কেমিস্ট্রি ম্যাডামের সাথে প্রেম
এস.এস.সি দেওয়ার পর এলাকার
কলেজেই ভর্তি হয়ে গেলাম। শহরের পরিবেশ এবং হোস্টেলে থেকে পড়া আমার জন্য একদম বেমানান। তাই ভর্তি হলাম ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে।
২ মাস পর কলেজে গেলাম। নতুন বলতে আমিই, আর পুরান বলতে সবাই। কলেজে যাওয়ার সময় মামাতো ভাই বলে বসলো যা কলেজে যা তবে স্মার্ট মেয়ে টেয়ে পাইলে মিস করিস না কিন্তু।
কমপক্ষে বন্ধুত্বটা করিস। অতঃপর খুব উত্তেজনা নিয়ে কলেজে গেলাম, কাউকে
চিনিনা। কেউ আমাকে ও চেনেনা। মাথাটারে রোবট স্টাইল করে ক্লাশের সব মেয়ে ছেলেদের দিকে একবারের জন্য তাকালাম. ২ ৩ টা ছেলে ছাড়া বাকি সব বখাটে। মেয়েগো ক্ষেত্রে ও তাই। দ্যাট মিন আমার চোক্ষে সুন্দরি নয়।
.
ক্লাশে হাবাবোবা ছেলের মত বসে রইলাম। মাঝেমধ্যে ২ একজন ছেলের সাথে পরিচিত হয়ে নিলাম।
তো ২য় ঘন্টায় আসলেন কেমিস্ট্রি ম্যাডাম।
হাজিরা ডাকা শুরু করলেন। ৬০৩ ডাকতেই আমি হাজিরা দিলাম।
ইয়েস ম্যাম বলেই বসে পড়লাম।
ম্যামঃ এই যে মিঃ একটু দাঁড়ান তো
প্লিজ.
আমিঃ ম্যাম আমাকে বলছেন?
ম্যামঃ জ্বি আপনাকে.
.
আমি একটু নার্ভাস হয়ে দাঁড়ালাম.
.
ম্যামঃ কি নাম আপনার?
আমিঃ শাহীন আলম.
ম্যামঃ কি করেন আপনি?
আমিঃ পড়ালেখা করি।
ম্যামঃ আপনি যেহেতু পড়ালেখা
করেন,
তাহলে
এতোদিন কোথায় ছিলেন?
আমিঃ একটু প্রবলেম ছিলো ম্যাম।
ম্যামঃ কি প্রবলেম জানতে পারি?
আমিঃ একটু সিক্রেট।
ম্যামঃ ওহ বুঝছি, এই বয়সে আপনাদের
কি আর প্রবলেম থাকতে পারে। এখন থেকে নিয়মিত
আসবেন তো??
আমিঃ জ্বি ম্যাম।
ম্যামঃ আচ্ছা বসেন।
.
ম্যাডাম ক্লাশ থেকে যেতেই ভাবতে
লাগলাম। যাক শালার, কলেজে সুন্দরি মেয়ে নাই তো কি হয়েছে সুন্দরী ম্যাডাম তো আছে। ম্যাডাম দেখে আমি ভাবতে লাগলাম উনি হয়তো ডিগ্রির কোনো আপু হবেন। বাট উনি ম্যাডাম ই ৩ বছর
ধরে চাকরি করছেন। উনাকে দেখে একদম ম্যাডাম মনেই হয়না। উনি অনেক ইয়াং, “স্মার্ট এবং সুন্দরী। আমার দৃষ্টিতে বয়স সর্বোচ্চ ২৩ ২৪ হবে এর বেশি না।
.
পরের দিন ক্লাশে যেতে একটু দেরি হয়ে যায়। গিয়ে দেখি সেই সুন্দরি ম্যাডামের ক্লাশ চলতেছে।
দরজায় দাঁড়িয়ে আমি- মে আই কামিং ম্যাম??
ম্যাডামঃ কামিং। লেট কেন??
আমিঃ আসতে একটু দেরি হয়েগেছে ম্যাম।
ম্যাডামঃ জ্বি না, আসতে মোটেও দেরি হয় না । বরং ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হইছে।
《আমি কিছু বললাম না জাস্ট মাথা
নাড়লাম》
ম্যাডামঃ যাও বসো।
.
অতঃপর ভদ্র ছেলের মত বসে ম্যাডামের
লেকচার শুনতে লাগলাম। ওহ সরি সুন্দরি ম্যাডামের লেকচার আর শুনে কে বরং উনাকেই দেখতে লাগলাম।
আর ম্যাডাম ও বুঝলেন যে আমি উনাকেই দেখছি।
তা বুঝতে পেরে উনি বললেন, হা করে না
তাকিয়ে থেকে বইয়ের দিকে তাকাও। বাট এই কথা কাকে ম্যানশন করে বললেন কে
জানে??
.
দূর আমি ম্যাডাম কেই দেখতে লাগলাম। ম্যাডাম বুঝতে পেরে আর কোনো উপায় না পেয়ে বলে বসলেন সবাই বইয়ের এতো নং পৃষ্ঠা দেখো। কি আর করবো বাধ্য হয়ে বইয়ের পৃষ্ঠার দিকেই তাকালাম। কারন ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে থাকায় উনি হয়তো একটু বিরক্তই হয়েছেন।
.
বাড়িতে এসে ভাবতে লাগলাম উনি এত্ত ইয়াং বয়সে এতো বড় একটা কলেজে চাকরি পেলেন কি করে.
তার উপর যেমন ব্রিলিয়েন্ট তেমন ই সুন্দরী।
পোলাপাইন তো উনার ক্লাশে হা করে তাকিয়ে থাকে।
২, ৪ দিন ক্লাশ করে কমপক্ষে এই অভিজ্ঞতাটা আমার হইছে।
.
একটা সময় ম্যাডাম কে অনেক ভালো লেগে যায় আমার। অনেকটা সামথিং সামথিং।
আর আমার একটা প্রবলেম হলো আমি আমার সমবয়সীদের চাইতে আমার থেকে ৪ ৫ বছরের বড় মেয়েদের প্রতি ইন্টারেস্টেড। তাই হয়তো ম্যাডামের উপর আমার এই ফিলিংস।
মনে মনে ভাবতে লাগলাম ম্যাডামের ফেসবুক আইডি যদি পেতাম তাহলে কি ভালোই না হতো।
কিন্তু কিভাবে ম্যাডাম কে পাবো। উনার নাম ই তো জানি না।
আর ফেসবুক ইউজ করেন কি না তা ও তো ভাবনার বিষয়। পরে কাস্টম থেকে লোকেশন ইন্সাইডে গিয়ে কলেজের নাম সার্চ করে উনার আইডিটা পেয়ে গেলাম।
“মেহরিন জাহান কেমিস্ট্রি টিচার, এট ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ” লিখা দেখে আমার আর বুঝতে বাকি
রইলো না যে এটাই আমাদের সুন্দরি ম্যাডাম।
.
সাথে সাথে দিলাম রিকুয়েস্ট। ২দিন হয়ে গেলো বাট ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট এক্সপেক্ট করে নাই। নিজের কাছে খুব খারাপ লাগলো। ম্যাডাম হয়তো আমাকে চিনতে পেরে আমার রিকুয়েস্ট এক্সপেক্ট করেন নাই। কিন্তু আমার চিন্তা নিতান্তই ভুল তিন দিনের মাথায় ম্যাডাম।
রিকুয়েস্ট এক্সপেক্ট করলেন। কিন্তু উনার
আইডিতে উনার কোনো পিক নেই। ভাবলাম নক দিবো কিনা।
অনেক ভেবে নক দিয়েই বসলাম। হাই
আপি.
মেহরিন ম্যাডাম সিন করলেন বাট রিপ্লাই দিলেন না। খুব রাগ হচ্ছিলো ভাবলাম ব্লক করে দেই।
আবার ভাবলাম না এটাতো মোটেও করা যাবেনা
কারন আমার ক্রাশ তো উনিই।
.
২ দিন পর আবার ম্যাসেজ দিলাম
.
আমিঃ হাই আপি কেমন আছো?
ম্যামঃ জ্বি ভালো। তুমি?
আমিঃ কি করতেছেন?
ম্যামঃ না কিছুনা তো।
আমিঃ ও আচ্ছা।
.
যদিও উনি আমাদের মেহরিন ম্যাডাম তবুও ফেসবুকে না চিনার ভান করে আপুই বললাম।
.
৩ দিন পর
.
আমিঃ হাই আপি, কেমন আছো?
ম্যামঃ ভালো, তুমি??
আমিঃ হুম ভালো।
ম্যামঃ হুম।
আমিঃ বয়ফ্রেন্ড আছে আপনার?
ম্যামঃ মানে কি?
চলবে……..
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com