Breaking News

গল্প - আড়ালে || পর্ব-২

সোফায় বসে আছে নিশি।।নিজের বিয়ের রাত কোনো মেয়ে এভাবে আশা করে না।নিজের রুমে অন্য মেয়ে ছবি তাও হাতে আঁকা। সব শুভ্র এঁকেছে।
.
.
পরিচয়:
– আমি নিশি পেশায় একজন সাইকিয়াট্রিস্ট। শুভ্রর দূর সম্পর্কের মামাতো বোন। ছোট বেলা থেকেই আমি শুভ্রকে পছন্দ করতাম।আমার ছোট ফুপির বিয়েতে শুভ্ররা এসেছি তখন দেখেছিলাম । আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে আর শুভ্র শিল্পপতির ছেলে অনেক তফাৎ। আমার স্বপ্ন ছিল সাইকিয়াট্রিস্ট হবো তবে বাংলাদেশে তখনো এর তেমন কোনো ব্যবস্থা ছিলোনা।ফলে ভালো সাইকিয়াট্রিস্ট হতে দেশের বাহিরে যাবার প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু ঐ যে মধ্যবিত্ত পরিবারের সামর্থ নেই। হঠাৎ (শুভ্রর মা) ফুপি আমার স্বপ্ন পূরণ করতে চলে আসে শুভ্রর সাথে আমার বিয়ের কথা হয় আমায় দেখে ফুপি ফুপা পছন্দ করে আর শুভ্রকে নাহ বলেই তারা আমার বাবাকে বিয়ের একটা কথা দিয়ে রাখে আমিও শুভ্রকে পছন্দ করি তাই আর নাহ করি নি। যখন ফুপি জানতে পারে আমার সাইকিয়াট্রিস্ট হবার স্বপ্ন তখন যেন তাদেরও স্বপ্ন হয়ে গেলো যেনো আমি ডিগ্রি অর্জনের জন্য বাহিরে যায়। তাই আমি ও সাইকিয়াট্রিস্টের ডিগ্রির জন্য দেশের বাহির চলে যায় ২ বছরের জন্য। কিন্তু এই ২বছর আমার জীবনে মোর এভাবে ঘুরিয়ে দিবে ভাবতে পারি নি।বিদেশে গিয়ে শুধু বাবার সাথে কথা হতো কিন্তু শুভ্রর বিষয়ে কিছু বলে নি।আমিও লজ্জায় কিছু জিজ্ঞেস করেনি।কিন্তু দেশে ফিরে যখন জানলাম খুব কষ্ট হচ্ছিলো।আর বাবার কথা দিবার ফলে আজ আমার আর শুভ্রর বিয়ে হলো।।.
.
–শুভ্রর কথা ভাবতে ভাবতে নিশি সোফায় ঘুমিয়ে পরে।।
–বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকার কিছু সময় পর নিজের ব্যবহারের জন্য শুভ্র অনুপ্ত হয়।আমি খুব খারাপ ব্যবহার করে ফেলেছি। বেচারির তো কোনো দোষ নেই ওকে সরি বলে দিবো কিছু সময় পরে শুভ রুমে ঢুকে দেখে নিশি সোফায় ঘুমিয়ে গেছে।তাই কথা নাহ বাড়িয়ে শুভ্র বিছানায় ঘুমিয়ে পরে। সকালে বলবে ভেবে।
.
–ঘুম থেকে উঠে শুভ্রর ঘুমন্ত মুখ দেখে ইচ্ছে করে কপালে ভালোবাসার পরশ এঁকে দিতে কিন্তু নিশি জানে এখনো তার সময় হয় নি।তাই ফ্রেশ হয়ে নিশি নিচে রান্না ঘরে চলে যায়।।তার শাশুড়ীর জন্য চা বানাতে। চা বানিয়ে নিজের শাশুড়ী ঘরে নিয়ে যায়।।
.
.
.
.
–মা আসবো?
.
-আরে আমার লক্ষী মেয়ে আয় আয় (শিরিনা বেগম)
.
-মা আপনার চা(মুচকি হেসে)
.
-তুই কেন আনতে গেলি মা।রহিম কোথায়। রহিম এই রহিম।
.
-মা রহিম চাচা কে বাজারে পাঠিয়েছি,বাজার করতে।
.
-ও আচ্ছা ।
.
-হুম।(মুচকি হেঁসে)
.
-আমার ছেলেটা সুস্থ হয়ে যাবে তো তাড়াতাড়ি (নিশির হাত ধরে এক বুক বিশ্বাস নিয়ে)
.
-আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। আপনি চিন্তা করবেন নাহ (মুচকি হেঁসে)
.
-রহিম চাচা আমার চা কোথায়? (শুভ্র চিৎকার করে)
.
– মা আপনি চা খান আমি উনাকে চা দিয়ে আসি(নিশি)
.
-আপনার চা। রহিম চাচা বাজারে গেছে।তাই আমি নিয়ে আসলাম(কাঁপা কাঁপা হাতে শুভ্রর দিকে চার কাপটা এগিয়ে দেয় নিশি)
.
–মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে খুব বেশি ভয় পেয়ে আছে। হয়তো রাতের কফির ব্যবহারে।
.
-ধন্যবাদ আমি কাল রাতের ব্যবহারের জন্য দুঃখিত।(শুভ্র)
.
-না না সমস্যা নেই। আমি আসি তাহলে।
.
–দাঁড়ান এই শাড়ি আপনি কোথায় পেয়েছেন?
.
-আলমারি থেকে.
.
-আপনার সাহস(কথা শেষ করার আগেই দেখে শুভ্রর জোরে কথা বলার জন্য নিশি একটু ভয় পেয়ে একটু নড়ে ওঠা সথে চোখে জল চিকচিক)
.
-সরি (নিশি)
.
-দেখুন এগুলো আমার রিয়ার শাড়ি প্লিজ এগুলোতে হাত দিবেন নাহ।(নরম সুরে)
.
-কিন্তু আমার তো শাড়ি কিনা হয় নি।
.
-তো কি হয়েছে শুভ্র তোকে নিয়ে যাবে।কিরে বাবা যাবি নাহ (শুভ্রর মা হঠাৎ রুমে ঢুকে)
.
-আচ্ছা ঠিক আছে আপনি বিকালে রেডি হয়ে থাকবেন আমি নিয়ে যাবো। (এই বলে শুভ্র রুম থেকে বের হয়ে যায়)
.
-শুভ্র বাহিরে যেতেই নিশি আর শিরিন বেগমের মুখে হাসি ফুটে উঠলো।যেন এমন কিছুই আশা করেছিলো।
.
-আমি জানি মা তুই শুভ্রকে আগের মতো করতে পারবি।
.
-মা আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন সব ঠিক হয়ে যাবে।(মুচকি হেঁসে)


-বিকালে নিশি আর শুভ্র মার্কেট শেষে বাড়ি ফিরছিলো।হঠাৎ নিশি ফুচকা বলে চিৎকার করে উঠে। শুভ্র তাড়াতাড়ি গাড়ি এক পাশে থামায়।
.
-কি ব্যাপার কি হলো? চিৎকার করছেন কেনো?(শুভ্র)
.
-ফুচকা ফুচকা?(নিশি)
.
-আর ইউ সিরিয়াস ফুচকার জন্য কেউ এভাবে চিৎকার করে ?(রেগে)
.
-আসলে ফুচকা অনেক পছন্দ তো তাই দেখে তাল সামলাতে পারি নি ?.
.
-ফুচকা খাবেন?
.
-নাহ বাসায় চলেন।?
.
-সিউর?
.
-নাহ,হুম,নাহ আরকি ইচ্ছে করছে ??
.
-কি?স্পষ্ট ভাষার বলেন?
.
-ইচ্ছে করছে খেতে (চোখ বন্ধ করে বলে ফেলে)

চলবে…….

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com