ক্যাম্পাসে ডুকতেই চোখ আটকে গেলো এক সুর্দশন যুবকে দেখে।একদম আমার স্বপ্নের রাজকুমার।উফফ এতদিন এমনি কাউওকে আমি মনে মনে চেয়েছি।খোদা বুঝি আজই আমার দোয়া কবুল করে এই সুন্দর বালকে পাঠিয়ে দিয়েছে।উফফ হাইট তো ছয় ফিট হবেই,বডিও ফিট, এক কথায় তাকে দেখে আমি মুগ্ধ। সে যাই হোক ক্রাশ তো খাইলাম, কিন্তু মনের ভাব কীভাবে এই সুন্দর বালকের কাছে পৌছে দিবো তা ভেবেই পাচ্ছি না।দিন যাচ্ছে আর রোজই আমার মনের রাজকুমারের সাথে আমার দেখা হতে লাগলো।আমি অনার্স ২য় বর্ষের স্টুডেন্ট।মনে মনে ভাবলাম এত দিন তো এই রাজকুমার কে ক্যাম্পাসে দেখিনি।কোন ডিপার্টমেন্ট এর এই বালক?কীভাবে খোজ নিবো।তখনি ওই বালক আমাকে ডাক দিলো
-এইযে শুনেন. আমার মনে তো তখন লাড্ডু ফুটতেছিলো,নিজের উত্তেজনা কে থামিয়ে ঘোমরা মুখে বললাম -জী বলেন। -আপনার নাম কী? -জান্নাত,কেনো? -না, মানে এমনি। (মনে মনে আমি উড়ছিলাম,কথা যাতে শেষ না হয় তাই নিজে থেকে বললাম) -অহ,কোন প্রয়োজন? -না মানে আপনার ফেবু আইডির নাম কী? (বেশি পাকামি করলাম না এতে হিটে বিপরীত হতে পারে তাই সোজা বললাম) -এঞ্জেল প্রিয়া। -অহ,আচ্ছা আমি আপনাকে রিকু দেই একটু এক্সেপ্ট করেন প্লিজ। -ওকে।
রিকু এক্সেপ্ট করার পর সে চলে গেলো।একটু খারাপ লাগলেও পড়ে,অনেক খুশি হইছি।ক্রাশ নিজে থেকে আমার আইডি চাইছে।আমি মনে মনে গান গাইতে শুরু করলাম “আজ মে উপার আসমা নিচে, আজ মে আগে জামানা হে পিছে” সারাদিন ধরে কত স্বপ্ন সাজালাম,কত রোমেন্টিক স্বপ্ন,আমি ফোসকা খেতে গেছি আর ও আমাকে নিজে হাতে ফোসকা খাইয়ে দিয়েছে তার পর নিজে বিল টা দিয়ে দিয়েছে।স্বপ্ন দেখতে দেখতে একদম স্বপনেই আমি আমাদের নাতির বিয়ে দিয়ে দিছি।ওয়াহ হোয়াট আ স্বপন। স্বপ্নের রাজকুমারকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে কখন যে রাত দশ টা বেজে গেছে বুজিই নি। অনলাইনে আসতে ভুলে গেছি।অনলাইনে আসলাম দেখলাম জিনচ্যাক মন্টু মানে আমার রাজকুমার আমাকে নক দিয়েছে।আমি মনের আকাশে উড়তে উড়তে রিপ্লাই দিলাম -হুম বলেন।
-মানে আপনার সাথে একটা দরকার ছিলো। (উফফফ আমার রাজকুমারের আমাকে দরকার এর চেয়ে ভালো কিছু হতেই পারে না।আমি মনে মনে আহ্লাদে গদগদ হয়ে গেছি।কিন্তু মুখে এটিটিউড় নিয়ে বল্লাল) -কী দরকার? -আসলে কীভাবে বলবো বুঝে পাচ্ছি না। -সমস্যা নেই, কোন সংকোচ করতে হবে না।আপনি বলুন।(এই বুঝি আমাকে প্রোপোজ করবে।আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না) -আসলে ফটিক ভাইরের কাছ থেকে আপনার সম্পর্কে জেনেছি। (ফটিক আমার বেস্ট ফ্রেন্ড,ফেবু আইডির নাম হইলো স্টাইলিশ বয় ফটিক।রোগা পটকার মত দেখতে ফটিক আর মহা ধড়িবাজ পোলা তাই আমি ওরে ফইটকা বলি।এই ফইটকা আমার কোনদিন কোন কাজে আসে নাই।কিন্তু আজ আই ফইটকার জন্য আমি আমার ক্রাশ কে পেয়েছি, ফইটকা কে এখন কাছে পাইলে দুইটা পাপ্পি দিতাম।) -অহ আচ্ছা।তা তোমার কী দরকার? -না মানে.
(মনে মনে বললাম শালা এত ভণিতার কী আছে প্রোপোজ কর।) -বলো। -আসলে আপু।আমি আপনার ডিপার্টমেন্ট এর জুনিয়র এইবার ফার্স্ট ইয়ার।আপনার কাছে নাকি অনেক নোট আছে ফটিক ভাই বল্লো।প্লিজ আপু আমাকে নোট গুলা দিবেন। প্লিজ আপু।আমার লক্ষী আপু,সোনা আপু।প্লিজ। (ওয়েট হোয়াট! লাইক সিরিয়াসলি? এই মেসেজ দেখার পর আমার মাথা ঘুড়তাছে।আমি চোখে দেখতাছি না।আমার কী হবে এত স্বপ্ন দেখলাম আমার নাতির বিয়ের কী হবে?যারে নিয়ে ফুসকা খাইতে চাইলাম সে আমার জুনিয়র হইলো।নাহ এ জীবন রাখবো না এদিকে আমার জুনিয়র ক্রাশ অনবরত বলেই যাচ্ছে) -আপু,আপু গো।সোনা আপু।প্লিজ নোট আমাকে দেন। যার কাছ থেকে জান ডাক শুনতে চাইছি আজ সে আমাকে আপু বলছে দিলাম ঝারি -কীসের আপু।কেমন আপু।আর কিসের নোট।শালা ফাঁকিবাজ ক্লাসে কী করস।একটা নোট ও পাবি না। (কিন্তু এই ছেলে মেলা ধড়িবাজি আমাকে এমন কথা বল্লো যা শুনে আমি তো অবাক) -আপু না দিলে আমি সারা ক্যাম্পাস জুড়ে বলে বেড়াবো আপনি আর ফটিক কাপল।আপনারা রিলেশনে আছেন।
আমি মনে মনে একবার ভাবলাম আমি আর ফটিক এজ আ কাপল কেমন দেখাবে, ওই রোগা প্যাকাটির সাথে নিজেকে ইমেজিং করতেই আমি ফইটকাকাকাকাকা বলে জোড়ে চিল্লানি দিয়ে আপাতত কোমায় আছি। প্লিজ ফ্রেন্ড প্রে ফর মি।
ক্রাশ
Reviewed by Kroy House
on
March 19, 2020
Rating: 5
No comments
info.kroyhouse24@gmail.com