সোপান (ক্রাইম সিরিয়াল)

খাঁ বাড়িতে সাজ সাজ রব।নতুন করে সব সাজানো হয়েছে।

খাঁ সাহেবের বড় মেয়ের বিয়ে বলে কথা।সবাই যার যার মতো বাড়ি সাজানোতে ব্যস্ত।

ফুল দিয়ে ডালা সাজাচ্ছে ছোটরা।আর বড় গিন্নী হেঁসেলে তদারকি তে ব্যস্ত।আরেকটু পরেই গায়ে হলুদ শুরু হবে।

খাঁ সাহেব আপন মনে হুকা টেনে যাচ্ছেন।এমন সময় দৌড়ে উঠোনের মাঝে এসে আছড়ে পড়লো রহমত।খাঁ সাহেবের সবচেয়ে অনুগত আর কাছের কাজের মানুষ।চমকে উঠলেন বড় কর্তা।

ততোক্ষণে বাড়ির সকলে কাজ ফেলে চলে এসেছে উঠোনে।এদিকে রহমত এক মনে হাঁপিয়ে যাচ্ছে।বড় কর্তা এসে তাকে জিজ্ঞাস করলো,”কি হয়েছে রে রহমত?”রহমত ডুকরে কেঁদে উঠলো।বললো,”সর্বনাশ হয়ে গেছে বড় কর্তা!

আফামনির জামাই গলায় দড়ি দিছে!”পাথর হয়ে গেল বড় কর্তা!ইতি মধ্যে বাড়ির সকলেই উঠোনে উপস্থিত হয়েছে সাথে রিফা ও এসে গেছে।নিজের হবু বরের মৃত্যু সংবাদ শুনে অবাক হয়ে গেছে।

মাত্র ৪-৫ আগেই দেখেছিল সে মানুষটাকে।লজ্জায় ঠিক মতো কথা বলতে পারে নি সেদিন।কিন্তু মনে মনে তাকে স্বামী হিসেবে ভেবে নিয়েছিল এখন কি করবে সে?কাঁদতেও পারছে না।হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এদিকে গ্রামের সকলের মধ্যে কানা ঘুষা আরম্ভ হয়ে গেছে।কে জানে আসল ঘটনা কি?খাঁ সাহেব চুপচাপ বসে আছেন।তারপর আস্তে করে রহমত কে ডাকলেন তিনি।-রহমত ও রহমত!-আজ্ঞে কর্তা!-তোমার ছেলে যে ঢাকায় পড়ে ওরে খবর দাও।-কেন কর্তা?-আমি রিফার সাথে ওর বিয়ে দিতে চাই।যদি রাফসান রাজি থাকে ওরে খবর দাও।

এ কি বলছেন কর্তা?আমি তো আপনার গোলাম আপনি কিনা রিফা আফা মনি রে আমার ছেলের হাতে তুলে দিবেন?-যা বলেছি তাই করো।আমি রিফার সাথে কথা বলছি।-রিফার মা ও রিফার মা।রিফাকে ডাকো তো।হঠাৎ করেই চিৎকার ভেসে আসলো কানে। খাঁ সাহেবের ছোট মেয়ে আরিফার গলা।সকলে ছুটতে লাগলো সেদিকে।

চলবে