আমার বান্ধবী একটু বেশিই মোটা
আমার বান্ধবী একটু বেশিই মোটা। তবে তার খুব ইচ্ছে হয় চিকন হবার। সব
ধরনের শরীরচর্চাও করে সে কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে সে খাবারের প্রতি একটু
ইমোশনাল। সে সামনে যা কিছু পায় তা না খেয়ে থাকতে পারে না। সে ভাবে
খাবারগুলো মন খারাপ করবে।
সেদিন ক্যাম্পাসের মোড়ে বসে খাচ্ছি। তখনই বান্ধবী হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল, "দোস্ত কাজ তো হয়ে গেছে। "
আমি অবাক হয়ে বললাম," কী হয়েছে? এভাবে তাড়াহুড়ো করে কী বলছিস বুঝি নাই?"
ও বলল, "জানিস আমি অনেক ভয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম ওজন মনে হয় আরো বেড়ে গেছে। কিন্তু তুই যে কি খুশি হবি শুনে..."
সেদিন ক্যাম্পাসের মোড়ে বসে খাচ্ছি। তখনই বান্ধবী হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল, "দোস্ত কাজ তো হয়ে গেছে। "
আমি অবাক হয়ে বললাম," কী হয়েছে? এভাবে তাড়াহুড়ো করে কী বলছিস বুঝি নাই?"
ও বলল, "জানিস আমি অনেক ভয়ে ছিলাম। ভেবেছিলাম ওজন মনে হয় আরো বেড়ে গেছে। কিন্তু তুই যে কি খুশি হবি শুনে..."
আমি বললাম, "কী হইছে সেটা বলবি তো?"
বান্ধবী একগাল মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো, " আমার ওজন দশ কেজি কমে গেছে। ইয়াহ হুউউউউ।"
আমি তো মহা অবাক হলাম। ওই শালার সাথে থেকে থেকে এখন খাবারের প্রতি আমারও একটা মায়া চলে আসছে। আমিও বেশ খাদক হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। ওর খাবারের পরিমাণ তো দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে ওজন কমার তো কথা না।
আমি বললাম, "এটা হতেই পারে না। তোর ওজন কমতে পারে না।"
ও ঠিক ৭৭ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে মুখ বাঁকিয়ে বললো, "তো কী হ্যাঁ? বহুদিন আগে মেপেছিলাম ৭০ কেজি ছিলো আর আজ ৬০ কেজি। বিশ্বাস না হলে আয় ওই দোকানে গিয়ে মেপে দেখাই আবার। তোকে প্রমান করি।"
আমি বাকি খাবার টুকু খেয়ে ওর পিছন পিছন হাটছি। হাঁটতে হাঁটতে ওখানে গেলাম। যে মামা ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসেছিলেন তিনি আমার বান্ধবীকে দেখেই বললেন, " আফা এটা কোন কাজ করলেন! আপনি যেভাবে ধপাস করে উঠছিলেন তখন, আমার মেশিনের তো সমস্যা হয়ে গেছে।"
আমার বান্ধবীতো অবাক। বলল, " সমস্যা হয়েছে মানে?"
ওই লোকটা বলল, " জ্বী সমস্যা হইছে এখন মাপলে উল্টাপাল্টা দেখায়।"
আমি বুঝতে পারলাম যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে। আর এদিকে বান্ধবী তো রাগে কাঁপছে পুরো। সে এত খুশি ছিল কিন্তু তার মুখটা আবার অন্ধকার হয়ে গেল। সে আমাকে টেনে নিয়ে আরেকটা দোকানে গেল। দুর্ভাগ্যবশত সেখানকার মেশিনটা ভালো ছিল আর তাই বান্ধবীর ওজন দেখালো ৮০ কেজি এবং এটা দেখার পর তার মন এতই খারাপ হল যে ওজন মাপার জন্য যে টাকাটা দিতে হয় সেটা আমিই দিলাম।
একদম নিশ্চুপ হয়ে ও আমার পাশে পাশে হেঁটে ফিরছে। তখন সামনে একটা রেস্টুরেন্ট দেখতে পেয়ে আমি বললাম, "চল না একটু বিরিয়ানি খেয়ে আসি। আজকে আমি খাওয়াবো প্রমিস। বিলিভ মি।" দেখলাম এই কথাটা শোনার সাথে সাথেই ও একটা ভ্যান ডাক দিয়ে আমাকে ফেলে রেখেই চলে গেল.।
গল্পটি কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।
ধন্যবাদ
বান্ধবী একগাল মিষ্টি হাসি দিয়ে বললো, " আমার ওজন দশ কেজি কমে গেছে। ইয়াহ হুউউউউ।"
আমি তো মহা অবাক হলাম। ওই শালার সাথে থেকে থেকে এখন খাবারের প্রতি আমারও একটা মায়া চলে আসছে। আমিও বেশ খাদক হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। ওর খাবারের পরিমাণ তো দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাহলে ওজন কমার তো কথা না।
আমি বললাম, "এটা হতেই পারে না। তোর ওজন কমতে পারে না।"
ও ঠিক ৭৭ ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে মুখ বাঁকিয়ে বললো, "তো কী হ্যাঁ? বহুদিন আগে মেপেছিলাম ৭০ কেজি ছিলো আর আজ ৬০ কেজি। বিশ্বাস না হলে আয় ওই দোকানে গিয়ে মেপে দেখাই আবার। তোকে প্রমান করি।"
আমি বাকি খাবার টুকু খেয়ে ওর পিছন পিছন হাটছি। হাঁটতে হাঁটতে ওখানে গেলাম। যে মামা ওজন মাপার যন্ত্র নিয়ে বসেছিলেন তিনি আমার বান্ধবীকে দেখেই বললেন, " আফা এটা কোন কাজ করলেন! আপনি যেভাবে ধপাস করে উঠছিলেন তখন, আমার মেশিনের তো সমস্যা হয়ে গেছে।"
আমার বান্ধবীতো অবাক। বলল, " সমস্যা হয়েছে মানে?"
ওই লোকটা বলল, " জ্বী সমস্যা হইছে এখন মাপলে উল্টাপাল্টা দেখায়।"
আমি বুঝতে পারলাম যা ভেবেছিলাম তাই হয়েছে। আর এদিকে বান্ধবী তো রাগে কাঁপছে পুরো। সে এত খুশি ছিল কিন্তু তার মুখটা আবার অন্ধকার হয়ে গেল। সে আমাকে টেনে নিয়ে আরেকটা দোকানে গেল। দুর্ভাগ্যবশত সেখানকার মেশিনটা ভালো ছিল আর তাই বান্ধবীর ওজন দেখালো ৮০ কেজি এবং এটা দেখার পর তার মন এতই খারাপ হল যে ওজন মাপার জন্য যে টাকাটা দিতে হয় সেটা আমিই দিলাম।
একদম নিশ্চুপ হয়ে ও আমার পাশে পাশে হেঁটে ফিরছে। তখন সামনে একটা রেস্টুরেন্ট দেখতে পেয়ে আমি বললাম, "চল না একটু বিরিয়ানি খেয়ে আসি। আজকে আমি খাওয়াবো প্রমিস। বিলিভ মি।" দেখলাম এই কথাটা শোনার সাথে সাথেই ও একটা ভ্যান ডাক দিয়ে আমাকে ফেলে রেখেই চলে গেল.।
গল্পটি কেমন লাগলো অবশ্যই জানাবেন।
ধন্যবাদ
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com