Breaking News

ছয় মাসের বউ || পর্ব-৩২

মিতু আরিফের রুমে এসে তো অবাক মনে হয় আরিফের চারপাশে মৌমাছির বাসা হয়ে গেছে। 
আরিফের চারপাশে অফিসের সব মেয়েরা দাঁড়িয়ে আছে সবার হাতে ফাইল। 

মিতু: (মনে মনে)এই মেয়ে গুলার আর কাজ নাই সারাদিন শুধু কি আরিফের চারপাশে থাকতে হবে না কি।
আগেও এমন করতো আর এখন যখন বিয়ে হয়ে গেছে এখনও এমন করে।
ইচ্ছে করতেছে সব গুলারে গুলি কইরা মাইরা ফেলি।
আর ওনারে দেখো কি সুন্দর করে কথা বলতেছে আর যতো রাগ আমার সাথে দেখায়। 
আর এখন অফিসে মেয়েদের সাথে কতো ভালো করে কথা বলছে।
না আর দাঁড়িয়ে থাকলে হবে না এখনি এদের বিদায় করতে হবে আর সহ্য হচ্ছে না আমার।

মিতু আর একটুও না দাঁড়িয়ে সোজা আরিফের কাছে চলে যায় আর ওর পাশে দাঁড়ায়।
আরিফের হাতের ফাইলটা বন্ধ করে ফেলে। 

আরিফ: ফাইল বন্ধ করে ফেলায় পাশে তাকাই রাগি ভাবে। আর তাকিয়ে দেখি মিতু রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে।
আরে মিতু তুমি কখন এলে আর ফাইলটা কেনো বন্ধ করে দিলে।

মিতু: আরিফ কে কিছু না বলে সামনে মেয়েদের দিকে তাকিয়ে বলতে লাগলাম। 
অফিসের কিছু নিয়ম আছে আর সেই নিয়ম মেনে চলতে হয় তা হয়তো তোমাদের জানার কথা।

নীলিমা: হুম ম্যাম,কিন্তু আমাদের ফাইলের কিছু সাইন লাগতো তার জন্যে এসেছি। 

মিতু: তার জন্যে তো তোমর তোমাদের ফাইল টেবিলে রেখে যেতে পারো।
এমন করে অফিসের নিয়ম নষ্ট করতে পারো না।

নীলিমা:সরি ম্যাম।আর এমনটা হবে না।

মিতু: ওকে এবার সবাই যার যার জায়গায় যাও।

সবাই চলে যায় আর মিতুর এমন কাজে আরিফ পুরো অবাক হঠাৎ কি হলো যে এমন করলো।
আর মিতু কি যে রেগে আছে তা আরিফ মিতুকে দেখেই বুঝতে পারে।

আরিফ: মিতু তোমার হঠাৎ করে কি হলো এমন কেনো করলো ওরা তো সবাই কাজের জন্য আসে।
তুমি কেনো রেগে গেলে😟

মিতু: কাজ কি সবার এক সাথে এসে হাজির হইছে আর এমন হা করে তাকিয়ে আছে আপনার দিকে মনে হয় গিলেই খেয়ে ফেলবে। 

আরিফ: তো কি হইছে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলে আমি কি দেখতে খারাপ যে তার জন্যে তাকাবে না। 
আমি দেখতে হ্যান্ডসাম তারজন্য তো আমর দিকে তাকাবেই তার জন্যে তুমি কেনো এতো রাগ করছো।

মিতু: কথাটা শুনে রাগ উঠে গেছে তার জন্যে কলার চেয়ে ধরলাম। 
একদম আর যদি অন্য মেয়েদের আপনার কাছে কিংবা আসে পাশে  দেখছি তো মেরেই ফেলমু।

আরিফ: এই মিতু কি হয়েছে তোমার এমন করছো কেনো বলো তো।
আর পাশে  তো সুন্দরী মেয়ে থাকবেই তাই না এতো ভালো একটা ছেলেকে কে না ভালোবেসে থাকতে চায় বলো।

মিতু: (কান্না করে)আচ্ছা আপনি থাকলে ঐ সব সুন্দরী মেয়ে নিয়ে। 
আর এই নিন আপনার খাবার বসে বসে খান আপনি। 

মিতু টেবিলের উপর খাবার রেখে দিয়ে চলে আসতে নেয় আর আরিফ পিছনে থেকে মিতুর হাত টেনে ধরে। 

আরিফ: আরে আরে কোথায় যাচ্ছ আমি তো মজা করে বললাম।

মিতু: ছারেন তো আমাকে আমি বাসায় যাবো।

আরিফ মিতুকে নিজের আরও কাছে নিয়ে আসে আর পিছনে যেতে জড়িয়ে ধরে। 
আর মিতুও চুপ করে থাকো ওর হাত পা ঠান্ডা হয়ে গেছে আরিফের হঠাৎ করে কাছে  আসাতে। 
মিতু ও যেনো সরাতে পারছে না আরিফ কে নিজের থেকে দুরে।

আরিফ: আচ্ছা ঠিক আছে কোনো মেয়েদের পাশে থাকবো না আর তাকাবো না। 
এবার তো হাসো একটু 

মিতু: আচ্ছা ঠিক আছে মনে থাকে জেনো। 
নিন এবার খেয়ে নিয়।

মিতু আরিফের সামনে খাবার বেড়ে দেয় আর আরিফ খেতে বসে।

আরিফ: তুমি তুমি খেয়েছো?

মিতু: না আপনি খান আমি বাসায় গিয়ে খেয়ে নিবো।

আরিফ মিতুকে আর কিছু না বলে নিজের হাতে খাবার তুলে মিতুর সামনে ধরে।
আর মিতু তো পুরো শকট হঠাৎ করে আরিফের এতো পরিবর্তনের কারণে। 

আরিফ: কি হলো হা করো কখন থেকে খাবার মুখের সামনে নিয়ে রাখছি।

মিতু আরিফের কথা মতো চুপচাপ হা করে খেয়ে নেয় আর আরিফ ও  খেতে থাকে খাওয়া শেষ মিতু সব কিছু গুছিয়ে নেয়। 

মিতু: আচ্ছা একটা কথা বলবো?

আরিফ: হুম বলো কি বলবে?

মিতু: বলছিলাম কি আম্মু আব্বু সাথে অনেক দিন দেখা হয় নাই আজ একটু নিয়ে যাবেন।
২ দিন থেকেই চলে আসবো।

আরিফ: আচ্ছা ঠিক আছে তুমি বাসায় গিয়ে রেডি হয়ে নেও আমি অফিস থেকে ফিরে নিয়ে যাবো।

মিতু: (খুশি হয়ে)আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাচ্ছি বাসায়। 

এই বলে মিতু অফিস থেকে বাড়িতে আসার জন্য চলে আসে 

চলবে......

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com