ধর্ষক|মাইমুনা ইসলাম সুমনা
চলো আমরা ঘুরতে যাই।
ধর্ষকদের ভয় পাই।
আমি তো আছি, ভয় কিসে?
ধর্ষক যে বাড়ছে দেশে।
স্বামী তোমার, করবো রক্ষা।
অনেক তারা, তুমি যে একা।
তোমাকে বাঁচাতে জীবন দেবো।
সাদা শাড়ি এতো জলদি পড়বো?
তবে কি আর যাওয়া হবে না?
সতীত্ব ফিরে পাওয়া হবে না।
আমি বোধহয় ব্যর্থ স্বামী।
সতীত্ব যে ভীষণ দামি।
তাই বলে কি থাকবো বসে?
ধর্ষিতাদের চিৎকার ভাসে।
স্বামী হওয়ার যোগ্যতা নেই।
ভালোবাসি এই তোমাকেই।
চলাফেরায় নিরাপত্তা চাই।
ধর্ষকবিহীন বাংলাদেশ চাই।
কবিতা-একাত্তুরের আমজনতা
বাতাসে ভারী সীসার গন্ধ ভাসছে,
শহরময় আদিকালের নীরবতা,
প্রচন্ড তাপদাহে তৃষ্ণার্থ কাকেরও বসার জায়গা নেই কোথাও,
তার চির চেনা জায়গাগুলো গোলার আঘাতে তছনছ হয়েছে,
সব কেমন যেন অপরিচিত লাগছে তার কাছে।
পথে পথে স্বজন হারাদের স্বজনের খোঁজে বিহবল দৃষ্টি,
বোবা কান্নায় নীরব জিজ্ঞাসা একে অন্যের প্রতি!
চারিপাশে ধ্বংসস্তুপ, লাশের ছড়াছড়ি।
শোনা গেল যুদ্ধের ভয়াবহতা আরো বাড়বে,
একটু নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় পালাক্রমে চলছে
স্থান পরিবর্তনের পালা,
শহরের মানুষ ছুটছে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে,
গ্রামীণ জনপদের মানুষ ছুটছে নিজ গ্রাম ছেড়ে অন্য গ্রামে,
আপন নিবাস ছেড়ে পর নিবাসে।
কোথাও নেই স্থিরতা, নেই কোন মানুষিক স্বস্তি।
পথে পথে কাফেলা, যেন সব বেদুঈন আরবের দল,
বাক্স পেটরাসহ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিচ্ছে ভীত সন্ত্রস্ত্র জন।
কখনো পায়ে হেটে, কখনো বা রিকসা ভ্যান, বাস, লঞ্চ।
ঘাটে ঘাটে চোখে পড়ছে বিভৎসতার চিহ্ন,
ঘাটে ঘাটে জাতের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে তাদের।
কখনো বা দেখতে হচ্ছে চোখের সামনে নারকীয় দৃশ্য।
দূরে দেখা যাচ্ছে মানুষের ঢল,
যেন খাদ্য সংগ্রহে সারিবদ্ধভাবে চলছে পিপিলিকার দল।
বিভিষিকাময় এমনই চিত্র ছিল একাত্তুরের পথে পথে,
এমনই বিভিষিকার স্মৃতি আজও
একাত্তুরের কাল পার করা কোটি জনতার স্মৃতিতে,
সেই বিভিষিকাময় দিনগুলো তাদের চোখে আজও ভাসে,
আজও সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে শিউরে উঠতে হয় তাদের।
আজও শ্রমে ঘামে ভিজে সেই আমজনতাই,
আজও সেই একই বৈষম্যের স্বীকার আমজনতাই,
আজও কি পেয়েছে, কখনো কি পাবে?
আমজনতা তাদের সেই ত্যাগের বিনিময়?
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com