অতৃপ্ত অশরীর ছায়া । পর্বঃ ২
আজ রাতে যদি কেউ দিশার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় তাহলে তাকে এমন শাস্তি দিবো যেটা সারাজীবন মনে রাখবে ঠিক তখনি বাড়ি ঘড়িটা জোরে জোরে বাজতে লাগলো।
রাত প্রায় ১২ঃ৩০ মিনিট।
কিন্তু এমন হচ্ছে কেনো এত দিন ধরে এই বাড়িতে আছি কখনো তো ঘড়িটা এমন জোরে জোরে বাজে না তাহলে আজ বাজছে কেনো কিছু মাথায় ডুকছে না।
তবুও ঘুমের ভান করে শুয়ে আছি।
ঠিক তখনি যা দেখাম তা আমি কখনো কল্পনাই করতে পারি নি।।
একটা কালো ছায়া ঘরে ভিতর ডুকলো।
এই ছায়াটা কোনো মানুষের হবে কেনো না ছায়াটা পুরো মানুষের মতো কিন্তু এই ছায়া এখানে কী করছে আমাকে জানতেই হবে।
ছায়াটা ঠিক দিশার উপর শুয়ে পড়লো মনে হচ্ছে কিছু করছে আমি তো কিছু দেখতেই পাচ্ছি না।
খুব ভয় করছিলো তখন কিন্তু আমাকে যে জানতেই হবে এই জিনিস টা কী তাই হাতটা বাড়ি ছায়াটা ছুতে চাইলাম কিন্তু এ কি আমি স্পর্শ করতে পাচ্ছি না কেনো।
তখনি দিশার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
দিশাঃ বাবা তুমি দেখেছিলে সে আজও এসেছিলো।
সাঈদঃ কে এসছিলো।
দিশাঃ যে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। তুমি দেখো নি।
সাঈদঃ হুম দেখেছি
দিশাঃ তাহলে বলো না বাবা কে সে।
সাঈদঃ সেটা কেনো মানুষ নয় একটা ছায়া
মনে হচ্ছে কেনো কোনো অতৃপ্ত আত্মা।
দিশাঃ তুমি কী বাবা পাগল হয়ে গেছো এই দুনিয়াই আত্মা, ভুত পেত নামে কোনো জিনিস আছে। এসব কিছুই নাই সব কিছু মানুষের কল্পনা।
সাঈদঃ এটা যে কল্পনা নয় এটা সত্যি আমি এই দু চোখ দিয়ে স্পষ্ট দেখছি।
দিশাঃ তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো কোনো অতৃপ্ত আত্মা আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাচ্ছে।
সাঈদঃ হুম।
দিশাঃ কিন্তু বাবা ওই আত্মার লাভ কী।
সাঈদঃ সেটা তো জানি না কিন্তু সময় হলে ঠিকই জানতে পারবো।
এখন এত কথা বলিস না।
তা না হলে তোর মা জেগে গেলে সমস্যা হয়ে যাবে আর তুই এখন তোর ঘরে যা বাকি কথা কাল হবে।
দিশাঃ ওকে।
সাঈদঃ তার পর দিশা ওর রুমে আমি তাসফিয়াকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম।
আমি জরিয়ে না ধরলে আবার তাসফিয়া ঘুমাতে পারে না আজ কীভাবে পারবো কে জানে ঘুমাইছে কী না।
সাঈদঃ সারা রাত ঘুমাতে পারি নি বার বার ওই ছায়াটার ছবি চোখের সামনে ভেসে আসছে।
কী চায় আত্মা ওর কাছে সেটা আমাকে জানতেই হবে।
তার আগে এই ঘড়িটার ব্যবস্থা করতে হবে।
ও ও আপনাদের তো বলাই হয় নি আমাদের বাসায় একটা বড় ঘড়ি আছে।
সারা রাত ঘুমাতে তো পারি নি। কিন্তু সকাল বেলা অল্প হলেও মনে হয় ঘুমিয়েছি।
যতখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন একটা ভয়ানক স্বপ্ন দেখেছিলাম স্বপ্নটা ঠিক এমন।
কোন একটা ছায়া আমাকে বলছে আমার পথে বাধা হয়ে দাড়ালে নিজের প্রানটা অকালে হারাবি তার চেয় ভালো আমার পথ থেকে সরে যা।
স্বপ্নটা শেষ হতে না হতেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।
এই কথাটা বাসার কাউকে বলি নি। ঘুম থেকে উঠে অফিসে ফোন করে বললাম শরীরটা ভালো লাগছে তাই আজ যাবো না। সত্যিই আজ ভালো লাগছে না।
তার পর ঘড়িটার ব্যাটারি গুলো খুলে পুড়ে ফেললাম এর পর ঘড়ির কাঁটা গুলো ভেঙ্গে দিলাম।
তখনি তাসফিয়া আসলো।
তাসফিয়াঃ একি তুমি এটা কী করছো পাগল হয়ে গেলা নাকি।
সাঈদঃ একটু চুপ করে থাকো তো যত নষ্টের গড়া এই ঘড়িটা দেখিতো আজ রাতে কীভাবে বাজে।
আজকেও দিশাকে বলাম আমাদের সাথে ঘুমাতে।
সারা দিন শুয়ে ছিলাম।
এখন রাত নয়টা।
তাসফিয়া আমার শুয়ে পড়েছে আর আমার পাশে দিশা মানে আমি দুজনের মাঝ খানে তাসফিয়া তো আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কিন্তু দিশা আর আমার চোখে কোনো ঘুম নেই।
আজ কী হয় সেটাই আমি দেখতে হবে এভাবে রাত ১২ঃ২৯ আজ মনে হয় কিছুই হবে না কিন্তু যখনি ১২ঃ৩০ বাজলো তখনি ঘড়িটা আগের মতো জোরে জোরে বাজতে লাগলো এটা কী করে সম্ভব আমি তো ঘড়ির কাঁটার ও ব্যাটারি খুলে পুড়ে দিচ্ছিলাম তা হলে এটা কী করে সম্ভব।
ভয়ে বুকটা ধড়ফড় করছে কী হতে চলেছে একমাত্র উপরওয়ালারই জানে চারপাশে অন্ধকার।
এই সময় বিদ্যুৎ টাও চলে গেছে তখনি কারো ভয়ানক হাসির শব্দ ভেসে আসছে।
তোকে বলেছিলাম আমার পথে বাধা হয়ে দাড়াস না তবুও দাড়ালি আজ দেখ তোর কী অবস্থা করি।
তখনি।
রাত ১২ঃ৩০ মিনিট ঘড়িটা ঠিক আগের মতো জোরে জোরে বাজতে লাগলো।
কিন্তু এটা কী করে সম্ভব আমি তো ঘড়ির কাঁটা গুলো ভেঙ্গে দিচ্ছিলাম। তার পর ব্যাটারি গুলা খুলে ফেলেছিলাম।
না নিশ্চয়ই এর মাঝে লুকিয়ে আছে অনেক গভীর রহস্য কিন্তু সেটা কী আমাকে জানতেই হবে।
তখনি অন্ধকার রুম থেকে ভয়ানক হাসির শব্দে ভেসে এলো বলেছিলাম তোকে আমার রাস্তা থেকে সরে দাড়াতে কিন্তু না তুই আমার পথে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিস।
আর এই অন্যায় শাস্তি হলো মৃত্যু হ্যা তোকে মরতেই হবে।
সাঈদঃ কী আপনি এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে ভয় না দেখিয়ে সামনে আসেন দেখি কত বড় সাহস তখনি তাসফিয়া ঘুম থেকে উঠে গেলো।
তাসফিয়াঃ এ্যই কী হয়েছে তোমার এত রাতে চিৎকার করছো কোনো।
সাঈদঃ কিছু না এমনি।
তাসফিয়াঃ কিছু না বললে হবে সকাল থেকে দেখছি তুমি কেমন আজব আজব ব্যবহার করছো কী হয়েছে তোমার আমাকে বলো আমি তো তোমার বউ।
সাঈদঃ বললাম তো কিছু হয়।
তাসফিয়াঃ আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ আমি তোমার সবসময় পাশে থাকি।
আমার থেকে ভালো হয়তো তোমাকে এই দুনিয়াই কেউ চিনে না। তুমিও না বলো না কী হয়েছে।
সাঈদঃধুর এই মেয়েটার জেদ এর সামনে আর পারা গেলো না রাগ করলে আবার কাদতে শুরু করবে তাই ইচ্ছে না থাকার সত্যেও সব কিছু বলে দিলাম।
তাসফিয়াঃ এত সব হয়ে গেলো আর তুমি আমাকে কিছুই বলো নি কেনো?????
সাঈদঃ এমনি তুমি টেনশন করবে তাই???
তাসফিয়াঃ হয়েছে এবার মিথ্যা কথা বন্ধ করে ঘুমাও কাল সকালে দেখা যাবে কী হয়।
সাঈদঃ তার পর কী ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল বেলা নাস্তা করে বেড়িয়ে পড়লাম বাসা থেকে।
শহরের বাইরে একজন তান্ত্রিক রয়েছেন ওনার কাছে।
অনেক খন গাড়ি চালিয়ে তার পর ওনার দেখা পেলাম।
তান্ত্রিকঃ হঠাৎ আমার কাছে।
সাঈদঃ তার পর তান্ত্রিকে সব কিছু খুলে বললাম।
তান্ত্রিকঃ হুম বুঝলাম। এটা নিশ্চই কেনো অতৃপ্ত আত্মা।
কেনো শরীর বশ করতে চাচ্ছে তাই যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে এদের বলা হয় অতৃপ্ত অশরীর ছায়া।
সাঈদঃ তাহলে এই অতৃপ্ত অশরীর হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাবো।
তান্ত্রিকঃ আমাকে তোর বাসায় নিয়ে চল বাকি কথা সেখানেই হবে।
তার পর তান্ত্রিকে বাসায় নিয়ে আসলাম কিন্তু ওনি বাসার ভিতরে গেলেন না।
বাসার গেট থেকে বলে দিলেন।
এই বাড়িটা অভিশপ্ত বাড়ি। এই বাড়িতে আজ থেকে ৫০ বছর আগে একটা অতৃপ্ত অশরীর আত্মাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিলো একটি ঘড়ির মাঝে। কিন্তু এখন এই অশরীরি যে মুক্ত।
সাঈদঃ তান্ত্রিক এর কথাটা শুনা মাএই আমার মনে পড়লো আমরা যখন এই বাড়িতে আসি ততখন ঘড়িটা বন্ধ ছিলো। আর আমিই সেটাকে আবার ব্যাটারি লাগিয়ে চালু করি তার মানে আমিই ওই আত্মাকে মুক্ত করেছি।
তান্ত্রিকঃ কী ভাবছিস কী করে মুক্তি পেলো এই অশরীরী ছায়া শোন তাহলে এই বাড়িতে যদি কখনো কোনো পবিত্র মানুষের আগমন হয় তাহলে মুক্তি পাবে সেই আত্মা আর এই বাড়িতে তোর মেয়ে একমাত্র পবিত্র শরীর।
তাই তোর মেয়ের শরীরকে বশ করার জন্য শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয় কেনো না অশুভ শক্তি কখনো শুভ শক্তি বা পবিত্র শরীরকে বশ করতে পারে না আর তুই সেদিন জেগে ছিলি বলে ওই আত্মাটা শারীরিক সম্পর্ক করতে পারি নি তাই তোর জীবন নিতে চাইবে।
সাঈদঃ তাহলে এর হাত থেকে বাচার উপায় আমাকে বলুন প্লিজ।
তান্ত্রিকঃ এর হাত থেকে বাচার কোনো উপায় নেই। তোরা যেখানে যাবি সেখানে পিছু পিছু যাবে এই অশরীরী ছায়া।
তোরা এই বাড়ি ছেরে নতুন বাড়িতে যা।
কেনো এই বাড়িটা অভিশপ্ত।
সাঈদঃ আমার যে ভয় লাগছে এই বাড়ির ভিতরে যেতে।
তান্ত্রিকঃ ভয় নেই মাগরিব এর আগ পযন্ত ওই আত্মা কিছুই করতে পারবে না।
সাঈদঃ আচ্ছা তাহলে আমি এখনি সব নিয়ে নতুন কোনো খানে যাচ্ছি।
তান্ত্রিকঃ হুম এটাই ভালো আমি চললাম কাল দেখা হবে।
সাঈদঃ আচ্ছা। চলুন আপনাকে রেখে আসি।
তান্ত্রিকঃ থাক বাবা লাগবে না তুমি কথাটা বললে আমি এতেই খুশি।
সাঈদঃ তার পর তান্ত্রিক চলে গেলো।
আমি ভিতরে গিয়ে তাসফিয়া আর দিশা কে সব কিছু খুলে বললাম। তাসফিয়া তো কথা গুলো শুনে আমার হাতটা যে ধরলো আর ছাড়লোই না ওর বলে ভয় লাগছে। সব কিছু নিয়ে এই বাসাটা ছেরে নতুন একটা বাসায় আসলাম কিন্তু ওই অশরীরী কী এখানেও আসবে ঠিক তখনি…
রাত প্রায় ১২ঃ৩০ মিনিট।
কিন্তু এমন হচ্ছে কেনো এত দিন ধরে এই বাড়িতে আছি কখনো তো ঘড়িটা এমন জোরে জোরে বাজে না তাহলে আজ বাজছে কেনো কিছু মাথায় ডুকছে না।
তবুও ঘুমের ভান করে শুয়ে আছি।
ঠিক তখনি যা দেখাম তা আমি কখনো কল্পনাই করতে পারি নি।।
একটা কালো ছায়া ঘরে ভিতর ডুকলো।
এই ছায়াটা কোনো মানুষের হবে কেনো না ছায়াটা পুরো মানুষের মতো কিন্তু এই ছায়া এখানে কী করছে আমাকে জানতেই হবে।
ছায়াটা ঠিক দিশার উপর শুয়ে পড়লো মনে হচ্ছে কিছু করছে আমি তো কিছু দেখতেই পাচ্ছি না।
খুব ভয় করছিলো তখন কিন্তু আমাকে যে জানতেই হবে এই জিনিস টা কী তাই হাতটা বাড়ি ছায়াটা ছুতে চাইলাম কিন্তু এ কি আমি স্পর্শ করতে পাচ্ছি না কেনো।
তখনি দিশার ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
দিশাঃ বাবা তুমি দেখেছিলে সে আজও এসেছিলো।
সাঈদঃ কে এসছিলো।
দিশাঃ যে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চায়। তুমি দেখো নি।
সাঈদঃ হুম দেখেছি
দিশাঃ তাহলে বলো না বাবা কে সে।
সাঈদঃ সেটা কেনো মানুষ নয় একটা ছায়া
মনে হচ্ছে কেনো কোনো অতৃপ্ত আত্মা।
দিশাঃ তুমি কী বাবা পাগল হয়ে গেছো এই দুনিয়াই আত্মা, ভুত পেত নামে কোনো জিনিস আছে। এসব কিছুই নাই সব কিছু মানুষের কল্পনা।
সাঈদঃ এটা যে কল্পনা নয় এটা সত্যি আমি এই দু চোখ দিয়ে স্পষ্ট দেখছি।
দিশাঃ তাহলে তুমি বলতে চাচ্ছো কোনো অতৃপ্ত আত্মা আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতে চাচ্ছে।
সাঈদঃ হুম।
দিশাঃ কিন্তু বাবা ওই আত্মার লাভ কী।
সাঈদঃ সেটা তো জানি না কিন্তু সময় হলে ঠিকই জানতে পারবো।
এখন এত কথা বলিস না।
তা না হলে তোর মা জেগে গেলে সমস্যা হয়ে যাবে আর তুই এখন তোর ঘরে যা বাকি কথা কাল হবে।
দিশাঃ ওকে।
সাঈদঃ তার পর দিশা ওর রুমে আমি তাসফিয়াকে জরিয়ে ধরে শুয়ে পড়লাম।
আমি জরিয়ে না ধরলে আবার তাসফিয়া ঘুমাতে পারে না আজ কীভাবে পারবো কে জানে ঘুমাইছে কী না।
সাঈদঃ সারা রাত ঘুমাতে পারি নি বার বার ওই ছায়াটার ছবি চোখের সামনে ভেসে আসছে।
কী চায় আত্মা ওর কাছে সেটা আমাকে জানতেই হবে।
তার আগে এই ঘড়িটার ব্যবস্থা করতে হবে।
ও ও আপনাদের তো বলাই হয় নি আমাদের বাসায় একটা বড় ঘড়ি আছে।
সারা রাত ঘুমাতে তো পারি নি। কিন্তু সকাল বেলা অল্প হলেও মনে হয় ঘুমিয়েছি।
যতখন ঘুমিয়ে ছিলাম তখন একটা ভয়ানক স্বপ্ন দেখেছিলাম স্বপ্নটা ঠিক এমন।
কোন একটা ছায়া আমাকে বলছে আমার পথে বাধা হয়ে দাড়ালে নিজের প্রানটা অকালে হারাবি তার চেয় ভালো আমার পথ থেকে সরে যা।
স্বপ্নটা শেষ হতে না হতেই ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।
এই কথাটা বাসার কাউকে বলি নি। ঘুম থেকে উঠে অফিসে ফোন করে বললাম শরীরটা ভালো লাগছে তাই আজ যাবো না। সত্যিই আজ ভালো লাগছে না।
তার পর ঘড়িটার ব্যাটারি গুলো খুলে পুড়ে ফেললাম এর পর ঘড়ির কাঁটা গুলো ভেঙ্গে দিলাম।
তখনি তাসফিয়া আসলো।
তাসফিয়াঃ একি তুমি এটা কী করছো পাগল হয়ে গেলা নাকি।
সাঈদঃ একটু চুপ করে থাকো তো যত নষ্টের গড়া এই ঘড়িটা দেখিতো আজ রাতে কীভাবে বাজে।
আজকেও দিশাকে বলাম আমাদের সাথে ঘুমাতে।
সারা দিন শুয়ে ছিলাম।
এখন রাত নয়টা।
তাসফিয়া আমার শুয়ে পড়েছে আর আমার পাশে দিশা মানে আমি দুজনের মাঝ খানে তাসফিয়া তো আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে পড়েছে।
কিন্তু দিশা আর আমার চোখে কোনো ঘুম নেই।
আজ কী হয় সেটাই আমি দেখতে হবে এভাবে রাত ১২ঃ২৯ আজ মনে হয় কিছুই হবে না কিন্তু যখনি ১২ঃ৩০ বাজলো তখনি ঘড়িটা আগের মতো জোরে জোরে বাজতে লাগলো এটা কী করে সম্ভব আমি তো ঘড়ির কাঁটার ও ব্যাটারি খুলে পুড়ে দিচ্ছিলাম তা হলে এটা কী করে সম্ভব।
ভয়ে বুকটা ধড়ফড় করছে কী হতে চলেছে একমাত্র উপরওয়ালারই জানে চারপাশে অন্ধকার।
এই সময় বিদ্যুৎ টাও চলে গেছে তখনি কারো ভয়ানক হাসির শব্দ ভেসে আসছে।
তোকে বলেছিলাম আমার পথে বাধা হয়ে দাড়াস না তবুও দাড়ালি আজ দেখ তোর কী অবস্থা করি।
তখনি।
রাত ১২ঃ৩০ মিনিট ঘড়িটা ঠিক আগের মতো জোরে জোরে বাজতে লাগলো।
কিন্তু এটা কী করে সম্ভব আমি তো ঘড়ির কাঁটা গুলো ভেঙ্গে দিচ্ছিলাম। তার পর ব্যাটারি গুলা খুলে ফেলেছিলাম।
না নিশ্চয়ই এর মাঝে লুকিয়ে আছে অনেক গভীর রহস্য কিন্তু সেটা কী আমাকে জানতেই হবে।
তখনি অন্ধকার রুম থেকে ভয়ানক হাসির শব্দে ভেসে এলো বলেছিলাম তোকে আমার রাস্তা থেকে সরে দাড়াতে কিন্তু না তুই আমার পথে কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছিস।
আর এই অন্যায় শাস্তি হলো মৃত্যু হ্যা তোকে মরতেই হবে।
সাঈদঃ কী আপনি এভাবে লুকিয়ে লুকিয়ে ভয় না দেখিয়ে সামনে আসেন দেখি কত বড় সাহস তখনি তাসফিয়া ঘুম থেকে উঠে গেলো।
তাসফিয়াঃ এ্যই কী হয়েছে তোমার এত রাতে চিৎকার করছো কোনো।
সাঈদঃ কিছু না এমনি।
তাসফিয়াঃ কিছু না বললে হবে সকাল থেকে দেখছি তুমি কেমন আজব আজব ব্যবহার করছো কী হয়েছে তোমার আমাকে বলো আমি তো তোমার বউ।
সাঈদঃ বললাম তো কিছু হয়।
তাসফিয়াঃ আমার বিশ্বাস হয় না। কারণ আমি তোমার সবসময় পাশে থাকি।
আমার থেকে ভালো হয়তো তোমাকে এই দুনিয়াই কেউ চিনে না। তুমিও না বলো না কী হয়েছে।
সাঈদঃধুর এই মেয়েটার জেদ এর সামনে আর পারা গেলো না রাগ করলে আবার কাদতে শুরু করবে তাই ইচ্ছে না থাকার সত্যেও সব কিছু বলে দিলাম।
তাসফিয়াঃ এত সব হয়ে গেলো আর তুমি আমাকে কিছুই বলো নি কেনো?????
সাঈদঃ এমনি তুমি টেনশন করবে তাই???
তাসফিয়াঃ হয়েছে এবার মিথ্যা কথা বন্ধ করে ঘুমাও কাল সকালে দেখা যাবে কী হয়।
সাঈদঃ তার পর কী ঘুমিয়ে পড়লাম।
সকাল বেলা নাস্তা করে বেড়িয়ে পড়লাম বাসা থেকে।
শহরের বাইরে একজন তান্ত্রিক রয়েছেন ওনার কাছে।
অনেক খন গাড়ি চালিয়ে তার পর ওনার দেখা পেলাম।
তান্ত্রিকঃ হঠাৎ আমার কাছে।
সাঈদঃ তার পর তান্ত্রিকে সব কিছু খুলে বললাম।
তান্ত্রিকঃ হুম বুঝলাম। এটা নিশ্চই কেনো অতৃপ্ত আত্মা।
কেনো শরীর বশ করতে চাচ্ছে তাই যেখানে সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে এদের বলা হয় অতৃপ্ত অশরীর ছায়া।
সাঈদঃ তাহলে এই অতৃপ্ত অশরীর হাত থেকে কীভাবে রক্ষা পাবো।
তান্ত্রিকঃ আমাকে তোর বাসায় নিয়ে চল বাকি কথা সেখানেই হবে।
তার পর তান্ত্রিকে বাসায় নিয়ে আসলাম কিন্তু ওনি বাসার ভিতরে গেলেন না।
বাসার গেট থেকে বলে দিলেন।
এই বাড়িটা অভিশপ্ত বাড়ি। এই বাড়িতে আজ থেকে ৫০ বছর আগে একটা অতৃপ্ত অশরীর আত্মাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিলো একটি ঘড়ির মাঝে। কিন্তু এখন এই অশরীরি যে মুক্ত।
সাঈদঃ তান্ত্রিক এর কথাটা শুনা মাএই আমার মনে পড়লো আমরা যখন এই বাড়িতে আসি ততখন ঘড়িটা বন্ধ ছিলো। আর আমিই সেটাকে আবার ব্যাটারি লাগিয়ে চালু করি তার মানে আমিই ওই আত্মাকে মুক্ত করেছি।
তান্ত্রিকঃ কী ভাবছিস কী করে মুক্তি পেলো এই অশরীরী ছায়া শোন তাহলে এই বাড়িতে যদি কখনো কোনো পবিত্র মানুষের আগমন হয় তাহলে মুক্তি পাবে সেই আত্মা আর এই বাড়িতে তোর মেয়ে একমাত্র পবিত্র শরীর।
তাই তোর মেয়ের শরীরকে বশ করার জন্য শারীরিক সম্পর্ক করতে চায় কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয় কেনো না অশুভ শক্তি কখনো শুভ শক্তি বা পবিত্র শরীরকে বশ করতে পারে না আর তুই সেদিন জেগে ছিলি বলে ওই আত্মাটা শারীরিক সম্পর্ক করতে পারি নি তাই তোর জীবন নিতে চাইবে।
সাঈদঃ তাহলে এর হাত থেকে বাচার উপায় আমাকে বলুন প্লিজ।
তান্ত্রিকঃ এর হাত থেকে বাচার কোনো উপায় নেই। তোরা যেখানে যাবি সেখানে পিছু পিছু যাবে এই অশরীরী ছায়া।
তোরা এই বাড়ি ছেরে নতুন বাড়িতে যা।
কেনো এই বাড়িটা অভিশপ্ত।
সাঈদঃ আমার যে ভয় লাগছে এই বাড়ির ভিতরে যেতে।
তান্ত্রিকঃ ভয় নেই মাগরিব এর আগ পযন্ত ওই আত্মা কিছুই করতে পারবে না।
সাঈদঃ আচ্ছা তাহলে আমি এখনি সব নিয়ে নতুন কোনো খানে যাচ্ছি।
তান্ত্রিকঃ হুম এটাই ভালো আমি চললাম কাল দেখা হবে।
সাঈদঃ আচ্ছা। চলুন আপনাকে রেখে আসি।
তান্ত্রিকঃ থাক বাবা লাগবে না তুমি কথাটা বললে আমি এতেই খুশি।
সাঈদঃ তার পর তান্ত্রিক চলে গেলো।
আমি ভিতরে গিয়ে তাসফিয়া আর দিশা কে সব কিছু খুলে বললাম। তাসফিয়া তো কথা গুলো শুনে আমার হাতটা যে ধরলো আর ছাড়লোই না ওর বলে ভয় লাগছে। সব কিছু নিয়ে এই বাসাটা ছেরে নতুন একটা বাসায় আসলাম কিন্তু ওই অশরীরী কী এখানেও আসবে ঠিক তখনি…
চলবে?
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com