Breaking News

আনরোমান্টিক স্যার vs রোমান্টিক ছাত্রী || ২য় ও ৩য় পর্ব



(নাম চেন্জ জান্নাত-নিলা)
রাতে শুয়ে ভাবতে থাকে এর মজাও কালকে দেখাবে।পরেরদিন কলেজে যেতেই নিলা অবাক কেননা আজ এতো স্মার্ট ভাবে এসেছে বাংলা স্যার যে সবাই তাকিয়ে আছে নিলা তেমন ভাবে না তাকিয়ে প্রতিশোধের চোখে তাকায়।নিলা মনে মনে ফন্দি আটে এই পোশাকেরই আমি আজ বারোটা বাজাবো।
-কিরে নিলা এরকম শয়তানি মার্কা হাসি দিচ্ছিস কেন?? (তিশা)
-বজ্জাত স্যারের নামে দুষ্টু বুদ্ধি আটছি।
-আমি গেলাম কাল কি করছিস তাও মনে নেই??
-আমি ওটার প্রতিশোধ আজ নিবোই দেখিস।তুই আমার সাথে থাক।
-কিন্তু??
-কোনো কিন্তু না।
-কি প্লান করলি??
-দেখ ওই যে সামনে কাদা তুই এক কাজ করবি ওই পাশে গিয়ে দাড়া স্যার একটু পরেই এই দিক দিয়ে আসতে থাকবে আমি তোকে দেখে দৌড়ে যাবো এমন ভাব করবো তোর কাছে যাওয়াটা খুব জরুরী আমার।
এরপর তারা প্লান অনুযায়ী কাজ করে যখনি স্যার আসে নিলা দৌড় দেয় আর তানিম কাদাতে পড়ে যায়।নিলা সরি বলে হাসতে হাসতে চলে যায়।তানিম উঠে মনে মনে বলে এই মেয়েটা বড্ড শয়তানি এর শাস্তি নিজের মতো করে দিতে হবে।
পরেরদিন কলেজে যাওয়া মাত্রই নিলাকে তানিম ডেকে পাঠায় নিলা একটু ভয় পেয়ে যায়। নিলা ধীরে ধীরে তানিমের রুমের কাছে যায়।
-মে আই কাম ইন স্যার??
-হুমম আসো।
-স্যার আমায় কেন ডেকেছেন??
-এই যে লাইব্রেরি দেখছো সব বুক এলোমেলো হয়ে গেছে সাজাও আমি বসে বই পড়ি।
-স্যারররররর।
-কিহ??
-এটা ঠিক না।
-তুমি করবে কি না??
-হুমম হুমম করছি।
এরপর নিলা চেয়ারে উঠে বই গুলো সাজাতে লাগে আর আচ্ছা মতো তানিম বুঝতে পেরে বলে বিড়বিড় করে কি বলছো তখন চুপ হয়ে যায়।বই সাজাতে সাজাতে হঠাৎ নিলা পা সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে লাগে তানিম বুঝতে পেরে তাড়াতাড়ি উঠে এসে ধরে নেয়।
নিলা তানিমের কোলে থেকে তানিমকে ভালো করে দেখে নেয় তানিমের চোখের দিকে এক চোখে চেয়ে আছে তানিম কতোক্ষন ডেকে যায় কিন্তু নিলার কোনো খেয়াল নেই।তানিম বাধ্য হয়ে নিলাকে ছেড়ে দেয় আর নিলা ঠাশশশশ করে মাটিতে পড়ে যায়।
-আউউউ মাগো আমার কোমড় ভাঙছেরে।এভাবে ছেড়ে দিলেন কেন??
-তো কি করবো কখন থেকে ডাকছি তুমি শুনছোই না।
-উফফ আপনি না একদম আনরোমান্টিক।
-বের করছি দাড়াও বেতটা কোথায় যেনরে।
বেতের কথা শুনে নিলা পালিয়ে যায়।ক্লাসে তানিম পড়াচ্ছে আর নিলা একটু একটু দুষ্টামি করছে।পড়া শেষ করে তানিম সবাইকে বলে বুঝেছে কি না।
-আচ্ছা তোমরা সবাই শোনো।
-জ্বি স্যার(সবাই)
-এখন তোমরা আমায় যে কোন ধরনের প্রশ্ন করতে পারো আমি বুঝিয়ে দিবো।
-স্যার আমার একটা প্রশ্ন আছে।(একটা মেয়ে)
-স্যার ভালোবাসা কি??
-ভালোবাসা একটা পবিত্র জিনিস যদিও এখন কেউ কেউ এটা নিয়ে খেলে আমি যেরকম জানি সেটা হলো ভালোবাসা হলো এরকম কারো প্রতি ভালো লাগা যার প্রতি তোমার বিশ্বাস আছে,তাকে না দেখলে ভীষন কষ্ট পাওয়া,এক নজর দেখার জন্য মন ছটফট করা আবার তাকে চোখের সামনে দেখলে কথা আটকে যাওয়া,তার জন্য অপেক্ষা করার ভালো লাগা,তার জন্য নিজের কষ্ট হওয়া এরই নাম ভালোবাসা।
-তাহলে স্যার এখনকার ভালোবাসা এগুলা কি??
-এগুলা হলো আবেক ভালোবাসা কখনো মানুষকে কষ্ট দেয় না তোমরা যেটার পিছনে এখন ছুঠছো না এটা এক ধরনের মরিচীকার মতো কাছে গেলে কিছুই পাবেনা আবেগ এর উপর না বিবেগ এর উপর থাকো তাই হবে।
সবাই কথা শুনে হাত তালি দেয় নিলা মনে মনে বলে বাহহহ হিরোটা আরো হিরো হয়ে গেলো।এর মধ্যে বেল পড়ে যায় সবাই চলে যায়।পরের দিন নিলা কলেজে এসে এমন কথা শুনতে পায় যে অবাক হয়ে যায়
পরের দিন নিলা কলেজে এসে এমন কথা শুনতে পায় যে অবাক হয়ে যায় তার কিছু বান্ধবিরা নাকি বাংলা স্যারের প্রেমে পড়ে গিয়েছে।
-ওই তিশা এগুলা কি শুনি??
-ঠিকি শুনেছিস।আর স্যারটা এত্তো কিউট যে বলার মতো না তাই হয়তো এরকম হয়েছে।
-তা তো ঠিকি আচ্ছা চল ক্লাসে যাই এক্ষনি তো শুরু হয়ে যাবে।
অন্য ক্লাসে মেয়েদের খুজে পাওয়া যায় না কিন্তু তানিমেরর ক্লাসে সব মেয়েই প্রায় উপস্থিথ থাকে।
-কেমন আছো তোমরা??
-জ্বি স্যার ভালো আপনি কেমন আছেন??(সবাই)
-হুমম ভালো।
-স্যার একটা প্রশ্ন করবো??(একটা মেয়ে)
-হুমম।
-স্যার আপনি বিবাহিত নাকি অবিবাহিত??
প্রশ্নটা শুনে সবাই হেসে দেয় তানিমও একটা হাসি দেয় হাসিটা নিলার নজরে পড়ে যায় এবং নিলার মনেও তানিম জায়গা নিয়ে নেয়।
-আমি অবিবাহিত। বিয়ে মানে ঝামেলা।
-কেন স্যার??(নিলা)
-কারন নতুন একটা মেয়ের সাথে সময় কাটানো একটু অন্যরকম ঝামেলা।আচ্ছা বাদ দাও সবাই বাড়ির কাজ বের করো।
সবাই দিলো কিন্তু নিলা বললো সে করতে পারেনি তাই তানিম তাকে কান ধরে দাড়িয়ে থাকতে বললো কিন্তু নিলা মানতে রাজি হলোনা তাই স
তানিম একটা ধমক মেরে দিলো আর নিলা কান্না করে দেয় এবং কান ধরে দাড়িয়ে থাকে।ক্লাস শেষ করে নিলা অনেক রেগে যায় এবং প্রতিশোধ নিতে চায় আবার।
হঠাৎ বৃষ্টি চলে আসে আর নিলা দৌড়ে যায় ভিজতে সাথে তিশাকেও নিয়ে যায় কিন্তু তানিম আরো বৃষ্টি থেকে বাচতে বারান্দায় দাড়িয়ে থাকে
-স্যার আসুন ভিজি।(নিলা)
-না আমার ভালো লাগে না।
-পাগল নাকি পৃথিবীতে খুব কম আছে যারা বৃষ্টি ভালোবাসে না।
-তাতে কি আমার এসব একদমি পছন্দ না চাদ দেখা বৃষ্টিতে ভেজে নদীর পারে বসে থাকা সময় কাটানো সব বোরিং কাজ।
-উহহ আপনি না একদম আনরোমান্টিক।থাকেন আমরাই ভিজি ইশশশ কত্তো মজা।
নিলা ভিজে সেদিন বাসায় যায় কিন্তু অনেক জ্বর হয় যার কারনে কলেজে যেতে পারেনা। পরেরদিন তানিম নিলাকে ক্লাসে না দেখতে পেয়ে তিশাকে জিজ্ঞেস করে কিন্তু কিছু জানতে পারেনা বাধ্যে হয়ে নিলার অভিভাবককে ফোন দেয়।
-হ্যালো কে বলছেন??
-আমি নিলার কলেজের টিচার বলছি ও আসেনি কেন??
-বাবা আমি ওর আম্মু বলছি ওর তো খুব জ্বর তাই যায়নি।
-ওহ আচ্ছা ঠিক মতো ঔষধ খাওয়াবেন তাই হবে।আমি রাখি।
তানিম ফোন কেটে দেয়।
-আম্মু কে ফোন করেছিলো??
-তোর স্যার।
-ও কি বললো??
-বললো তোর কি হয়েছে আর ঠিক মতো ঔষধ খেতে বললো।
-আচ্ছা খাবো।আম্মু ফোনটা দাও তো।
-কেন??
-তিশাকে ফোন দিবো আর তুমি একটু যাও।
-আচ্ছা।
নিলা ফোন নিয়ে তিশাকে ফোন দেয়।
-তিশা কি করিস।
-ক্লাস শেষ হলো।তোর কি হয়েছে।
-জ্বর।
-ওহহ তাই তো বলি স্যারের মন খারাপ হয়ে গেলো কেনো।
-কেন শয়তানটা আজ ভালোভাবে ক্লাস নেয়নি??
-না মন খারাপ ছিলো।
-ওদিকের অবস্থা কি??
-একটা ম্যাডাম স্যারকে প্রপোজ করছে।
-আর স্যার??(অস্থির হয়ে)
-এক্সেপ্ট করেনি ম্যাডাম তো মন খারাপ করে চলে গেলো।
-যাক বাচলাম।আচ্ছা রাখ আরো দুদিন পর যাবো।
-আচ্ছা।
দুদিন পর নিলা কলেজে যায় আর তানিমকে দেখে খুশি হলো আর তানিমও নিলাকে দেখে খুশি হয়।
-তিশা চল কক্সবাজার যাই সবাই মিলে।
-গুড আইডিয়া কিন্তু কেন??
-শয়তানটার প্রতিশোধ নিবো।
ক্লাসে নিলা সহ সবাই বলে তানিম রাজি হয়ে যায়।পরেরদিন সবাই খুব সুন্দর করে সেজে আছে নিলাও কম সাজেনি কিন্তু মেকাপ নেয়না পরীর মতো লাগছে তাকে সবাই প্রশংসা করে তাকিয়ে আছে কিন্তু তানিমের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই নিলা মনে মনে বলে এই আনরোমান্টিক ছেলেকে যে কিভাবে রোমান্টিক বানাবে।নিলা তানিমের উপর আজ ক্রাশ খায় কেননা নীল শার্ট কালো প্যান্ট পড়ে এসেছে যা দেখে যেকোনো মেয়ে পাগল হয়ে যাবে।সবাই তানিমের অনেক প্রশংসা করে আর নিলা জ্বলতে থাকে।
এরপর তারা বেড়িয়ে পরে একসময় পৌছে যায়। সমুদ্রে গিয়ে সবার সামনে নিলা ইচ্ছা করে ডুবে যায় স
তানিম তাড়াতাড়ি বাচিয়ে আনে নিলা নাটক করে পড়ে থাকে।
-এই তিশা ওর পেটে পুশ করে পানি বের করো।
-ওকে স্যার।
তিশা পেটে চাপ দেয় কিন্তু নিলা তাও চোখ বুজে থাকে শাস্তি আজ সে দিবেই।
-স্যার হচ্ছে না।
-তাহলে ওর মুখে হাওয়া দাও।
-স্যার আমি পারবোনা।
-তাহলে আরেকজন আসো।
-সবাই বলে পারবোনা।
-স্যার আপনি করেন। (তিশা)
-আমি মানে।
-স্যার প্লিজ তাড়াতাড়ি করেন।
তানিম বাধ্য হয়ে ধীরে ধীরে মুখ এগিয়ে নিয়ে হাওয়া দিতে লাগে তক্ষুনি নিলা যা করে,,,,,
To be continue..

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com