ছয় মাসের বউ || পর্ব-২৯
আরিফ এক্সিডেন্ট করেছে এখন হসপিটালের আছে।
যার জন্যে হসপিটালের থেকে কল আসে।
মিতু আর এক মুহূর্তের জন্য সময় না কাটিয়ে তাড়াতাড়ি করে হসপিটালের জন্য চলে আসে।
মিতু বাসায় কাউকে কিছু না বলেই বেড়িয়ে পড়ে।
হসপিটালের এসে দৌড়ে আরিফের কেবিনে চলে আসে।
আরিফের কাছে গিয়ে অস্থির হয়ে কেঁদে কেঁদে জিজ্ঞেস করতে থাকে,
মিতু: কি করে হইছে আপনার, কি করে এমন হলো।
আরিফ: আরে তেমন কিছু হয়নি আমার শুধু শুধু তুমি বেশি চিন্তা করছো।
সামান্য একটু এক্সিডেন্ট এর জন্যে তুমি এমন অস্থির হতে হবে না।
মিতু: আপনি হসপিটালে ভর্তি হয়েও বলেন সামান্য একটু এক্সিডেন্ট করছেন।
এমন সময় ডাক্তার আসে আরিফের কেবিনে।
ডাক্তার: আপনি ওনার কি হন?
মিতু ডাক্তারের এমন কিছু বলতে শুনে একবার আরিফের দিকে তাকায় আবার ডাক্তারের দিকে তাকায়।
আরিফ মিতুর তাকানোর ব্যাপ্যারটা বুঝতে পারে।
আরিফ: ডাক্তার ও আমার Wife।
ডাক্তার: ওহ্!যাক ভালো হয়েছে আপনার husband কে কিছু দিনের জন্য বাসায় রেস্টে রাখবেন।
এ কদিন যেনো বাসা থেকে বাহিরে না যায়।
মিতু : ওকে ডাক্তার।
আমি কি আজ ওনাকে বাসায় নিয়ে যেতে পারি?
ডাক্তার: হুম তা পারেন কিন্তু আপনারা কিন্তু মোটেও এখন ওনাকে বাসা থেকে বাহিরে যেতে দিবেন না।
মিতু: ওকে ডাক্তার ধন্যবাদ।
এই বলে ডাক্তার চলে যায় আর মিতু হসপিটালের সব পেপারের কাজ শেষ করে আরিফকে নিয়ে বাসায় চলে আসে।
বাসায় এসে আরিফকে নিয়ে বাসায় ডুকতেই আরিফ কে এমন অবস্থা দেখে আরিফের আম্মু কান্না শুরু করে দেয়।
আরিফের আম্মু: আরিফ কি করে এমনটা হইছে তোর কি করে এমনটা করলি তোর।
আরিফের আব্বু : কি রে কি করে এমনটা হইছে তোর?
আরিফ: আরে আব্বু আম্মু তোমরা সবাই শুধু শুধু চিন্তা করছো।
আমার কোনো কিছু হয় নাই তো শুধু একটু এক্সিডেন্ট করে ব্যাথ্যা পাইছি ঠিক হয়ে যাবে।
মিতু:এই যে আপনি না একটু বেশি কথা বলেন কাল থেকে ১ সাপ্তাহের জন্য আপনার অফিসে যাওয়া বন্ধ আর বাসার বাহিরে যাওয়া বন্ধ।
আরিফ: কি বলো তুমি আমার অফিসে অনেক কাজ আছে তাই আমি বাসায় থাকতে পারবো না।
মিতু: একদম কোনো কথা বলবেন না।
আমি যা বলছি আপনাকে তাই করতে হবে আপনি ১ সাপ্তাহ বাসায় থাকবেন।
তার আগে আপনি কোথাও যেতে পারবেন না।
আরিফের আম্মু: হুম একদম কোথাও যেতে পারবি না তুই।
মিতু যা বলছে তোকে তাই করতে হবে।
যতোদিন না তুই ভালো ভাবে সুস্থ হবি তুই কোথাও যেতে পারবি না।
আরিফের আব্বু: হুম তুই এই কয়দিন বাসায় থাকবি।
আর তোর কোনো দরকার নাই এই কয়দিন অফিসের কাজ নিয়ে চিন্তা করা আমি সামলিয়ে নিবো।
তুই শুধু বাসায় বসে রেস্ট নে আর কিছু তোকে এখন ভাবতে হবে না।
আরিফ:আচ্ছা ঠিক আছে আমি বাসায় থাকবো।
তোমরা যেমন করে এক হয়ে জোড় করছো তাতে আমার আর অফিসে যাওয়া হবে না।
আরিফের আম্মু: আর তোর কোনো কথা বলতে হবে না।
মিতু মা তুই ওকে রুমে নিয়ে যা।
মিতু: আচ্ছা মা আমি নিয়ে যাচ্ছি।
মিতু আরিফকে নিয়ে রুমে চলে যায় আর আরিফ কে বিছানায় শুইয়ে দেয়।
মিতু: আপনি চুপচাপ শুয়ে থাকেন আমি আপনার জন্য সুপ নিয়ে আসছি।
আরিফ: আচ্ছা ঠিক আছে যাও।
মিতু রান্না ঘরে গিয়ে আরিফের জন্য সুপ রেডি করে নিয়ে আসে আর আরিফকে খাইয়ে দেয়।
আরিফ কে শুইয়ে দিয়ে চলে যেতে নেয় তখন আবার আবিরের মেসেজ
আবির: আজ কে শুধু মারলাম না,পরে সত্যি করে পাও কি না জীবিত তাই শুধু ভাবতে থাকো।
আপনারা হয়তো ভাবছেন আবির কেনো এমনটা করছে।
আচ্ছা তবে বলছি অতীতের ঘটনা।
আবির চৌধুরী। বাবা আসিফ চৌধুরী। মা আফসানা চৌধুরী। বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে।আর বাবা বড় একজন ব্যবসায়ি আর মা একজন গৃহিণী।
বাবা-মায়ের আদরের ছেলে বলে যখন যা চাইতো তাই পেতো।আর না পেলে আদায় করে নিতো।একপ্রকার বদমেজাজি।
যা চাওয়ার পর না পাবে তা পাওয়ার জন্য সব করতে পারে। কিন্তু আদরের ছেলে বলে কখনোই কিছু বলে নাই বাবা-মা আবিরকে।তার জন্যই কোনো কিছু তেই বারন করে নি।
পাড়ার একপ্রকার বখাটে ছেলেদের মতো হয়ে গেছে। লেখা পড়ায় খুব ভালো না খারাপ বললে চলে।মেয়ে দের ভালো লাগলে তাদেরকে নিজের কাছে চায়।
তেমনি করে একদিন মিতু কলেজে যাওয়ার পথে আবির মিতুকে ভালো লাগে। যা অন্য সবার মতো করে ছিল না। বলতে গেলে নিজের মধ্যে মিতুকে ভালোবাসে বলে ফিল করতে শুরু করে।
চলবে......
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com