অবন্তীর সংসার || পর্ব:০৪
হঠাৎ আবিরের বুকের বাঁ পাশটা চিনচিন করে উঠলো কষ্টে... অবন্তী কতটা ভালোবাসা দিয়ে দায়িত্ব দিয়ে তার পরিবার সামলাচ্ছে অথচ আবির তার সামান্য ইচ্ছে গুলো পূরন করতে ব্যর্থ...
.
.
পরদিন সকালে,
আবির বৃদ্ধ লোকটিকে ফোন দিয়ে জানালো সে চাকরীটা করতে চাই।বৃদ্ধটি তাকে আগামীকাল যাওয়ার কথা জানালো।
সকালে নাস্তার টেবিলে বসে আবির তার মাকে জিজ্ঞেস করলো..
-মা!! তোমার ব্যাথাটা খুব বেশি, তাইনা?
-না,বাবা। ঠিক আছি।
-মা,চিন্তা করোনা, একটা ব্যবস্থা হয়ে গেছে কাল থেকে কাজে যেতে হবে।
-আচ্ছা বাবা..তবে যাই করিস সেটা যেনো সৎ হয় আর পরিশ্রমের দ্বারা হয়।
-হুম মা!! দোয়া করো!!
.
.
অবন্তী যেনো আজ একটু বেশিই চুপচাপ।চঞ্চল মেয়েটা হঠাৎ কেনো এতটা চুপচাপ হয়ে গেলো ঠিক বুঝতে পারছে না আবির।তাই আবিরই জিজ্ঞেস করলো,
-কি হয়েছে অবন্তী? তোমাকে মনমরা মনে হচ্ছে কেনো?
- কই না তো।
-আমার থেকে লুকোচ্ছো?বলো না কি হয়েছে?
- আবির,আম্মুকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে!!
-তো,এই কথাটা বলতে তোমার এতটা সংকোচ হচ্ছে?
-কি করে বলতাম বলো? মা অসুস্থ,তোমার মনটাও ভালো নেই, এই অবস্থায় আমার যাওয়াটা কি ঠিক হবে?
- তুমি তো সব দিক সামলে নাও অবন্তী।সবাইকে খুশি রাখো.. আর নিজেই মনমরা থাকবে? এটা হতে দিয়েছে কখনও আবির?
-নাহ তো!! আমার আবির সব থেকে বেস্ট স্বামী।
কথাটা বলেই আবিরের বুকে মুখ লুকায় অবন্তী। আবির বলে..
-তাহলে তুমি আজ বিকেলেই বরং চলে যাও বাড়িতে... কেমন?
-মায়ের খেয়াল কে রাখবে?
-কেনো?? আমি আছি না? আমার অবন্তীর ছুটি ৩ দিনের জন্য..সে একটু বিশ্রাম নিয়ে আসুক।
-ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি
-আমিও ভালোবাসি পাগলী
.
.
বিকেলে অবন্তী আবিরকে ডেকে বললো..
-শুনো বেশি করে রান্না করে রেখেছি,ফ্রিজে রেখে খাবে।মায়ের ঔষুধ রাখা আছে এখানে সময় করে দিবে.. তোমার কালকে পরার পোশাকগুলো ইস্ত্রি করে রেখে দিয়েছি ডেস্কে। সকালে উঠে খাবার গরম করে খেয়ে সাবধানে যাবে কেমন? আর রাতে আমাকে ফোন দিবে..তারপর তাড়াতাড়ি ঘুমাবে..আররর....
-থাক, থাক আর বলো না!!! প্রথম থেকে সব ভুলে যাচ্ছি।
-ধ্যাতঁ তুমি না!! আবার বলি?
-এই না না.. একদম না!! আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা করো!!
-সবই তো করে রেখেছি আর কিসের কাজ?
-আর কিছুই নেই?
-বুঝতে পারছি না...বলো না প্লিজ!!
-আমার...
চলবে.........
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com