Breaking News

সিনিয়র বউ | পর্ব -৪



হঠাৎ তানিয়া ঝাল ঝাল বলে জোরে চিল্লাতে শুরু করলো।। তার এমন অবস্থায় আমার কি করা উচিত কিছু ভেবে পেলাম না।। হঠাৎ ভাবলাম নিচে গিয়ে পানি নিয়ে আসি।। তো বসা থেকে যেই উঠে দাড়ালাম তখনই তানিয়া আমার হাত টেনে ধরে আবার বিছানায় বসিয়ে দিল আর আমাকে টান মেরে তার একদম কাছে নিয়ে গিয়ে আমার ঠোঁটের সাথে তার ঠোঁট জোড়া এক করে দিল।। তানিয়ার এমন কাজের জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।। চোখ বড় বড় করে তানিয়ার দিকে তাকিয়ে আছি আর সে পাগলের মতো আমার ঠোঁট জোড়া চুষে যাচ্ছে।।

২ মিনিট ধরে তানিয়া আমার ঠোঁট জোড়া তার ধকলে নিয়ে রেখেছে।। মানে ২ মিনিট ধরে তানিয়া আমায় কিস করেই যাচ্ছে।। এর মধ্যে কয়েকবার নিজেকে তানিয়ার থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু ছাড়াতে পারিনি।। আমারও এখন একটু একটু ভালো লাগছে এই মূহুর্তটা।। মন চাচ্ছে এই মুহুর্তটা যেন কখনো শেষ না হোক।। এইভাবেই পার হয়ে যাক সারাটা জীবন।। জীবনে মেয়েদের সাথে অনেক খারাপ কাজ করেছি কিন্তু কখনো কোনো মেয়ের গায়ে হাত দেইনি।। আর আজ সেখানে একটা মেয়ে নিজ থেকে আমার এতোটা কাছে এসেছে.!
আমি কিছু দেখি নি।।

হঠাৎ একটা মেয়ের গলার আওয়াজ পেয়ে তানিয়া আমায় ছেড়ে দিল।। আমিও নিজেকে তৎক্ষনাৎ সামনে নিলাম।। হঠাৎ দরজার দিকে চোখ পরতেই দেখি রিমি মেয়েটা এক হাতে পানির গ্লাস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আর অন্য হাত দিয়ে তার চোখ বন্ধ করে আছে।। বুঝতে পারলাম ওই কথাটা রিমিই বলেছে।। কিন্তু সে হঠাৎ এইখানে আসলো কেন তাও হাতে পানির গ্লাস নিয়ে.?
এদিকে রিমিকে রুমের মধ্যে দেখে তানিয়া আবার কিছুটা রেগে গেল।। তারপরও সে নিজের রাগ কে সামলিয়ে রিমিকে বললো…

তানিয়াঃ এই তুই আমাদের রুমে কেন এসেছিস.? (কিছুটা রাগী গলায়)
রিমিঃ তুমিই তো কিছুক্ষণ আগে পানি পানি বলে চিল্লাচ্ছিলে, তাই খালামনি আমায় তোমার জন্য পানি নিয়ে যেতে বললেন, তাইতো আমি এইখানে আসলাম (চোখ থেকে হাত সরিয়ে বললো)।।
তানিয়াঃ ভালো করেছিস এবার রুম থেকে বের হ যা (রিমির হাত থেকে পানির গ্লাস নিয়ে)।।
রিমিঃ তাড়িয়ে দিচ্ছি নাকি আমায়.? আমি রুমে থাকলে কি তোমাদের প্রব্লেম হবে দুলাভাই.? (আমার দিকে তাকিয়ে)

আমি কিছু বলতে যাব তার আগেই তানিয়া বলে উঠলো…
তানিয়াঃ এই কথা তুই আমাকে না জিজ্ঞেস করে ওকে জিজ্ঞেস করছিস কেন.? আর তুই আমাদের মধ্যে থেকে কি করবি শুনি।। যা নিচে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে খেলা কর (ঝাড়ি মেরে)।।
রিমিঃ এহ আমি কি বাচ্চা নাকি যে বাচ্চাদের সাথে খেলা করবো.?
তানিয়াঃ বাচ্চা না তো কি মাত্র ১০ এ পড়িস এখনো তো স্কুল জীবন-ই পার করিস নাই।।
রিমিঃ তো কি হয়েছে তাই বলে কি আমি বাচ্চা নাকি.?
তানিয়াঃ না তুই তো বুড়ি এবার যা রুম থেকে বের হ।।
রিমিঃ আমি থাকলে কি.?

তানিয়াঃ রিমি তোকে আমি যেতে বলছি, এখন যদি তুই রুম থেকে না যাস তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে বলে দিলাম (প্রচন্ড রেগে)।।
রিমিঃ আচ্ছা যাচ্ছি এতো রাগ দেখাও কেন।। দুলাভাই বিকালে ছাদে আসিয়েন গল্প করবো নে (বলেই রিমি রুম থেকে চলে গেল)।।
রিমি চলে যাওয়ার সাথে সাথে তানিয়া রুমের দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে আবার বিছানায় এসে বসলো।।
তানিয়াঃ এই তুমি রিমির সাথে আর কথা বলবা না বলে দিলাম।।
তামিমঃ কেন.?

তানিয়াঃ কি কেন.? কথা বলতে না করেছি ব্যস কথা বলবা না (রাগ দেখিয়ে)।।
তামিমঃ আচ্ছা বলবো না, তা ছাড়া রিমি নিজেই তো যেচে এসে আমার সাথে কথা বলে, আমি তো নিজ থেকে ওর সাথে কথা বলি নাই।।
তানিয়াঃ সে যাইহোক ওর সাথে তুমি আর কথা বলবা না।। এখন বাকি খাবার টুকু খাইয়ে দাও।।
তামিমঃ আর কথা না বলে প্লেটের অবশিষ্ট খাবার টুকু তানিয়াকে খাইয়ে দিলাম।।
খাওয়া শেষ হলে তানিয়া প্লেটটা নিয়ে নিচে চলে গেল।। কিছুক্ষণ পর আবার রুমে চলে আসলো।।
তামিমঃ এবার তো আমার মোবাইলটা দিয়ে দিন।।
তানিয়াঃ দাড়াও দিচ্ছি (বলে তার ব্যাগ থেকে আমার মোবাইলটা বের করে আমার হাতে দিয়ে দিল)।।
তামিমঃ মানিব্যাগ রেখে কি করবেন ওইটাও দিয়ে দিন না।।
তানিয়াঃ উঁহু ওইটা দেওয়া যাবে না।। ওইটা একেবারে বাসায় গিয়ে দেওয়া হবে তার আগে নয়।।
তামিমঃ আচ্ছা (নিজের বাসায় যাই তখন বোঝাব মজা)।।

তারপর মোবাইল নিয়ে ফেবুতে ঢুকে কিছুক্ষণ ফেসবুকিং করতে লাগলাম।। হারামি বন্ধুরা আমায় এক্টিভ দেখে একের পর এক মেসেজ দিতে লাগলো।। কোথায় তুই, আজ ভার্সিটিতে আসিস নি কেন ইত্যাদি ইত্যাদি।। আসলে ওদের কাউকেই আমার বিয়ের কথা বলি নি।। নাহলে সবকটা আমায় নিয়ে হাসি-তামাশা করবে।। তাই ওদেরকে বললাম আজ একটু অসুস্থ কাল ভার্সিটিতে আসবো।।
এইভাবে ফেসবুকিং করতে করতে রুমের মধ্যে বসেই দিনটা কাটিয়ে দিলাম।।
দুপুরবেলা অবশ্য একবার রিমি আর কিছু বাচ্চারা এসে আমায় ডেকেছিল তাদেরকে নিয়ে একটু ঘুরতে যাওয়ার জন্য।। কিন্তু তানিয়া আমায় ওদের সাথে যেতে দেয়নি।।
সারাদিন রুমের মধ্যেই বসে থাকতে হয়েছে ওর জন্য।।

অবশেষে রাতেরবেলা খাবার খাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হলাম।।
তানিয়াও আমার সাথে বের হলো আর আমার হাত ধরে সোজা নিচে নিয়ে এসে আমায় একটা চেয়ারে বসিয়ে সেও আমার পাশের চেয়ারে বসে পরলো।।
খাবার খেতে খেতে শশুড় আব্বার সাথে কিছু টুকটাক কথাও হয়েছে।।
উনি আমায় কয়েকটা প্রশ্ন করলেন আর আমি তার উত্তর দিলাম আর কি।।
রিমিও বসেছিল আমাদের সাথে কিন্তু আমার সাথে কোনো কথা বলেনি হয়তো তানিয়ার ভয়ে।।
তো খাওয়া দাওয়া শেষ হলে তানিয়া আবার আমায় নিয়ে উপরে চলে আসলো।।
রুমে এসে বাধলো আরেক বিপত্তি।। রুমে একটা মাত্র খাট, কোনো সোফা নেই।।
এখন কে কোথায় ঘুমাবে।। এই ঠান্ডার মধ্যে মেঝেতে তো ঘুমানো যাবে না আর এমনিতেও আমার মেঝেতে ঘুমিয়ে অভ্যাস নেই।। তানিয়া কেও বা কীভাবে বলবো মেঝেতে থাকতে।।
আমার বাড়িতে নাহয় আমি ওর উপর হুকুম চালিয়ে ছিলাম কিন্তু এখন তো এটা তানিয়ার বাড়ি।।
ওকে কিছু বললে যদি উলটা আমায় কিছু করে, বলা তো যায়না আজ যতবার মেয়েটার রাগ দেখলাম মনে হয় মেয়েটা ভিষণ রাগী।। দাড়িয়ে দাড়িয়ে এইসব কথা ভাবছিলাম এমন সময় তানিয়া আমায় বললো…

তানিয়াঃ কি হলো এইভাবে দাঁড়িয়ে আছ কেন.? আর কি এতো ভাবছ.?
তামিমঃ হে না মানে ভাবছি আজ ঘুমাব কোথায়।।
তানিয়াঃ ঘুমাবে কোথায় মানে খাটে ঘুমাবে।।
তামিমঃ আপনার সাথে আমি এক বিছানায় ঘুমাতে পারবো না।।
তানিয়াঃ কেন ঘুমালে কি.?

তামিমঃ আপনাকে আমি আগেই বলেছি যে আমি আপনাকে স্ত্রী হিসেবে মানি না আর মানবোও না।। তাই আপনার সাথে এক বিছানায় ঘুমানোর আমার কোনো ইচ্ছাই নেই।।
তামিমের এমন কথা শুনে তানিয়া মনে কিছুটা কষ্ট পেল।।
কেননা আজ সারাদিন ধরে তামিম ওর সাথে ভালো ব্যবহারই করছিল।।
সে ভাবেনি যে তামিম আজকেও তাকে বাসর রাতের কথাগুলো বলবে।।
তানিয়াঃ কিন্তু রুমে তো একটাই খাট।।
রুমে কোনো সোফা থাকলে আমি সোফাতেই ঘুমিয়ে পরতাম, কিন্তু রুমে তো কোনো সোফা নেই।।
আর এতো ঠান্ডার মধ্যে মেঝেতে কীভাবে ঘুমাব বল।।
আচ্ছা তোমার যদি আমার সাথে এক বিছানায় থাকতে অসুবিধা হয় তাহলে আমি মেঝেতেই ঘুমিয়ে পরবো, তুমি নাহয় বিছানার মধ্যেই ঘুমাও।।

কথাগুলো বলেই তানিয়া আলমারি থেকে একটা কাঁথা বের করে কাঁথাটা মেঝেতে বিছাতে লাগলো।।
তামিমের কেন জানি তানিয়ার প্রতি একটু মায়া হলো।।
তানিয়াকে সে বউ হিসেবে মানুক আর নাই মানুক ওকে আজকের জন্য অন্তত তার বিছানায় থাকতে দেওয়া উচিত।। কারণ এটা তো তানিয়ার নিজের বাড়ি, আর তার নিজের বাড়িতেই তাকে মেঝেতে ঘুমাতে হচ্ছে তাও তামিমের জন্য.!
তামিমঃ থাক আপনাকে আর কষ্ট করে মেঝেতে ঘুমাতে হবে না, আপনি বিছানায় এসে ঘুমান তবে মাঝখানে একটা কুল বালিশ দিয়ে রাখেন।।
তানিয়াঃ আমি বিছানায় ঘুমালে তোমার প্রব্লেম হবে না.?
তামিমঃ মাঝখানে একটা কুল বালিশ দিয়ে রাখলে আর প্রব্লেম হবে না।।
তানিয়াঃ আচ্ছা আমি কুল বালিশ বের করে দিচ্ছি দাড়াও।।

তারপর তানিয়া আলমারি থেকে একটা কুল বালিশ এনে তামিমের কাছে দিল।।
তামিম কুল বালিশটা নিয়ে বিছানার মাঝখানে রেখে সে একপাশে গিয়ে শুয়ে পরলো।।
তানিয়াও আর কিছু না বলে কুল বালিশের অপর পাশে শুয়ে পরলো।।
দুজনের মধ্যে কেউ আর কারও সাথে কোনো কথা বললো না, দুজনেই যার যার মতো ঘুমিয়ে পরলো।।
পরেরদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করেই তামিম তানিয়াকে নিয়ে তাদের বাড়িতে চলে আসলো।। তানিয়া সকালেই তামিমকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিয়ে বলেছিল আজ তারা আবার বাসায় চলে যাবে।। তামিমও আর না করলো না কারণ এইখানে থাকতে তার একদমই ভালো লাগছিল না।।
আর তানিয়ারও রিমির ভাবসাব ভালো লাগছিল না তাই সেও তার আম্মু আব্বুকে অনেক অনুরোধ করে তামিমদের বাসায় চলে আসে।। তাদের দুজনকে এতো সকালে বাসায় দেখে রহিমা বেগম (তামিমের আম্মু) কিছুটা অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলেন এতো সকাল সকাল তারা চলে আসলো কেন।।
তখন তানিয়া তামিমকে কিছু বলতে না দিয়ে তামিমের আম্মুকে বললো…
তানিয়াঃ আম্মু তোমায় ছাড়া আমার ভালো লাগছিল না তাই চলে এসেছি।।
তামিমের আম্মু আর কিছু বললেন না, তাদের দুজনকে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিতে বললেন।।
তামিম আর তানিয়া দুজন রুমে আসলো।।

রুমে এসে তামিম ফ্রেশ হতে চলে গেল।।
তামিম ফ্রেশ হয়ে বের হওয়ার পর তানিয়াও ফ্রেশ হতে চলে গেল।।
তামিম ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো ৯ঃ৩০ টা বেজে গেছে, তাই সে তারাতাড়ি করে রেডি হয়ে নিল ভার্সিটি যাবে বলে।। রুম থেকে বের হতে যাবে তখনই তার মনে পরলো মানিব্যাগ তো নেওয়া হয়নি।।
মানিব্যাগ তো তানিয়ার কাছে।। তামিম বসে বসে তানিয়ার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো।।
কিছুক্ষণ পর তানিয়া ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে আসলো।।
তামিম তো তানিয়াকে দেখেই অবাক, কেননা তানিয়া একটা নীল শাড়ি পরেছে।।
এতক্ষণ বোরকা পরে থাকায় সে বুঝতে পারেনি যে তানিয়া শাড়ি পরেছে।।
হঠাৎ তামিমের চোখ পরলো তানিয়ার কোমড়ের দিকে।।
একেবারে ধবধবে সাদা কোমড় তানিয়ার।।

কোনোভাবেই তামিম সেখান থেকে তার চোখ ফেরাতে পারছে না।।
তামিমের এইভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে তানিয়া বললো…
তানিয়াঃ এইভাবে তাকিয়ে কি দেখছ হুম.? আর তুমি কোথাও বের হচ্ছ নাকি.?
তামিমঃ হে না মানে কই কিছু না (নিজেকে সামলে নিয়ে) হুম ভার্সিটিতে যাব, আমার মানিব্যাগটা দেন।।
তানিয়াঃ মাত্রই তো বাসায় আসলে আজ না গেলে কি.?
তামিমঃ আমার বাসায় থাকতে ভালো লাগেনা, আমার মানিব্যাগটা দেন এমনিতেই ৯ঃ৩০ টা বেজে গেছে।।

তানিয়াঃ আচ্ছা দাড়াও দিচ্ছি (বলে তার ব্যাগ থেকে মানিব্যাগটা বের করে তামিমের সামনে গিয়ে দাড়ালো, কিন্তু মানিব্যাগটা দিল না)।।
তামিমঃ কি হলো মানিব্যাগ দেন (উঠে দাঁড়িয়ে)।।
তানিয়াঃ মানিব্যাগ নিতে হলে যে এর বদলে আমাকেও কিছু দিতে হবে।।
তামিমঃ মানে.! আপনাকে আবার কি দিতে হবে.?
তানিয়াঃ একটু নিচু হও বলছি।।
তামিমঃ কিছু না বলে হালকা নিচু হলো, হুম এবার বলেন।।
তানিয়াঃ এবার তামিমের কানের কাছে ওর মুখটা নিয়ে বললো, মানিব্যাগ নিতে হলে আমায় একটা পাপ্পি দিতে হবে।।

তানিয়ার কথা শুনে তামিম ওর দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো।। আর তানিয়া তামিমের দিকে তাকিয়ে দুষ্টু হাসি হাসছে।।
তামিমঃ আআমি এইসব পারবো না আমার মানিব্যাগ দেন বলছি।।
তানিয়াঃ না দিলে মানিব্যাগও পাবা না বলেই তানিয়া মানিব্যাগটা নিজের কোমড়ের মধ্যে গেঁথে দিল।।
তামিমঃ এ কোন বিপদে পরলাম রে ভাই (মনে মনে)

চলবে...

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com