Breaking News

গল্পঃ পাগলিটা || পর্ব- ৪র্থ

সেদিন রাতে কোন মতে ঘুমিয়ে পরলাম।

-তারপরের দিন কলেজে গেলাম।গিয়ে দেখি

-রানা,রিদয়,পারভেজ এরা সবাই মন খারাপ করে বসে আছে।

--কিরে কি হয়েছে। তোদের মন খারাপ নাকি(আমি)

--নারে তেমন কিছু না(রিদয়)

--কি হয়েছে বলনা(আমি)

--এমনিতেই রে কিছু না (পারভেজ)

--তোরা যদি এখন না বলিস কি হয়েছে তোদের তাহলে কিন্তু আমি বলে দিলাম।তোদের সাথে আর কথা বলব না(আমি)

--আসলে আজকে আমরা সানজিদার কাছে গিয়েছিলাম(রানা)

--তোরা ওই মেয়ের কাছে কি করতে গিয়েছিলি(আমি)

--আসলে আমরা গিয়েছিলাম তোদের যেন সম্পর্কটা না নষ্ট হয় সে জন্য(রানা)

--তোদের কে আমি বলেছিলাম ওই মেয়ের কাছে যেতে(আমি)

--আসলে আমরা বুঝতে পারি তোর কষ্ট হয়।তাই তোর কষ্ট দূর করার জন্য আমরা(রানা)

--তাই তোরা ওই মেয়ের কাছে গেলি তাইতো।

--হুম

--কি বলেছে ওই মেয়ে(আমি)

--নাহহ।তেমন কিছু বলেনি(রিদয়)

--যেটা বলেছে সেটাই বল(আমি)

--কি হয়েছিলো তাহলে শুন(পারভেজ)

-আমরা তিনজনে সানজিদার কাছে গেলাম।তখন সে একাই বসে ছিলো।
তাই তখন রিদয় বললো.......

--ভাবি আপনার সাথে কিছু কথা ছিলো(রিদয়)

--ওই কে তোর ভাবি রে(সানজিদা)

--না মানে আমরা তো আগেই থেকেই আপনাকে ভাবি বলি (পারভেজ)

--আর একবার যদি ভাবি বলিস তাহলে তোদের গালে আমার এই হাতের পাঁচটা আঙ্গুলের ছাপ বসিয়ে দিব(সানজিদা)

--তাহলে আপনাকে কি বলে ডাকবো ভাবি(মুখ ফসকে বলে ফেলেছে রিদয়)

--ঠাসসসসসস।তোর সাহস কি করে হয় আমাকে ভাবি বলার।ছোট লোক ক্ষেত কোথাকার(সানজিদা)

--সরি আর বলবো না(রিদয়)

--কি বলতে এসেছিস বল(সানজিদা)

--আপনি জাহিদের সাথে এমন কেন করছেন।জাহিদ আপনাকে অনেক ভালোবাসে।আপনি প্লিজ জাহিদকে কষ্ট দিবেন না(রিদয়)

--তোরা কি ওর হয়ে দালালি করতে এসেছিস(সানজিদা)

--আপনি প্লিজ জাহিদের সাথে এমন করবেন না(রিদয়)

--তোরা যদি আর একবার ওর কথা আমাকে বলিস তাহলে তোদের তিনজনের খবর আছে বলে দিলাম(সানজিদা)

--জাহিদ আপনাকে খুব ভালোবাসে ওকে কষ্ট দিয়েন না(রানা)

--ঠাসসসসস।ছোটলোকের বাচ্চারা যা ভাগ এখান থেকে। আমার সামনে আর আসলে তোদের আমি এই কলেজ থেকে বের করে দিব(সানজিদা)

--তারপরে কি হয়েছে(আমি)

--তারপরে আমরা চলে আসি সেখান থেকে(রানা)

--তোরা চল আমার সাথে (আমি)

--কোথায় যাব এখন আবার(পারভেজ)

--আমার সাথে আয়(আমি)

--(তারপর আমি ওদের তিনজনকে নিয়ে গেলাম সানজিদার কাছে যেখানে সানজিদা আছে)
,
-সানজিদার সামনে গিয়ে বললাম......

--তুই ওদেরকে কি বলেছিস(আমি)

--আরে দেখ দেখ ছোটলোকদের সর্দার এসেছে (সানজিদা।ওদের বান্ধবীদের বললো)

--শুনলাম তুই নাকি ওদেরকে মেরেছিস ও(আমি)

--তুই কি ওদের হয়ে নালিশ করতে এসেছিস নাকি(সানজিদা)

--যেটা বলছি সেটার উত্তর দে(আমি)

--মেরেছি বেশ করেছি। ছোটলোক ক্ষেত কোথাকার আমার মুখের উপর কথা বলে(সানজিদা)

--ঠাসসসসসস।ঠাসসসসসস
-তোর সাহস কি করে হয় ওদের মারার(আমি)

--তুই আমাকে মারলি কেন (সানজিদা)

--ওদেরকে যদি আর কোনদিন অপমান করিস সেদিন তোকে আমি মেরেই ফেলবো(আমি)

--ওই ছোটলোকের বাচ্চাদের জন্য তুই আমাকে মারলি(সানজিদা)

--ঠাসসসসসস। ঠাসসসসস
-ওরা আমার বন্ধু হয় ওকে।তাই মুখ সামলে কথা বলিস(আমি)

--(বলেই চলে আসতে লাগলাম।কিন্তু পিছন থেকে সানজিদা বললো......

--তোদেরকে দেখে নিব আমি ছোটলোকের বাচ্চারা(সানজিদা)

-(আর রাগটা কন্ট্রোল হয়নি।দৌড়ে গিয়ে ওর গলা চেপে ধরেছি)

--তোকে আজ আমি মেরেই ফেলবো(আমি)

--জাহিদ কি করছিস কি ছাড় ছাড়(ওর বান্ধবীরা)

--ওকে আমি মেরেই ফেলবো(আমি)

--(ওইদিকে সানজিদার দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। তাই আমিও ছেড়ে দিলাম)

--(সাথে সাথে কাশি দিয়ে উঠলো মেয়েটা।তারপরেই বললো....
--তোকে আমি দেখে নিব(সানজিদা)

--আরে যা যা। যা করার করে নিস(আমি)

-(তারপরে চলে আসলাম বন্ধুদের নিয়ে)

--কলেজ শেষ করে বাসায় চলে আসলাম।
তারপর ঘুম দিয়ে বিকেলে একটু বাহিরে থেকে ঘুরে বাসায় চলে আসলাম।

--রাতে নিজের রুমে বসে আছি।এমন সময় দেখলাম আব্বু আসলো অফিস থেকে।
--(অবশ্য অফিস আমাদের না অফিসটা সানজিদার আব্বুর।
ওর বাবা মারা যাওয়ার পরে আব্বুই সব দেখে ওদের।কিন্তু আজকে কেন জানি আব্বুর মন খারাপ দেখলাম।তাই আমি বললাম...

--কি হয়েছে আব্বু কোন সমস্যা(আমি)

--আসলে সানজিদা আজকে(আব্বু)

--হ্যা সানজিদা কি(আমি)

--আসলে সানজিদা আজকে অফিসে এসে বললো আমার নাকি আর ওদের কোন দরকার নেই।এখন থেকে নাকি সেই অফিসের সব কিছু দেখাশুনা করবে(আব্বু)

--এটাতো খুশির খবর।তুমি মন খারাপ করছো কেন (আমি)

--ও একটা মেয়ে একাই এসব কিছু করতে পারবে নাকি।তারপর ওর তো এসবের কিছু অভিজ্ঞতা নেই(আব্বু)

--পারবে বলেই সে এসব করেছে। আর তোমার মন খারাপ করার কোন দরকার নেই।কালকে থেকে তুমি তোমার ব্যবসাটা দেখাশুনা করবে।(আমি)

--কিন্তু বাবা(আব্বু)

--কোন কিন্তু না।তুমি কালকে থেকে আমাদের ব্যবসাটা দেখাশুনা করবে এটাই আমার শেষ কথা(আমি)

--এটা মেয়েটা কি সব কিছু করতে পারবে(আব্বু)

--সব পারবে সে। তুমি চিন্তা কর না(আমি)

--টেনশন তো তবুও হয়রে বাবা(আব্বু)

--তুমি টেনশন নিয়ো না তো যাও ফ্রেস হয়ে খেয়ে ঘুমাতে যাও(আমি)
--কিন্তু বাবা(আব্বু)

--কোন কিন্তু না।আম্মু আব্বুকে খেতে দাও (আমি)

--(তারপর আমি চলে আসলাম রুমে।আর ভাবতে লাগলাম মেয়েটার এতো অহংকার।
শুধু অহংকারই না সে আব্বুকে অফিস থেকে কিভাবে বের করে দেয়।
যে মানুষটা কিনা এতদিন তিলতিল করে তার বাবার অফিসটা দেখাশুনা করলো।ব্যবসাটা এতদূর নিয়ে গেলো তাকে কিনা সে তাড়িয়ে দিলো।
আব্বু যতই বলুক আব্বুকে ওভাবে সানজিদা বলেনি। নিশ্চয়ই সে আব্বুকে অপমান করেছে।
,
-অফিসে কি হয়েছে এটা জানতে হলে। বড় ভাইকে ফোন দিতে হবে।
-একটা বড় ভাই আমাদের এলাকার।সে ওই অফিসে চাকরি করে।
তাই ভাই সব বলতে পারবে।
ফোন দিলাম ভাই কে তাই...

--হ্যালো ভাই জাহিদ বলছি (আমি)

--আরে জাহিদ কি খবর বল(ভাই)

--ভাই আজকে অফিসে কি হয়েছে আব্বুর সাথে একটু খুলে বলবেন(আমি)

-(তারপর ভাই সব খুলে বললো।এসব শুনে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেলো।কারন, সানজিদা আব্বুকে অপমান করেছে।তাও আবার অফিসের সকল কর্মচারীর সামনে।
ছি মেয়েটা শেষে এতো নিচে নামতে পারলো।
নাহহহ এই মেয়েকে আমি উচিত শিক্ষা দিয়েই ছাড়বো।
সব অপমানের প্রতিশোধ আমি একদিন নিব)

--তারপর থেকে আমি আলাদা ভাবে চলতে লাগলাম

--এরি মাঝে পুরো কলেজে আমার আর সানজিদার সম্পর্ক শেষ হওয়ার কথা সবাই জেনে গেছে।

--এভাবেই চলতে লাগলো দিন।দেখতে দেখতে ১ মাস পার হয়ে গেলো আরও।

--এরি মাঝে অবশ্য অনেক মেয়ে এসে প্রোপজ করলো আমাকে কিন্তু রাজি হয়নি কারও প্রোপজে।

--কারন,আমার এখন একটাই লক্ষ। সানজিদাকে তার উচিত শিক্ষা দেওয়া।আর সব অপমানের বদলা নেওয়া।

--এভাবেই চলে গেলো আরও ১ সপ্তাহ।

--আমি এখন বন্ধুদের নিয়ে অনেক খুশি আছি।

--কারন,ওরাই আমার সুখে দুঃখের সাথি।

--ওরা সব সময় আমার সাথে আছে। আর থাকবে,হ্যা জানি ওরা আমার মতো সেই রকম ধনী পরিবারের না তবুও কোনদিন টাকা চাওয়া আমার কাছে খেতে চাওয়া ট্টিট চাওয়া এসব কিছু বলেনি।

--বরং ওরাই আমাকে খাওয়ার।সত্যি বন্ধু ছাড়া জীবনটাই অচল।

--একদিন বন্ধুরা মিলে কলেজে বসে আড্ডা দিচ্ছি।

--এমন সময় দেখলাম সানজিদা আমার দিকে দৌড়ে আসতেছে আর ওর পিছনে কয়েকটা ছেলে ওকে তাড়া করতেছে।

--হয়তো সানজিদাকে ধরার জন্য ছেলেরা ওর পিছনে এভাবে দৌড়াচ্ছে।

--কিন্তু মেয়েটা আমার দিকে দৌড়ে আসতেছে।



চলবে............

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com