Breaking News

কেউ জানবে না কোন দিন || পর্ব-০২

তখন মাত্র কলেজের আঙিনা পাড়ি দিয়ে ভার্সিটিতে পা রাখার পালা |
ভার্সিটির ১ম যা সবারই একটা স্মৃতিময় দিন !

সেদিন আমি প্রথম ভার্সিটিতে যাই ভর্তি সংক্রান্ত কাগজ পত্র জমা দেয়ার জন্য | তবে আমি আজকে বাসা থেকে একটু আগেই বের হয়ে গিয়েছি অতি উৎসাহের বসে | রাস্তায় গিয়ে একটা রিক্সা নিয়ে ভার্সিটির দিকে চলতে শুরু করলো | শহরটা আমার অনেক চেনা তাই এদিক ওদিক তাকাচ্ছি না | শান্ত হয়ে বসে আছি আর কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছি | কিছুটা সময় পরে , আমি ভার্সিটির একটু আগেই নেমে পড়লাম | রিক্সা চালক মামাকে ভাড়া দিয়ে ঢুকলাম একটা চায়ের দোকানে তারপর এক কাপ কড়া লিকারে রং চা হাতে নিয়ে তীব্র মনোযোগ দিয়ে চা পান করতে লাগলাম | চা শেষ করে টাকা দিয়ে ভার্সিটির দিকে হাটতে শুরু করলাম | আমার বন্ধুরা যেহেতু আমার ভার্সিটিতে কেউ ভর্তি হবে না তাই আজকে আমি একাই এসেছি | যেহেতু আমি একা তাই ভার্সিটিতে ঢুকেই এদিক সেদিক তাকিয়ে তারপর গিয়ে একটি গাছের নিচে বিশ্রাম নেয়ার জন্য বসলাম | পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে ফেইসবুকে লগইন করে প্রোফাইলে গিয়ে আমার পোস্ট গুলো দেখছি | এখন ফেইসবুক নিযে একটু বেশি মাতামাতি করি কোন কিছু নতুন ব্যবহার করলে বা পেলে যা হয় | আর কানে হেডফোন দিয়ে আবার গান শুনছি মাইকেল জ্যাকসনের !

আচমকা একটি মেয়ে এসে সেই স্থানে উপস্থিত হলো ! আর আমাকে বলতে শুরু করলো ,
:-- excuse me, ভর্তির জন্য কাগজ পত্র কোথায় জমা দিতে হবে অনুগ্রহ করে বলতে পারবেন কী ?
যেহেতু আমি এক কানে হেডফোন ব্যাবহার করছিলাম তাই শুনতে কষ্ট হলো না | চোখ তুলে তাকিয়ে দেখলাম | মেয়েটি দেখতে তেমন সুন্দরী ছিল না | গায়ের রং শ্যামল বর্ণের , চোখ দুটি ছিল মন চুরি করে নেয়ার মতই , বেশ লম্বা নাক , চুলগুলো ছেড়ে দেয়া কোমরের নিচে পর্যন্ত নেমে গেছে , তবে অনেক কুচকুচে কালো চুলগুলো , কপালে কালো একটা টিপ দেয়া , ঠোঁটের আশেপাশে তীল , চিপচিপে গড়নের দেখতে বেশ অসাধারণ লাগলো , জীবননান্দ দাসের বনলতা সেনের মতো , আমি কয়েক মুহূর্তের পর্যবেক্ষণেই দেখে নিলাম ! আমি অবশ্য বিভিন্ন সিনেমা অথবা নাটকের দৃশ্যের মতো মেয়েটির দিকে স্থীর দৃষ্টিতে তাকালাম না |

আমি উঠে দাঁড়িয়ে বললাম ," আমিও একই উদ্দেশ্যে এসেছি , চলুন যআমিও সেখানে যাবো |
তারপর আমরা এক সাথে গেলাম | কাগজ পত্র জমা দেয়ার পর আমাদের আবার দেখা হল.

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com