Breaking News

তোমায় আমার প্রয়োজন | পর্ব -৬

সে রাতের জন্য তনুর ঘুম হারাম হয়ে যায়। নানান রকম চিন্তা তাকে ঘ্রাস করছে । কোন খেলায় যে সে নামতে যাচ্ছে কে জানে ? কখনো ভাবে নি এইভাবে তাকে এমন পরিস্থিতির সামনে দাড়াতে হবে ।
.
দুই দিন পর
.
আজ তনুর হলুদ সন্ধ্যা ………
.
ভাড়া বাসার ছাদে ছোট খাটো করেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে । সকালে মাইশা আর তার কাজিন রা এসে তনুকে হলুদের শাড়ি গহনা আর বিয়ের শাড়ি গহনা দিয়ে গেছে । মানুষ গুলা বড় ভালো । চারিদিকে হৈ হুল্লোড় চলছে । তনুকে পার্লারে নেয়া হয়েছে এই দুই তিন দিন সে পার্লারেই সাজবে । অবশ্য পার্লারে যেতে চায় নি সে । টাকা পয়সার ও তো ব্যাপার থাকে । কিন্তু সবার পিড়াপীড়ি তে যেতেই হয় ।
.
অপরদিকে মাহবুব ভিলা তেও আনন্দের কমতি নেই । একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা । কোন কিছুর কমতি রাখে নি মাহবুব – রাবেয়া দম্পতী । তাওহীদের সব বন্ধুরাও এসেছে । সাকিল তো সেই সকাল থেকেই আছে । তাওহীদ কে চোখে চোখে রাখছে যাতে আবার ওদের পাল্লায় পড়ে নেশা না করে বসে , তাহলে সেড়েছে কাজ তাই এই দ্বায়িত্ব টা নিজেই নিয়ে নিছে ।
.
তনুকে পার্লার থেকে নিয়ে আসা হয়েছে । ছাদের ডেকোরেশন টা পুরাপুরি ভাবে কমপ্লিট । বধূর সাজে মেয়েকে দেখে সুরিয়া বেগম কিছুক্ষন চেয়ে আছে মেয়ের দিকে । একদম হলুদ পরী লাগছে আজ তনুকে । বাবাকে হুইলচেয়ারে করে বসার ঘরে এনে বসানো হয়েছে । মেয়েকে এই সাজে দেখে বাবার কলিজা মোচড় দিয়ে ওঠে । বাবার করুন চোখের পানি দেখে তনুর চোখে বার বার পানি আসছে । অনেক কষ্টে পানি আটকাচ্ছে । তনুর ইচ্ছে করছে ছুটে গিয়ে বাবার বুকে মাথা রেখে বাবার বুকের কথা গুলো জানতে ।
.
অবশেষে একই লগ্নে একই টাইমে দুই জায়গায় বর কনে কে স্টেজে নিয়ে বসানো হয় । তার শুরু হয় অনুষ্ঠানের কার্যক্রম । এক এক করে সবাই হলুদ ছুইয়ে দিচ্ছে তনুকে । আর অপর দিকে তাওহীদ কে ।
দীর্ঘ ৪/৫ ঘন্টার পর অনুষ্ঠান শেষ হয় দুই পরিবারের । তনুও বেশ টায়ার্ড , এতক্ষণ বসে থাকতে থাকতে তনুর ব্যাকসাইডে ব্যাথা হয়ে গেছে । বাড়িতে কত লোকজন অথচ এই সবের মাঝেও নিজেকে বড্ড বেশি একা লাগছে তার । মিষ্টি আর ফল খাওয়ায় রাতের খাবার টাও ঠিক মত খায় নি তনু । তনুর মায়ের কথায় খানা নিয়ে আফরোজ তনুর রুমে আসে ।
.
– কিরে বিয়ের কনে , কি করিস
– ওহ আপু তুমি আসো
– কি করিস তুই
– ভালো লাগছে না মাথা ধরে আছে তেমনি ব্যাকসাইড ধরে আছে
– ওহ হো রে বাবু , আচ্ছা একটু খেয়ে নে তারপর আমি পেইন কিলার দিয়ে দিব
– আপু , খেতে ইচ্ছা করছে না
– আরে একটু খা বাবু
– আচ্ছা দাও
– তাওহীদ স্যার কে দেখবি , আমি আর ওয়াসিম ওইখানেও তো গিয়েছিলাম
– নাহ , থাক এখন দেখে কি হবে আর বিয়ের পরেই দেখবো
– রাজকুমারের মত লাগছিলো স্যার কে
– ভালো
– তুইও রাজকুমারী , আমার বাবু টা
– হ্যাঁ , আচ্ছা আপু এইগুলা খুলবো আমার দম বন্ধ হয়ে আসতেছে
– একটু সময় পরে খুলিস এখন থাকুক
.
আফরোজ তনুকে খাইয়ে ওষুধ দিয়ে বিদায় নিয়ে চলে যায় । কাল আসবে বলে আশ্বাস দিয়ে যায় তনু কে আর তনুর পরিবার কে । রাতের বেলায় ফ্রেশ হয়ে তনু ড্রেসিং টেবিলের সামনে নিজেকে দেখছে , সদ্য হলুদ মাখা মুখ টায় অন্যরকম আভা লেগে আছে । দুই হাতের কনুই পর্যন্ত দেয়া মেহেদী গুলো লাল খয়েরী রঙে রঙিন হয়ে আছে । হঠাৎ মোবাইল টা ভো ভো আওয়াজ করতে থাকে । মোবাইল হাতে নিয়ে আৎকে যায় তনু । কিছু একটা ভেবে মোবাইল টা রেখে দেয় তনু ।
.
পরদিন সকাল থেকেই দুই বাসায় হুলস্থুল কান্ড । বিয়ে বলে কথা , হুলস্থুল তো হবেই । তাওহীদ কে সব রকম হ্যাল্প করছে সাকিল । বন্ধু কে নিজের হাতে তৈরী করছে সে । তাওহীদ বড্ড বেশি নাক সিটকানো মানুষ , অনেক কিছু আছে যা সে ডিসলাইক করে ।
.
– কিরে নাক সিটকাচ্ছিস কেন
– এইটা ঠিক মানাচ্ছে না
– দারুন লাগছে জনাব আপনাকে
– এইটা কি
– পাগড়ি , ওই তুই এটাও চিনিস না
– সাকিল অফ যা প্লিজ , এটা পড়ব না অসম্ভব , প্রশ্নই আসে না
– কিন্তু কেন
– না না পড়বো না ,
– আচ্ছা এখন পড়িস না তবে সেন্টারে গিয়ে পড়তে হবে
– আচ্ছা তা দেখা যাবে , আচ্ছা শুন একটা ছবিও যাতে আমার ফেসবুকে আপলোড না হয়
– কেন , কত রঙ্গ করেই তো ফেসবুকে পিক দেস এখন বিয়ের পিক গেলে কি হবে
– না কোন পিক যাবে না
– আচ্ছা যাবে না , এইবার রেডি হ
.
ওই দিকে তনুও রেডি । কিন্তু সবাই অবাক হয় বিয়ের লেহেঙ্গা টা দেখে । এত সুন্দর আর এত ভারী যে এর ভারে তনুই নুয়ে পড়ে । তবে কালার টার ব্যাপারে সবার খচ খচ । অফ হোয়াইট কালারের মাঝে ব্ল্যাক রেড কালারের স্টোন গুলা গ্লেস মারছে । একদম ইউনিক রকটা ড্রেস-আপ দিয়েছে তনুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন । সব মিলিয়ে সাদা পরীর মত লাগছে তনুকে আজ । পার্লারের মেয়েদের বার বার করে বলেছে কম মেকাপ করতে । তাই তারাও কম করেই করেছে । কিন্তু তারা বুঝেই নি যে কমের মাঝেও এক অদ্বিতীয়া লুকিয়ে আছে । তনুকে দেখে যে কেউই চোখে তাক দিয়ে চেয়ে থাকবে । বিশেষ করে চোখ জোড়া বড়ই মায়াবী । সব মিলিয়ে মায়াকাননের এক মায়াবীনির মত লাগছে তাকে ।
.
বরপক্ষ কে বরণ করতে সবাই নিচে দাড়ানো । তাওহীদের রুচিশীল মাইন্ডের কথা মাথায় রেখেই সব নিজ দ্বায়িত্বে সেট-আপ দেয় আফরোজ । সেন্টারের নিচ তলা থেকে শুরু করে তিন তলা অবদি ফুলের বর্ষনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে । তিন তলায় সেন্টারের ভেতরে ঢুকার জায়গায় বড় করে ফুলের মাঝে লিখা আছে tawhid weds tonu . সব কিছুই মান সম্পন্ন ভাবে ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে তাওহীদের বাড়ির লোকদের সামনে তনুর বাড়ির লোকদের সম্মান বজায় থাকে । সব কিছু মাথায় রেখে আফরোজা , ওয়াসিম আর রুমেল সব কিছুর ব্যবস্থা করে ।
.
তাওহীদকে বরণ করে তনুর মা । জামাইকে সরাসরি দেখে চক্ষু স্বার্থক হয় তার । ভাবতেও পারেন নি তিনি তার মেয়ের কপালে এত রাজপুত্রের মত বর জুটবে । মিষ্টি খাইয়ে গলায় চেইন দিয়ে বরণ করে গাড়ি থেকে নামানো হয় তাওহীদ কে ।
.
রাত ৮ টায় বিয়ের কার্যক্রম শুরু হয় । কাজী সাহেব বিয়ের পড়ানো শুরু করে ।

প্রথমে ছেলেকে বিয়ে পড়ানো হয় । পরে মেয়ের দিকে যায় সবাই ।

তাওহীদের ফুফুরা খালারা বউ দেখে তো হা করে থাকে ।

এত সুন্দর আর এত মায়াবী মেয়ে দেখে পাথরও জলে পরিনত হবে আর এরা তো মানুষ মাত্র ।

কাজী সাহেব বিয়ের সব রীতি বলে কবুল বলতে বলে তনুকে ।

আর তনুর বুক অজানা ভয়ে কাপছে তার উপরে হাতে থাকা পার্সের ভেতরে ফোন টা আবারো ভো ভো করছে ।

মোবাইলের vaibrate এর শব্দের সাথে তনুর দু চোখ থেকে অবিরাম অশ্রু পড়ছে ।

ভো ভো করতে করতে এবার মোবাইল টাও শান্ত হয়ে গেছে ।

এইদিকে কাজী সাহেব তাড়া দিচ্ছেন কবুল বলার জন্য অন্যদিকে সবাই চিৎকার করে বলছে কবুল বলতে ।

আর মাঝে তনু মূর্তির মত বসা ।

অবশেষে সব কল্পনা যল্পনা জলাঞ্জলি দিয়ে বুক ভাঙা কান্নার সাথে প্রথম কবুল টা মুখ দিয়ে বের করে তনু ।

তারপর আবার মোবাইলে কল আসে সেই সাথে তনুও কেপে ওঠে ।

নিজের নিঃশ্বাস টা এক রকম আটকে বাকি দুইবার কবুল কবুল বলে দম নেয় তনু ।

সবাই এক সাথে আলহামদুলিল্লাহ বলে ওঠে ।
.
অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে তনুকে স্টেজে নেয়া হয় । কিন্তু তখনও কেউ কাউকে দেখে নি ।

তাওহীদ তার মত ছিল আর তনুর তো হুশই নেই সব কিছু মুহুর্তের মাঝে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে গেলো ।

আজ এই মুহুর্ত থেকে সে অন্য কারো ।

স্টেজে বসে থেকে তনু খেয়াল করছে তার বাবা হুইলচেয়ার টায় বসে বুক ভাসাচ্ছে ।

বাবাকে দেখে তনুর নিজেকে সামলাতে বড্ড কষ্ট হচ্ছে তবুও নিজেকে সামলে নিয়েছে মেয়েটা ।

খাওয়া দাওয়ার পাট চুকিয়ে রাত ১০ টা বেজে ৩০ মিনিটে বিদায়বেলা ঘনিয়ে আসে ।

এইবার আর বিলম্ব না করে তারা বউ নিয়ে রওনা করতে চায় ।

মেয়ের বিদায়ের কথা শুনে শোক নেমে আসে সুরিয়া বেগম আর আলতাফ হোসেন এর মনে ।

পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে নিজের দ্বায়িত্ব সর্বদা যে কাধে তুলে নিয়েছিল আজ সেই মেয়েকে অন্যের

হাতে তুলে দিতে হবে ভেবেই বুক টা হাহাকার করে উঠছে সুরিয়া বেগমের ।

কিন্তু এ যে বাস্তবতা , এ যে নিয়তি , এ যে নিয়ম , এর কাছে সব বাবা মা কেই হার মানতে হয় কোন না কোন সময়ে ।

আজ হয়তো হার মানতে হচ্ছে তনুর মা বাবা কেও ।
.
তনুর বড় মামা তনুর মা কে নিয়ে তনুর সামনে দাঁড়ায় । তনুর মা তনুকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেদে দেয় । এতক্ষন নিজেকে শক্ত রাখার পরেও এখন আর পারে নি মা কে ধরে চিৎকার দিয়ে উঠে । অপরদিকে ,
তাওহীদের এইসব যাষ্ট অসহ্য লাগছিল । এইসব কান্নাকাটিতে ওর আগে থেকেই এলার্জি আছে । আর এখানে তো অনেক কান্নাকাটি । তারপর তনুকে তাওহীদ এর হাতে তুলে দেয় ওর মা । তারপর শুধু একটা কথাই বলেছেন “” বাবারে ওর বাবা থেকেও নাই , আজ থেকে তুমিই ওর সব , ওর ভুল গুলো ক্ষমা করে দিও “”
.
এই একটা কথা তাওহীদের বুকে গিয়ে খুব লাগে । শুধু লাগে নাই একটু জোরেই লেগেছে । তাওহীদ ভাবে নি তনুর মা এই কথা টা বলে ফেলবে ।
বিদায় বেলায় বাবা মেয়ের কান্নায় সবার চোখেই পানি চলে আসছে । আসলেই পৃথিবীতে এই বাবা মেয়ের সম্পর্ক গুলো এমনি হয় ।
.
অন্যদিকে ভাই বোন গুলাও কাদছে । দুঃখ গুলো হয়তো এমনি হয় । যে বোন এক সময় তাদের মাথার উপরে ছাতা হয়ে ছিল আজ সে বোন কে বিদায় জানাতে সবার আত্না কাপছে । অবশেষে সব আচার অনুষ্ঠান শেষ করে মেয়েকে বিদায় জানান সুরিয়া আর আলতাফ দম্পতী ।
.
মাহবুব ভিলায় নতুন বউকে বরণ করার ধুম পড়ে যায় । অনেক যত্নে অনেক ভালোবাসায় একমাত্র ছেলের বউকে বরণ করলেন রাবেয়া বেগম । তাওহীদ কে আর সেখানে দেখা যাচ্ছে না । হয়তো সাকিলের সাথে আছে । আর এদিকে সবাই মিলে নতুন বউকে নিয়ে মেতে ওঠে । ছাদে একা একা সিগারেটে ফুক দিচ্ছে তাওহীদ । কিছুক্ষন আগেই সে বিয়ে করছে তাও এমন একজন মেয়েকে যার জীবনে অনেক কষ্ট । সে ভাবছে তার নিজের কথা । তার সাথে কিভাবে এই মেয়ে থাকবে যার জীবন টাই নেশার কালো অন্ধকারে মুড়িয়ে থাকা ।
.
– ভাবি কেমন লাগছে তোমার নতুন রুম
.
মাইশার কথায় পুরো রুমে এক নজর তাকায় তনু । বেশ বড় আর সাজানো একটা রুম । এক সেট সোফা , অনেক বড় ড্রেসিং টেবিল , খাট টাও বিশাল । আর খাট টাও সাজানো রয়েছে কয়েক রকমের ফুলে । অনেক সুন্দর রুম টা দক্ষিণে বারান্দা টা বেশ সুন্দর লাগছে ।
.
– মাইশা
– জ্বি ভাবি
– চেঞ্জ করবো
– এখনি করে ফেলবে
– হ্যাঁ গো , কেমন জানি লাগছে , গা গুলাচ্ছে অনেক
– আচ্ছা তাহলে করে ফেলো
– একটু হ্যাল্প করো না গো , ওরা লেহেঙ্গা টায় কয়েকটা পিন আটকে দিয়েছে একটু খুলে দাও না
– আচ্ছা
.
তারপর মাইশার সাহায্য নিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে তনু । খয়েরী রঙের শাড়ি টায় দারুন লাগছে তনুকে , সাথে সিম্পল একটা নেক-সেট আর কানে দুল । নাকের ডাইমন্ড এর নোজ-পিন টা জ্বলজ্বল করছে । সব মিলিয়ে সদ্য বিবাহিতা এক নব বধূ সে ।
.
রাত প্রায় ১১ টা বেজে ২০ ,
.
– কিরে এইখানে এখনও কি করস
– ওহ সাকিল তুই , আয়
– তুই সিগারেট টানছিস
– জানিসই তো , আমি নেশাখোর , আবার বলস কেন
– বাদ দে , রুমে যা ভাবি অপেক্ষা করছে
– ধুর , এইসব অপেক্ষা টপেক্ষার ধার এই তাওহীদ ধারে না ,
– তাওহীদ অফ যা , আংকেল বাসায় আছে , যা রুমে যা
– ধুর , সর
.
সাকিলের সাথে জিদ করে সোজা নিচে চলে যায় তাওহীদ । কিন্তু ছাদ থেকে নেমে বাবার সামনে পড়ে তাওহীদ
.
-দাড়াও
– বলো
– বউমার সাথে উলটাপালটা কিছু করস্র চেষ্টা করবা না
– কি করলাম আবার আমি
– তোমায় আমার বিশ্বাস হয় না
– তোমার আমাকে কবেই বিশ্বাস হয়েছিলো
– যাও রুমে যাও , বউমা অপেক্ষা করছে
.
বাবার কথার উত্তর না দিয়েই সামনের দিকে হেটে নিজের রুমে দিকে চলে যায় তাওহীদ । তারপর রুমে ঢুকে সে , দেখে তার বিছানা ফুলে সাজানো আর তার মাঝে একজন বসে আছে ।
তনু খাট থেকে নেমে তাওহীদ কে সালাম করতে আসে আর ঠিক তখনই অসাবধানতা বশত তনুর মাথা থেকে কাপড় টা পড়ে যায় , আর তাওহীদ নতুন বউয়ের মুখ টাও দেখে ফেলে । আর তনুও তার বরের মুখ টা দেখে । আর তারপর ,
– তুমিইইইইই

– আ,,,,আ,,,আপ,,,আপনি

চলবে…

No comments

info.kroyhouse24@gmail.com