অস্তিত্ব । পর্ব-০৪
অনেক সময় যাবত অপেক্ষা করেও ওনার কোন খবর পেলাম না।খুব মেজাজ খারাপ হয়ে গেল তাই চলে আসার জন্য উঠে দাঁড়াতেই একটা পার্সেল দেখতে পেলাম।যার উপরে আমার নাম লেখা।আর সেটা সিঁড়িতে রাখা।কিন্তু আমি তো এখানেই ছিলাম।তবে এই পার্সেল কে রেখে গেল?আশ্চর্য তো!এতোক্ষণ তো ছিল না এটা আবার কেউ তো আসেও নি।যাই হোক এখন আর আগের মতো ভয় করছে না আমার।এগিয়ে গিয়ে পার্সেলটা তুলে নিলাম।অনেক বেশি ভারী।এতোটা ভারি যে খাবারের বক্সটা আর আমি নিতে পারলাম না। ভাবলাম পরের বার এসে নিয়ে যাবো।আগে এটা নিয়ে বাড়ি যাই।
ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দিলাম।এখন এটাকে খুলবো খুব দেখতে ইচ্ছে করছে কি আছে এর মধ্যে।একটান দিয়ে উপরের অংশ টা ছিঁড়ে ফেললাম।তারপরই আতংকে গলার স্বর বন্ধ হয়ে গেল আমার।বাক্সের ভেতর কেয়ার মাথা অনেক সুন্দর করে কেঁটে সাজিয়ে রাখা।আর তার সাথে হাজার হাজার গোলাপের পাপড়ি।সাদা পাপড়ি গুলো জমা রক্তের সাথে মিশে লাল হয়ে গেছে।
এমন সময় দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হলো।বাবা ডাকছে।আমি দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলেই আছড়ে পড়লাম বাবার বুকে।তারপর জ্ঞান হারালাম।যখন জ্ঞান ফিরলো তখন দেখলাম আম্মু আমার মাথার পাশে বসে আছে।আর ঘর ভর্তি পুলিশ।আমার জ্ঞান ফেরার জন্যে অপেক্ষা করছিলো বলেই মনে হলো আমার।
ইন্সপেক্টর অজয় কাকু আমার বাবার বন্ধু।উনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন,”কি হয়েছিল মা?আর তোমার বান্ধবীর এই অবস্থার জন্য তুমি কি কাউকে সন্দেহ করো?সব কিছু খুলে বলো আমাকে।”আমি কান্না করে ফেললাম।আসলে কেয়া আমার খুব ভালো বান্ধবী ছিল সেই ছোট্ট থেকেই।এরপর নিজেকে সামলে নিয়ে একে একে বলতে শুরু করলাম কি কি হয়েছিল।কাকু খুব মনোযোগ দিয়ে শুনলেন সব।তারপর আরো কিছু প্রশ্ন করলেন বাড়ির সবাইকে।ঘন্টাখানেক পর বিদায় নিলেন তারা।
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com