গল্প -আড়ালে

এই নাও কফি রাত বিরাতে এতো কিসের কফি খেতে ইচ্ছে করে জানি নাহ আমি(রিয়া রেগে একদমে কথাগুলো বলে ফেলে)
.
-শুভ্র কফির মগটা বারান্দার টি-টেবিলে রেখে রিয়ার হাত ধরে কাছে নিয়ে।
.
শুভ্র – বারান্দায় চাঁদের আলোয় আর একটা চাঁদ দেখে কফি খাওয়ার মজাই আলাদা। কপালে ভালোবাসার পরশ দিয়ে।
.
রিয়া-হইছে ছাড়ো।
.
শুভ্র -কেনো ছাড়বো ??
.
রিয়া-কফি ঠান্ডা হয়ে যাবে। আমি কিন্তু আর গরম করে দিবো নাহ এই কইয়া দিলেম।
.
-শুভ্র মুচকি হেসে রিয়াকে পিছন থেকে এক হাতে জড়িয়ে ধরে কফির মগটা অন্য হাতে নেয়।
.
রিয়া-কি ব্যাপার কেলাইতাছো কেরে?
.
শুভ্র -তুমি জানো তোমার এই অদ্ভুত শব্দ গুলোর প্রেমে বারবার পরি।
.
রিয়া-কি অদ্ভুত শব্দ পাইলা।
.
শুভ্র -এই যে বললা রাত বিরাতে, কেলাই,কইয়া দিলেম(হাসতে হাসতে)
.
রিয়া-??????
.
শুভ্র -আচ্ছা আমায় বলতো রাত তো আমারা সবাই জানি কিন্তু বিরাত কি?(মুচকি হেঁসে)
.
রিয়া-তোমার মাথা ছাড়ো আমায় ধরবা নাহ আমারে।??
.
শুভ্র -ওলে আমার বউটা দেখি রাগ করে?
.
রিয়া –?????। ছাড়ো চান দেহো। আমারে ধইরা রাখছো কেরে।
.
শুভ্র -আমার চান যে আপনি।তাই তো আপনাকে দেখছি।
.
রিয়া-এমন করো কেরে ?
.
শুভ্র -আচ্ছা আর বলবো নাহ সরি সরি সরি(রিয়াকে নিজের দিকে ঘুড়িয়ে কফির মগ রেখে দু হাতে কান ধরে)
.
রিয়া-হয়েছে ছাড়ো কান(হাত দিয়ে শুভ্র হাত কান থেকে সরিয়ে দেয়) ।
শুভ্র -তুমি রাগও করতে পারো নাহ (বুকে জড়িয়ে ধরে)
.
রিয়া-যে দিন থাকতাম নাহ ঐদিন কানবা। পরে চোখের জল মুছবার ও আইতাম নাহ।।
.
শুভ্র -বুক থেকে এসব কথা বললে কিন্তু আমি(কথা শেষ করার আগেই)
.
রিয়া-সরি সরি আর কমু নাহ।(কান ধরে চোখ বন্ধ করে)
.
শুভ্র -আর কইতেন নাহ।?
.
রিয়া-??নাহ
.
শুভ্র -হাহাহা?(বুকে জড়িয়ে নিয়ে)
.
.
—অতীতের কথা মনে করে শুভ্রর চোখ থেকে অঝোরে পানি পরতে থাকে।আর সত্যিই রিয়া নেয় মুছে দিবার জন্য।
.
.
.
-আপনার কফি।। শুনলাম আপনি কফি খুব পছন্দ করেন তাই নিজ হাতে কফি বানিয়ে আনলাম (নিশি শুভ্রর দিকে মগটা এগিয়ে দিয়ে)
.
.
-চোখের সামনে বধূ বেশে নিশি।হাতে কফির মগ শুভ্রর সামনে।শুভ্র নিশির হাত থেকে কফির মগ ফ্লোরে ফেলে দিয়ে।
.
শুভ্র -কে বলেছে আপনাকে আমার জন্য কফি আনতে। আপনি কি কিভাবে চিন্তা করলেন আমি আপনার হাতে কফি খাবো।বেরিয়ে যান আমার রুম থেকে (চিৎকার করে)
.
নিশি-এখন আমি কোথায় যাবো আর নতুন বউ বাহিরে গেলে সকলে যে আপনাকে খারাপ মনে করবে। আমি নাহ হয় বারান্দায় দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখি তাহলে তো আপনার রুমেও থাকা হলো নাহ বাহিরের কেউ জানবেও নাহ(কান্না কান্না কন্ঠে )
.
শুভ্র -নিশ্চুপ
.
নিশি-আমি কি যাবো?(ভয়ে ভয়ে)
.
শুভ্র -যান। তবে আমার চোখের সামনে আসবেন নাহ।
.
নিশি-ঠিক আছে।
.
.
.
-নিশি বারান্দায় দাঁড়িয়ে চাঁদ দেখছে।পূর্ণ চাঁদ উঠেছে।চাঁদের দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দেয়।আবার ঘরে ঢুকে।
..
।
নিশি- শুনুন (ভয়ে ভয়ে)
.
শুভ্র -আবার কি হলো।
.
নিশি -বারান্দায় নাহ অনেক মশা।একটা কয়েল যদি হতো?
.
.
.
.
-আমি বারান্দায় ঘুমামো।মশা খাইবো আমারে নিতে আইবা নাহ আমারে কইয়া দিলাম (রিয়া বারান্দায় গিয়ে দরজা মেরে)
.
শুভ্র – আর কখনো কোনো মেয়ের পোস্টে কোনো দিন কমেন্ট করবো নাহ সত্যি ৩ সত্যি।দরজা খুলো সোনা বউ (দরজায় ধাক্কা দিয়ে)
.
রিয়া- শুভ্র মশা ???(দরজা খুলে কান্না করতে করতে হাত দেখিয়ে)
.
শুভ্র -হাহা আগেই তো বলছিলাম।।
.
রিয়া-????
.
–সরি সরি কূলে তুলে রুমে নিয়ে আসে শুভ্র। বিছানায় বসাই।হাতে ফুঁ ফুঁ দিতে থাকে।
.
রিয়া-আমি কি দুঃখ পাইছি। ফুয়াতাছো কেরে ???
.
শুভ্র -না ভাবলাম ফুঁ দিলে ভালো লাগবে ???
.
রিয়া-কোন জন্মে শুনছো মশা কামরাইলে ফুয়াইলে ভালো লাগে।??
.
শুভ্র –????
.
রিয়া- হাহাহা ???।তোমার এমন বোকা বোকা মুখ দেখতে ভালা লাগে।
.
শুভ্র -আর আমার তোমার এই হাসি দেখতে।
.
রিয়া-হয়ছে যাও।
.
.
.
-নিশির ডাকে শুভ্র বর্তমানে ফিরে আসে।
.
-কি হলো শুনছেন?(নিশি)
.
শুভ্র -হুম(কিছুটা অপ্রস্তুতি ভাবে)
.
নিশি -একটা কয়েল খুব মশা।
.
শুভ্র -রুমের সোফাতে থাকেন বারান্দায় থাকতে হবে নাহ।।( কথাটি বলে শুভ্র বারান্দায় চলে যায়)
.
.
-কেন চলে গেলে একা ফেলে বড্ড বেশি ভালোবাসি??? ফিরে আসো(শুভ্র কান্না করতে করতে)

চলবে…..