগ দেখিয়ে বলে..
– গতরাতে,
কি বলেছিলাম তোমাকে? এর মধ্যেই ভুলে গেছো তুমি? ও ইমানের হাত চেপে ধরে বলে..
– প্লিজ ভাইয়া রাগারাগি ছেড়ে খেতে বসো তুমি। সকালে এক গ্লাস সরবত খেয়ে বেরিয়ে পরেছ তাতে পেট ভরে নাকি? রুহান এসে ওকে জড়িয়ে ধরে বলে..
– বাব বাহ!
দু’জনের কি প্রেম? যাই আমি? মিম ওকে ঝাড়ি মেরে বলে..
– তোকে খেতে বসতে দাওয়াত দিতে হবে না কি? বেয়াদব তোর দশা টা কি? ও হাসতে হাসতে বলে..
– আজ তোর ফুফাতো ভাই অর্নবের মাথা খারাপ হয়েছে নাকি? সকালে দেখলাম ফেসবুকে ও তোকে নিয়ে রোমান্টিক রোমান্টিক পোস্ট হি হি হি। ও রেগে গিয়ে বলে..
– কেন যে কাজিনের সাথে বিয়ে জায়েজ বুঝিনা আমি? আমি ওই অসভ্য টার কোন বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছি? বদ একটা ছিঃ।
ওদিকে,
মাহির সাহেব স্ত্রীর জন্যে খাবার নিয়ে এসে বলে..
– সকালে কিছু খাওনি তুমি। বাড়িতে কত মেহমান এসেছে কারো সাথে নিচে গিয়ে দেখা দিলে না তুমি?
– তোমার অসুবিধে টা কি? আমাকে একটু একা থাকতে দিতে পারছনা নাকি? মিশি নেহা কে বলে..
– ভাবি মেজো আপুকে খুব মিস করি আমি। এই দু’বছর ঈদে একটু ও ভালো করে কাটাতে পারিনি আমি।
এদিকে,
ইমান রুহানের সাথে কথা কাটাকাটি করতে করতে বলে..
– কেন ওকে যেতে দিলে তুমি? ও মৃদু হেসে বলে..
– ভাইয়া ও বাসায় গিয়ে সেজেগুজে বিকেলে একা-একা ঘুরতে হবে ওকে চেনো না তুমি। ও বিকেলে নিজের বাসার সামনে ইমানকে দেখে জিজ্ঞেস করে,
এখানে কি কোনো কাজে এসেছেন আপনি?
– মিমকে চোনো তুমি?
– জি,ওকে এই মাএ ওর বন্ধুদের সাথে বেড় হতে দেখেছি। ও আগ্রহ নিয়ে বলে..
– কোথাও যাচ্ছ তুমি?
– হ্যা টি.এস.সি তে ফুসকা খেতে যাচ্ছি আমি আর হ্যা সেদিনের জন্যে সরি। ও মৃদু হেসে বলে..
– ব্যাপার না,
আমি কিছু মনে করিনি। তখন স্নেহা এসে মিমের হাত ধরে বলে..
– কি রে? রুহ এর বার্থডে গিফট কিনতে যাবি না নাকি? হঠাৎ স্নেহা ইমানকে দেখে থতমত খেয়ে জিজ্ঞেস করে,
আরে আপনি?
– ওই একটা জরুরি কাজে এসেছি। তুমি প্লিজ একটু মিমকে রুহানের কাছে পাঠিয়ে দিও। আজ আমি আসি? স্নেহা কৌতুহল বশত জিজ্ঞেস করে,
কি রে ব্যাপার টা কি? ও মৃদু হেসে বলে..
– পরে বলছি,
রাত বারো টায় মিম লাল গোলাপ নিয়ে রুহানের সামনে দাঁড়িয়ে বলে..
– জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা কুটুসি। হঠাৎ ইমান আর ওর হাত থেকে ফুল গুলো নিয়ে বলে..
– থ্যাংকইউ কুটুসি,
রুহান ফিসফিস করে বলে..
– আমি তোর পেছনে দাঁড়িয়ে আছি আর হ্যা আজ ভাইয়ার ও বার্থডে বলতে ভুলে গেছি এবং ভাই এটাই আমার মিম হি হি হি।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com