শান্তি || জাকিয়া সুলতানা জুমুর || অন্তিম পর্ব
রিমি আচমকা ভয় পেয়ে যায়।।
রিমি আরিফের দিকে তাকাতেই আরিফ রিমিকে সুখের সাগরে ডুবিয়ে দেয়।
৫মিনিট পরে আরিফ রিমি কে বলে একি রিমি তুমি এমন পুরান কাপড় কেন পরে আছ??
রিমি:আরে এমনি।
আরিফ:আমার কসম বল কেন।
রিমি:আসলে আমি সারি পরেছিলাম।
আরিফ:ত কেন খুলেছ?
রিমি:মা,,,,
আরিফ:মা কি???? বল🤔🤔
রিমি:আসলে নতুন কাপড় পরাতে মা বকা দিয়েছে আর খুলে ফেলতে বলেছে।
আরিফ :মার কি সমস্যা তুমি কাপড় পরলে??
রিমি:যানি না আর এটা অ জানি না কেন মা আমার সাথে তোমাক থাকতে দিবে না।
আরিফ ; তুমি জান যে আমাকে আজকে মার সাথে থাকতে বলছে??
রিমি:হা জানি।
মা এগুলা আগে ই আমাকে বলছে যেন আমি তুমার কাছে না ঘেসি।😥
আরিফ আবার রিমি কে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরল।
আবার সেই দরজায় ঠকঠক আওয়াজ , আরিফ অওঅঅঅঅঅঅঅঅ খুদা বও কে অ আদর করতে পারতাছি না। এই কেরে এতরাতে???
-আরে আব্বা আমি তুমার আম্মা দরজা খুল আব্বা কিতা কর এন? হে আইয় দরজা খুল
আরিফ দরজা খুলে আর বলে
-মা আমি আমার বও এর সাথে না গুমাইয়া কই যাইতাম।
আমি রিমির সাথে গুমাব।
-অ আল্লাহ গো
আমার পুলায় ইতা কিতা কয় হে এই খারাপ মাইয়ার লগে বলে থাকব।
আব্বা আমার কাছে থাক তোমাকে গুপন কথা বলব যে। আস
(আরিফ কে একরকম জুড়ে করে নিয়ে গেল) আর রিমি কে বল্ল এই মাইয়া লাইট নিবাইয়া ঘুমা।
আরিফ কে নিয়ে রুমে গেল তার মা।
আরিফ কে বসিয়ে রেখে তার মা বলে....
- যে আব্বা তুমি বস আমি আইতাছি হেএএএ।
(এই বলে রাহেলা চলে যায় রুমের বাহিরে,
কিছুখন পরে ফিরে আসে আর বলে)
- আব্বা তুমারে কিছু কথা বলতে চাই
শুনতে পারবা???
আরিফ মাথা নারাল
রাহেলা বলে
-আব্বা গো কি মাইয়া আনছ গো আব্বা
মাইয়া দি বেডা লইয়া রাইতে গুমায়।
-কি বল মা????
-আরে হহহহহহহ
-তুম কি প্রমান পাইছ
-হহহহ পাইছি
-কার সাথে রিমি এমন করে হে তার নাম বল মা।
-সে আর কেও না আব্বা তুমার ছোট বোন জামাই।জামাইয়ের লগে প্রতিরাতে গুমায় তুমার বও।
-না মা এটা হতে পারে না।
-এটাই হয় আব্বা
আর শুন তুমার বোন জামাই যানে না যে আজকে তুমি আসবা তাই আমার মনে হয় আজকে অ আসবে।
-হা আমরা অপেক্ষা করে আজকে দুজনকে ধরব।
-আইচ্চা ঠিক আছে।
রাত দুইটা বাজে।
কলিং বেল বেজে ওঠে।
অনেক খন দরে বাজে কেউ খুলে না,
রিমি কান্না করছিল আর আওয়াজ শুনে সে আসল না
অনেক্ষন পরে কেও যায় না দেখে সে মুখ মুছে গেল,গিয়ে খুলে দেখে ছোট আপার জামাই আসছে।
রিমি:ভাই কি হইছে, কোন সমস্যা হইছে নাকি??
-আরে কিছুনা মা কই
-মা ত গুমায়
-অওঅঅঅঅঅঅ তুমি কি কর?
-আমিও গুমাই আচ্চা আসেন আপনি।
-হা হা
রিমি চল তুমার রুমে যাই
-কেন?
-আরে চল ই না
রিমির রুমে গিয়ে রিমি কে জরিয়ে ধরল আকবর (বোন এর জামাইয়ের নাম আকবর)
রিমি জুরে জুরে চিল্লাতে লাগে।
আকবর রিমির শরীরের জামা খুলতে ব্যস্ত।
এদিকে আরিফ আর রাহেলা অ চলে এসেছে
আরিফ জুরেজুরে দরজা ধাক্কা দিয়ে যায়।
কিন্তু দরজা খুলে না
আরিফ বলে মা অরে বল দরজা খুলতে.
রাহেলা অ অনেক আকুতিভরা কন্ঠে ডাকে।
অনেক্ষন পর দরজা খুলে রিমি, সে আকবরের মাথায় ফুলদানি দিয়ে আঘাত করাতে সে অজ্ঞান হয়ে যায়।
রিমি দোড়ে গিয়ে ঝাপিয়ে পরে আরিফ এর বুকে।
আরিফ লক্ষ করে যে আকবর রিমির সারা শরীর আছড়িয়েছে।
এবার আরিফ রিমিকে জুড়ে ধাক্কা দিয়ে দুরে সরিয়ে দেয়। আর বলে
-অই তরে আমি ভালবাসছিলাম আর তুই এই প্রতিধান দিলি।
সাথে শাশুড়ী অ তাল মিলায় যে যান আব্বা এই মাইয়া তুমার মাথায় কাঠাল বাইংগা খাইতাছিল।
আকবরের লগে অয় প্রতি রাতে গুমায়।
রিমি অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।
কিছুবলার সুযোগ দিতেছেনা রাহেলা বেগম।
আরিফ কিছুখন চুপ থেকে বলেন যে আয় রুমে আয় কথা আছে
রাহেলা বেগম ভাবে যে যাও শুনা আজকে দিব মাইর৷
আরিফ রুমে গিয়ে আকবর কে রুম থেকে বের করে দেয় ধাক্কা দিয়ে আর রাহেলা বেগম অচেতন জামাইর মুখে পানি দিয়ে হুশ ফিরায়
রাহেলা ছেলের ঘরে ওকি দিয়ে দেখে যে ছেলে রিমি কে বলছে কাপড় গুছা তরে তর জায়গায় দিয়া আসি।
রাহেলা দেখে ছেলে ই কাপড় গুছাইয়া রাখিয়া আসিবার জন্য পাগল হয়ে গেছে।
রাহেলা আরালে এসে আকবর কে বলে বাবা কাজ ত হইয়া গেছে গা।
আমাদের আপদ বিদায়।
দুজনে জয়ের হাসি হাসে।
কিছুখন পরে আরিফ রুম থেকে বাহিরে আসে।
তার হাতে ৩টা ব্যাগ।
-রাহেলা বলে আব্বা এই নস্টর বাচ্চারে এক কাপড়ে বাহির কইরা দে আর কি দেস এত ব্যাগ এ আরিফ বলে
মা শুন রিমি চলে যাচ্ছে না বরং তুমি তোমার ছেলে কে হারাচ্ছ।
এতদিন যা আন্দাজ করেছিলাম তুমি আজকে তা প্রমাণ করে দিলে বাহ মা তুমার প্লেন এর তারিফ করতে হয়।
মা তুমি আমাকে এত বোকা ভেবেছ হে।
যে মেয়ে আমার জন্য তার ফ্যামিলি ছেড়ে এসেছে তুমি তার সাথে খারাপ আচরণ করবা আর আমি বুজতে পারব না এটা কি করে হয়।
আজকে আসার পর থেকে ই আমার কেমন আচ লাগছিল।
আর যখন তুমার রুমে নিয়ে গিয়ে বল্লা যে ফোন করতে বাহিরে যাচ্ছ আমার তখন ই গাপলা লাগল,আমি বুজতে পারছিলাম যে তুমি কিছু একটা গন্ডগল আছে।
তাইত তুমি বাহিরে যাওয়ার পর তুমার পিছনে পিছনে গেলাম আর যখন শুনতে পেলাম তুমি আকবরের সাথে বলতেছ যে আজকে সুযোগ পাইছ আমার রিমু কে আমার থেকে আলাদা করতে তখন ঈ আমি তুমার প্লেন যেনে গিয়েছিলাম আর চুপ ছিলাম।
মা মাগো
তুমার মেয়ে অ ত দিছ মা পরের ঘরে তুমার মেয়ের শাশুড়ি যদি এমন করে তাহলে কি তুমি আন্দদ পাইবা বল।
হে আমি চলে যাচ্চি মা রিমু কে নিয়ে ঢাকা যাচ্চি।
তুমি তুমার অহংকার আর কুবুদ্ধি নিয়ে থাক।
মা তুমাকে এক্টা কাদা মাটিরদলা দিয়েছিলাম তুমি নিজের মত করে গড়ে তুলতে কিন্তু না তুমি কাদা মাটিকে রোদে দিয়েছ
হায় মা তুমি তুমার নিজের শান্তি নিজে হারালে।
ভাল থেক।
রিফাত রিমি কে আর কোন কথা বলতে দিল না, রিমির হাত ধরে সামনের দিকে এগিয়ে গেল।
পিছন থেকে রাহেলা বেগম এর ডাক শুনা গেল কিন্তু আরিফ যখন আর পিছনে ফিরে তাকায় না তখন তার গলা ফাটানো আতনাদ শুনা গেল।
প্রায় মাসতিনেক পরে রাহেলা বেগম অসুস্থ হয়ে পরে তার কোন ছেলের বও তাকে সেবা করতে আসে না।
সবার পরে রিমি কে আরিফ কে জানান হয় যে তিনি অসুস্থ তার পর রিমি কান্নাকাটি শুরু করে যে মার কাছে যাবে, আর আরিফ নিয়ে আসে।
শুধু রিমিই আসে, এসে শাশুরি কে
নিয়ে রিমি ঢাকা যায় আর ঢাকা পিজি হসপিটাল থেকে ভাল চিকিৎসা নেয়ায়।
আর রিমি শাশুড়ি কে এমন সেবা করে যে তার সাশুরি তাকে নতুন করে চিনতেছে , অবাক নয়নে রাহেলা রিমির দিকে তাকিয়ে থাকে।
আর যে আসে তাকে বলে যে আমার বওমা আমারে যেম্নে সেবা করছে আল্লায় আমার বও এর ভালা করুক,
এরপর থেকে রিমি কে ছাড়া রাহেলা চলতে পারে না।
দুজনের এখন এমন ভাল হয়েছে যে কেও দেখলে বলতে পারবেনা যে তার কি মা মেয়ে নাকি বও শাশুরি।
রাহেলা বেগম রিমির কাছে হাত জুড় করে বলেছে যে বও গো আমার ভুল হইছে মাফ কইরা দে। আমি আসল সুনা চিনতে ভুল করছি।
রিমিরা এখন খুব ভাল আছে।
....সমাপ্ত ...
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com