আমি শৈশবে ফিরে যেতে চাই
সেই শৈশব, যেখানে ভোরবেলায় সূর্যের আলো চোখে এসে জানান দিবে যে ওঠার সময় হয়েছে।
আঁটসাঁট ঘরে আজকাল খুব দমবন্ধ লাগে আমার।
আমি ফিরে যেতে চাই সেই স্কুল ব্যাগে, সাদাকালো স্কুল ড্রেসে, যার শার্টের পকেটে তিন টাকার ইকোনো বলপয়েন্টের কালি গলে বের হয়ে যেত, আর তারপর মায়ের বকুনির ভয়ে আমার কাচুমাচু মুখ।
স্কুলের সেই খটখটে টিফিন বিস্কুট,যার স্বাদ ভোলার নয়, সেই বিস্কুটে কামড় বসাতে বসাতে দৌড়ে বাড়ি আসার মুহুর্ত ফিরে চাই আবার। স্যারদের সেই আদরের ডাকগুলো মনে পড়ে। মনে হয় আবার ডাকুক তারা।
দুপুর রোদে খেলতে দিবে না বলে মায়ের চেপে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা, চোখ বুজে অপেক্ষা করতাম কখন মা ঘুমাবে। আর তারপর উঠে খেলনা নিয়ে দৌড়।
সারা বিকাল খেলা শেষে নদীতে গিয়ে ডুব। কাদা তুলে তার ভিতরে আবার ডুব। গোসল করলেও গায়ের কাদা যেত না।
মায়ের পিটানির সাথে যোগ হতো জোরে গায়ে ডলা দিয়ে কাদা তোলা আর আমার কান্না।
এখন আর কেউ খেলতে ডাকে না, মা ও আর অমন করে মারে না।
আমি আবার শৈশবে ফিরতে চাই।
সেই শৈশব, যেখানে লাল নীল বাতির পরিবর্তে থাকবে কেরোসিন তেলের কুপি।
হ্যারিকেন এর আলোর নিচে বইয়ের ভিতরে চুরি করে গল্পের বই পড়ার আনন্দের কথা মনে হলেই মুহুর্তে চোখে পানি চলে আসে।
রাত বাড়তে থাকত, ঝিঁঝি পোকার ডাকের সাথে জোনাকির আলো সারা রাত বাগানজুড়ে সবুজ আভা ছড়াত।
সেই শৈশব এখন আর নেই।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো আমার ও বলতে ইচ্ছা করে ” সে জানত, সবাই জানে, শৈশবে আর ফেরা যায় না”
শৈশবে ফেরা যায়না
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com