ছয় মাসের বউ || পর্ব-৩০
অন্য সবার মতো মিতুকে আর তাড়াতাড়ি করে নিজের কাছে পেতে চায়।
আসলে এটাকে কি ভালোবাসা বলে?
তা আমার যানা নাই,তবে আবিরের কাছে নিজে করে পাওয়াটাকেই ভালোবাসা বলে মনে হয়।
আবির মিতুকে দেখার পর থেকে মিতুকে ফলো করতে থাকে।
মিতুর বাসা থেকে বাহিরে হওয়া কোথায় যায় তা সব খোঁজ খবর রাখা।
আর মিতুকে যদি কেউ প্রপোজ করে তাকে মেরে হসপিটালে পাঠানো।
এমনই করে চলতে থাকে কয়েক মাস।
আর এতোদিনে মিতু ও বুঝতে পারে যে আবির মিতুকে ফলো করে।
আর ওকে কেউ কিছু বললে ও তাদেরকে মেরে হসপিটালে পাঠায়।
কিন্তু মিতুর এ সব কাজ একদম ভালো লাগে না।
কিন্তু মিতু কিছু বলতেও পারছে না কারন আবির গুন্ডা টাইপের ছেলে কিছু বললে যদি হিতে বিপরীত হয়ে যায় তাই মিতু চুপ করে থাকে।
একদিন মিতু কলেজে যাওয়ার পথে আবির মিতুর পথ আটকে দাঁড়ায়।
মিতু: কি ব্যাপার আপনি আমার পথ আটকে দাঁড়ালেন কেন?
আবির: আমি তোমাকে কিছু কথা বলতে চাই মিতু,তার জন্য তোমার পথ আটকে দাড়ালাম।
মিতু: দেখুন আমার আপনার কাছ থেকে কোন কিছু শুনার ইচ্ছে নাই।
দয়া করে আপনি আমার পথ থেকে সরে দাড়ান।
আবির: আমার কথা না বলে তো আমি তোমাকে কোথাও যেতে দিবো না।
তার চাইতে ভালো আমার কথাটা শুনে নেও।
মিতু: আচ্ছা কি কথা আপনার বলুন।
আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
আবির: আসলে মিতু আমি তোমাকে গুরিয়ে পেচিয়ে কোনো কথা বলতে পারবো না।
আমি তোমাকে বলতে চাই আমি তোমাকে ভালোবাসি।
মিতু: আপনার কথা বলা শেষ নাকি আরও কিছু বলা বাকি আছে।
আবির: এটাই বলার ছিল এখন তোমার উওর টা দিয়ে যাও।
মিতু: আমার উওর না।
দয়া করে আর আমাকে কোনো প্রকার বিরক্ত করবেন না।
আবির: এই মেয়ে কি মনে করো নিজেকে ভালোয় ভালোয় বলছি হয় নাই তাই না।
আমার যখন তোমাকে ভালো লাগছে তবে আমি তোমাকে নিজের করে নিয়েই ছাড়বো।
এই বলে আবির মিতুকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় একটা বাড়িতে।
সেখানে এনে মিতুকে একটা রুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ফেলে।
মিতু: প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন।
প্লিজ এমনটা করবেন না আমার সাথে।
আমাকে যেতে দিন।
আবির: বেবি আমি কি আর এমন কিছু করতে চাইছি বলো আমি তো তোমাকে নিজের করে পেতে চাইছি।
কিন্তু দেখো তুমি তাতে রাজি হও নাই তার জন্যে তো আমার এমনটা করতে হচ্ছে।
মিতু: আপনি আমার কাছে আসবেন না আপনি আমাকে যেতে দিন।
এমন করে মিতুর কাছে আসতে থাকে আবির মিতু রুমে দৌড়াতে থাকে আর আবির মিতুর কাছে যেতে থাকে।
একসময় মিতুকে ধরে ফেলে।
আর জোর করে বিছানায় ফেলে দেয় আর মিতুর সাথে জোরাজোরি করতে থাকে।
আর মিতু নিজেকে বাচানোর চেষ্টা করতে থাকে।
হঠাৎ মিতু পাশে একটা ফুলদানি দেখতে পেয়ে আবির যাতে না বুঝি পারে সেই ভাবে হাতে নিয়ে আবিরের মাথায় বাড়ি দেয়।
আর আবির জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর মিতু তাড়াতাড়ি করে বাহির হয়ে যায়।
মিতুর হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে তবুও অনেক কষ্ট করে বাসায় আসে।
আর বাসায় আসার পর মিতুর আব্বু আম্মু এমন ভাবে মিতুকে দেখে অস্থির হয়ে যায় আর মিতুকে কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতে থাকে।
মিতু:কোনো কিছু না বলে আম্মুকে জড়িয়ে কান্না করতে থাকে।
মিতুর আম্মু: কি রে কি হয়েছে তোর বলবি তো বল না মা?
মিতুর আব্বু: মামুনি বলো না কি হয়েছে তোমার?
বলো আমাদের না বললো কি করে বুঝবো।
অনেক সময় কান্না করার পর মিতু সব কিছু ওর আব্বু আম্মু কে খুলে বলে।
আর ওর আব্বু মিতু কাছে এমন কিছু শুনে রেগে যায় আর পুলিশের কাছে যায় মিতুকে নিয়ে ।
আর যার জন্যে আবিরকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
আর এতে আবিরের বাবা মা কিছু বলে নাই তারাও বুঝতে পারে এটা তাদের ছেলের অপরাধ ছিল।
আর যার জন্যে আবিরকে ৪ বছর জেলে থাকতে হয়েছিল।
বর্তমানে আসি এবার.......
মিতু খুব ভয় পেয়ে যায় আজ আবির আরিফ কে এক্সিডেন্ট করিয়েছে।
আবির যদি আবারও তেমন কিছু করতে যায়।
ও যদি আরিফ কে আবারও মারতে চায়।
মিতু আর কিছু ভাবতে পারছে না।
আরিফ: কি হয়েছে তোমার মিতু সারাদিন কি ভাবো তুমি এমন।
ইদানীং দেখি সারাক্ষণ শুধু কি যেনো ভাবো তুমি।
এতো ভাবনা কিসের তোমার বলবে।
মিতু:(মনে মনে)না আবিরের কথা আরিফ কে কিছু বলা যাবে না।
কই দেখেন কি ভাবি?
আর না ভাবার কি আছে নিজের যেই অবস্থা হয়ে আছে তাতে করে না ভেবে কি কোনো উপায় আছে।
আরিফ:এমন তো আর কিছু হয় নাই তোমরা সবাই শুধু শুধু চিন্তা করছো।
এই বলে আরিফ উঠতে যায়।
আর পায়ে ব্যাথ্যার জন্য পড়ে যেতে নেয়।
আর মিতু গিয়ে ধরে তাড়াতাড়ি করে।
মিতু: এই মিয়া আপনি কই যাইতাছেন কন তো।
আর এখন যদি পড়ে যেতেন তখন তো আবার ব্যাথ্যা পেতেন।
আরিফ: আসলে একটু বাথরুমে যেতে নিছিলাম তাই।
মিতু: তো যাইবেম যখন আমারে বললেই পারতন।
আপনি আমাকে বলেন আমি নাকি কেয়ারলেস আপনি ও তো কম না।
আরিফ:কি বললা তুমি আমি কেয়ারলেস।
মিতু: তো কি এমন ভুল বললাম।
আপনি যদি কেয়ারলেস না হতেন আমাকো বলতে পারতেন আমি আপনাকে নিয়ে যেতাম।
আরিফ: আচ্ছা হইছে এখন কি নিয়ে যাবা নাকি বাথরুমের কাজ ঘরে করবো।
মিতু: এ না না ছিঃ ছিঃ কি বলেন এগুলা চলেন চলেন বাথরুমে।
আরিফ বাথরুম থেকে বাহিরে আসলে আবার মিতু আরিফকে বিছানার কাছে নিয়ে বসায় আর নিজে চলে আসার সময় কিসের সাথে বারি খেয়ে আরিফের উপর পরে।
আরিফ: তো এই যে এখন কেয়ারলেস টা কে শুনি।
আমাকে আসো কেয়ারলেস বলতে এখন তো পরে যাওয়ার পথে আমার উপর এসে পড়লে।
মিতু: আমি কি ইচ্ছে করে করছি নাকি কিসের সাথে যেনো বারি খেলাম।
আরিফ: আর পরার জায়গা পাওনাই আমার উপরই পরলা।
আর দিন দিন এতো ভারি কি করে হও।
আর কি মোটা হয়ে যাচ্ছো।
মিতু: এই যে একদম মিথ্যা কথা বলতে আসবেন না।
আমি একদম মোটা হই নাই।
আরিফ: তা তো দেখতেই পারছি।
মিতু: ধুর আপনার সাথে কথা বলাই উচিত না।
আরিফ: কে বলতে বলছে তোমাকে।
মিতু: ধুর
এই বলে মিতু রুম থেকে চলে আসে আর আরিফ হাসতে থাকে।
______________________
#ছয় মাসের বউ
Writer: Mitu Islam
পর্ব-৩১
মিতু সারাক্ষণ শুধু এখন আরিফের সেবা করে যাতে আরিফ তাড়াতাড়ি করে সুস্থ হয়ে যায়।
কিন্তু মিতুও মনে আরও একটা ভয় করছে যা মিতুকে সারাক্ষণ চিন্তায় পরে আছে।
আর আরিফ অফিসের সব কাজ মেনেজার কে বুঝিয়ে দিয়েছে আর যদি বেশি দরকার হয়েছে মেনেজার বাসায় এসে সব বুঝে নিয়ে গেছে।
মিতু আরিফকে এক বারের জন্য বাহিনীরে যেতে দেয় নাই।
আর মিতুর এতো কেয়ার করতে দেখে ওর শ্বশুর শাশুড়ী অনেক খুশি।
তারা যে তাদের ছেলের জন্য ঠিক মেয়েকে এনেছে।
একসপ্তাহ পরে আরিফ পুরো পুরি ভাবে সুস্থ হয়ে গেছে।
আর সুস্থ হবেই না বা কেনো মিতু তো আরিফকে কোনো অনিয়ম করতেই দেয় নাই।
সময় মতো সব কাজ মিতু নিজের হাতে করেছে।
কোনো সমস্যা হতে দেয় নাই।
আরিফ:( মনে মনে ভাবে) আজ তো আমি পুরো পুরি ভাবে সুস্থ হয়ে গেছি আর কিন্তু আজ মনে হচ্ছে আমি সুস্থ না হলেই ভালো হতো।
আর মিতুটাও না কোন সকালে রুম থেকে গেছে আর তো দেখাই মিললো না।
যাক এতো ভেবে কাজ নাই মিতুকে কেনো যেনো দেখতে খুব ইচ্ছে করছে এখন ওকে ডাক দেই।
আচ্ছা ও যদি আবার কিছু মনে করে।
ধুর এতো কিছু ভেবে কাজ নাই মিতুকে দেখতে ইচ্ছে করছে এখন ওকে তো আমার দেখতেই হবে ও যা ভাবার ভাবুক।
মিতু এই মিতু কোথায় তুমি তাড়াতাড়ি এখানে আসো তো আমার মোবাইলটা খুঁজে পাচ্ছি না খুঁজে দেও তো একটু।
আরিফের আম্মু:মিতু মা তুই যা তো দেখ আরিফ কেমন করে ডাকছে ও নাকি মোবাইল খুঁজে পাচ্ছে না যা মা খুজে দিয়ে আয়।
না হয় ছেলেটা ডাকা বন্ধ করবে না তুই তাড়াতাড়ি করে যা।
আমি এই দিকে খেয়াল রাখছি।
মিতু: আচ্ছা মা।
আচ্ছা আমি কি করে জানবো ওনার মোবাইল কই রাখছে সারাদিন তো নিজের কাছে রাখে।
আমি তো জানি না ওনার মোবাইল ফোন কই রাখা হইছে।
ধুর বাবা কি জানি হয়তো মোবাইলের জন্য ডাকছে যাই গিয়ে দেখে আশি কেনো ডাকছে।
আর ডাকা যে শুরু করছে আর থামার নাম নাই মনে হয় হারাই গেছি।
আরিফ: মিতুকে সেই কখন থেকে ডেকে যাচ্ছি এখনো আসার কোনো নাম নাই।
আসুক শুধু এতোবার ডাকার জন্য শাস্তি দিতে হবে।
মিতু: ভাবারে ভাবা এতো করে কেনো ডাকছেন আসার ও তো সময় দিতে হবে ডাকতে যে শুরু করছেন ডেকেই যাচ্ছেন ডেকেই চলছে আপনার থামার কোনো নাম নাই।
আরিফ:( মনে মনে)মিতুকে আজকে কেনো যেনো অন্য রকম লাগছে।
রান্না ঘরে থেকে এসে নিজের শাড়ি আঁচল দিয়ে মুখের ঘাম মুচছে আর শাড়ির এক পাশ দিয়ে পেট দেখা যাচ্ছে একটা নেশের মতো লাগছে আজ।
আজ জেনো চোখ সরাতে পারছি না।
মিতু: এই যে কি হা করে তাকিয়ে আছেন বলবেন তো কেনো ডাকছেন।
না বলে সেই কখন থেকে হা করে তাকিয়ে আছেন কিছুই বলছেন না।
আরিফ:( ঘোর ভেঙে যায় মিতুর কথায়)আমার ফোনটা খুঁজে পাচ্ছি না একটু খুঁজে দেও তো একটু।
মিতু: ফোন তো সারাদিন আপনি নিয়ে বসে থাকেন আমি কি করে যানবো যে আপনার মোবাইল কই রাখছেম।
আরিফ: এই তোমাকে খুঁজে দিতে ডাকছি খুঁজে দেও পাইলে কি আর তোমাকে ডাকতে যাই নাকি তাড়াতাড়ি করে খুঁজে দেও।
মিতু: নিজের মোবাইল কই রাখছে এখন আমাকে বলে খুঁজে দিতে।
মিতু বকবক করতে করতে সারা রুম খুজতে থাকে আর আরিফ মিতুর দিকে তাকিয়ে আছে আর মিতুকে দেখতে থাকে আর মিতুর বকবকানি শুনতে থাকে।
আরিফের কাছে এখন মিতুর বকবকানি ও বেশ ভালোই লাগে।
মিতু তো পুরো রুম খুঁজে শেষমেশ বিছানার কাছে এসে মোবাইলের বালিশের নিচে পায়।
মিতু: এই দেখেন আপনার মোবাইল নিজের মোবাইল নিজে বালিশের নিচে রাখছেন আর এখন সারা রুম খুঁজতে হইছে আমার।
এই নেন ধরেন আপনার মোবাইল আমি যাই কাজ আছে।
আরিফ:(হাত টেনে ধরে)এই যে মিসেস কোথায় যাচ্ছ তুমি আগে তো তোমার শাস্তি নিয়ে যাও তারপর তো যাবে।
মিতু: ম-ম ম-ম মানে আমি আবার কি করলাম যে আমাকে শাস্তি দিবেন।
আরিফ: আমি এতোবার করে ডাকতে হইছে তার জন্যে তোমাকে শাস্তি নিতে হবে।
মিতু: প্লিজ প্লিজ কোনো শাস্তি দিয়েন না আমাকে।
আরিফ: হাত টান দিয়ে মিতুকে নিজে কাছে নিয়ে আসি আর মিতুর কোমরের মধ্যে একটা হাত রাখলাম আর আমি হাত রাখতেই মিতু কিছুটা কেঁপে ওঠে।
আর আস্তে করে মিতুর ঠোঁট নিজের দখলে নিয়ে এলাম।
বেশ কিছু সময় পর মিতুকে ছেড়ে দিলাম আর ও তো ছাড়া পেয়ে দৌড়ে চলে যায়।
আরিফ ও অফিসে যাবার জন্য রেডি হয়ে চলে আসে।
আর কিছু না খেয়ে চলে যেতে নেয়।
আরিফের আম্মু: কি রে কিছু না খেয়ে চলে যাচ্ছিস যে নাস্তা করে অফিসে যা।
আরিফ: না আম্মু আজ পেট অনেক ভরে আছে তাই আজ আর নাস্তা যায়গা হবে না।
এই বলে মিতুর দিকে তাকিয়ে চোখটিপ দেখা আর মিতু লজ্জা পেয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে।
আরিফের আম্মু ব্যাপারটা বুঝতে পারে আর মুচকি হাসি দিয়ে চলে আসে।
মিতু: ধুর কি বলে গেলো মায়ের সামনে এখন তো মায়ের সামনে যাইতেই লজ্জা লাগছে।
আরিফের আম্মু: মিতু মা তুই না আজ আরিফের জন্য দুপুরের লাঞ্চ নিয়ে যাইছ।
আজ ছেলেটা নাস্তা ও করে নাই আর লাঞ্চ ও নিয়ে যায় নাই।
মিতু: আচ্ছা মা আমি নিয়ে যাবো।
মিতু ঘরের সব কাজ শেষ করে গোসল করে একটা আকাশি রংয়ের শাড়ি পরে রেডি হয়ে নেয় আর আরিফের জন্য দুপুরের লাঞ্চ নিয়ে আরিফের আম্মুর কাছে বলে বাহির হয়ে যায়।
গাড়িতে করে অফিসে চলে আসে।
আজ অনেক দিন পর মিতু অফিসে আসে।
মিতু অফিস আসতে দেখে পিহা মিতুকে দেখে জড়িয়ে ধরে।
পিহা: মিতু কেমন আছিস তুই তোকে কতো দিন পর দেখলাম আমার যে কি খুশি লাগতেছে তোকে দেখে।
আর তুই তো আমকে ভুলেই গেলি।
মিতু: আরে এতো কিছু এজ সাথে বললে কি করে হয় বল তো।
আর আমার তোকো সব সময় মনে থাকে কিন্তু সময় হয় না কল দেওয়ার।
আচ্ছা বল তুই কেমন আছিস?
পিহা: আমি ভালো আছি।
কিন্তু তুই নেই তার জন্যে একা একা লাগে এখন।
আচ্ছা আজ কি মনে করে অফিসে আসলি এতো দিন তো দেখি নাই।
মিতু: আর কি রাক্ষসটার জন্য লাঞ্চ নিয়ে আসছি।
পিহা: ওহ্! আচ্ছা তুই আজ শুধু স্যারের রুমে গিয়ে দেখ আজ রুমের কি অবস্থা।
মিতু: হুম যাচ্ছি।
মিতু আরিফের রুমে এসে তো অবাক মনে হয় চারপাশে মৌমাছির বাসা হয়ে গেছে।
চলবে.....
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com