Breaking News

ছয় মাসের বউ || পর্ব-২৮

মিতু ফোনের আওয়াজ পেয়ে রুমে এসে ফোন হাতে নিয়ে দেখে একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল আসছে।
কল রিসিভ করবে কি করবে না তা ভাবতে ভাবতে কল কেটে যায়।
তাই ফোন রেখে দিয়ে চলে আসতে নেয়।
কিন্তু একটু পর আবার ও একই নাম্বার থেকে কল আসে এবার আর কিছু না ভেবে কল রিসিভ করে। 

মিতু: আসসালামুআলাইকুম। 

অচেনা: ওয়ালাইকুম সালাম। 

মিতু: কে বলছেন আপনি?

অচেনা: বেবি আমার তুমি আমাকে এতো সহজেই ভুলে গেলে।
আর আমাকে কি করে এতো সহজে তুমি ভুলে যেতে পারলে।
আবার আমাকে ভুলে গিয়ে তুমি বিয়ে করে সংসার করো কি করে এতো সুখের। 

মিতু: আপনি!!

অচেনা: বেবি চিনতে পারলে তবে।
এই আবিরকে(অচেনা মানুষটাই হচ্ছে আবির) তুমি কি করে ভুলে গেলে বলো তো। 
এই আবির কে তো তোমার আবিরের মতো নিজের সাথে মনে রাখার কথা।

মিতু: কি চান আপনি আবার আমাকে কেনো আবার বিরক্ত করছেন আপনি?

আবির: বেবি এটা তুমি কি বললে বলো তো।
এই আবির তো তোমার কাছে শুধু তোমাকেই চায়।

মিতু: প্লিজ আপনি আর আমাকে বিরক্ত করবেন না।
আর কল দিয়েন না আপনি আমাকে।

আবির: বেবি তা তো হবে না।
আমাকে ভুলে তুমি সুখের সংসার করবে তা তো হতে পারে না।
তোমাকে তো আমার চাই চাই। 
আচ্ছা বেবি এখন রাখি তোমার husband চলে এসেছে রাখি বেবি।

আর কিছু না বলে আবির ফোনটা রেখে দেয়।
আর তার জন্যে মিতু আর কিছু বলার সুযোগ পায়নি মিতু।
মিতু অনেক ভয়ে ঘামতে থাকে। 
আর তার মধ্যে আরিফ ও রুমে চলে আসে। 
আরিফ রুমে এসে দেখে মিতু প্রচন্ড ঘামছে আর কিছু নিয়ে খুব বেশি ভাবছে।
আরিফ মিতুর কাছে গিয়ে দাঁড়ায়। 

আরিফ: এই মিতু কি হয়েছে তোমার এমন করে ঘামছো কেনো।

মিতু: নাহ্ কিছু হয়নি।

আরিফ: তো এমন করো ঘামছো কেনো তুমি?
কি নিয়ে এতো চিন্তা করছো তুমি?

মিতু: কিছু না আপনি ফ্রেশ হয়ে নিন।
আমি আপনার জন্য খাবার বাড়ছি।

মিতু আর আরিফকে কিছু না বলে চলে আসে। 
আরিফ ও আর কিছু বললো না।
ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে রুমে চলে আসে। 

মিতু ও কাজ শেষ করে রুমে চলে আসে আর রুমে এসে ফোনের মেসেজ এর আওয়াজ পেয়ে চেক করে দেখে আবির মেসেজ করেছে।

আবির: বেবি তোমার husband তো বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে একটা কাজ করি ওকে এখনই গুলি করে তোমার আমার মাঝে থেকে সরিয়ে দেই কি বলো?

মিতু ফোন হাতে থেকে রেখে দিয়ে  তাড়াতাড়ি করে আর বারান্দায় চলে আসে আর দেখে সত্যি আরিফ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। 

মিতু: (মনে মনে)সত্যি তো আরিফ বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। 
কিন্তু আবির কি করে জানলো তা তবে কি আবির এখানেই আছে।
না এতো কিছু ভেবে কাজ নাই আগে আমাকে আরিফ কে বারান্দায় থেকে সরাতে হবে।
কিন্তু কি করে সরাই আর কি বলি উনি যদি কোনো প্রশ্ন করে তবে কি  বলবো।
না এখন এতো কিছু ভেবে কাজ নাই আগে ওনাকে সরাই।
এই যে শুনছেন? 

আরিফ: হুম কিছু বলবে?

মিতু: আপনি এখন না ঘুমিয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন কেনো?
সারাদিন তো অফিসে ছিলেন এখন রুমে গিয়ে রেস্ট নিন এখানে দাড়িয়ে না থেকে। 

আরিফ: কেনো কি হইছে?আর আমি তো প্রতিদিন অফিসে যাই আর রাতে খাবার খেয়ে এখানে দাড়িয়ে থাকি।
এটা আবার এমন কি নতুন কিছু নাকি।

মিতু: হুম আপনি প্রতিদিন দাঁড়িয়ে থাকেন ঠিক আছে কিন্তু আপনাকে আজ বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। 
আজ আপনি এখন রুমে চলে আসুন প্লিজ। 

আরিফ: আচ্ছা মিতু তুমি কি কিছু লুকাচ্ছ আমার কাছে।
তুমি কি কোন কিছু নিয়ে খুব বেশি চিন্তায় আছো? 
আমি অফিস থেকে আসার পর থেকে দেখছি তুমি কি নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করছো।
বলো না আমায় কি হইছে তোমার আর আজ তুমি আমি বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ও তুমি চিন্তা করছো।

মিতু: না আমি কিছু চিন্তা করছি না আপনি শুধু শুধু চিন্তা করছেন।
আচ্ছা আপনি রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েন অনেক রাত হয়ে গেছে। 

আরিফ আর কিছু না বলে রুমে চলে আসে আর আরিফ রুমে এসে আসতে দেখে মিতু বারান্দায় দাঁড়িয়ে চারপাশে খুজতে শুরু করে কিন্তু কোথাও আবিরকে দেখতে পায় না।

মিতু:(মনে মনে)আবির কি করে জানলো আরিফের বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু ওকে তো কোথাও দেখছি না।
তবে কি করে জানলো।

মিতুর ফোনে আবার আবারও মেসেজ আসে দেখে যে আবির আবারও মেসেজ করেছে। 

আবির: ওহ্! বেবি খুব বেশি ভয় পেয়ে গেলে দেখছি।
আমাকে খুঁজো কি করতে আমাকে কি দেখতে ইচ্ছে করছে নাকি তবে বলো আমি এখনই চলে আসি তোমার কাছে।

মিতু আর কিছু না বলে তাড়াতাড়ি করে রুমে  চলে আসে আর শুয়ে পরে। 
কিন্তু আজ আর মিতু চোখ ঘুম আসছে না আরিফ কে নিয়ে চিন্তায় আছে আবির যদি আরিফ কে কিছু করে ফেলে। 
এতো কিছু ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারে নাই।

সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিনের মতো আজ ও নাস্তা রেডি করে আরিফ নাস্তা করে অফিসে চলে আসার জন্য বেড়িয়ে পড়ে। 
আর সেই সময় মিতুর ফোনে আবারও আবিরের কল আসে।

মিতু: আপনি কেনো আমার সাথে আবার এমনটা করছেন?

আবির: ওহ্! বেবি কেঁদো না তো তুমি।
বেবি আমি তো এখম ভাবছি আরিফকে অফিসে যাওয়ার পথেই সরিয়ে দিবো।
তুমি আর কিছু সময় পর আরিফের খবর পেয়ে যাবে।

এই বলে আবির কল কেটে দেয়।
মিতুর এখন ভিশন চিন্তা হচ্ছিলো আরিফের জন্য। 
মিতু চিন্তা করতে থাকে আর তার মধ্যে একটা কল আসে যা শুনে মিতুর হাত থেকে ফোনটা পরে যায় আর মিতু দাড়ানো থেকে নিচে বসে পরে

চলবে........

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com