অবুঝ ভালোবাসা
ও আমার ঠোট ছারছে না।আমি তো ওর নেশায় বিভোর হয়ে গেসি।তখন হুট করে আগের কথা মাথায় আসলো।ওকে দুরে সরিয়ে দিলাম।আমি ঠোট মুছতে মুছতে বললাম।
— এই মেয়ে তুমি কি পাগল হয়ে গেসো নাকি।
— হুম আমি আপনার জন্য পাগল।– কি যা তা বলছো হা।
— আচ্ছা বাদ দেন ব্যাগ গুছানো হয়েছে চলেন এখন।
তখন আমি আর ও বাসা থেকে বের হলাম।আব্বু আমাদের বাস্টান্ড পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে গেল।বাসে উঠলাম। বাস ঢাকা ছারালো প্রায় সন্ধার পরে।সিমি আমার সাথে কথা বলছে আমি চুপ করে আসি।আমার এত আজাইরা প্যাচাল পারার ইচ্ছা নাই।
— আচ্ছা স্যার আপনি এমন কেন.?
— কেন কি হয়েছে।
— ভালো করে কথা বলছেন না।আমি কত কিছু বলছি আর আপনি চুপ করে আসেন।
— আরে না এমনি তুমি বলো..
— এর মানে আমি বেশি কথা বলি..
—আরে আমি কি ওটা বলেছি নাকি।
— আপনি আমাকে বাচাল বলেছেন।
— কই বাচাল বললাম।
— আমি বাবা কে বলে দিবো..
— ওই প্লিজ এটা করো না।
— তাইলে আপনি বলেন আমি ওখানে যা চাবো তাই দিবেন।
— আচ্ছা যাও বলে দিলাম।
— ওকে..
ও খুব খুশি কিন্তু এই খুশি দেখেই ভয় করে কারন ও কখনো ভালো ভাবে থাকে না।রাত ১০ টার দিকে ও আর কিছু বলছে না বুঝলাম ও ঘুৃমিয়ে গেসেআমি নিজের মতো করে ইয়াড়ফোনে গান শুনছি।কিছুক্ষণ পর একটা হোটেলের সামনে বাস থামালো। এখানে নাকি ১৫ মিনিট দেরি হবে।আমি সিমি কে ডাক দিলাম।
— ওই সিমি উঠো..ওয়াসরুমে যাওয়া লাগলে যাও..
— স্যার আমরা চে এসেছিও হুট করে চোখ খুলে বললো.
— আরে না আমরা এখন একটা হোটেলে দারাইছি তাই যদি ওয়াসরুমে যাও তাইলে চলো।
— আচ্ছা স্যার চলেন আমার একটু ক্ষুধা লাগছে।ওটাও সেরে আসবো।
— চলো..
আমি আর সিমি বাস থেকে নামলাম।রাতের আকাশ টা অনেক সুন্দর। আর চারপাশে প্রকৃতি টাও ভালোই। ও ওয়াসরুমে গেলো। আমি খাবার জন্য পাউরুটি কলা আনলাম।এমনিতেও রাতে আমার বেশি খেতে ইচ্ছা করে না। ও আসলো আমরা সব কাজ সেরে ফেললাম। বাসে উঠছি।
সকালবেলা গাড়ির হর্নে ঘুম ভাংলো।দেখি আমরা হোটেলে পৌছে গেসি। সিমি কে ডাক দিয়ে তুললাম। বাস থেকে নেমে হোটেল রুমে গেলাম। সেখানে গিয়ে ড্রেশ চেন্জ করবো
— স্যার আপনি একটু বাইরে যান.
— কেন
— স্যার আমি ড্রেস চেন্জ করবো
..তাই একটু বাইরে যান।
— ওয়াসরুমে যাও।
— পচা মানুষ।
বলেই ও ওয়াসরুমে চলে গেল।আমি রুমের মধ্যেই ড্রেশ চেন্জ করলাম।
তার পর ও আসলো আমরা দুজন খাবার খেতে গেলাম।
খাবার খেয়ে এসে রেস্ট নিলাম। রাতে ভালো ঘুম হয় নাই।তখন সিমি এসে পারাপারি..
— স্যার চলেন না.।
— কি হলো.?
— স্যার চলেন আমি একটু বিচে যেতে চাই।
একটু সেখানে ঢেউ দেখতে চাই।
— আরে এখন না।
— চলেন স্যার।
–প্লিজ, আমরা যাবো তাছারা কক্সবাজার আসছি ওটার জন্য
কি আর করার না গিয়ে উপায় নাই।আমি আর সিমি বিচের মধ্যে গেলাম।
ও পানি দিয়ে আমার মুখে ছিটিয়ে দিলো।
আমি শুধু ও কি করে তাই দেখছি।আমার এসবের প্রতি আর আগ্রহ নাই।
সিমি কিছুক্ষণ পর ক্লাস হয়ে আসলো।
— কি হলো আসলে কেন..?
— তো কি আপনি ওখানে ডুবে মরতে বলেন নাকি..?
— তা বললাম কখন।আমি বললাম তুমি তো গোসল ই করলে না।
— হু স্যার আপনি মজা নিতাসেন।
— আরে থাক তোমার সাথে আমি পেরে উঠবো না।চলো হোটেলে যাই।আমার জামা কাপড় ও ভিজে গেসে।
তখন আমি আর সিমি হোটেলে আসলাম।ও ওয়াসরুমে চলে গেল।আমি রুমেই কাজ টা সারলাম।দুপুরে খাবার খেয়ে রুমে বসে আসি।তখন সিমি আমার কাছে আসলো।
— স্যার সরেন আমি ঘুমাবো.।
— এখানে সোফা নাই।
— সোফা কে খুজে আপনি একটু সাইড হন..
— ওকে
আমি সাইড হতেই ও বিছানায় সুয়ে পরলো।আমি এলটু দুরে সরতেই ও আমার কাঋে এসে জরিয়ে ধরলো।
— এই কি করছো ছারো..
— না স্যার ছারা যাচ্ছে না।
— তুমি সরে যাও আমার কাছে থেকে।
— আজকে আর সরছি না। আপনি যদি বেশি জালান তাইলে আমি কিন্তু..
— বুঝছি আর বলতে হবে না।
তখন আর কি করার ওকে সুতে দিলাম। ও আমাকে আস্টে পিস্টে সুয়ে পরলো।
— স্যার আপনার বুকের ওপর ঘুমাই।
— তুমি অনেক ভারি..
— কিহ.. দারান দেখাচ্ছি মজা। বলেই ও আমার বুকের ওপর সুয়ে কয়েকটা কিল মারলো।
— উ মা ব্যথা পাই ছারো..
— আপনি আমাকে মোটা বলেন..
— আচ্ছা আর মোটা বলবো না।
— এই তো ভালো…
— এখন থেকে ভারি বলবো..
— দারান দেখাচ্ছি মজা। বলেই আবার আমার সাথে যুদ্ধ। আমি বিছানা থেকে উঠে পরছি। ও বালিশ দিয়ে আমাকে ঢিল দিলো।আমি ও দিলাম।কিছুক্ষণ পর দুজনেই ক্লানৃত হয়ে গেলাম।ও এসে আমার বুকের মাঝে সুয়ে পরলো।
— এভাবে আমাকে বুকের মধ্যে রাখবেন তো..
— জানি না..
— কিহ.
— আচ্ছা রাখবো বেশি করে রাখবো।
— তারমানে আপনি আরও কয়েকজন কে আপনার বুকে রাখবেন।
— আরে এটা আবার কখন বললাম।
— আপনি খুব পচা। আপনি শুধু আমার কথার উল্টা বলেন।
— আচ্ছা আর নেকামো করতে হবে না এখন ভালো।করে ঘুমাও।
— কি আমি নেকামো করি..
— আচ্ছা তুমি ভালো আমি খারাপ তাও ঘুমাও।বিকেলে আবার বিচে যেতে হবে। তখন ও ঘুমিয়ে পরলো। আমি শুধু ভাবছি
— হুট করপই সিমির প্রতি একটা আগ্রহ হয়ে গেল। মেয়েটার মাঝে একটা অন্যরকম আকর্ষন আসে। আমি যেটাকে ভুলে থাকতে পারি না। সব সময় ওটাকে আমার ওর প্রতি দুর্বল করে। যতই চেষ্টা করি আমি ওর থেকে দুরে থাকবো ততই ও আরও আমার কাছে চলে আসে। আমি যে ওকে ছারা থাকতে পারবো না সেটা আমি বুঝতে পারছি।
অন্য সব কিছুর কথা এখন বাদ। কিন্তু আবার যদি ও আগের মতো করে। নাহ সাবধান ও থাকতে হবে। ওকে দিয়ে বিশ্বাস নাই। বিকেলে উঠে দুজনে বিচে গেলাম। ও অনেক কিছু কিনল। যেই কোনো চুড়ি বা অন্য কিছুর দোকান দেখে ওমনি আমাকে ওখানে নিয়ে যায়।আমি যেনো রোবট হয়ে গেসি।
সন্ধার দিকে দুজনে হাটছি সৈকতে। ও তখন আমার হাতটা ধরলো। একটা ঠান্ডা হাওয়া আমাদের এখান দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। রঙিন আকাশ টা এখন কিছু বলতে চাইছে। আমি শুধু তাকিয়ে আসি সমুদ্রের দিকে। সিমি বাতাসে চুল নরছে ওটা ঠিক করলো। আমি তখন ওর দিকে তাকালাম। খুব সুন্দর লাগছে ওকেআমি আসলেই ওর প্রতি পাগল হয়ে গেসি। ও আমার তাকানো দেখে মিষ্টি মিষ্টি হাসছে।আমি ওটা দেখে খুশি লাগছে। দেখতে দেখতে রাত হয়ে গেল।
— সিমি চলো এখান থেকে যেতে হবে।
— কোথায়..– হোটেলে.
–কেন..?
— কেন মানে.. চলো এখানে থাকাটা নিরাপদ হবে না.।
— আচ্ছা চলেন..তখন আমি আর সিমি ওখান থেকে চলে আসলাম।দুজনে রুমে বসে ভাবছি কালকে কি করবো।কিন্তু কেউ কাউকে কিছু বলছি না।
— সিমি চলো এখন খাবার খেতে যেতে হবে। অনেক রাত হয়ে গেসে।
— ওকে চলেন
..খাবার খেতে গেলাম। সিমি খাবর বেশি খেলো না।ও আগে চলে আসলো। আমি খাবার শেষ করে রুমে আসলামওকে ডাক দিলাম।
ও ওয়াসরুমে গেসে দেখে আমি রুমে বসে ফোন টিপছি।
তখন ও ওয়াসরুম থেকে বের হলো। ও নীল রঙের শাড়ি পরেছে।
একেবারে ওকে নীল পরীর মতো লাগছে। আমি শুধু তাকিয়ে আসি। চোখ ফিরাতে পারছি না। ও আমার পাশে এসে বসলো
— আজকে হটাৎ শাড়ি..?
— আজকে স্পেসাল দিন তো..
— কি সেটা..
— এটা। বলেই ও আমাকে।কিস করলো।
আমি ওর কাজে সায় দিলাম। কিছুক্ষণ পর বুঝলাম ও কি চাইছে। কিন্তু আমি ওর সাথে ওসব করবো না। ও খুব ছোট। কিন্তু ওর ভালো বাসার জোরে আর কন্ট্রোল করতে পারলাম না। আমরা আমার মনের গভীরে হারিয়ে গেলাম। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই গোসল করে নিলাম। ও শুধু আমাকেদেখে হাসছে। আমি কিছু বলছি না। দুপুরে বিচে গেলাম। ও কালকের মতো পানি নিয়ে খেলছে।
আজকে একটু সাহস করে সমুদ্রে নেমেছে। খুব মজা করছে ঢেউ এ। ছোট ঢেউ গুলা তে লাপাচ্ছে। হুট করে কোথা থেকে যেন একটা বড় ঢেউ এলো। সিমিকে আর দেখলাম না।তাইলে সিমি গেলো কই। আমি ওকে সেখান দিয়ে খুজলাম।পাচ্ছি না সিমিকে আমার মাথা কাজ করছে না। সিমির কি হলো।ও কি পানিতে ডুবে মারা গেলো..!
চলবে..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com