ছয় মাসের বউ || পর্ব-২১
আরিফ: বিকেলে রেডি হয়ে থেকো।
মিতু: কেনো কোথাও যাবেন?
আরিফ: হুম,,,,আম্মু বলছে তোমাকে নিয়ে ঘুরে আসতে।
এখন না গেলে সন্দেহ করবে।
তাই আমি চাই না তাদের মাঝে কোনো সন্দেহ জন্ম নেক।
মিতু: আচ্ছা ঠিক আছে।
মিতু আর আরিফ কিছু সময় রেস্ট নিয়ে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে যায়।
আরিফ আগে রেডি হয়ে নিচে এসে মিতুর জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
আর মিতু রুমে রেডি হয়ে নিচে নেমে আসে।
আরিফ ড্রয়িং রুমে বসে থাকে আর তখন মিতু এসে হাজির হয়।
মিতু: হুম চলুন।
আমি রেডি হয়ে গেছি।
আরিফ: হা হয়ে মিতুর দিকে তাকিয়ে থাকে।
আসলে আজ মিতুকে অপ্সরী লাগছে।
মিতু আজ নীল রঙের শাড়ী পড়েছে, নীল চুরি, নীল টিপ,গলায় সাদা পাথরের জুয়েলারি আর আর কানে সাদা পাথরের ধুল।
যা মিতুকে আরও সুন্দর লাগছে।
আরিফ হঠাৎ করে মিতুকে দেখে তাই চোখ সরাতে পারে না।
মিতু: কি হলো এমন করে তাকিয়ে আছেন কেনো?
আরিফ: না কিছু না চলো।
মিতু: আপনি জান আমি মা কে বলে আসছি।
আরিফ: আচ্ছা আমি গাড়ির কাছে আছি তুমি আসো।
মিতু: আচ্ছা ঠিক আছে।
মিতু আরিফের আম্মু কাছে চলে আসে বিদায় নেওয়ার জন্য।
মিতু: মা আমরা যাচ্ছি।
আরিফের আম্মু: যাচ্ছি না আসি বলতে হয়।
আর তোরা সাবধানে যাইচ।
মিতু: আচ্ছা মা।
মিতু আরিফের আম্মু কাছে থেকে বিদায় নিয়ে বাহিরে এসে গাড়িতে এসে বসে।
আর আরিফ ও গাড়ি স্টার্ট করে।
কিন্তু কেউ কারো সাথে কথা বলে না।
দুজন চুপ করে আছে।
হঠাৎ করে মিতু চিৎকার করে বলতে থাকে।
মিতু: এই এই গাড়ি থামান।
গাড়ি থামান তাড়াতাড়ি প্লিজ।
আরিফ: কেনো কি হইছে।
গাড়ি কেনো থামাবো।
মিতু: আগে আপনি গাড়িটা থামান না প্লিজ।
আরিফ গাড়িটা এক সাইডে দাড় করায়।
আর মিতু গাড়ি দরজা খুলে দৌড়ে পিছনে চলে আসে।
আসলে মিতু হঠাৎ করে দেখে রাস্তা পাশে আইসক্রিম তাই আরিফ কে গাড়ি থামাতে বলে।
আরিফ ও মিতু পিছনে গেলো।
দেখে মিতু আইসক্রিম খাওয়ার জন্য এমন করছে।
আরিফ: এর জন্যে তুমি এমন পাগলের মতো করে গাড়ি থামাতে বলছো।(রাগী ভাবে)
মিতু: হুম না হলে তো আপনি গাড়ি থামাতেন না তাই তো এমন করলাম।
আচ্ছা এবার আপনি আইসক্রিমের টাকাটা দেন।
আরিফ: আমি কেনো দিবো?
খাইলা তুমি আইসক্রিম তোমার টাকা তুমি দেও।
মিতু: ও মা আমি কেনো দিবো আপনি আমাকে ঘুরতে নিয়ে আসছেন তো আপনি দেন।
না হয় আমি কিন্তু মা কে বলবো আপনি আমাকে আইসক্রিম খাওয়ান নাই।
আরিফ: আচ্ছা আচ্ছা দিতেছি।
আমাকে মায়ের কথা বলে Blackmail করা হচ্ছে।
মিতু: তা ছাড়া তো আর কোন উপায় নেই।
আর এখন এতো কিছু না ভেবে তাড়াতাড়ি টাকা দেন তো।
আরিফ মিতুর হাতে ১০০০ টাকা নোট দিলো।
মিতু: একটা আইসক্রিম এই জন্য এতো বড় নোট।
আরিফ: আমার কাছে ভাঙতি টাকা নেই আর।
মিতু: আচ্ছা ঠিক আছে লাগবে না।
মিতু আরিফের কাছে থেকে আইসক্রিমের কাছে চলে আসে আর আরিফ গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
মিতু দেখতে পায় রাস্তার পাশে কতোগুলো বাচ্চা ছেলে মেয়ে তাই তাদেরকে ডেকে আনে।
মিতু: মামা আপনি সবাইকে আইসক্রিম দিয়ে দিয়েন।
আর এই নেন টাকা।
আইসক্রিম ওয়ালা: আচ্ছা মা।
মিতুর দিকে তাকিয়ে দেখে আরিফ মিতু কি করছে।
মিতু আরিফের কাছে এসে বলতে থাকে।
মিতু: আপনার কাছে তো ভাঙতি টাকা ছিলো না তাই আইসক্রিম ওয়ালা মামা কে বলছি বাচ্চা গুলা কে আইসক্রিম দিয়ে দিতে।
আরিফ : আচ্ছা ঠিক আছে এখন গাড়িতে উঠো।
আরিফ আর মিতু গাড়িতে করে আজ অনেক ধুরে।
আর শপিংমল থেকে শপিং করে মিতু সবার জন্য।
আর শপিংমল থেকে বাহিরে এসে গাড়িতে বসে।
আরিফ: এই কয়টা শপিং করতে এতো সময় লাগে।
মনে করেন পুরো শপিংমল তুলে আনছে।
মিতু: আপনি বুঝবেন না।
আর বেশি কি করলাম অল্প কিছু তো কিনলাম।
আরিফ: হইছে আর বলতে হবে না।
এখন আমার খিদা রেস্টুরেন্ট রয়েছে কাছে সেখানে যাবো।
মিতু: আচ্ছা ঠিক আছে।
মিতু আর আরিফ রেস্টুরেন্ট চলে আসে আর আরিফ খাবার খেয়ে বাসায় চলে আসে।
ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গেছে বাসায় এসে দেখে আরিফের আম্মু বসে আছে।
আরিফের আম্মু: কি রে তোরা খাবার খেয়েছিস না কি খাবি এখন।
মিতু: মা আমরা খেয়েছি তোমরা খেয়েছো।
আরিফের আম্মু: হুম আমরা খেয়েছি।
আচ্ছা যা তোরা গিয়ে রুমে ফ্রেশ হয়ে নে।
আবার কাল সকালে তোদের বড় ফুপু বাড়িতে যেতে হবে।
আরিফ: আচ্ছা আম্মু রুমে গেলাম আমরা।
মিতু: মা শুনো!
আরিফের আম্মু: কি রে মা কিছু বলবি।
মিতু: হুম মা। এটা তোমার জন্য আর এটা বাবার জন্য।
দেখো তো পছন্দ হয় কি না।
আরিফের আম্মু:আমার মা যখন আমাদের জন্য এটা আনছে এটা সুন্দরই হবে।
আচ্ছা মা তুই যা ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পর।
মিতু: আচ্ছা মা।
মিতু রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নেয়।
আর আরিফ ও রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় শুয়ে পরে।
আর মিতুও আরিফের পাশে এসে শুয়ে পরে।
প্রতিদিনের মতো আজও মিতু উঠে নাস্তা তৈরি করতে যায়।
আর গিয়ে দেখে আরিফের আম্মু আজ সব কাজ শেষ করে ফেলেছে।
মিতু: মা তুমি কেনো এগুলো করতে গেলে আমি তো সব করে নিতাম।
আরিফের আম্মু: হুম আমি জানি তুই সব করে নিবি।
কিন্তু আজ তো তোদেরকে তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বড় আপার (আরিফের ফুপু) বাসায় যেতে হবে তাই আমি সব করে নিছি।
আচ্ছা তুই এখন গিয়ে তাড়াতাড়ি খেয়ে রেডি হয়ে নে।
মিতু: আচ্ছা মা যাচ্ছি।
মিতু আর আরিফ নাস্তা করে রেডি হয়ে বেড় হয়ে গেছে।
আরিফ নিজেই গাড়ি ড্রাইভ করছে।
কেউই কারো সাথে কোনো কথা বলছে ন।
রাস্তায় হঠাৎ করে গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়।
আরিফ: ওহ্ নো!এখন আবার গাড়ির কি হলো।
মিতু: কি আর হবে দেখেন গিয়ে আপনার গাড়ি আপনার মতো চুপ করে আছে।
আরিফ: এই তুমি থামো তো বেশি কথা বলো না তো।
মিতু: আচ্ছা আমি থামলাম।
আরিফ বাহির হয়ে গিয়ে গাড়ি কি হয়েছে তা দেখতে থাকে।
আর মিতু তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে।
হঠাৎ করে তাদের গাড়ি পাশে একটা গাড়ি থামে আর কতোগুলো ছেলে গাড়ি থেকে নামে।
১ম ছেলে:ওহ্ বেবি তুমি এখানে দাড়িয়ে না থেকে আমাদের গাড়িতে আসো।
আমাদের গাড়ি ঠিক আছে।
মিতু: দেখুন দুরে গিয়ে দাড়ান। কাছে আসবেন না বলে দিলাম।
২য় ছেলে: কেনো সোনা আমাদের কে কি ভালো লাগে না।
চলো না আমাদের সাথে।
এই বলে মিতুর হাত চেপে ধরে।
মিতু চিৎকার দিতে থাকে যা আরিফ শুনতে পায়।
এতোক্ষণ আরিফ খেয়াল করে নাই।
মিতুর চিৎকার শুনে মিতুর কাছে আসে এসে দেখে কতোগুলো ছেলে মিতুকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছি।
আর আরিফ তখন পিছনে থেকে ছেলেদের কে মারতে শুরু করে।
এক এক করে সবগুলোকে মারতে থাকে।
একসময় ছেলে গুলো আরিফের সাথে না পেরে পালিয়ে যায়।
আর মিতু দৌড়ে এসে আরিফ কে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকে।
আরিফ : এই মিতু দেখো তোমার কিছু হয় নাই তো।
চলে গেছে ওরা।
মিতু: ___(কান্না করতে থাকে)
আরিফ: এই প্লিজ কান্না করো না।
মিতু: আপনি যদি ঠিক সময় না আসতেন তবে তো আমাকে নিয়েই যেতো।
আরিফ: আচ্ছা এখন আর কান্না করতে হবে না।
এখন চলো গাড়িতে উঠো।
আরিফ মিতুকে গাড়িতে বসিয়ে আবার গাড়ি চালানো শুরু করে।
চলবে....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com