গল্প - অদ্ভুত নিয়তি
মামি আজ কি কি রান্না করবো(মাথা নিচু করে রিয়া)
মামি-রান্না করবি তুই। করলে তো আমি একটু শান্তি পেতাম।কিন্তু আমার কপাল কি এতো ভালো। সকালে উঠে এত মানুষের চা নাস্তা করতে করতে আমার জীবন তেজপাত।।৷ আমার জীবনে এটুক শান্তি নেই।এখানে দাঁড়িয়ে আছিস কেন যা রান্না ঘরে সব আছে রান্না কর গিয়ে দুপুরের আর নাস্তা দে টেবিলে।
রিয়া-যাচ্ছি মামি।
-আমি রিয়া মার খুবই আদরের মেয়ে।এবার অর্নাস ২বর্ষ কিছু দিন পর ফাইনাল পরীক্ষা বাবা মারা যাবার পর মা ছিলো আমার সব।
–রিয়া কবে উঠবি রে তুই।। এমন পগলী মেয়েকে নিয়ে যে আমি কি করি।যেদিন থাকবো নাহ সেদিন বুঝবি। মা কি। এখন তো আর বুঝবি নাহ(মা)
-তোমায় কোথাও যেতে দিলে তো।(রিয়া মাকে জড়িয়ে)
-আচ্ছা কোথাও যাবোনা।কিন্তু কিছু কাজ তো শিখতে হবে।জামাই কি বলবে।আমার শাশুড়ি আমার বউকে একটা অকর্মের ঢেঁকি বানিয়েছে।
.
-মা আমার জন্য রাজপুএ আসবে কোনো কাজ নাহ পারলে সে সাহায্য করবে।।(রিয়া)
-দোয়া করি আল্লাহ তোর ইচ্ছে পূরণ করোক (মা)
রিয়া-ধরে নেও পূরণ হয়ে গেছে। মার দোয়া সবার আগে পূরণ হয়ে যায়।
মা-হয়েছে।এখন খেয়ে কলেজে যাও।পাগল একটা।
–। অতীতের কথা মনে হতে অঝরে চোখের জল গাল বেয়ে নিচে পরছে। ৬মাস মা মারা গেছে স্টোক করে বাবা অনেক আগে।চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করছে মা দেখে যাও তোমার মেয়ে আজ সব পারে রান্না থেকে কাপড় ধোঁয়া সব এই ৬মাসে শিখে গেছে।৷ রুটি ও গোল হয়। নাহ রান্না শেষে কলেজে যেতে হবে। (চোখ মুছে কাজে মন দেয়)
-কিরে রান্না কতো দূর আজ কি খেতে পারবো।(মামি)
রিয়া-দিচ্ছি আর ৫ মিনিট।
.
-সকালে নাস্তা টেবিলে রেখে।। মামি দুপুরের খাবার রান্না করে ফেলেছি।আমি কি এখন যাবো (রিয়া)
মামি-যাও যাও পড়া লেখা করে কি করবা তুমি আর তোমার মামা জানো।এত ভালো বিয়ের ঘর আনলাম নাহ তোমাদের কাছে ছেলের বয়স বেশি। আরে ছেলের বয়স একটু বেশি তো কি হয়েছে টাকা আছে তো অনেক রানী করে রাখতো।তা নাহ।
রিয়া-নিশ্চুপ
মামি-যাও নাহ কেনো।পরে তো মামাকে বলবা আমি যেতে দেই নাহ(একটু চেচিয়ে)
রিয়া আর কথা না বাড়িয়ে কলেজে চলে আসে।
-কিরে কিউটের ডিব্বা (দিশা রিয়ার বেস্টফ্রেন্ড)
রিয়া-মুচকি হেসে। কেমন আসিস?
দিশা-ভলো।তুই। মুখটা এমন শুকনা কেন।কিছু খাসনি সকালে?
রিয়া -নাহ রে সময় পাইনি।ক্লাসে চল।
দিশা -কেনো থাকিস ঐ বাড়িতে।তুই তো নিজের খরচ নিজে প্রাইভেট পরিয়ে তুলিস।ভারতি টাকাও তোর মামি নিয়ে নেয়।তবুও কেন পড়ে থাকিস।
রিয়া -মামার জন্য আর ছোট বোনটার জন্য।
দিশা-মানে?
রিয়া-মামা আমায় অনেক ভালোবাসে। আমি যদি মামির আচরণের কথা বলি তাহলে সংসারে অনেক সমস্যা হবে।আর নিরু(মামাতো বোন) উপর এর প্রভাব পরবে।সে তো ছোট সেভেনে পড়ে মাএ।
দিশা- তাই বলে কিছু বলবি নাহ।
রিয়া-মামা তো টাকা দেয় খরচের কিন্তু মামি আমায় দেয় নাহ। এখানে তো মামার দোষ নাই।আমি চেয়েছি বাড়ি ছাড়তে কিন্তু পারি নি।বাদ দে যা হবার হবে।।
দিশা-এভাবে আর কত দিন রিয়া?
রিয়া-রাজকুমার যতদিন না আসে(হাসতে হাসতে)
চলবে….
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com