Breaking News

ভালোবাসার অনুভূতি || পর্বঃ ১০

আফরোজা বেগমঃ দেখছো কি বেহায়া মেয়েরে বাবা! তারা বললো আর ওমনি ঢেইঢেই করে চলে যেতে লাগলো।
কাউকে কিছু বলেও গেলোনা। 
ভালোই হইছে আপদটা বিদায় হইছে।

আশরাফ  সাহেবঃ এখন তুমি শান্তি তো। তাইলে এখনও বকবক করে যাচ্ছো কেন!(রেগে)

~ অর্না  গাড়ি পর্যন্ত  যাওয়ার পরে কি ভেবে যেনো আবার আশরাফ  সাহেব ও আফরোজা বেগমের সামনে আসলো দৌড়ে।

~শুনুন মি. ও মিসেস. আশরাফ চৌধুরী । সময় আছে এখনো সবকিছু জেনেশুনে ঠিক করে নিন। নয়তো পরবর্তীতে আপনাদেরকে পস্তাতে হবে।

আফরোজা বেগম ঃ  কি জানবো হুম? ঠিক /বেঠিক তোর কাছ থেকে শিখতে  হবে নাকি(রেগে)। যা না তোর ঠিক পথের মজনুর সাথে। পরেপরে এখানেই এসে হাজির হচ্ছিস কেন রে বেহায়া মেয়ে!!

~~সরি। এতদিন কোনো জবাব দেইনি।  কিন্তু এখন আর পারছিনা,,, যার জন্য এতদিন চুপ করে ছিলাম।  সে তো আজ অন্ধকারে আছে। শুধু শুধু নিজের আলো নিভিয়ে রাখবো কেন আমি(আশরাফ সাহেবের দিকে তাকিয়ে)
শুনুন মি. আশরাফ চৌধুরী ,,, আপনার একটা বড় ভুল কি জানেন! এ বাড়িতে কোনো চরিত্রহীন নারী ও তার আত্নীয়কে আশ্রয় দিছেন। 
এতদিনতো ভাবতাম আমার মা হন এই বাজে মহিলা। তখন ভাবতাম মা যেমনই হোক না কেন,,তারা এক -একটা জান্নাত হয় সন্তানের জন্য। তাই নিজেকেই নিজে শান্তনা  দিতাম।  আর নীরবে আল্লাহর কাছে ভিক্ষা চাইতাম আমার মাকে যেনো আল্লাহ ভালোমানুষ করে দেয়।যাইহোক এখনতো নিশ্চিত হলাম আমার মা ইনি নন। আমার মা ও হয়তো আপনার অবিশ্বাসের কারনে চলে গেছে।
এবং আমি কলঙ্কিনী নাকি অাপনার মিসেস কলঙ্কিনী তা সময়ই বলে দিবে।
আর কিছু বলতে চাইনা আমি। অপয়া,  চরিত্রহীন হয়ে অনেককিছুই বলে দিলাম। ভাগ্যে লেখা থাকলে  হয়তো আবার দেখা হবে। আর নয়তো নাই(দীর্ঘশ্বাস ফেলে চলে গেল অর্না)

~আশরাফ সাহেব বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন। তার যে মেয়েটা কে পারমাণবিক বোমা মারলেও একটা কথা বের হতোনা। কিন্তু আজকে এত কথা কিভাবে বললো।

আফরোজা বেগম তেলেবেগুনে জ্বলছেন। 

~অর্না যেভাবে গেছিলো সেভাবেই দৌড় দিয়ে এসে গাড়িতে বসলো। আজকে নিজেকে কিছুটা হলেও হালকা লাগছে। কিছু কথা তো বলতে পারলো আফরোজা বেগমকে।

আফজাল সাহেব ঃ কিরে মা কোনো দরকারী কিছু ছিলো নাকি? এভাবে দৌড়ে যায় কেউ,,, যদি আছাড়  খেতি।

অর্নাঃ তেমন কিছুনা। 
 আছাড় খেলে কিছুই হবেনা আমার দাত পরার কোনো ভয় নাই। কারন সব দাতই তো আমার নাই।
~অর্নার কথা শুনে আফজাল সাহেব হেসে দিলেন সাথে অর্নাও।

আরাভের কানে কোনো কথাই যাচ্ছেনা এখন। বিয়ের কথা শুনে আরাভ পুরাই হ্যাং হয়ে আছে। কিভাবে পারবো আনহাকে ভুলতে আমি। যেভাবেই হোক অর্নাকে বলতে হবে। যাতে বিয়েটা করতে রাজি না হয়।
কিন্তু কিভাবে বলবো। আব্বুর কথায়তো তিনি স্থির। একবিন্দুও কথার নড়চড় করবেনা। উফফ কিছু একটা ভাবতে হবে আজকের মধ্যেই।

আফজাল সাহেবঃ আরাভ!! গাড়ি স্টার্ট দাও। এত ভাবাভাবি বাসায় গেলেও করতে পারবে।

আরাভঃ হুহ,,,!

~~~~~~~~~
আফরোজা বেগম তেলেবেগুনে জ্বলে রান্না ঘরে চলে গেছেন।

আশরাফ সাহেব মেয়ের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে চোখের পানি ঝরাচ্ছেন। 
আর ভাবছেন,,,,
~মারে তুই আমারে ভুল ভাবছো তাতে আমার কোনো আফসোস নাই। আমি জানি তুই ভালো থাকবি এখানে।
#কিছুদিন আগে
আশরাফ সাহেব ও কামরুল ইসলাম((আরাভের বাবাই~~ফুফা)) দুইজন খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিন্তু আফরোজা বেগমের জন্য আশরাফ সাহেবের বাসায় তেমন যাওয়া-আসা হয়না কামরুল ইসলামে। তাই অর্নাকে তিনি চিনতে পারেনি ওইদিন হাসপাতালে,,, সেই ছোট সময় দেখছিল। কিন্তু অর্নার কাছে যখন কামরুল ইসলাম ওর বাবার নাম জানতে পারলো,  এবং মায়ের অবহেলার কথা শুনলো তখনই তার মনে কেমন যেনো একটা সন্দেহ হয়। কারন আশরাফের মেয়ের নামতো ছিলো মাহবুবা রহমান অর্না।

তাই তিনি কোনো রিস্ক না নিয়ে অর্নাকে আফজাল সাহেবের কাছে দিয়ে আসেন।
আরাভদের বাসা থেকে বের হওয়ার সাথে সাথেই তিনি আশরাফ সাহেবের কাছে ফোনে জানতে চাইলেন,, তিনি কেমন আছেন।
জবাবে আশরাফ সাহেব প্রথম প্রথম কিছু না বললে,, কামরুল ইসলাম ভালো বন্ধু থাকায় তার কাছে লুকাতে পারলোনা নিজেকে।
আশরাফ সাহেব কান্না করে দিলেন।অতঃপর  তিনি কামরুল ইসলামের কাছে অর্নার চলে যাওয়ার কথা বললেন।
মেয়েটা বেচে আছে কিনা! গেলো তাকে ছেড়ে এইসব বলে তিনি কান্না করছিলেন ও অনেক ভেঙে পরছিলেন। 
কামরুল ইসলামের সন্দেহই ঠিক হলো তাহলে! তাই কামরুল  ইসলাম অর্নার সাথে ওর মায়ের করা গল্পগুলো শুনালেন। এবং মিসেস আফরোজা বেগমের ভাই মকবুলের কথাও বললেন।
এবং অর্না যে আফজাল সাহেবের বাসায় নিরাপদে থাকবে তাও বললেন।
কামরুল ইসলাম নিজেও চাইছিলেন তার মেয়ে আনহা এর পরিবর্তে অর্নাকে বসাতে(আরাভের বউ হিসেবে)
যে অস্তিত্বটাই নাই(আনহার)শুধু শুধু তার জন্য বাকি মানুষগুলো কষ্ট পাবে কেন!
তাই কামরুল ইসলাম,,, আশরাফ সাহেবকে সবকিছু বললেন।
আশরাফ সাহেবও অনেক ভেবে দেখলেন,,, যা কিছুই হোক না কেন! তার সহধর্মিণী আফরোজা বেগম যে অর্নার ভালো দেখতে পারেননাএটা পরিষ্কার।
#পরেরদিন শপিংমলের সামনে যখন আরাভের সাথে অর্নাকে দেখলেন তখন আশরাফ সাহেব বেশ খুশি হয়েছিলেন আরাভকে দেখে। তার কাছে মনে হচ্ছিলো তার অর্নার জন্য আল্লাহ সত্যি সত্যিই কোনো রাজপুত্রকে পাঠিয়েছেন। 
কিন্তু আফরোজা সাহেব আরাভের দিকে ভালোভাবে খেয়াল না করে অর্নাকে নিয়ে বাজে বাজে কথা বলছেন। 
যার জন্য আশরাফ সাহেব আজকে অর্নার সাথে ওভাবে খারাপ ব্যবহার করছে। আফজাল সাহেব ও আরাভের সাথে যে ভালো আচরণ করবে,,, আফরোজা বেগমের কথার জন্য সেই বুদ্ধিটুকুও লোপ পাইছিলো। তাছাড়াও তিনি আফরোজা বেগমকে কিছু বুঝতে দিবেননা তাই তার কথায়ো সায় দিচ্ছিলেন।

#বর্তমান 
আশরাফ সাহেব দাঁড়িয়ে ছিলেন দরজার সামনে এতক্ষন আর চোখের পানি ঝরাচ্ছিলেন। 
~
আফরোজা বেগম সেই কখন থেকে নিজে নিজে বকবক করেই যাচ্ছেন।
আশরাফ সাহেব কোনো জবাব দিচ্ছেন না। শুধু মনে মনে একটু সস্থির নিশ্বাস নিলেন।
হয়তো তিনি মেয়েকে নিজ হাতে  বড় আয়োজন করে বিয়ে দিতে পারেননি। কিন্তু রাজা ও রাজপুত্র যে নিজ থেকে স্বর্গ থেকে আসছেন তার মেয়ের জন্য তা ভেবেই তার মুখে এক চিলতে হাসির রেখা ফুটে উঠলো।

---------------------------

~বাসায় আসার পরে সবকিছু সাহিদা বেগমকে খুলে বললেন আফজাল সাহেব।

সাহিদা বেগমের মন কিছুটা খারাপ হলেও আরাভ যে নতুনভাবে জীবন শুরু করবে এ কথা ভেবেই তার মনে শান্তির আলোড়নের সৃষ্টি হচ্ছে।

অর্পাতো নাচানাচি শুরু করে দিছে। 
অর্না চুপচাপ অর্পার ঘরে বসে আছে। আর ওর সামনে বসে আছে কামরুল ইসলামের সহধর্মিণী আফসানা বেগম। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হলেও আজকে অর্নাকে দেখার পরে সুস্থদের মতো ভাব দেখাচ্ছেন। তিনি ভাবছেন তার মেয়ে আনহা অর্না সেজে আসছে তার কাছে।

~এর মধ্যে আরাভ কয়েকবার অর্নার সাথে দেখা করতে চাইছিলো। কিন্তু সাহিদা বেগম ও অর্পা একবারের জন্যও অর্নার কাছে ঘেষতে দেয়নি।

খুব সাধারনভাবেই বিয়েটা হলো ওদের। চেনা-পরিচিত কয়েকজনকে ইনভাইট করলো। তাছাড়া ঘরোয়া ভাবেই সবকিছু।

~অনিক অনেক কষ্টে অর্পার সাথে কথা বললো। মাইরও খেলো বেচারা অনেক। কিন্তু চুপচাপ ভালো ছেলের মতো সহ্য করছে। কিছু বললেতো ওর চৌদ্দগুষ্ঠীর পিন্ডি চটকাবে অর্পা।

#রাতে

~অর্না লাল বেনারসি পড়ে বউ সেঁজে বসে আছে আর আজকের সারাদিনের ঘটে যাওয়া কথাগুলো ভাবছে। কি থেকে কি হয়ে গেলো ওর জীবনে। যা শুধুমাত্র কল্পনাতেই সম্ভব ছিলো।
অনেক বুঝিয়ে আরাভকে ওর বন্ধুরা ও অনিক বাসরঘরে পাঠালো।

~হঠাৎ দরজা বন্ধের শব্দ পেয়ে ভয়ে চুপসে গেলো অর্না। 
ও কিছু বুঝে উঠার আগেই আরাভ বললো~~~~~

~ভয় পাওয়ার কিছুই নেই অর্না।
আসলে আমি অনেক দুঃখিত, যদি পারো ক্ষমা করে দিও।আজকে সকাল থেকে তোমার সাথে অনেকবার দেখা করতে চাইছিলাম কিন্তু কেউ দেখা করতে দেয়নি।
আমি কোনো কল্পকাহিনির মতো কিছুই বলছিনা,,,যে আমি তোমাকে মেনে নিতে পারবোনা। আমার কাছে আসবেনা। এই কথাগুলো বলা নেহাত বোকামি ছাড়া আর কিছুই না।
তোমাকে মেনে নিতে আমার একটু সময় লাগবে।
দিবে আমাকে,, একটুখানি সময়?? 

অর্নাঃ চুপচাপ তাকিয়ে রইলো। এ মানুষটার কথার মধ্যে কতো ভালোবাসা জড়ানো। 
হয়তো আমাকে তার পছন্দ হয়নি। তার মা-বাবার জেদের কারনে আমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হইছে। তাই হয়তো একটু সময় লাগবে।
কিন্তু এত ভালোবেসে বললে শুধু কথা শুনবো কেন! কলিজাও দিতে পারি।

আরাভঃ কি হলো! কিছু বলবেনা!!

অর্নাঃ উহু

আরাভঃ কিছু বললোনা দুরত্ব রেখে খাটের বসলো।

~~~দুইজনেই নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে~~~

আরাভঃ যেহেতু আমার  জীবনের সাথে তুমি বেঁধে গেছো।তাই আমার সম্পর্কে তোমার জানা উচিত। 
শুনবে!!!

অর্নাঃ হুম

আরাভঃ 
জানোতো আমার জীবনে  একটা মায়াপরী ছিলো।খুব ভালোবাসতাম সেই মায়াপরীকে। 
সম্পর্কে আমার ফুফাতো বোন ছিলো। বাবাই(কামরুল) আর ফুফু আম্মুর (আফসানা)একমাত্র মেয়ে আনহা।
ওর যত আবদার, ঝগড়া এগুলোর একমাত্র সঙ্গী ও আমাকে বেছে নিছিলো। 
আমরা ছিলাম সমবয়সী। তাই এক সাথেই লেখাপড়া করি। একই স্কুলে, একই কলেজে, একই ভার্সিটিতে।  
ছোট থেকেই লেগে থাকতো আমার সাথে। আমি ভালো কিংবা খারাপ কিছু করলেই আব্বুর কাছে বিচার দিতো।
যদি কলেজে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলতাম তাহলে তো কোনো কথাই ছিলোনা। পুরো বাড়ি মাথায় তুলে রাখতো। 

#একদিন একটা মেয়ে নিজ থেকে আমার কাছে এসে ক্লাসনোটের জন্য আমার কাছে আসে অনেক্ষন কথা বলে পড়া নিয়ে।
কিন্তু ওই পাগলীটি আমাদের একসাথে দেখে তুমুলকান্ড করে বসে।
ওই মেয়েটিকে অনেককিছু বলার পরে আমার কলারের শার্ট ধরে একটা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়। কিছুই বুঝে উঠার আগেই আমি অনুভব করলাম একটা প্রচন্ড বিষ্ফোরনের মতো শব্দ। যা আমার গালে এসে পড়লো। 
হাবলার মতো তাকিয়ে রইলাম সামনের দিকে, যে এই তীব্র শব্দের সৃষ্টি করলো।

কিছুক্ষন পরেই মনে হলো কেউ ঝড়েরবেগে আমার বুকে এসে ঝাপিয়ে পড়লো আর কান্না করে আমার শার্ট ভিজিয়ে দিচ্ছে।
আমিও চুপচাপ অনুভব করলাম আমার মায়াপরীকে।যাকে সেই কবে থেকে ভালোবাসি কিন্তু বলতে পারিনি।

ওইদিন থেকেই আমরা পুনরায়  নতুনভাবে দুজন-দুজনকে জানি।
দিনগুলো খুব ভালোই যাচ্ছিলো। কিন্তু কথায় আছে সুখের দিন বেশি থাকেনা আমাদের বেলায়ও তাই হলো।

ভার্সিটিতে শিক্ষাসফরের জন্য সবাই  রওনা দিলো।
আমি ও আনহা ভার্সিটির সামনে  শিক্ষাসফরের গাড়ির কাছে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে নামলাম একই সাথে। কিন্তু কপালে যা আছে তাইতো হবে।
ভার্সিটি পর্যন্ত পৌছাতে পারলাম না তার আগেই আমাদের গাড়ির সাথে একটা মালবাহী ট্রাকের ধাক্কা লেগে যায়। আনহার স্পট ডেথ হয় সাথে সাথেই। ও  স্বার্থপরের মতো ওখানেই আমাকে ছেড়ে চলে যায়।

ফুফু আম্মু তখন থেকে মানসিকভাবে অসুস্থ। 
আমিতো ছয়মাসের মতো পঙ্গু ছিলাম। 

~~বাবাই,  আম্মু, আব্বু তারা তো চাইছিলো আমি নতুনভাবে জীবন শুরু করি। কিন্তু আমিতো স্বার্থপর নই। আনহাকে ছেড়ে এত সহজেই নিজেকে গুছিয়ে নিবো। 
কিন্তু তবুও মানুষ সবসময় এক থাকেনা। হয়তো আমিও না।
ওইদিন তুমি যখন কুরআন তেলওয়াত করছিলে তখন আমি আনহাকে ভেবেই জরিয়ে ধরছিলাম।

যেখানে যাই শুধু ওর স্মৃতি তাড়া করে আমাকে। বিশ্বাস করো আজকে আমি অনেকবার তোমার সাথে দেখা করে বিয়েটা ভেঙে দিতে চাইছিলাম। কিন্তু ভাগ্যের খেলা কেউ খেলতে পারেনা গুটি সবসময় আল্লাহই সাজিয়ে রাখেন যা নাড়ানোর ক্ষমতা কারো নাই।
আজকে যখন ফুফু আম্মু তোমাকে দেখার পরে মানসিক অসুস্থতা থেকে কিছুটা ভালোর দিকে এগোচ্ছে । তখন বাবাই, অনিক আমাকে অনেকভাবে বুঝিয়েছেন।
আমি নিজেও উপলব্ধি করছি তুমিময় জীবনে আমিও শূন্যতায় পরিপূর্ণ থাকবো।
তোমার সাথে দেখা হওয়ার পরে প্রথম দিন থেকে তোমার সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছু কল্পনা করি আমি। 
কিন্তু তবুও তোমাকে আমার জীবনে জায়গা দিতে সময় লাগবে আমার।

(এতক্ষন কথাগুলো বলছিলো আর অঝোরে চোখের পানি ঝরাচ্ছিলো আরাভ
শেষের দিকে অর্নাকে কথাগুলো বলেই আরাভ বারান্দায় চলে গেলো)

চলবে.......

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com