রাগী বউ || পর্ব -০৩
কারন আমি আজ খুব খুশি আমি বাবা হতে চলেছি। তাই ওকে ইচ্ছে করতেছে একা একটু জড়িয়ে ধরবো। তাই রুমে অপেক্ষা করতেছি।
একটু পরে রাইসা এলো, কিন্তু সাথে মা ও এসেছে রুমে। তাই খুব আনিজি লাগতেছে,,,
মা এসে আমাকে বলতেছে, এই রাইসুল তুই সবসময় বৌমার খেয়াল রাখবি কখনো একা একা ছাড়বি না। আর আমি তো আছি। তুই পাশে থাকবি। যে সময় তুই অন্য দিকে যাবি আমাকে বলে যাবি। এখন বৌমা পুরো রেস্টে থাকবে ওর উপর কোন চাপ দিবি না।।
আমি বললাম আচ্ছা মা ঠিক আছে তুমি এখন যাও না, আমি ওকে দেখে রাখছি,,,
মা বললো, না এখন না আমি যাবো পারে, কেন তোর সমস্যা কি,,, আমি এখন বৌমার পাশাপাশি থাকবো,,,
আমার তো মাথাই গরম,,,?
রাইসা কে দেখলাম ও মিট মিট করে হাসছে, হয়তো বুঝতে পেরেছে আমি কিসের জন্য বলতেছি কথাগুলো,,,
আমি রাইসা কেই সারা দিলাম বললাম তুমি এখন মাকে যেতে বলো,,
রাইসা দেখতেছি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে, ও বুঝতে পারছে আমার কথা। তাও ও মাকে যেতে বলছে না,,,,,,,?
আমিঃ মা তোমাকে ওই বাড়ির আন্টি ডাকছে,,,(মিথ্যা কথা বললাম,যাতে মা চলে যায়,,??)
মাঃ ডাকুক তো এখন আমি বৌমার সাথে গল্প করবো,, তুই বল পরে আসবে
আমি রাইসাকে ইসাড়া দিয়ে আবার বুঝালাম, যে এখন তুমি অন্য জায়গায় চলো আমার সাথে,,
এ কিদেখছি আমি রাইসা আমাকে চোখ টিপে দিচ্ছে,,,,
একটু পরে আমার ভাগ্য সহায় হলো মা বলল ওহ্যাঁ আমি এখন একটু হাঁটতে যাবো বউমা তুমি কি আমার সাথে যাবে,,,,,?
দেখলাম রাইসা আমার দিকে আড় চোখে তাকাল তারপর হাসলো,,
আমি বললাম মা এখনও যাবে না ওর তো এখন হাঁটার সময় না আসলে ওর এখন রেস্টে থাকা উচিত তাই না,,?
রাইসা বলে উঠলো, আরে তাতে কি হয়েছে আমি যাবো, একটু হেঁটে আসি শরীরটা ভালো লাগবে,,,,
আমি বলে উঠলাম,, বললাম না এখন তুমি যাবা না একদম যাবা না,,
মা বলল আরে তুই রাগ করছিস কেন এখন একটু হেঁটে আসুক না, তাতে কি হয়েছে,,,?
তারপর আবার মা বললো, আচ্ছা ঠিক আছে আজকে যেতে হবে না বৌমা কালকেই যেও আজকে তুমি একটু রেস্ট নাও। আজকে তো প্রথমে যাচ্ছি কালকে থেকে তুমি আমার সাথে যাবা হাঁটতে,,,
মা চলে গেল,,,,,,
আমিঃ এই একটু কাছে আসো কথা আছে,,,,?
রাইসাঃ কি কথা,,? কথা তো দূরে বসেও বলা যায় বলো আমি শুনতেছি,,?(হেসে হেসে)
আমিঃ আমাকে আগে বলো না কেন যে বেবি হবে,,,,
রাইসাঃ এমনি বলিনি,,
আমিঃ এখন তোমার জরিমানা হবে
রাইসাঃ কিসের জরিমানা, কেন হবে, সেটাই তো বুঝতে পারলাম না,,,?
আমিঃ আমাদের বেবি হবে সেটা আগে বল না এর জন্য আর এখন মাকে তুমি যেতে দিচ্ছিলে না এর জন্য
রাইসাঃ আচ্ছা জরিমানা হিসেবে আমাকে এখন কি দিতে হবে বলো
আমিঃ কাছে আসো তারপর আমি বলতেছি কি কি করতে হবে
রাইসাঃ আসবো না তুমি কি করবা শুনি
আমিঃ আসবেনা তুমি আচ্ছা দাঁড়াও আমি আসতেছি
বলার সাথে সাথে রাইখা দৌড় দিল আমার থেকে,, আমি ওকে ধরলাম। ধরে একটা কিস করলাম। তারপর ওকে জড়িয়ে ধরে বুকের সাথে নিলাম। ও বলল, এই আমাকে এভাবে ধাওয়া করলা কেন,,?
আমিঃ দাওয়া না করলে তো তোমাকে ধরতে পারতাম না,,
রাইসাঃ আমি যদি পড়ে যেতাম তাহলে তো ব্যাথা পেতাম, মরেও যেতে পারতাম,,,,
আমিঃ তুমি এত তাড়াতাড়ি আমাকে ছেড়ে যেতে পারো না,,,,
কথাটা বলার পরে ও আমাকে সাথে সাথে জড়িয়ে ধরল এবং বলল আসলে তুমি কেন এত ভালো আমাকে এত ভালবাসো কেন,,,
রাইসা আমাকে বলল আচ্ছা আমাদের ছেলে বাবু হবে নাকি মেয়ে বাবু হবে বলতো
আমিঃ আমাদের একটা মেয়ে বাবু হবে তুমি দেখে নিও,,,
রাইসাঃ যদি আমি ডেলিভারির সময় মরে যাই তাহলে তুমি কাঁদবে না তো,,
আমিঃ আমি পাগল হয়ে যাব বিশ্বাস করো,,,
রাইসাঃ এই শোনো তোমাকে আমি এত সহজে ছারছীনা জীবনের একদম শেষ পর্যন্ত জ্বালিয়ে যাবো, মিস্টার বুঝেছ,,
আমিঃ আমাদের ছেলে বাবু হোক আর মেয়ে বাবু হোক তাতে কি,, কিন্তু তাদের নামটা কি রাখবা সেটা বলতো,,,
ভালো লাগলে কমেন্ট করবেন,,,,,,
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com