Breaking News

হৃদয়ের দহন । পর্ব -১১

– ব্যস্ত হতে হবে না আঙ্কেল ঠিক আছে? আপনি ধরে নিন না যে আমি এই বাড়ির মেয়ে? ইফতি সাহেব চুপ করে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। কারণ সে খুব সহজে মিমকে চিনতে পেরেছে।
এদিকে,
রুহান একটা জরুরী কাজে মিমকে নিয়ে বাহিরে এসেছে। ইমান মৃদু হেসে বলে..
– চিন্তা করছ কেন বাবা? আমি কিছু করবো না ওকে,
ওই বাচ্চা মেয়ে টি আমার কোনো ক্ষতি করেনি আমার ক্ষতি তো মিশকা মাহির চৌধুরী করেছে।
তখন একটা ফোন আসে ইমানের কাছে আর ও কথা বলতে বলতে চলে আসে বারান্দা তে। ওদিকে আরিফ এসে ভুলভাল বকে গেছে বাড়ির মালিকের কাছে। তাই সাতদিনের মাথায় বাড়ি ছাড়ার নোটিস দিয়েছে ওকে। ও একরকম বাধ্য হয়ে সাহায্য চেয়েছে ইমানের কাছে ও সবটা শুনে বলে..
– সমস্যা কি?
না হয় থাকলে আমাদের সাথে? আমি আসছি তোমাকে নিতে।
ও গোছাতে গোছাতে চিন্তা করে,
এটা কি ঠিক হচ্ছে আমার সাথে? হঠাৎ ইমান এসে বলে..
– এতো ওড়না কেন? হিজাব পরতে ভালো লাগে তোমার কাছে?
– হ্যা আমার হিউজ কালেকশান আছে,তবে আঙ্কেল কেমন আছে?
– তুমি আমাদের সাথে থাকবে শুনে,
বাবা বেশ খুশি হয়েছে। সে তো রীতিমতো ব্যস্ত হয়ে পরেছে।
তখন বাড়ির মালিক মিসেস সাওদা সবাই কে ডেকে নিয়ে এসে বলে..
– দেখ দেখ বেয়াদব মেয়ে ছেলেটা ওর ভাতার কে ঘরে এনেছে? তার কথা শুনে তার ছেলে ঘরে ঢুকে বলে..
– মা তুমি কতটা চেনো ওকে? আর ভাতার কি? ইমান আমার ছোটোবেলার বন্ধু তুমি কি ভুলে গেছো ওকে?
মিম কে নতুন চেনো না তুমি? তাহলে এমন করছ কেন ওর সাথে? আমি বলে দিচ্ছি মিম কোথাও যাবে না এই বাড়ি থেকে। ইমান রেগে গিয়ে বলে..
– সাদ আমি যখন ওর ভাতার,তখন আমিই নিয়ে যাবো ওকে।
ও আর এক মুহূর্ত থাকবে না এই বাড়িতে এবং বাদবাকি টা আমি পরে এসে বুঝে নেবো তোর মায়ের সাথে। নিজের ঠিক নেই এই বাচ্চা মেয়েটির পেছনে লাগতে এসেছে। তা মিসেস সাওদা মিশকা মাহির চৌধুরী ওকে বদনাম করতে আপনাকে কয় টাকা দিয়েছে? আমি তার ডাবল দিবো শুধু বলুন আরিফ কেন এ বাড়িতে এসেছে?
মিসেস সাওদা ওর প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে চুপ হয়ে গেছে। মিম নিচ থেকে এসে বলে..
– আন্টি আপনার যা বলার আমাকে বলুন,দয়া করে অপমান করবেননা এই মানুষ টাকে। ইমান ওর হাত ধরে বেড়িয়ে আসে সবার সামনে থেকে। ইফতি সাহেব ওকে দেখে,
খুব খুশি হয়েছে। মিম তার পায়ের সামনে বসে বলে..
– আমি ফ্রেশ হয়ে এসে এখনি খাইয়ে দিচ্ছি তোমাকে। তোমার জন্যে তোমার ফেভারিট সবজির খিচুড়ি করে নিয়ে এসেছি আজকে। রুহান হাসতে হাসতে বলে..
– তাহলে তো আর কোনো চিন্তা নেই জমে ক্ষীর হয়ে যাবে। মিম ইফতি সাহেব কে খাওয়াতে যেতেই ডক্টর সামিনা এসে বলে..
– তুমি না জেনেশুনে কেন খাওয়াচ্ছ তাকে? ইমান কি তোমাকে নতুন নার্স হিসেবে রেখেছে? ইমান রেগে গিয়ে বলে..
– তুমি মুখ সামলে কথা বলো ওর সাথে। তুমি আমার বাবার ডক্টর,তাই নিজের সীমানা অতিক্রম করার চেষ্টা করো না ঠিক আছে? তোমার সব কাজ শেষ এখন আসতে পারো এখান থেকে যতসব আর্বজনা জানি না কোথা থেকে চলে আসে?

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com