ছয় মাসের বউ || সিজন ২ || পর্ব -২

মিতুর মনে শুধু এই চিন্তা কি করে মিতু বিয়ে ভাঙ্গবে। 

তারজন্য ও কি করবে নিজের মনে স্থির করে নিলো।

তার আগে পরিচয় দিয়ে নেই, 

মিতু ইসলাম।বাবা মোঃ শরীফ উদ্দিন। মা আফরোজা।আর মিতুর একটা বোন আছে ছোট নাম সুমি।

এবার এসএসসি দিবে।আর মিতু এবার অনার্স ১ম বর্ষে।বাবা মায়ের আদরের বড় মেয়ে। 

বাবা একজন ইন্জিনিয়ার। আর মা গৃহিণী। 

আর আজ যারা মিতুকে দেখতে এসেছে যার জন্য তাদের পরিচয় ও দিয়ে নেই। 

মোঃ আরিফুল ইসলাম। বাবা মোঃ রফিকুল ইসলাম। মা মারিয়া ইসলাম। 

আর এক বোন দুই ভাই আরিফের বড় একজন বোন আছে আর ছোট একটা ভাই আছে।

আরিফ নিজেই পড়াশোনা শেষ করে বাবার ব্যবসা দেখছে।

আর বোন আরিফান ইসলাম দুই বছর আগে বিয়ে হয়ে গেছে। 

আর ভাই মিনহাজ ইসলাম এবার ইন্টার ১ম বর্ষে।---

আর আজ মিতুকে দেখতে আরিফের আব্বু আম্মু আর ওর বড় বোন এসেছে। 

আর তাড়া এখন মিতুকে আরিফ কে আলাদা ভাবে কথা বলতে পাঠিয়েছে। 

তারজন্য মিতু আর আরিফকে মিতুর রুমে পাঠানো হয়।

দু'জনে চুপচাপ বসে আছে কেউ কিছু বলছে না।

তারপর আরিফ প্রথমে বলতে শুরু করে,

আরিফ:---কেমন আছেন? 

মিতু:---কালকে ভালো ছিলাম আজকে আপনারা আসার পর থেকে ভালো নেই। 

আরিফ:---কেনো কি এমন হলো যে আপনি আজ ভালো নেই?? 

মিতু:---কারন আমি চাই না এ বিয়ে করতে আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না গিয়ে তা বলে দিবেন। 

আরিফ:---কেনো এমন কথা বলবো আমি??

মিতু:---(রেগে বসা থেকে দাঁড়িয়ে) ঐ মিয়া আপনি কি দুনিয়ায় আর কোনো মাইয়া পান নাই যে আমারেই দেখতে আইছেন।

আর আপনাগো লাইগা আমার এখন জিন্স, টপসের উপর ভারি শাড়ী পরতে হইছে।

আরিফ:---আই থিংক আপনাকে শাড়িতে খুব সুন্দর লাগছে।

মিতু:--- ঐ মিয়া একদম আমার দিকে তাকাবেন না। 

তাকাইলে চোখ খুলে বিলাই রে দিয়া আসমু।

আরিফ:---কি করবো বলেন আপনার এমন সুন্দরী মেয়ে সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর তার দিকে তাকাবো না তা কি করে হয় বলেন। 

মিতু:---এই শুনেন আপনি এখন গিয়ে বলে দেন আপনি আমাকে বিয়ে করতে পারবেন না।আর বলবেন আমাকে আপনার পছন্দ হয় নাই।

আরিফ:---আসলেই আপনার মতো ডাইনি মেয়েকে কে বিয়ে করবে।

মিতু:---(খুশি হয়ে) সত্যি আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না। তবে গিয়ে বলে দেন যে আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না। 

আরিফ:---হুম তা না হয় বলবো,কিন্তু আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না কেনো তা শুনি তো।

মিতু:--- কারন আমি একজন কে ভালোবাসি আর তাকেই আমি  বিয়ে করবো।

আরিফ:---ওহ্!!! আচ্ছা ঠিক আছে বুঝলাম। আচ্ছা এখন আসি সবাই অপেক্ষা করছে।

আর আমাদের আবারও খুব তাড়াতাড়ি দেখা হবে।

এই বলে আরিফ মিতুর রুম থেকে চলে আসে। 

আর সবাই কিছু সময় কথা বলে চলে যায়।

আর মিতু তো খুশিতে লাফাতে শুরু করে দিলো।

মিতু:---(মনে মনে নিজেকে থাকে) মিতু তুই কতো বড় কাজ করে ফেললি নিজে নিজে কতো বুদ্ধিমানের কাজ করলি তুই।

রাতে মিতু পরিবার সবাই এক সাথে খেতে বসে আর মিতুর আব্বু বলতে থাকে, 

মিতুর আব্বু:---মিতুর আম্মু আরিফের আব্বু ফোনে করেছিলেন। 

মিতুর আম্মু:---তো কি বললেন ওনারা??

মিতু তো মনে মনে অনেক খুশি এই ভেবে বিয়েটা ও ভেঙ্গে দিয়েছি। 

মিতুর আব্বু:---তাড়া চায় যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব মিতুকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে। 

তাদের তাদের মিতুকে খুব পছন্দ হয়েছে। 

এই কথা শুনে মিতুর খাবার নাকে মুখে উঠে গেলো।

আর মিতুর আম্মু তাড়াতাড়ি করে মিতুকে পানি দেয় আর মিতু তা এক সাথে সবটা খেয়ে নেয়।

আর নিজের রুমে চলে আসে। 

চলবে......